গল্প: ছোঁয়ার শিহরণ পর্ব-২৭ ও প্রথম খন্ডের অন্তিম পর্ব

9
3569

গল্প: ছোঁয়ার শিহরণ পর্ব-২৭ ও প্রথম খন্ডের অন্তিম পর্ব
লেখনীতে: ফাতিমা আক্তার অদ্রি

অতল যখন ছোঁয়ার বাসা থেকে বের হচ্ছিল তখন সন্ধ্যা হয়ে এসেছিল। তবে আলো তখনো নিঃশেষ হয়নি। গোধূলির আলো যাকে বলে সেই আলোতে সমস্ত স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।

অতল ছোঁয়াদের বাসার প্রাঙ্গনে এসেই প্রাঙ্গনের মাঝ বরাবর দেখতে পেল একটা গোলাপ ফুলের টব ভেঙ্গে পড়ে আছে। গেইটের কাছাকাছি দুমড়ে মুচড়ে পড়ে আছে একটা গোলাপ। ফুলটা থেকে কিছু দূরে মাটির উপর বেশ কয়েক ফোঁটা তাজা রক্ত পড়ে আছে। অতলের মনের অবস্থা ভালো না থাকায় সে আর এদিক সেদিক না তাকিয়ে দ্রুত বেগে চলে গেল। এই সমস্ত ঘটনার পেছনের হেতু তাকে আর বিচলিত করতে পারল না। এমনিতেই তার জীবনে কি কম হেতু আছে!

অতল চলে যাবার পর ছোঁয়া তাদের বাসার মেইন গেইট বন্ধ করার জন্য বের হলো। প্রথমেই চোখে পড়ল তার প্রিয় গোলাপ গাছের টবটা। ভেঙ্গে গেছে। খুব ভয়ংকরভাবে ভেঙ্গে গেছে। ছোঁয়ার হৃদয়ে মোচড় দিয়ে উঠল। ছোঁয়া ভেবে পেল না কে করল এই কাজ! এখানে কে এমন আছে যে এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে! গাছটা কার এমন কীই বা ক্ষতি করেছিল!
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


এই তো কিছুক্ষণ আগেই সে গাছটাতে পানি দিয়েছিল। কী সুন্দর একটা রক্তলাল গোলাপ ফুটেছিল। সেই ফুলটাও নেই! সে হন্যে হয়ে ফুলটা খুঁজতে শুরু করলো। খুঁজতে খুঁজতে গেইটের কাছাকাছি আসতেই দেখতে পেল দুমড়ে মুচড়ে পড়ে থাকা রক্তবর্ণের গোলাপটা। রক্তিম গোলাপের গায়ে রক্ত বর্ণও দেখা যাচ্ছে। ফুলটা থেকে কিছু দূরে মাটির উপর কয়েক ফোঁটা রক্ত পড়ে আছে। ছোঁয়া গোলাপ ফুলটা দুহাতে তুলে নিল। ফুলটাকে একদম বুকের কাছে জড়িয়ে ধরল। খুব যত্ন করেছিল এই গাছটির। কিন্তু কেউ তার শরীরের সমস্ত রাগ, ক্ষোভ এই অসহায় গাছটির উপর দিয়ে ঝেড়ে দিয়ে গেল। খুব খারাপ করেছে সে। খুব খারাপ। ছোঁয়ার চোখের কোণা বেয়ে ঝরে পড়ল দু ফোঁটা অশ্রু বিন্দু ।

প্রিয় যেকোনো জিনিস যার প্রতি ভালোবাসার সহিত যত্ন নেওয়া হয় তার বিনাশে অশ্রু বিসর্জন আবশ্যক। হয়তো তাই মানুষ মাঝেমধ্যে তুচ্ছ কিছু জিনিসের জন্যেও কেঁদে কেঁদে একাকার হয়ে যায় ! হয়তো হৃদয়ের খুব কাছে বলেই এমন কষ্ট অনুভব করে মানুষ!
________________

শিহরণ ছোঁয়া আর অতলকে একসাথে দেখে প্রচণ্ড পরিমাণে অবাক হয়ে যায় । সাথে কষ্টও পায়। অতলের প্রতি তার রাগ আর ক্রোধ প্রচণ্ড পরিমাণে বেড়ে গেছে। বাসার ছাদে বসে আছে সে। দৃষ্টি অন্তরীক্ষে নিবদ্ধ। মনে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে আছে এই কয়েকদিনে ঘটে যাওয়া নানান চিন্তা চেতনা। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আকাশে কয়েকটা তারার উদয় হয়েছে। চারদিকে আবছা অন্ধকার প্রকৃতিকে আরো বেশি মোহনীয় করে তুলেছে। সেই সবে শিহরণের কোনো মনোযোগ নেই। ছোঁয়ার বাসা থেকে আসার পর কোনোদিকে না তাকিয়ে সোজা ছাদে চলে এসেছিল সে। তার মাম্মি বা ড্যাডি কেউ যদি তার এই অবস্থা দেখত তবে খুব সমস্যায় পড়তে হতো তাকে। বহ্নির সাথেও কথা হচ্ছে না তার। এক কথায় শিহরণ খুব একাকীত্ব অনুভব করছে। তার এই পরিস্থিতিতে একটুও ভালো লাগছে না।

________________

রাদিদ সেদিন অতল আর বহ্নিকে একসাথে দেখে তার প্রচণ্ড খারাপ লেগেছিল। বলা যায় , এমন খারাপ তার আর কখনোই লাগেনি তার। সে ভেবে কূল পাচ্ছে না হঠাৎ এমন মনোভাব চেইঞ্জ হবার কারণটাই বা কী! এই তো সেদিন রিয়ানার সাথে ডেটে গিয়েছিল । কিন্তু সে কোনোভাবেই আগের ফর্মে ফিরে আসতে পারেনি। তার কোনোক্রমেই ভালো লাগছিল না রিয়ানার সাথে থাকতে। শেষমেশ বাধ্য হয়ে চলে এলো। তার উপর বারবার না চাইতেও মনে পড়ছে বহ্নির হাস্যোজ্জ্বল চেহারা। সে বুঝতেই পারছে না মাত্র কয়েকটা মুহূর্তের মধ্যে এমন কী ঘটে গেল যা তার চিন্তা জগতকে পুরোপুরি পরিবর্তন করে দিলো! এত দিন যাবৎ রাদিদ ভেবেছে। ভাবতে ভাবতে শুধু হয়রান হয়েছে। কোনো উত্তর মেলেনি । শুধুই প্রশ্নের পর প্রশ্নের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়েছে সে। এই কয় দিনে কান্তা, ফাবলিহা, রাইমা সহ আরো কয়েকজন তার সাথে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু সে ইচ্ছে করেই সবাইকে এভয়েড করেছে। কারণ তার নিকট অস্পষ্ট!

পৃথিবীর সবচে’ বিচিত্র প্রাণী হলো মানুষ। এই মানুষের মন মুহূর্তের মধ্যেই পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো মানুষ এই সত্যটা জেনেও মাঝেমধ্যে এড়িয়ে চলতে চায়, অথবা একদমই অস্বীকার করে থাকে।

_________

মোহনা খুব আপসেট। সে ডিভানে শুয়ে আছে। হাতের মধ্যে তাদের ছয় বন্ধুর একটা গ্রুপ ছবি। মাঝেমধ্যেই চোখের সামনে ধরে দেখছে আর হারিয়ে যাচ্ছে চিন্তার রাজ্যে।

শেষমেশ এমন এক অনাকাঙিক্ষত ঘটনার কারণে তাদের বন্ধুত্বে ফাটল দেখা দিবে সেটা সে কখনোই ভাবেনি। মোহনা কোনোক্রমেই ভেবে পাচ্ছে না শিহরণকে কে কল করে খবরটা দিলো। কে হতে পারে যে এমন হীন কাজ করতে পারে? মোহনা তা ভেবে পায় না। সেদিন তো শুধু তাদের ফ্রেন্ড সার্কেলই ছিল। বাইরের কেউ তো ছিল না। বাইরের বলতে ছিল সাইমা আর রিয়া। তাদের পক্ষে এই কাজ করা অসম্ভব । কারণ তারা দুজনেই বহ্নির শুভাকাঙ্ক্ষী। আর এই দুজনের কাছে মোবাইল থাকা অসম্ভব। বাকি থাকল তার বন্ধুরা। বন্ধুদের মধ্যে অতল তো নিজেই শিকার । সে নিজে তো জানাইনি।

হঠাৎ মোহনার মনে পড়ল ঠিক ওই সময়টার কিছুক্ষণ আগেই রাদিদ উঠে গিয়েছিল বহ্নির পিছু পিছু । অতল তো আরো অনেক আগেই গিয়েছিল । রাদিদের যাবার কিছুক্ষণ পর প্রিয় গিয়েছিল ওয়াশরুমে যাবার নাম করে।

তার মানে বিষয়টা অনেকটা স্বচ্ছ জলের মতন যে হয় রাদিদ নয়তো প্রিয়–এই দুজনের কেউ একজন শিহরণকে কলটা করেছিল। মোহনা খুব মর্মাহত হলো এই ভেবে যে তাদের বন্ধুরাই বন্ধুত্ব নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
_____________________

এর বেশ কিছুদিন পরে শিহরণ আবার আসে ছোঁয়ার বাসায়। দরজা ভেজানো ছিল। শিহরণ বেল বাজিয়ে অনেক্ষণ যাবত অপেক্ষা করেছে। কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে কিছুক্ষণ ইতস্তত করতে করতে প্রবেশ করলো ঘরের ভেতর। প্রথমেই চোখ বুলাল ড্রয়িং রুমে। কেউ নেই। শিহরণ জানেই না যে, এই মুহূর্তে পুরো বাসায় ছোঁয়া একা। এর আগের বার যখন এসেছিল তখন কিচেনটা দেখে নিয়েছিল সে। তাই প্রথমেই কিচেনে চলে গেলো। কিচেনের দরজার কাছে গিয়েই দেগতে পেল ছোঁয়াকে। সে ডো তৈরী করছে। কপালের কয়েক জায়গায় লেগে গিয়েছে ডো। শিহরণ কোনো শব্দ করল না। সে দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকল ছোঁয়াকে। কী অদ্ভুত মায়াবী লাগছে তাকে! কপালের সামনের অবাধ্য চুলগুলোর ব্যবস্থা করতে গিয়েই তার গাল আর কপালে ডো লেগে গিয়েছে । কিন্তু তবুও অদ্ভুত সুন্দর লাগছে মেয়েটাকে।

ছোঁয়া কুকিজ বানানোর জন্য ডো তৈরী করছিল। এই ভ্যাকেশনে সে অনেকগুলো অর্ডার পেয়েছে। তাই বসে না থেকে অবসর সময়ে কাজ করছে। এতে তারই লাভ হবে। আর্থিক সংকট কমবে।

হঠাৎ তার চোখ পড়ল দরজার দিকে। সে নিচ থেকে দেখতে দেখতে উপরেই তাকাতেই তার চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল। শিহরণ তার বাসায়! কী করছে সে এখানে! সে মুহূর্তেই চোখ বন্ধ করে আবার খুলল। নাহ্! তার চোখের ভুল নয়। শিহরণ তার চোখের সামনে তার বাসায় দাঁড়িয়ে আছে। সে অস্ফুটে বলল,’শিহরণ।’

শিহরণ তখন তার কাছে গিয়ে দাঁড়াল । মনে মনে অন্যকিছু বলার প্রস্তুতি নিলেও মুখে বলল,’হুম। আমি দেখতে এলাম তোমার অতলের সাথে প্রেম কেমন চলছে!’

শিহরণের কথা শুনে ছোঁয়া হতভম্ব হয়ে গেলো। মুহূর্তেই তার মেজাজ চটে গেল। সে তিরিক্ষি মেজাজে বলল,’কী বলছ তুমি?’

‘ভেরি সিম্পল! খুব ভালোই তো চলছে প্রেম। তাই না?’ শিহরণ তাচ্ছিল্য ভরা কণ্ঠে দু হাত প্রসারিত করে বলল।

ছোঁয়া খুব অবাক হলো শিহরণের এই ধরনের কথাবার্তা শুনে। সে চকিতে বুঝে গেল তার গোলাপ ফুলের টবের এমন দুর্দশা কে করেছে। সে ম্লান কণ্ঠে নরম সুরে বলল,’কেন করেছিলে এমন?”

শিহরণ ছোঁয়ার দিকে কয়েক কদম এগিয়ে এসে তার পকেট থেকে রুমাল বের করে ছোঁয়ার গাল আর কপালের ডো মুছতে মুছতে বলল,’খুব ভালো করেছি। এমনটাই তো করা উচিত ছিল। তাই না?’

ছোঁয়া শিহরণের কাছ থেকে দু কদম পিছিয়ে গেলো । শিহলণ সেটা দেখে হাসল। অবজ্ঞার সুরে বলল,’অতলের গায়ের সাথে তো একদম সেঁটে ছিলে পোস্টারের মতন!’

ছোঁয়া চোখ বড় বড় করে তাকাল তার দিকে। শিহরণের চোখে তার জন্য স্পষ্ট ঘৃণা দেখতে পাচ্ছে সে। শিহরণ এমন কথা বলছে তাকে! তার বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সে শুধু বলল,’সেঁটে থাকলে তোমার কী? তোমার কী কোনো সমস্যা হচ্ছে?’

‘সমস্যা? আমার কোনো সমস্যা নেই। থাকতেই পারে না। তবে এই সেঁটে থাকার কারণে তোমাদের দুজনকে চিনতে পারলাম। তাই বরঞ্চ লাভই হয়েছে। তাই ধন্যবাদ দিতে এলাম।’ অবলীলায় বেশ কিছু মিথ্যা বলল শিহরণ।

‘বাহ্! বেশ তো। এবার ধন্যবাদ দিয়ে বিদেয় হও। তোমার কথা আমার আর শুনতে ভালো লাগছে না।’ ছোঁয়া করুণ সুরে বলল।

শিহরণ হাসল। প্রাণখোলা হাসি। তার দুহাত প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে মুচকি হেসে বলল,’বিদেয় তো হবই। তবে একটা কথা না বলে পারছি না, মেহমানদের সাথেও এমন মিসবিহেভ করতে পারো তুমি! সেটা জানা ছিল না।’

মেহমান নিজেই যখন তার মেজবানের সাথে মিসবিহেভ করে তখন সে কি ভালো ব্যবহার প্রত্যাশা করতে পারে? একটু থেমে আবার বলল,’প্রত্যাশা করাটা কি বোকামি নয়?’

‘এতসব বুঝি না। ভালো থেকো। হয়ত তোমার সাথে এটাই আমার শেষ দেখা।’

ছোঁয়ার বুকটা মোচড় দিয়ে উঠল। শেষ দেখা? কোথায় যাবে শিহরণ? খুব জানতে ইচ্ছে করছে তার। কিন্তু নিজের ইচ্ছেকে সংবরণ করে সে বলল,’এক কাপ চা খেয়ে যাও।’

‘থ্যাংকস। বাট আই এম নট ইন দ্যাট মুড। ইউ এনজয় ইট।’ শিহরণ শ্লেষের হাসি হেসে গটগট করে হেঁটে বেরিয়ে গেল।

ছোঁয়া তার যাবার পথের পানে তাকিয়ে রইল। কত কিছু বলার ছিল তার। কিচ্ছু বলা হয়নি। হঠাৎ শিহরণের তাকে ভুল বুঝাটা মনে হতেই সে দৌড়ে ছুটে গেল শিহরণের পেছনে। শিহরণ তখনো উঠোন পেরোয়নি। ছোঁয়া মেইন দরজায় দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে বলল,’চোখের দেখা সব সময় সত্য হয় না।’

শিহরণ ফিরে তাকাল ছোঁয়ার দিকে। তার ঠোঁটে এক দুর্বোধ্য হাসি দেখা দিল । তারপর হনহন করে হেঁটে চলে গেল সে। ছোঁয়া শুধু নিষ্পলক তাকিয়ে ছিল।

১ম খন্ড সমাপ্ত

( পরবর্তী খন্ড নতুন করে আবার শুরু হবে)

বি.দ্র. পরবর্তী খন্ড পেতে অপেক্ষা করতে হবে। রমজান মাস শেষ হলে তবেই শুরু করব। লেখা ছিল তাই একসাথে সব পোস্ট করে দিয়েছি । আমি নিজেও অপেক্ষা করতে ভালোবাসি না। কাউকে অপেক্ষাও করাই না। হ্যাপি রিডিং ?

[যাদের গল্পটি ভালো লাগবে তাদের প্রতি অনুরোধ যাতে আপনি আপনার পাঠপ্রতিক্রিয়াসহ রিভিউ দেন। এতে আমার খুব ভালো লাগবে।]

9 মন্তব্য

  1. “Chhoyar Shiharon” golper next season ta kobe asbe? Plzz aktu taratari din na. Jodi already deya hoye giye thake tobe amay aktu golpo tar name ta bole deben plzzzzzzz.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে