গল্প আত্মা_নাকি_সে ?( পর্ব — ০৬)
লেখক– #Riaz_Hossain_imran ( জ্বীনরাজা)
**********
এরপর লাইটের আলোয় ওরা যা দেখলো,তা কখনো মেনে নেওয়া তো দূরের কথা,কখনো ভাবতেও পারেনি। ওরা দেখে প্রিন্সিপাল স্যার হাতে একটা সামান্য ছোট ছুরি নিয়ে দাড়িয়ে আছে।মায়া ভয় পেয়ে বটি টা শক্ত করে ধরে প্রিন্সিপাল এর গলায়.. সজোরে কোপ মারলো।
কিন্তু গলা কাটা যাওয়ার আগেই মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট অফ হয়ে যায়।মায়ার দেওয়া কোপ যেনো বাতাসের মধ্যেই উড়ে যায়। আবার হয়ে যায় চারদিক নিরব।ধুপ ধুপ শব্দ ভেসে চলছে রুমের ভিতর। এইটা অন্য কোনো আওয়াজ না,তাদেরই বুকের ধুকপুকানির আওয়াজ। মায়া রাগম্বিত কন্ঠে রিয়াকে যা তা বলে গালি দিচ্ছে অন্ধকারে।এরপর ফ্ল্যাশ লাইট অন করার জন্য আবার বলে। কিন্তু রিয়ার ফোন যেনো একেবারের জন্যেই অফ হয়ে গেছে।কিছুতেই চালু হচ্ছিলোনা।সামিয়া নিজের ফোন বের দেখে, তার ফোনও অফ হয়ে গেছে। বরাবরের মতো প্রিয়ার ফোনেরো একই অবস্তা। কি থেকে কি হচ্ছে কারোরই মাথায় ঢুকছেনা। তবে এই রহস্য বেশিক্ষন ভিতরে না থেকে বাহির হয়ে আসে।
হুট করেই কেও একজন হাসতে লাগলো।অন্ধকার রুমের কালো ছায়াটাও যেনো তাদের ঘিরে ফেলেছে।শনশান নিস্তব্ধ শব্দের মধ্যে হাসির শব্দটা দেওয়ালের এদিক থেকে সেদিক ধাক্কা খেয়ে যাচ্ছে।যেনো একজন নয়,রুমের ভিতর হাজার হাজার মানুষ প্রান খুলে হাসছে।এই হাসিও তাদের কিছু কথা বুঝাতে চাচ্ছে।সেই হাসির অর্থ যেনো তাদের এমন বলতে চাচ্ছে যে,ওদের সাথে এদেরকেও নিয়ে যেতে চায়। প্রিয়া,রিয়া,সামিয়া আর মায়া। ৪ জনই এবার সেই হাসির শব্দে ভয় পেয়ে চিৎকার করতে থাকে।দরজার উপাশে মনে হচ্ছে তাদের চিৎকার শুনা যাচ্ছেনা।অথচ রুমের মধ্যে আগুন লাগলে বাচার জন্য মানুষ যেমন চিৎকার করে,তেমন ভাবেই তারা প্রানের ভয়ে চিৎকার করা শুরু করে। এদিকে ভয়ংকর হাসির শব্দ,অন্যদিকে তাদের ভয় কন্ঠের স্বর।মোট কথা পুরো রুমটাই শব্দে এলোফাতাড়ি হয়ে আছে।
এরমধ্যে হুট করাই একটা ছেলে কন্ঠ ভেসে আসে।সেই শব্দের সাথে সাথে সবাই চুপ হয়ে যায়। কারো কোনো আওয়াজ নেই।শুধু রুমের ভিতর তাদের বুকের ধুকপুকানির শব্দ ভেসে যাচ্ছে। সেই অন্ধকারে এক অদ্রশ্য শব্দে নিস্তব্ধ হয়ে যায় রিয়া,সামিয়া, প্রিয়া আর মায়া। কন্ঠটা কেমন যেনো চেনা চেনা লাগছিলো সবার। তবুও সবাই মন দিয়ে সেই আওয়াজ শুনছে।)
— কেমন অনুভব হচ্ছে তোমাদের? মনে পড়ে? সেই দিনটির কথা? যেদিন একজন সাধারণ ছেলেকে, তোমরা ৮ জন মেয়ে মিলে হামলা করেছো।তাকে জিন্দাও ছাড়োনি তোমারা। হত্যাও করেছো।হত্যা করার পর তার জানাযাটাও করতে দিলেনা।ময়ালার মধ্যে, দূর গন্ধে আমাকে ফেলে দিয়ে এসেছো।আমার লাশ পশুরা ছিড়ে ছিড়ে খেয়েছে।কালো কালো ভয়ংকর চোখে তাকানো কিছু কাক আমাকে খুটে খুটে খেয়েছে।আমার শরীর ধীরে ধীরে পচতে থাকে।কুকুর গুলো দল বেধে এসে আমার পচা মাংস গিলে খেয়েছে। আমি পাশে দাঁড়িয়ে আমার দেহটাকে দেখছি,যে জানোয়ার গুলো কি করছে আমার দেহকে। ইচ্ছে হলেও কিছু করার ছিলোনা আমার।চোখ বন্ধ করে কান্না করেছি শুধু।আমার কান্নার শব্দটা শুধু আমিই শুনতে পাচ্ছিলাম।কারো কান অব্দি যায়নি আমার অর্থনাধ।একসময় আমার দেহটা মাটির সাথে মিশে যায়। এই মায়ার ভুবনে আমার কোনো অস্তিত্ব রইলোনা। অনেকে আমার নাম বেচে বেচে নিজেকে অনেক বড় কিছু ভেবেছে, বিচারক হয়ে উঠেছে হাজারো বালক/বালিকা, ভাইরাল করে তুলেছিলো আমাকে।কিন্তু কেও একটিবারের মতো আমাকে ময়লার ড্রেন থেকে তুলে নিয়ে আসেনি।কেও দেখতেও যায়নি।আমার লাশ পচা গন্ধ অনেকের নাকে গিয়েছিলো।কিন্তু ময়লার সাথে, আমাকেও ময়লা ভেবে কেও দেখতে আসেনি।সেদিনের পর থেকে আমার মা একটি রাত ঠিক করে ঘুমায়নি।প্রতিরাতে আমাকে নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছে।যে বাবা আমাকে কোনোদিন রিয়াজ নামটি বলে ডাকেনি।আমাকে সবসময়ই ভয়ের চোখে রাখতো,সেই বাবার ভালোবাসা আমি দেখেছি।প্রতি নামাজে আমাকে নিয়ে কান্না করে।অনেক স্বপ্ন ছিলো,একদিন বাবার মতো আমিও হবো একটি পরিবারের বাবা।আমিও একটি পরিবার সামলাবো।আমিও বাকি ১০ জন বাবার মতো হবো।কিন্তু সব স্বপ্ন তোমরা এক নিমেষেই শেষ করে দিয়েছো। তলিয়ে দিয়েছো আমাকে অজানা কোনো শহরে।ভেসে চলছি আমি কস্টের জলে।চাইলেও হতে পারছিনা আগের মতো।
( কথা গুলো বলেই রিয়াজ কান্না করতে থাকে।রিয়াজের কথা গুলো রিয়া,মায়া, প্রিয়া আর সামিয়ার চোখে পানি নামিয়ে দেয়। ওরা ফিল করতে পারছে রিয়াজের কস্ট।বুঝতে পেরেছে তাদের ভূল।রিয়াজ কান্না থামিয়ে হুট করেই আবার ভয়ংকর কঠিন গলায় বলতে শুরু করে)
— এখন আমার শরীরে প্রতিশোধ এর আগুন জ্বলে।আমি আর সে তোমাদের সবাইকে সেইভাবে মারবো।যেভাবে আমাদের তোমরা মেরেছো।
( মায়া বলল)
— আমি সরি রিয়াজ, তোমার বাচ্চাটাকে বাচাতে পারিনি।সমাজের চোখে আমি খারাপ হয়ে যেতাম।সেই ভয়ে আমি তাকে মেরে ফেলেছি।প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও।
আবার অন্ধকারের মধ্যে সেই অদ্রশ্য আওয়াজ
— তোকে ক্ষমা? তাও আমি? সেতো কোনোদিন হবেনা।তবে তোমার পেটে আমার যে বাচ্চা ছিলো,সে পিরে আসেনি,পিরে এসেছে অন্য কেউ। সে আরো বেশি প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে।সে খুব ক্ষুধার্ত, ফাদ পেতে আছে তোমাদের উপর। ওর মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাইকো।
— কিন্তু সে কে? তোমার বাচ্চা ছাড়া তো কোনো বাচ্চার সাথে আমাদের কিছু হয়নি।কে হতে পারে সে।প্লিজ বলো।
— ধীরে ধীরে সবই বুঝতে পারবে।এখন শুধু সময়ের কাছে নিজেকে বিলিয়ে দাও। যা করার সে করবে।
( কথাটা বলার শেষেই হটাৎ রুমের মধ্যে আলো জ্বলে উঠে।রুমের লাইট আপনা-আপনি জ্বলে উঠে।রিয়া,সামিয়া, প্রিয়া,৩ জনেরই ফোন চালু হয়ে যায়। সবাই বেশ আতংক এর মধ্যে আছে। কে হতে পারে সে,যে তাদের মারতে চায়? এদিকে প্রিন্সিপাল স্যারের হুদিশ মিলছেনা রুমে।ওরা অনেক খোজাখুজি করেও,প্রিন্সিপাল এর দেখা পেলোনা রুমে।এবার তাদের ভয়ের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। স্যার বাহিরে চলে যায়নি তো? স্যার ওদের ফাসিয়ে দিবে নাতো?
এই চিন্তাশক্তির মধ্যেই হোস্টেলের নিছ থেকে একটা হা হাকারের শব্দ তাদের কানে আসে।সবাই স্থবিত হয়ে যায়।ভয় এবার তাদের জেনো ঘিরে আছে। স্যার সবাইকে বলে দিয়েছে ভেবে। তড়িঘড়ি করে ৪ জনই নিছে নেমে আসে। এসে দেখতে পায়,প্রিন্সিপাল হোস্টেলের সামনে শুয়ে আছে।চারদিকে হোস্টেলের ছাত্র/ছাত্রীরা ঘিরে আছে। সম্ভবত প্রিন্সিপাল মাঠে জ্ঞ্যান হারিয়ে পড়ে আছে এমন ভাব। হোস্টেলের লাইটের আলো সুবিধার হচ্ছেনা দেখে সবাই নিজের ফ্ল্যাশলাইট অন করে।মাঠের মধ্যে তারার মতো সবার ফোন জ্বলছে।এমন সময় মাঠের অপর প্রান্তের গেইট দিয়ে পুলিশ প্রবেশ করে মাঠে। রিয়া মায়া সামিয়া প্রিয়ার গলা দিয়ে যেনো দম বাহির হতে যাচ্ছে।স্যারের এমন অবস্তা দেখে সবাই পুলিশ ফোন করেছে।ওদের ভয় হচ্ছে স্যার পুলিশকে সব বলে দিবে নাতো?
ওরাও ধীরে ধীরে মাঠের মধ্যে সবার ভিড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। পুলিশ এসে স্যারের চোখে পানি মেরে স্যারের হুস পিরিয়ে আনে।এরপর স্যারের কথা শুনে সবাই নিস্তব্ধ হয়ে যায়।পুরো হোস্টেল কেপে উঠে চিৎকার চেচামেছিতে।রিয়া,মায়া,প্রিয়া আর সামিয়া খুশিই হয়েছে বেশ। এর পিছনের কারণ হচ্ছে, স্যার কিছুই মনে করতে পারছেনা।গত ১ মাস আগের দিনে পড়ে আছে তিনি।কিন্তু এই ১ মাসে কি হয়েছে না হয়েছে,সেটা উনার মনে পড়ছেনা।যেই কিছু বলুক,তিনি এই ১ মাস আগের কথা গুলোই বলছে।মায়া ধমক দেওয়ার সাথে সাথে ছেলে/মেয়েরা পথ ছেড়ে দেয়।অবশ্য এখনো ওরা লিডার হিসেবে পরিচিত। পুলিশের সাথে মায়া গিয়ে কথা বলা শুরু করে।)
— দেখুন স্যার, আমার প্রিন্সিপাল কিছুদিন যাবত খুব চিন্তায় আছে।আমাদের কাছে শেয়ার করেছে যে,উনার যদি কিছু হয়ে যায়,তাহলে উনাকে ভালো করে যেনো কলেজের সবাই দেখে।আমরা উনার যত্ন যেনো নি।আমরা বিশ্বাস করিনি,ভাবছি উনি রসিকতা করেছিলো।কিন্তু এ কি হয়ে গেলো ( বলেই কান্না করতে থাকে মায়া।খুব সুন্দর অভিনয় করে)
পুলিশ
—- ঠিক আছে।ব্যাপরটা আপনারা সামলান।হয়তো উনি চিন্তা করতে করতে অজ্ঞান হয়ে গেছে। আপনারা উনাকে দেখেশুনে রাখবেন।
— জ্বী স্যার।আসতে পারেন।
— হুম।
( পুলিশ যাওয়ার পিছনেই সবাই দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। মাঝখানে শুধু মায়া, রিয়া,প্রিয়া আর সামিয়া দাঁড়িয়ে আছে। মায়া প্রিন্সিপালকে জিজ্ঞেস করা শুরু করে।)
— স্যার,একটু আগে কি হয়েছিলো?
— কি হবে আবার মায়া, বাথরুমে ছিলাম।এরপর শুনলাম কলেজের একটা ছেলে মারামারি করতেছে।আমি বাহির হবো,ঠিক তারপর কি হয়ছে জানিনা।
— এইটা তো এক মাস আগের কথা স্যার। ৪-৫ ঘন্টা আগে কি হয়েছিলো মনে নেই?
— আরে, আমি তো সেটাই বলছি।বাথরুম থেকে বের হলামি তো ১০ মিনিট আগে।আর তোমরা কি এক মাস এক মাস করতাছো।সবাই কি জ্ঞ্যান হারাইয়া ফেলছো নাকি।
( মায়া একটা মুছকি হাসি দিয়ে বলল)
— হুম স্যার,আমরা আপাতত পাগল হয়ে গেছি। আপনি রেস্ট নিন।
— হুম,যাচ্ছি। ঘুমাও তোমরা।এই দিন থেকে যে কেমনে রাত হয়ে গেলো,কিছুই বুঝতাছিনা।
— বুঝা লাগবেনা স্যার,আপনি রেস্ট নিন।
( স্যারকে কিছু ছেলের কাছে দিয়ে ওরা রুমে চলে আসে নাচতে নাচতে।তখনি রিয়া বলে)
— আচ্ছা প্রিয়া, এই ব্যাপার তো নিশ্চিত যে স্যার সব ভুলে গেছে।কিন্তু রিয়াজ কার কথা বলে গেলো? সে কে।
— আরে!আমার তো মাথায়ই ছিলোনা।রিয়াজ আসলে কার কথা বলে গেছে।
মায়া বলল
— এই শুন? আমি কবিরাজে বিশ্বাসী না,কিন্তু জানামতে একজন কবিরাজের নাম শুনেছি।বেশ ভালো নাম কামিয়েছে শুনেছি।তোরা যদি বলিশ তো এক্ষুনি উনার কাছে যাবো আমরা।
— হুম,তবে তাই কর। জীবন তো বাচাতে হবে।
— ওকে চল।
( ৪ জন মিলেই রওনা হয়েছে নোয়াখালী। কবিরাজের বাড়ি সেখানেই। এদিকে প্রিয়ার বাড়ি যাবার কথা ছিলো।কিন্তু কি করবে,বেচে থাকলে তো বাড়ি যাবে সে।তাই সেও ওদের সাথে রওন দেয় নোয়াখালী। অবশ্য এর জন্য কাওকে জবাব দিতে হয়না তাদের।ওরা নিজের ইচ্ছায় বাহির হয়,নিজের ইচ্ছেমতো ফিরে আসে। দারোয়ান কিছু বলতেও পারেনা।একদিন ওদের এই নিয়ে বকা দেয় দারোয়ান। যার জন্য অনেক কঠিন শাস্তি পায় দারোয়ান। সারা রাত ল্যাংটা করে দাঁড়িয়ে রাখে হোস্টেলের বাগানে। এরপর থেকে দারোয়ান আর কিছু বলার সাহস করেনি। প্রাইভেট কার বের করে সবাই এগুতে থাকে। মায়া গাড়ি চালাচ্ছিলো। মাঝপথে তিনজনেরই খিদে পায় ভিশন। চলতে চলতে দেখতে পায়, দূরে কোথাও একটা দোকান দেখা যাচ্ছে।তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে ওরা খাবারও নেয়নি। মাইজদি রেল স্টেশনের পাশে এসে একটা দোকানের সামনে গাড়ি থামায় মায়া। রিয়া গাড়ি থেকে বের হয়ে বলল”” আমি কিছু কিনে নিয়ে আসছি।তোরা গাড়িতেই বস। ”
রিয়া কথাটা বলে দোকান থেকে কিছু খাবার সংগ্রহ করে।এরপর যেই সে দোকান থেকে আসতে যাবে,ওমনি একটা বাচ্চা মেয়ে রিয়ার হাত থেকে খাবারের পলিথিনটা কেড়ে নিয়ে দৌড় দেয়। রিয়ার মেজাজ এতোই খিটখিটে হয় যে পাশে পড়ে থাকা একটি লোহার দন্ড নিয়ে বাচ্চা ছেলেটার পিছনে ছুড়ে মারে। লোহার দন্ডটি অদ্ভুতভাবে বাচ্চাটির পিঠে গিয়ে গেথে যায়। পুরো পিঠ দিয়ে ঢুকে পেট দিয়ে বের হয়ে যায়। কিন্তু অবাক করার ব্যাপার হচ্ছে, বাচ্চাটি সেই লোহাটা নিজের গায়ে রেখেই দৌড়ে পালিয়ে যায়।
মায়া, প্রিয়া আর সামিয়া গাড়ি থেকে বের হয়ে রিয়ার কাছে আসে। রিয়া ভয় পেয়ে জোরে চিৎকার করতে লাগলো।মায়া এসে বলল)
— আরে! এইটা কি হলো। তুই কি করলি এইটা।বাচ্চাটা মারা গেলে?
— দোস্ত আমার ভয় করছে।এখানে এক মুহুর্ত থাকা ঠিক হবেনা।চল যাই।
— আরে দাড়া,কিছু তো খেয়ে নি
— বেচে থাকলে হাজারবার খেতে পারবো। চল এক্ষুনি।
( রিয়া এই কথা শেষ করতে না করতেই, সেই বাচ্চা ছেলেটি লোহার দন্ডটি নিয়ে,দৌড়ে এসে রিয়ার যৌনি দিয়ে ঢুকিয়ে দেয়।নিমিষেই সবাই আতংক হয়ে যায়।রিয়ার যৌনি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে।বাচ্চা ছেলেটি দাত কেলিয়ে হাসতে থাকে।
রাত প্রায় ৩ টা নাগাত,এই গভীর রাতে, নিঝুম রেল স্টনের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে ৫ টা প্রান। ৪ জন মেয়ে,আর ১ টি বাচ্চা।দোকানটাও যেনো অদ্ভুত ভাবেই উধাও হয়ে যায়। সবাই নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।বাচ্চা ছেলেটি লোহার দন্ডটা এখনো ধরে আছে রিয়ার যৌনিতে। বাকি ৩ জন হা করে দাঁড়িয়ে আছে।পরিবেশ নিস্তেজ হয়ে গেছে।শনশন করে ঠান্ডা বাতাস ধীর গতিতে বেয়ে চলছে। এবার কি হবে….?
চলবে……