গল্প– আত্মা নাকি সে ( সিজন-০২)
পর্ব– ০৩
লেখক– Riaz Hossain imran
———
DNA টেস্ট করার পর,সামিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাবলিক জানায়ারের মতো সামিরের শাস্তির জন্য খাপ মেরে আছে। কিন্তু রিভা তো জানে, নূপুরের মৃত্যুর কারণ সামির নয়,অন্য কেও।
কিন্তু কে..?
একই রকম রিপোর্ট। বডি দেখে একটা ১২ বছরের বাচ্চাও বলে দিবে, মেয়েটির সাথে রেপ হয়েছে।কিন্তু DNA রিপোর্ট সম্পুর্ন উল্টো বলছে।রিভা এবার খুব ভয়ই পেয়ে যায়। একের পর এক খুন হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু খুনের রহস্য খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। বড়ই অদ্ভুত ব্যাপার। নূপুরের আম্মুও রিভার সাথে কথাটা শেয়ার করে। রিভা খুব ভালোভাবেই ক্লিয়ার হয়ে গেছে যে, সব কিছুর পিছনে কিছু একটা অবশ্যই আছে। তবে সেটা কি।কে হতে পারে। এক বিরাট প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রিভার মাথায়।
কিছুদিন পর আবার স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করে সবাই। কিন্তু এতে লাভ কি,শুধু রিভা প্রতিটিদিন ব্যলকনিতে বসে বসে তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। কেও যদি তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করে,তবে কোনো উত্তর না দিয়েই রিভা স্থান পরিবর্তন করে।রিভার এমন অদ্ভুত ব্যবহার সুবিধের ঠেকছেনা।
একদিন রাত ঠিক ২ টা নাগাত রিভা শুনতে পায়,জানালার বাহিরে কারো পায়ের খট খট শব্দ। মনে হচ্ছিলো বাহিরে কেও হাটাচলা করছে। রিভা কিছুটা ভয় পেলেও,মনের শক্তি জোগায় করার জন্য ভেবে নেয়,হয়তো ওর ভাই হবে। রিভা রুম থেকে বাহির হয়ে,জানালার পাশে এসে দাঁড়ায়।কিন্তু সেখানে,
এইতো..! বলেছিলাম, আগে আগে কিছু ভাববেন না। কি ভাবছেন,কাওকে দেখেনি? না, তা নয়।
রিভা দেখে একটা ছাগল ওদের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। বড়ই অদ্ভুত ব্যাপার। ৩য় তলায় এই ছাগল আসলো কিভাবে। ছাগল তো বাড়ির ভিতরেই প্রবেশ করতে পারবেনা। তাহলে ৩য় তলায় ওর ব্যালকনিতে এই ছাগল আসলো কি করে। রিভা এক মনে তাকিয়ে আছে সেই ছাগলের দিকে। তাকাতে তাকাতে, চোখের আড়ালেই ছাগলটি,
আবার..? কেন যে এতো বুঝেন।ছাগলটি অদৃশ্য হয়নি, ছাগল থেকে একটা মানুষে পরিণত হয়ে উঠে।রিভা দেখেই বেশ চমকে যায়। একটা ছাগল থেকে মানুষ কিভাবে বের হয়। রিভা ভয় পেয়ে চিৎকার দেওয়া তো দূরের কথা। নিজের পা টা পর্যন্ত নাড়াতে পারেনা। মানুষটি তার দুই চোখ খুলতেই একটা ভয়ংকর পরিবেশ ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। রিভা কিছু বলার আগেই সেই ভয়ংকরী লোকটি বলে উঠে,
— অবাক হয়েছো?
— তুমি? এখানে? কিভাবে?
— তুমি নিজেকেই প্রশ্ন করো,উত্তর তোমার কাছেই আছে।
— তুত তুত তুমি কি চাও
— প্রতিশোধ
— প্লিজ, চলে যাও
— আমার স্বপ্ন ফিরিয়ে দাও
— এখন কিভাবে সম্ভব
— আমারও ফিরে যাওয়া অসম্ভব
— প্লিজ চলে যাও
— তাদের সবাইকে আমার সাথে যেতে হবে,যারা আমার এই হাল করেছে,আমি নিতে এসেছি সবাইকে
— ওটা একটা এক্সিডেন্ট ছিলো
— কিন্তু জেনে শুনে এক্সিডেন্ট করা হয়েছে, এর শাস্তি তো পাবেই সবাই
— প্লিজ শুনো ইমরান প্লিজ
( তার আগেই বাতাসে মিলে যায় দেহটি।রিভা মাথায় হাত দিয়েই বসে পড়ে ফ্লোরে। এরপর কল্পনায় ফিরে যায়,আরো ৭ বছর আগের ঘটনায়।
চলবে…