গল্প:- দুই_বধূ_এক_স্বামী পর্ব:-(০২)

0
2888

গল্প:- দুই_বধূ_এক_স্বামী পর্ব:-(০২)
লেখা:- AL Mohammad sourav

আমি আপনার ২য় স্ত্রী তা জানি কিন্তু আপনার প্রথম স্ত্রী আপনাকে ছেরে গেছে কেনো সেই কারনটা আমাকে জানতে হবে। যদি না বলেন তাহলে আমি আপনাকে ছেরে চলে যাবো। আর এইটা জানা আমার অধিকার কেনো ওনি আপনাকে ভালবেসে বিয়ে করার পরেও আপনাকে ছেরে চলে গেছে। (তসিবা)

আমি:- বাসর ঘরে তোমার সব জানা লাগবে?

তসিবা:- হ্যা লাগবে কারনটা যদি না বলেন তাহলে আমি ও আপনাকে ছেরে চলে যাবো।

সৌরভ:- চলে গেলে যাবে এখন বলতে পারবোনা! আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে সকালে বলবো কেমন! এখন আমাকে একটু শান্তিতে ঘুমাতে দাও প্লিজ।

তসিবা:- না তা হবে না আগে আমি সব শুনবো তারপর আপনাকে শান্তিতে ঘুমাতে দিব। বলেন বলছি তানা হলে আমি কান্না করতে থাকবো কিন্তু! বলে কান্না শুরু করে দিয়েছে।

সৌরভ:- আরে কি হচ্ছে কান্না করছো কেনো? থামো বলতেছি শুনো।

তসিবা:- হ্যা বলেন? (চোখের পানি মুছে অনেক আগ্রহো নিয়ে আমার পাশে এসে বসেছে)

সৌরভ:- মীমকে আমি ভালবেসে বিয়ে করেছি কিন্তু বিয়েটা হয়ছে আমাদের দুই পরিবারের সহ মতে। আম্মু অনেক আগ্রোহ নিয়ে মীমকে বউ করে আনছিলো! মীম আর আমার সংসার ভালোই কাটছিলো।

আমাদের বিয়ের ছয়মাস সময় তখন মীমের প্রেগমেন্ট হয়। মীম চাইনি এত তারা তারি বাচ্ছা নিতে আর আমি বলেছি যেহেতু তুমি প্রেগমেন্ট হয়ে গেছো সেহেতু বাচ্ছাটা নষ্ট করার দরকার নেয়।

কিন্তু মীম রাজি নয় সে বাচ্ছা নষ্ট করে দিবে আমাকে না জানিয়ে সে বাচ্ছাটা তার মায়ের সাথে গিয়ে এভশন করে নেয়। তুমি জানো তসিবা তখন আমার অনেক কষ্ট হয়ছিলো আমি সারা রাত কান্না করেছি।

বাচ্ছা এভশন করার পর থেকে মীমের মাঝে একটা পরিবর্তন চলে আসে। আগের মত আমার সাথে তেমন একটা ভালো করে ব্যাবহার করে না। আমার অফিসে গিয়ে রোজ রোজ ঝগড়া করে কিন্তু কেনো এমনটা করে আমি নিজেই বুঝতে পারছিনা।

মীমের ব্যাবহার দিন দিন আমাকে কষ্ট দিতে থাকে তাই আমিও অফিসে ঠিক মত যাওয়া আশা করিনা। সব সময় মীমের পাশে পাশে থেকে সময় কাটানোর চেষ্ট করতে থাকি। মীম আমার সাথে কেনো এমনটা করে তা বুঝতে চেষ্ট করতে চাইলাম।

বিয়ের পর মীম একদম ওর বাপের বাড়ীতে কম যেতো। তবে বিয়েটা কিন্তু ওর মা রাজি ছিলোনা কারন মীমের মা চাইছে মীমের বিয়ে ওনার পছন্দের ছেলের সাথে দিবে। কিন্তু মীম আর ওর বাবা জন্য বিয়েটা আমার সাথে হয়ছে।

হঠাত একদিন মীমের মা এসে মীমকে বাড়ীতে নিয়ে যায় আর তখন থেকে মীম আমার সাথে মিথ্যা কথা বলতে থাকে। আমি একদন অফিসের একটা কাজে ক্লাইন্টের সাথে মিটিং করতে কফি হাউসে গেছি তখনি দেখি মীম একটা ছেলের সাথে ঐ কফি হাউসে গেছে। আমি আড়ালে গিয়ে মীমকে কল করেছি মীম আমাকে কি বলছে যানো?

তসিবা:- কি বলছে?

আমি:- বলছে মীম বাসায় বসে আছে আর টিভিতে নাটক দেখছে। আমি মোবাইলে মীমের আর ঐ ছেলেটা কিছু ছবি তুলে পেছনের দরজা দিয়ে বেড়িয়ে এসেছি।

বাড়ীতে এসে মীমকে কিছু বলিনি কারন সংসারে অশান্তি তৈরি করতে চাইনি। বিয়ের এক বছর পার হয়ে গেছে আমি মীমকে বলি এবার তো একটা সন্তান নেওয়া দরকার আমাদের।

মীম বলে এত তারা কিসের আরো কিছু দিন যাক আর এত সন্তান সন্তান করো কেনো? বেশি প্রয়োজন পরলে একটা সন্তান পালক নিয়ে এসো। আর শুনো আমি বাড়ীতে থেকে বরিং ফিল করি তাই আমি একটা জব করবো।

আমি:- কেনো আমাদের নিজের এত কিছু থাকতে তুমি জব করবে কেনো? যদি এতটা খারাপ লাগে তাহলে তুমি আমার সাথে আমাদের অফিসে জয়েন করো।

মীম:- আমি তো তোমার মত ফালতু অফিসে কাজ করবো না আমি ফেমাস হতে চাই যারা আমাকে এক নামে চিনবে।

আমি:- মানে তাহলে তুমি কি করতে চাও?

মীম:- তুমি নিজেই একটু চিন্তা করোনা আমি কি হতে চাই।

আমি:- প্লিজ মীম এমন কিছুই করোনা কি দরকার এসব করার।

মীম:- দরকার আছে আর আমার নিজের পার্সনাল বলতে তো কিছু আছে নাকী?

আমি:- কি দরকার এত কিছু করে দেখো আমাদের দুইটা সন্তান হবে। তুমি ওদের নিয়ে সংসার সামলাবে ওদের বড় করবে আর আমি তোমাকে অনেক ভালবাসো দুজনে অনেক সূখে থাকবো।

মীম:- আমি তো কোন দিন মা হবো না।

আমি:- মানে কি বলতে চাচ্ছো তুমি?

মীম:- বুঝতে পারোনি আমি অপরেশন করে নিয়েছি কোন দিন মা হবার ইচ্ছা আমার নেয়। তখনি আমি মীমকে থাপ্পড় দেয় মীম মাঠিতে পড়ে যায়। আমার সেদিন অনেক রাগ ওঠে মীমের উপর রুম থেকে বেরিয়ে গিয়ে রাস্থায় বসে জীবনের প্রথম ড্রিংক্স করে বসি। রাস্থায় খারাপ ব্যাবহার করার কারনে পুলিশ আমাকে থানায় নিয়ে নেয়।

সকালে আব্বু গিয়ে আমাকে থানা থেকে আনে আর মীম তার বাপের বাড়ী চলে যায়। বিকালে আমাদের বাড়ীতে মীম পুলিশ পাঠায় আমরা নাকী মীমকে মেরে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এলাকায় আমাদের নামে নানা কথা রটে দেয় মীমের মা।

পুলিশকে আব্বু বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিয়ে আদালত থেকে আগাম জাবিন নিয়ে নেয়। আমি রাতে মীমের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাই। আমি এমন কথা বলেছি যা হবার হয়ে গেছে যাদের সন্তান হয়না তারা কি সংসার করেনা। তখন মীম বলে

মীম:- আমি তোর সাথে কোন কথা বলতে চাইনা আমি তোকে জেলের ঘানি টানাবো। আমার গায়ে হাত তোলার সাহোস হয় কি করে তোর?

আমি:- মীম সরি রাতে কথাটা শুনার পর মাথাটা খারাপ হয়ে গেছিলো। প্লিজ যা হবার হয়ে গেছে আমাকে ক্ষমা করে দাও।

মীম:- যা বলার আদালতে গিয়ে বলিস। আগামী কিছু দিনের মধ্যে তোর পরিবারের সবাইকে জেলে ঢুকাবো আর তোকে ডির্ভোস দিব।

আমি:- না মীম প্লিজ এমনটা করোনা, তখনি মীমের মা দারোয়ান এনে আমাকে গার ধাক্কা দিয়ে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। আমি গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি বৃষ্টিতে বিজেছি তাও মীম আমার জন্য একটু দয়া হয়নি। আমার সামনে মীম ঐ ছেলেটার হাত ধরে গাড়ীতে করে ওঠে আবার আয়। তাই আমি ঐ ছেলেটাকে মীমের সামনে অনেক মেরেছি তা দেখে মীম আমার ক্লার ধরে এরপর মীম আমাকে সবার সামনে এসে থাপ্পড় দেয়। আমিও মীমকে সবার সামনে থাপ্পড় দিয়ে চলে এসেছি।

আমার অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে লাগলো আমি একদম বাজে দিকে চলে যেতেছি মীম আমাকে আদালতে দ্বাড় করিয়েছে। আদালত থেকে আমাকে জিগেস করেছে মীমকে নিয়ে খাবো কিনা আমি বলেছি খাবো। কিন্তু মীম রাজি হয়নি তাই আমাদের ডির্ভোসের জন্য নুটিস পাঠায় আমি ফিরিয়ে দেয়। তারপর আব্বু আমাকে এখানে আজ ছয় মাস হলো নিয়ে এসেছে আর তোমার সাথে আজকে বিয়ে দিয়েছে।

তসিবা:- আপনি মীমকে অনেক ভালবাসেন তাইনা?

আমি:- হ্যা অনেক তবে এখন অনেক রাত হয়ছে এবার একটু ঘুমাতে দাও প্লিজ।

তসিবা:- ঐ আপনি তো ডির্ভোসের কাগজে সাইন করেননি যদি মীম আবার আপনার জীবনে ফিরে আসতে চাই তাহলে কি মীমকে বউ হিসাবে মেনে নিবেন?

আমি:- সেইটা সময় বলে দিবে আর মীম কোনদিন আসবেনা আমার জীবনে প্লিজ তুমি নিশ্চন্তে এখন ঘুমাও।

তসিবা:- সাইনটা করলে কি হত?

আমি:- যদিও মীম আমার জীবনে ফিরে আসে তাহলে আমি মীমকে মেনে নিব না এবার তো খুশি হয়ছো? এখন আমাকে ঘুমাতে দাও প্লিজ।

তসিবা:- আচ্ছা বাসর ঘরে তো অনেক কিছু হয় তাহলে আমরা কি কিছুই করবোনা?

আমি:- দেখো তসিবা এখন একটু আমাকে ঘুমাতে দাও আর তুমি তো আমাকে যাচায় করবে তাহলে কিছু করা যাবেনা এখন তুমি ঘুমাও।

তসিবা:- ঠিক আছে বলে আমার বুকের উপর মাথা রেখে শুয়ে পড়েছে।

আমি:- তসিবা আমার বুকের উপর শুয়েছো কেনো? আমার তো ঘুম আসবেনা? কে শুনে কার কথা। তসিবা জোর করে আমার বুকের উপর শুয়ে থাকলো। আমি আর বাধা দেয়নি আমিও ওর কপালে ছোট করে কিস করে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি তসিবা রুমে নেয়। আমি ফ্রেশ হয়ে নিছে গিয়ে নাস্তা করতে বসেছি এমনি কলিং বেল বেজে উঠেছে। ভাবি গিয়ে দরজাটা খুলেছে,,,

ভাবি:- তুমি এখানে আর তোমাকে এই বাড়ীর ঠিকানা কে দিয়েছে?

আমি:- ভাবি কে এসেছে তখনি চেয়ে তো আমি পুরায় অবাক হয়েছি খাবার টেবিল ছেড়ে দিয়ে সবাই দাঁড়িয়ে গেছি। আর তসিবাকে দেখি ব্যাগ হাতে নিয়ে সিড়ি দিয়ে নিছে নামতেছে,,,
!!
To bee continue,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে