গল্প:-দুই_বধূ_এক_স্বামী পর্ব:-(০৭)
লেখা:- AL Mohammad Sourav
!!
আমি জানি আপনি এখন আপনার বড় বউ নিয়ে ঘুরতে যাবেন! তাই তো অফিসের নাম করে এখন বের হচ্ছেন! আপনাকে এখন কোথাও যেতে হবে না! আপনি আমার সাথে থাকবেন এতটা রাস্তা জার্নি করে এসেছেন!
আমি:- আমার অফিসে কাজ আছে! প্লিজ লক্ষী বউ আমার উম্মা কাজটা করে আমি চলে আসবো। এখন যেতে দাও আমাকে?
তসিবা:- যেতে পারেন এক শর্তে রাস্তায় মোবাইলে ভিডিও কল করে রাখবেন আমি দেখবো আপনি কোথায় যাচ্ছেন।
আমি:- বেশি হয়ে যাচ্ছে না?
তসিবা:- সবে তো শুরু করেছি! আমি চাই আপনি আমাকে ছাড়া আর কাওকে সময় না দেন। রাজি থাকলে অফিসে যেতে পারেন কেমন?
আমি:- আমার প্রতি তোমার বিশ্বাস হচ্ছে না তাই তো? কিন্তু ড্রাইভ করার সময় মোবাইলে কথা বলা ঠিক নয়। যদি কোনো দূর্ঘনটা ঘটে তখন কি করবে?
তসিবা:- ঠিক আছে আজকের মত যেতে দিচ্ছি! আর শুনেন অফিসে গিয়ে আমাকে আগে ফোন করবেন। কথাটা মাথায় ভালো করে গেথে রাখবেন।
আমি:- ওকে উম্মা তসিবার কপালে চুমু দিয়ে বেরুলাম। তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। নিচে এসে গাড়ীটা নিয়ে বেরিয়ে পরেছি। রাস্তায় জ্যামের কারনে এক ঘন্টার রাস্তায় দুই ঘন্টা পর এসেছি। অফিসে ঢুকে সবার সাথে কিছু কথা বলে নিলাম।
আব্বা:- সৌরভ রফিক সাহেব নাকী মাল নিতে চাচ্ছেনা! কেনো নিতে চাইনা একটু খুঁজ নিয়ে আমাকে জানাস তো?
আমি:- ঠিক আছে! রফিক সাহেবকে ফোন করেছি ওনার সাথে কথা বলেছি! সব কথা শুনেছি এরপর ওনাকে রাজি করিয়েছি মাল নেওয়ার জন্য কিছুক্ষন পর আব্বু এসেছে।
আব্বু:- কিরে রফিক সাহেব কি বলছে?
আমি:- মাল ডেলিবারিতে দেরি হওয়ার কারনে নিতে রাজি হয়নি। তবে এখন বলছে মাল নিবে তবে ওনাকে মাল গুলি আমাদের পৌছায় দিতে হবে।
আব্বু:- ঠিক আছে সমস্যা নেই। তখনি চেয়ে দেখি মীম এসেছে! সবাই মীমকে দেখে অভাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
আমি:- মীম তুমি এখানে কেনো এসেছো?
মীম:- ইচ্ছে হয়ছে তাই! আব্বজান সৌরভকে নিয়ে যেতে পারি?
আব্বা:- মীম তুমি আমাকে এই নামে ডাকবে না! আর সৌরভের কাজ আছে ও তোমার সাথে যেতে পারবে না। আচ্ছা তুমি কেনো এমন করছো? আমাদের কত অসম্মান করেছো তাও তোমার সাধ মিঠেনি?
মীম:- ভুল গুলির জন্য তো আবার এসেছি সৌরভকে সব কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমার সৌরভের সাথে কিছু কথা আছে বলে মীম আমার হাত ধরেছে। সৌরভ চলো আমার সাথে যাবে সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।
আমি:- তোমার সাহোস হয় কি করে আমার হাত ধরার। ছারো আমার হাত বলে টান মেরে হাত ছাড়িয়ে নিয়েছি।
মীম:- এমন করছো কেনো? আমি তো তোমার প্রথম ভালোবাসা আর প্রথম স্ত্রী তাইনা?
আমি:- কিসের ভালোবাসা যেই ভালোবাসা কষ্ট ছাড়া কিছুই দেয়নি। আর কিসের বউ যেই বউ স্বামীর চাওয়া পাওয়ার কোনো দাম দেয়না। মীম তুমি চলে যাও আমি চাইনা তোমার মুখ দেখতে।
মীম:- কিছু দিন সহ্য করতে হবে এখন চলো সবার কাছে না হলে আমি অনেক ছোট হয়ে যাবো। আমাকে নিয়ে সবাই হাসা হাসি করবে প্লিজ।
আমি:- তোমাকে নিয়ে হাসা হাসি করলে আমি অনেক খুশি। তোমার সাথে কোথাও গেলে তসিবা অনেক কষ্ট পাবে। আমি চাইনা তোমার জন্য তসিবার সাথে আমার কোনো ঝগড়া হোক।
মীম:- তসিবা তো জানতে পারবে না তাহলে ঝগড়া হবে কি করে?
আমি:- তসিবা যেনে যাবে। তুমি যাও কেনো এসেছো অফিসে তুমি কি চাও বলবে?
মীম:- তোমাকে! এখন চলো এত কথা না বলে!
আমি:- ছারো বলে মীমকে একটা থাপ্পড় দিয়েছি মীম থাপ্পড় খেয়ে গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চোখ বেয়ে পানি পড়ছে আমি দেখে ও না দেখার মত করে বলছি। তুমি যাবে নাকি ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো?
মীম:- এখন বুঝতে পারছি তুমি আমাকে আর ভালোবাসো না। ধন্যবাদ তোমাকে তবে তুমি ভেবোনা তোমাকে ছেরে যাচ্ছি না যত কষ্ট হোক তোমার পাশে ছায়ার মত থাকবো। জানি না কতদিন থাকতে পারবো তবে জীবনের শেষ মূহূর্ত পর্যন্ত থাকার চেষ্টা করবো। (মীম গালে হাত দিয়ে চলে গেছে আমি মন খারাপ করে বসে আছি! মীকে এই নিয়ে তিনবার হাত উঠায়ছি মীমের প্রতি ঘৃনা একটু বেশি হয়ে গেছে। মীমের সাথে কাটানো সূখের স্মৃতি গুলি আজ বড্ড মনে পরে গেলো তখনি মোবাইল বেজে উঠছে চেয়ে দেখি তসিবার নাম্বার। আরে তসিবাকে তো অফিসে এসে ফোন করার কথা ছিলো সব গন্ডগোল করে দিলো মীম রিসিব করছি)
তসিবা:- আপনি কোথায়?
আমি:- অফিসে! সরি তসিবা আমার একদম খেয়াল নেই তোমাকে ফোন করতে।
তসিবা:- আপনি আমাকে এখনো মীম আপুর থেকে বেশি ভালোবাসতে শিখেন নাই। আগে নাকী অফিসে গিয়ে মীম আপুর সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোন করে কথা বলতেন। কিন্তু আজকে আমাদের বিয়ে পর প্রথম দিন ছিলো আপনার অফিস অথচ আমাকে একটা ফোন করেন নাই।
আমি:- সরি লক্ষীটি আর এমনটা হবে না! আচ্ছা আমি বাসায় আসতেছি। এসে দুজনে অনেক গল্প করবো কেমন?
তসিবা:- ওকে আসার সময় আমার জন্য আইসক্রিম নিয়ে আসবেন কেমন?
আমি:- ওকে! ফোনটা রেখে আব্বাকে বলে বেরুলাম। গাড়ীটা চালাচ্ছি নিজের মত করে রাস্তা থেকে তসিবার জন্য আইসক্রিম নিয়েছি! ঘন্টা খানেক পর বাসায় এসেছি দেখি তসিবা কাটুন ছবি দেখছে। আমি ওর পাশে গিয়ে বসতেই আমার কাদের উপর মাথা রাখছে নাও তোমার আইসক্রিম।
তসিবা:- দেন! আপনি সত্যি বেস্ট হাজবেন্ট উম্মা যান আপনি ফ্রেশ হয়ে আসেন আমি খাবার রেডি করে রাখছি।
আমি:- তুমিও আমার বেস্ট বউ উম্মা! তসিবা অনেক খুশি হয়েছে আমি রুমে গেলাম কিছুক্ষনের মধ্যে ফ্রেশ হয়ে আবার নিচে আসলাম। খাবার টেবিলে সবাই এসেছে শুধু আজকে মীমকে কোথাও দেখছি না। তসিবা আমার পাশে বসে আছে।
আম্মু:- আরেক মহারানী কোথায়?
ভাবি:- আছে কোনো বয়ফ্রেন্ডের সাথে।
আম্মু:- সৌরভ তুই মীমকে ডির্ভোস দিতেছিস না কেনো?
আব্বা:- দিবে এখন কিছুটা স্থির হতে দাও। মীম তো এখন আমাদের কাওকে কোনো সমস্যা করছে না।
আম্মু:- তুমি ঐ মেয়েটার আইন টেনে কথা বলছো কেনো? তোমার মনে নেই মেয়েটা আমাদের সবাইকে কত কষ্ট দিয়েছে।
আমি:- মীমকে ডির্ভোস দিয়ে দিবো তার আগে ওকে তার পাওনা গুলি বুঝিয়ে দিবো। মীম যতটা কষ্ট দিয়েছে ঠিক ততটা কষ্ট ওকে দিবো।
ভাইয়া:- ঠিক বলছিস আমাদের সবাইকে অনেক জ্বালাতন করছে এবার নিজে কিছুটা জ্বালা বুক করুক কেমন।
ভাবি:- সৌরভ আমি বলি মীম কি বলতে চাই সেই কথা গুলি আমাদের সবার শুনা দরকার। মীম সব সময় বলে কিছু কথা আছে সেই কথা গুলি বলা হলে চলে যাবে।
আমি:- এত কথা শুনার সময় নেই!
ভাইয়া:- আব্বা আমার একটা কথা বলার ছিলো?
আব্বা:- হ্যা বল।
ভাইয়া:- এখন তো সৌরভ আগের মত সাবাবিক হয়ে গেছে। তসিবা আছে আম্মাকে দেখা শুনা করার জন্য।
আম্মু:- কি বলতে চাস সরাসরি বলে ফেল।
আমি:- ভাইয়া তুই কি বলতে চাচ্ছিস আমি বুঝে গেছি। তাহলে ভাবির প্রমশন হয়ছে আর তুই ভাবির কম্পানিতে চাকরিটা পেয়ে গেয়েছিস। এখন তোরা দুজন আলাদা থাকতে চাস!
ভাবি:- নাহ সৌরভ ঠিক তানা আসলে আম্মু অসুস্থ আর তুমি তো জানো আমি ছাড়া আমার বাবা মায়ের আর কেও নেই। এখন আম্মু বলতেছে আমরা আমাদের বাড়ীতে থাকতাম। অবশ্য যদি আব্বাজান রাজি থাকে।
আব্বা:- এতে আমার পুরা মত আছে তবে তুমি কিন্তু প্রতি সাপ্তাহে একবার আমাদের সাথে দেখা করবে কেমন?
ভাবি:- ঠিক আছে! ভাবি অনেক খুশি হয়ছে।
আমি:- ভাবি সরি আমি বুঝতে পারিনি।
ভাবি:- সৌরভ তুমি তো আমার ছোট ভাই আর ছোট ভাইরা আপুদের সাথে এসব বলতে পারে।
আমি:- ঠিক আছে! আচ্ছা আমার খাবার শেষ আমি উঠি। সবাইকে রেখে আমি উঠে গেলাম। রুমে এসে শুয়ে পড়েছি ক্লান্ত লাগছে কিছুক্ষণ পর তসিবা এসেছে।
তসিবা:- আপনার কি শরীর খারাপ লাগছে?
আমি:- নাহ একটু ক্লান্ত লাগছে! তসিবা আমার পাশে বসে মাথায় হাত ভুলিয়ে দিয়েতে আর আমি তসিবাকে দেখছি। তসিবা আমার পাশে শুয়ে পড়েছে আজ তসিবা একটু বেশি অন্য রকম লাগছে। দুজনে গল্প করতে করতে কখন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি তসিবা রুমে নেই। আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে গেছি দেখি মীম আর তসিবা ঝগড়া করছে।
তসিবা:- আপনাকে না বলছি আমার সংসারের কোনো কিছুতে চোখ বা হাত না দিতে?
মীম:- সংসারটা তোমার একার নয় এইটা আমারো স্বামীর বাড়ী?
তসিবা:- কিসের স্বামীর বাড়ী যেই স্বামীর বাড়ীর সবাইকে অপমান করেছেন। তার আবার স্বামীর বাড়ী লজ্জা করেনা স্বামীর বাড়ী বলতে?
মীম:- তসিবা তোমার দিন দিন সাহোস বেরে যাচ্ছে। তোমার সাহোস দেখে আমি অভাক হয়ে যাচ্ছি।
তসিবা:- সাহোসের কি দেখছেন সবে তো শুরু করেছি। আপনাকে বলি সময় থাকতে আপনি আমার স্বামী আর এই বাড়ী ছেড়ে চলে যান।
মীম:- ছেড়ে যাবো কি যাবোনা সেইটা তোমাকে বলতে যাবো কেনো? আজকের পর আমার কোনো কাজে কথা বললে তোমার খারাপ হবে। তুমি কি ভাবছো আমি কিছুই বুঝিনা আমি সব বুঝি। আমি চাইলে আমার স্বামীর ভাগ আমি নিতে পারি কিন্তু আমি নেয়নি এখন থেকে নিবো।
তসিবা:- জেগে জেগে স্বপ্ন দেখা ভালো তবে বেশি না কম দেখেন। আপনাকে আবারো বলি এই বাড়ীতে মেহমানের মত কিছু দিন বেড়াবেন। বেড়ানো শেষ হলে চলে যাবেন আমার স্বামী বা আমার সংসারের দিকে চোখ তুলে ভুল করেও তাকাবেন না।
মীম:- সংসারটা তোমার একার নাকী এইটা আমারো সংসার। (ওদের ঝগড়া শুনে আব্বা আম্মা দুজনে এসেছে)
আব্বা:- তসিবা কি হয়ছে এত জুড়ে জুড়ে কথা বলছো কেনো?
তসিবা:- আমি নাস্তা বানাতে এসেছি। তার আগেই মীম আপু এসে নাস্তা বানিয়ে নিয়েছে। আমি না করেছি আমার সংসারের দিকে নজর না দিতে কিন্তু ওনি নজর দিয়েছে।
মীম:- সংসার তো ওর একার নয় এইটা আমারো সংসার। সুতুরাং আমি আমার সংসারের কাজ করবোই। এখন যদিও আমাকে সৌরভ আগের মত ভালোবাসেনা তাতে কি আমি তো সৌরভকে আগের মতই ভালোবাসি।
আম্মু:- দেখো মীম এখন পরিস্থিতি আগের যায়গা নেই। সৌরভ তসিবাকে অনেক ভালোবাসে আর তা তুমি দেখছো। আমি বলি তুমি চলে যাও অন্য একটা ছেলেকে বিয়ে করে সূখের সংসার করো কেমন?
তসিবা:- হ্যা আম্মাজান ঠিক বলছে দরকার হলে আপনার বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজে দিবো আমি।
মীম:- কি বলছো তুমি?
তসিবা:- হ্যা ঠিকই বলছি! পাত্রের দুইটা ছেলে আছে আর আপনি তো কোনো দিন মা হতে পারবেন না তাই ফ্রিতে দুই বাচ্চা পাবেন।
আমি:- তোমার কাছে আছে নাকী এমন পাত্র?
তসিবা:- সত্যি আছে বয়স একটু বেশি এই ৪০+ হবে ওনার বউ মারা গেছে এখন বিয়ে করতে চাই। ওনি বন্ধা মেয়ে খুঁজতেছে আর মীম আপু তো এখন বন্ধার মত। কারন অপেরেশন করে তো মা হওয়ার ইচ্ছা শেষ করে দিয়েছে।
আম্মু:- কি মীম তুমি বিয়ে করতে রাজি আছো তসিবা যার কথা বলছে তাকে?
মীম:- আমার স্বামী আছে আর আমার একবার বিয়ে হয়ছে তাই আর বিয়ে করতে চাইনা। তসিবার তো মা হওয়ার অনেক ইচ্ছে ওকে বলেন বিয়ে করে নিতে।
তসিবা:- আমি তো মা হবই আজ বাদে কাল কিন্তু আপনি তো কোনো দিন হতে পারবেন না। তাই বিয়েটা আপনার করা উচিত।
আব্বা:- তোমাদের ঝগড়া শেষ হবে নাকী?
মীম:- আপনি বসেন আমি খাবার দিতেছি।
তসিবা:- কেনো আপনি দিবেন আমি দিবো আব্বাজান আপনি বসেন আমি বেড়ে দিতেছি।
আব্বা:- কাওকে দিতে হবেনা। সাহেদের মা তুমি আমার খাবার বেড়ে দাও।( তসিবা মীম দুজনে দাঁড়িয়ে আছে আম্মা খাবার দিয়েছে। আমিও বসেছি নাস্তা করেছি আম্মা রুমে গেছে।) সৌরভ তাড়াতাড়ি অফিসে আয় কাজ আছে।
আমি:- হ্যা আসতেছি। আব্বা চলে গেছে মীম আর তসিবা দুজনে দাঁড়িয়ে আছে আমি তসাবাকে কপালে চুমু দিয়েছি। মীম এগিয়ে এসেছে কিন্তু ওর দিকে তাকায়নি। সেজা বেরিয়ে এসেছি গাড়ী নিয়ে। এভাবে চলছে আমার সংসার রোজ রোজ মীমের সামনে তসিবার সাথে দুষ্টমি করি তসিবাকে বেশি বেশি কেয়ার করি। আজ দুই মাস হয়ে গেছে আমার আর তসিবার সংসার জীবন মীম এখন আগের মত তসিবার সাথে ঝগড়া করেনা তবে বাড়ীতে কম থাকে। রাতে রুমে বসে আছি এমন সময় তসিবা পেছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরেছে। কি ব্যপার আজকে বেশি খুশি খুশি লাগছে?
তসিবা:- আমি যে মা হতে চলছি আর আপনি বাবা হবেন।
আমি:- কি সত্যি বলে তসিবাকে কুলে তুলে নিয়েছি। তসিবা তুমি আমাকে কি শুনালে আমি তো পাগল হয়ে যাবো। তসিবা কুলে নিয়ে ঘুরাচ্ছি তসিবা আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে।
তসিবা:- আমি অনেক খুশি।
আমি:- চলো আব্বা আম্মাকে বলি।
তসিবা:- ওরা সবাই যানে শুধু আপনি বাকি ছিলেন।
আমি:- আমাকে এই খুশির খবরটা এত দেরিতে দিলে কেনো?
তসিবা:- আমি দেখতে চাইছে আপনি কতটা খুশি হন। সকালে আমার সাথে একটু ডক্টরের কাছে যেতে হবে।
আমি:- ঠিক আছে! তোমাকে এখন থেকে একটু বেশি খেয়াল রাখতে হবে। আজ অনেক খুশি হয়েছি তসিবাকে একটু বেশি যত্ন নিতে আরম্ভ করেছি। রাতটা দুজনে গল্প করে কাটিয়ে দিয়েছি! সকালে ঘুম থেকে উঠে দুজনে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামছি।
আম্মু:- সৌরভ শুন তসিবাকে সাথে নিয়ে যাবি আবার সাথে নিয়ে আসবি কেমন?
আমি:- ঠিক আছে! নাস্তা করে দুজনে বেরুলাম তসিবা বক বক করতে আছে। ৪০ মিনিট পর হাসপাতালে এসেছি তসিবাকে নিয়ে ডাক্তার চ্যাম্বারে ঢুকেছি। ওনি তসিবাকে চ্যাকাপ করে বলছে।
ডাক্তার:- সব কিছু এখন ভালো আছে তবে বিশেষ করে ৫–৬ মাস একটু ঝুকি থাকবে সব সময় নিজের যত্ন নিবেন কেমন?
আমি:- হ্যা! আমি ওর যত্ন নিবো। ডাক্তারের সাথে কিছু কথা শেষ করে বেরিয়েছি তখনি দেখি মীম এবং মীমের মায়ের পার্সলান সেক্রেটারি রাজু। এখানে মীম কেনো এসেছে তখন একটা ডাক্তার মীমকে কিছু কথা বলছে আর রাজু মুখে হাত দিয়ে কিছু কান্নার মত করে ভেঙ্গে পড়ছে।
তসিবা:- এখানে মীম আপু এসেছে কেনো?
আমি:- জানি না চলো তো দেখি কেনো এসেছে?
তসিবা:- দেখা লাগবে না সাথে তো নাগর নিয়ে এসেছে। তখনি মীম চলে যাচ্ছে আর ডাক্তারটা এদিকে আসছে আমি ডাক্তারকে দাড় করিয়েছি।
আমি:- আচ্ছা ডাক্তার ঐ মেয়েটা এখানে এসেছে কেনো?
ডাক্তার:- আপনি মীমের কথা বলছেন?
আমি:- হ্যা!
ডাক্তার:- আরে মীম তো! তখনি পেছন থেকে ওনার নাম ধরে ডাক দিয়েছে ওনি পেছনের দিকে তাকিয়ে সোজা হেটে চলে গেছে আমি তাকিয়ে অভাক হয়ে গেছি আপনি এখানে? To be continue,,,