গল্পের নাম প্রেমের শুরু পর্ব-০৮

0
1298

#গল্পের_নাম_প্রেমের_শুরু
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্বঃ৮
রিক্সা এসে থামলো একটা বৃদ্ধাশ্রমের সামনে হেমন্তি বড় বড় করে লেখা সাইনবোর্ডের দিকে তাকিয়ে লেখাটা পরলো।অতঃপর সে অবাক নয়নে ইলহামের দিকে তাকাতেই হেমন্তির নজর পরলো ইলহামের মুখের সেই হাসির দিকে।ইলহামের মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠেছে এই জায়গাটায় পৌছে হেমন্তি বুঝলো এটা ইলহামের চিরচেনা জায়গা আজ হয়তো সে হেমন্তিকে নিজ চিরচেনা স্থানের সাথে পরিচয় করাতে নিয়ে এসেছে।এটা ভাবতেই হেমন্তির মনটা অনেক খুশি হয়ে গেলো ইলহাম তার ছোট ছোট খুশী তার সাথে ভাগ করে নিচ্ছে এটাই অনেক বড় কথা হেমন্তির জন্য।
এ পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে যারা ছোট ছোট কাজে অনেক বেশি খুশী হয়ে যায় কারণ তারা শুধু চায় আপন মানুষ গুলো তাদের সাথে সুখময় সময় গুলো ভাগ করে সেই সময় গুলো উপভোগ করুক।
ইলহাম রিক্সা থেকে নেমে হেমন্তির দিকে একহাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো,
~এই যে ম্যাডাম আপনি কী আজ এখানেই বসে থাকবেন?
ইলহামের মুখের বাণী শুনে হেমন্তির ধ্যান ভাঙ্গলো সে ইলহামের বাড়িয়ে দেওয়া হাতের দিকে তাকিয়ে নিজ হাতটা তার হাতের উপর রেখে রিক্সা থেকে নেমে বললো,
~রিক্সায় বসে থাকার জন্য তো আজ আপনার সাথে বের হইনি জনাব।
হেমন্তির জবাব শুনে ইলহাম মুচকি হেসে হেমন্তির হাতটা শক্ত করে ধরে বললো,
~আসো আজ তোমায় আমার আর হিয়ার পছন্দের জায়গায় ঘুরাবো।
হেমন্তি ইলহামের পায়ের সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটতে শুরু করলো মেইন গেইট দিয়ে প্রবেশ করতেই একজন মধ্যবয়সী লোক দাড়িয়ে ইলহামকে দেখে বললেন,
~আরে ইলহাম বাবা এতদিন পর আসছেন যে?আমাদের তো ভুলেই গিয়েছেন।
ইলহাম আলতো হেসে বললো,
~নাহ লোকমান চাচা আপনাদের কোনোদিন ভুলতে পারবোনা।আসলে কাজের কারণে আসতে পারিনি আর জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই এখন আমি ব্যস্ত।
লোকমান চাচা ইলহামের কথা শুনে তার পাশে থাকা হেমন্তির দিকে তাকিয়ে বললো,
~এই লক্ষ্মী আর পরী মেয়েটা কে?
ইলহাম একবার হেমন্তির দিকে তাকিয়ে বললো,
~আমার স্ত্রী।
হেমন্তি ইলহামের দিকে তাকালো কেন জানি ইলহামের মুখে “আমার স্ত্রী” কথাটা শুনে অনেক ভালো লাগছে।লোকমান চাচার মুখের হাসিটা বেশ চওড়া হয়ে গেলো সে বললো,
~আমি অনেক খুশী হয়েছি বাবা তোমরা সুখে থাকো আর শোনো আজ দুপুরে না খেয়ে যাবে না।আমি তোনার চাচীকে বলে দিচ্ছি দুপুরের খাবারের প্রস্তুতি নিতে।
ইলহাম বললো,
~চাচীর হাতের রান্না অনেকদিন খাইনা আজ খেয়ে যাবো নিশ্চই।
হেমন্তির দিকে তাকিয়ে লোকমান চাচা বললেন,
~তোমাকে দেখে আজ আমার মনটা ভীষন ভালো হয়ে গেছে আমার ইলহাম বাবা যে জীবনে এগিয়ে গেছে এটাই অনেক।
হেমন্তি বললো,
~দোয়া রাখবেন চাচা আমাদের জন্য।

ইলহাম হেমন্তিকে নিয়ে ভিতরে চলে গেলো হেমন্তির কাছে পরিবেশটা অনেকটা সুন্দর আর শান্তিময় লাগছে।আশেপাশে সারি সারি গাছ রয়েছে ফুলের গাছও রয়েছে বটে একটু এগিয়ে যেতেই হেমন্তি দেখতে পারলো অনেক বয়স্ক মহিলা পুরুষ বসে আছে গল্প করছে ইলহাম হেমন্তিকে নিয়ে সেদিকটাই এগিয়ে গেলো।ইলহাম আর হেমন্তিকে সেখানে দাড়াতেই একজন বয়স্ক মহিলা ইলহামকে দেখে খুশীতে আত্মহারা হয়ে বললেন,
~ইলহাম এসেছে এতোদিন পর।
ইলহাম হেমন্তির হাতটা ছেড়ে দিয়ে সেই মহিলাটির কাছে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে বললো,
~আপনাদের ভুলে থাকতে পারিনা আম্মাজান।
সেই মহিলাটির চোখে অশ্রুকণার আবির্ভাব হলো তার সাথের সকল লোক এসে হাজির হলো সবাই ইলহামকে ঘিরে দাড়িয়ে আছে
ইলহাম সবার উদ্দেশ্যে বললো,
~আমার প্রিয়া আম্মাজান আর আব্বাজানরা আজ আমি এসেছি নতুন কাউকে আপনাদের সাথে পরিচয় করাতে আর সে হলো আমার স্ত্রী হেমন্তির সাথে।
হেমন্তির নাম নিতেই হেমন্তি এগিয়ে গিয়ে সবাইকে সালাম দিলো সবাই সেখানে হেমন্তিকে দেখতে ব্যস্ত একজন বৃদ্ধা এগিয়ে তার হাত দিয়ে হেমন্তির সারামুখ ছুঁয়ে দিয়ে বললো,
~একদম রাণীর মতো দেখতে।
হেমন্তি সেই বৃদ্ধার হাত ধরে বললো,
~আম্মাজান আপনি কেমন আছেন?
সেই বৃদ্ধাটি হেসে বললো,
~কী সুন্দর লাগলে তোমার মুখ থেকে এই আম্মাজান ডাকটি শুনে।
হেমন্তি আলতো হাসলো তাদের সবার সাথে হেমন্তি ইলহাম কথা বললো তারা হেমন্তিকে তারা খুব সহজে আপন করে নিয়েছে।হেমন্তি ইলহামের দিকে তাকিয়ে দেখলো সে খুশী মনে সবার সাথে কথা বলছে।ইলহামের হাসি মুখটা দেখে হেমন্তির অনেক ভালো লাগছে এতো সুন্দর হাসি হয়তো হেমন্তি কোনোদিন দেখেনি।

____♥_____

সবার সাথে আড্ডা মেরে হেমন্তি আর ইলহাম এখন সবুজ ঘাসের উপর বসে আছে হেমন্তি নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো,
~আপনি আর হিয়া আপু এখানে কতো বছর ধরে আসেন?
ইলহাম ঘাসের দিকে নজর রেখে বললো,
~ছোটবেলা থেকে প্রতি মাসে আমরা এখানে আসতাম বাবা নিয়ে আসতো।
হেমন্তি বললো,
~তাই এটা আপনার এতো পছন্দের জায়গা।
ইলহাম মুচকি হেসে বললো,
~হেমন্তি,এখানের প্রতিটা মানুষের সাথে আমি জড়িয়ে আছি এখানে না আসলে আমার ভালো লাগেনা।তুমি জানো হেমন্তি এখানের অনেক মানুষের মৃত্যুর পর আমি আর বাবা তাদের কবরে মাটিও দিয়েছি।এমন কী লোকমান চাচার আগে যে এখানে দারোয়ান ছিলেন তার মৃত্যুর পরও আমি আর বাবা তার কবরে মাটি দিয়েছি।এই জায়গাটাকে আমার মা-বাবা অনেক আগলে রাখতো যাতে কেউ কষ্টে না থাকে।কতো নিষ্ঠুর সন্তানরা তাদের এভাবে একা করে ছেড়ে যেতেন আমার বাবা- মা তাদেরকে খুশী করার কোনো প্রচেষ্টা ছাড়তেন না।আমার জন্য এ পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ হলো আমার বাবা-মা তারা যদি এখন জীবিত থাকতো তাদের জড়িয়ে ধরে এ কথাটি অবশ্যই বলতাম।
ইলহামের গলা কাঁপছে তার চোখ লাল হয়ে গেছে হেমন্তি নিজ চোখের পানিটুকু মুছে বললো,
~আজ থেকে এটা আমারও পছন্দের জায়গা আমাকে এখানে নিয়ে আসবেন যখনই আপনি আসবেন।
ইলহাম হেমন্তির দিকে তাকিয়ে বললো,
~হিয়া আমার জন্য পার্ফেক্ট একটা মেয়ে খুজে দিয়েছে যেই মেয়ে আমার জন্য পাঞ্জাবি কিনতে গিয়ে কনফিউজড হয়ে যেতো।সে তোমাকে পছন্দ করতে দুবার ভাবেনি আসলেই হিয়ার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
হেমন্তি আলতো হেসে বললো,
~আপনি আর আপনার উদ্ভট কথা দুটোই অনেক অদ্ভুত লাগে আমার কাছে।
হেমন্তির কথা শুনে ইলহাম অন্যদিকে চোখ দিয়ে হাতের ইশারায় হেমন্তিকে কিছু দেখিয়ে বললো,
~ওই জায়গাটায় ছোট একটা ঘর ছিল এখন অবশ্য নেই সে ঘরটায় আমি আর হিয়া অনেক লুকিয়েছি বাবা আর মা আমাদের খুজতে খুজতে হয়রান হয়ে যেতো তখন আমরা বের হয়ে এসে তাদের দেখে হেসে ফেলতাম।অনেক সুন্দর সময় ছিল এখন সেইসময় গুলো মনে পরলে বুকপ চিনচিন ব্যাথা হয় যদি সেই সময়গুলো ফেরত আসতো কতই না ভালো হতো।

দুপুরে ইলহাম আর হেমন্তি লোকমান চাচার ঘরে প্রবেশ করলো ছোট টিনশেটের বাড়ি তার।লোকমান চাচার বউ রাহেলা চাচী এগিয়ে এসে তাদের ঘরে বসতে দিলো।রাহেলা চাচী বললেন,
~এতোদিন পর এসেছো তাও বউমাকে নিয়ে আগে বলে আসলে আমি আরো অনেক কিছু তৈরি করতাম।
হেমন্তি তার কথা শুনে বললো,
~আপনারা যে ভালোবাসা নিয়ে আমাদের আপ্যায়ন করছেন তাই অনেক বেশি।
রাহেলা চাচী বললেন,
~বাহ খুব সুন্দর করে কথা বলে। ইলহাম হিয়ার আসেনি কেন?
ইলহাম বললো,
~নতুন মেহমান আসতে চলেছে তাই রেস্টে আছে।
রাহেলা চাচীর চোখ খুশীতে চিকচিক করে উঠলো সে বললো,
~এতো বড় খুশীর সংবাদ দিয়েছো আজ যে চোখ দিয়ে পানি পরে গেলো।
ইলহাম বললো,
~দোয়া করবেন চাচী যাতে হিয়া আর ওর বাচ্চা সুস্থ থাকে।
রাহেলা চাচী বললেন,
~আমি ওকে দেখতে যাবো কোনো সমস্যা হবে নাতো?
ইলহাম বললো,
~কোনো সমস্যা হবে কেন?হিয়ার শাশুড়ি অনেক ভালো মনের মানুষ এসব নিয়ে ভাবেনা।
হেমন্তি অবাক হচ্ছে শুধু এই সময় এসে কাছের মানুষ পর হয়ে যায় আর এর আপন না হয়েও ইলহামদের কতো আপন করে নিয়েছে।দুপুরের খাবার শেষ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারা সবার থেকে বিদায় নিয়ে রিক্সা চড়ে আবার চলছে অজানা গন্তব্যে।

____♥_____

হিয়া সেই সকাল থেকে বসে আছে এই বিকেল পর্যন্ত কোনো কাজ তাকে করতে দেওয়া হচ্ছেনা এতে সে বিরক্ত হচ্ছে।হিয়া পা মেলে শুয়ে আছে ফারুক তার পাশে বসে আছে হিয়া একবার ফারুকের দিকে তাকিয়ে বললো,
~অনেক বোর হচ্ছি আমি।
ফারুক চোখ উঠিয়ে হিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,
~তাহলে ঘুমাও ভালো লাগবে।
হিয়া শোয়া থেকে উঠে বললো,
~আপনি ঘুমান সারাদিন ঘুৃমিয়ে কাটিয়েছি।
ফারুক হিয়ার মনোভাব বুঝতে পেরে বললো,
~ছাদে যাবে?
হিয়া খুশী হয়ে বললো,
~হ্যা যাবো।
ফারুক বললো,
~এক শর্তে আমি কোলে তুলে নিয়ে যাবো।
হিয়া বললো,
~রাজি।
ফারুক হিয়াকে কোলে তুলে রুমের বাহিরে এসে পরলো তার মা নিজ রুমে শুয়ে আছেন।তাই বিনা কোনো বাধায় সে হিয়াকে নিয়ে ছাদে চলে গেলো ফারুক হিয়াকে ছাদে নিয়ে এসে কোল থেকে নামিয়ে বললো,
~তুমি মোটা হয়ে গেছো আমার কোমড়টা শেষ হয়ে গেছে।
হিয়া ফারুকের পিঠে কিল বসিয়ে বললো,
~আমি মোটা হয়ে গেছি যান তাহলে কোনো চিকনির কাছে ভালো লাগবে।
বলেই হিয়া মুখ ফুলিয়ে রেলিং ধরে দাড়িয়ে রইলো ফারুক হিয়ার অভিমান বুঝতে পেরে বললো,
~আমি তো বলছি এতো গোলুমোলু আর কিউট লাগে তোমাকে যে আমার চোখই সরে না তোমার থেকে।
হিয়া আলতো হেসে ফারুকের গা ঘেষে দাড়িয়ে বললো,
~সত্যি।
ফারুক বললো,
~তিন সত্যি।
দুজনই খিলখিল করে হেসে উঠলো তাদের হাসির শব্দ স্তব্ধ শহর জেগে উঠলো তাদের সেই ছোট্ট প্রানটিও এখন হয়তো তাদের সাথে হাসছে।
হেমন্তি আর ইলহাম এখন বসে আছে একটা স্বর্ণের দোকানে ইলহাম হেমন্তির জন্য একটু নাকফুল পছন্দ করেছে।হেমন্তি সেই নাকফুল দেখে বললো,
~কী উপলক্ষে এই উপহারটা আমার হলো?
ইলহাম আলতো হেসে বললো,
~প্রিয়তমাকে উপহার দিতে কোনে উপলক্ষ লাগে না।
হেমন্তি ইলহামের কথা শুনে লজ্জা পেলো হেমন্তি সেখানেই সেই নাকফুলটা পরে ফেলো।
সেখান থেকে বের হয়ে ইলহাম হেমন্তিকে নিয়ে শপিংমলে চলে গেলো সেখানে গিয়ে হেমন্তি নিজ পছন্দে ৫টি শাড়ি কিনলো।ইলহাম কেয়ার জন্য একটা শাড়ি কিনতে বললো হেমন্তিকে। প্রথমে হেমন্তি দ্বিমত করলেও ইলহামের জোরাজুরিতে নিতে বাধ্য হলো।

____♥_____

হেমন্তি আর ইলহাম যথাসময়ে হেমন্তির বাসায় পৌছে গেলো। হেমন্তি ইরিনা বেগমের সাথে কাজে সাহায্য করতে লাগলো ইলহাম ইমরান খানের সাথে বসে কথা বলছে।হেমন্তির আওয়াজ শুনে কেয়া রুম থেকে বের হয়ে আসলো হেমন্তি কেয়াকে দেখে হালকা হেসে বললো,
~তোর জন্য একটা শাড়ি এনেছি তোর দুলাভাই আর আমি পছন্দ করেছি আজ ওই শাড়িটায় পরবি।
কেয়া খুশী হয়ে হেমন্তিকে জড়িয়ে ধরে বললো,
~ধন্যবাদ আপু।
কেয়া দৌড়ে ইরিনা বেগমের ঘর থেকে শাড়ির প্যাকেটটা খুলে দেখলো হালকা সবুজ রঙ্গের শাড়ি এনেছে হেমন্তি তার জন্য। কেয়া শাড়ি হাতে নিয়ে রুম থেকে বের হতেই ইলহাম বললো,
~কেয়া তোমার শাড়ি পছন্দ হয়েছে?
কেয়া মুখে হাসি বজায় রেখে বললো,
~অনেক সুন্দর শাড়ি দুলাভাই ধন্যবাদ।
ইলহাম বললো,
~যাও তৈরি হয়ে নেও সময় হয়ে যাচ্ছে তারা চলে আসবে।
হেমন্তি মায়ের সাথে সব কাজ শেষ করে কেয়াকে তৈরি করতে লাগলো কেয়া চুড়ি পরতে পরতে বললো,
~আজ কোথায় কোথায় ঘুরা হলো ভালোবাসা পাখিদের?
হেমন্তি কেয়ার দিকে চোখ বড় করে তাকিয়ে বললো,
~এটা জেনে তুই কী করবি?
কেয়া বললো,
~আমার বরকেও বলবো দুলাভাইয়ের মতো রোমান্টিক হতে নাহলে আমিই রোমান্টিক হয়ে যাবো।
হেমন্তি কেয়ার কথা শুনে হো হো করে হেসে উঠলো আর বললো,
~এখন দুলাভাই রোমান্টিক হয়ে গেলো আগে তো বলতি গম্ভীরের ডিপ্পা।
কেয়া বললো,
~আগে কে জানতো বলো দুলাভাই এতোটা রোমান্টিক হবে যে তোমায় চোখে হারাবে।
কেয়ার কথা শেষ হতেই কলিংবেল বেজে উঠলো তানভীররা চলে এসেছে তাই হেমন্তি কেয়াকে রেডি করে বাহিরে চলে আসলো।

তানভীর,রেহেনা খানম আর তানভীরের মামা শহীদুল ইসলাম এসেছেন। তাদের সাথে কুশলাদি করে সোফায় বসতে দেওয়া হলো তানভীর ইলহামের সাথে হাত মিলিয়ে তার সাথে বসে পরলো।তানভীর কেয়ার ঘরের দিকে একবার চোখ উঁচু করে তাকালো ইলহাম তা খেয়াল করে তানভীরের কানে ফিসফিস করে বললো,
~কেয়াকে একটু পরই নিয়ে আসা হবে আপনি চিন্তা করবেন না।
ইলহামের কথা শুনে তানভীর লজ্জা পেয়ে গেলো রেহেনা খানম বললেন,
~আমি এই মাসেই বিয়েটা সেরে ফেলতে চাই যদি আপনাদের আপত্তি না থাকে।
ইমরান খান বললেন,
~দেখেন আপা আমার বড় মেয়ের সময়ও আমি কোনো তোড়জোড় করিনি আমি চাই কেয়ার বিয়েটাও সাদামাটা ভাবে হোক।
রেহেনা খানম বললেন,
~অবশ্যই আপনাদের ইচ্ছা আমরা মেনে নিয়েছি।
শহীদুল ইসলাম বললেন,
~আপনারা যদি মেয়েকে নিয়ে আসতে তাহলে আংটি বদল টা করে ফেলা যেতো।
ইমরান খান হেমন্তির দিকে তাকিয়ে বললেন,
~কেয়াকে নিয়ে আসো আর সাথে আংটিটাও।
হেমন্তি বাবার কথা মতো কেয়া আর আংটি নিয়ে হাজির হয়ে যায়।কেয়াকে তানভীরের পাশে বসিয়ে দেওয়া হলো ইলহাম তাদের অনেক গুলো ছবি তুলে দিলো।কেয়া আর তানভীর দুজন দজনাকে আংটি পড়িয়ে দিলো সবাই তাদের জন্য দোয়া করলো।
সব আয়োজন সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ হয়ে গেলো তখনই ইলহামের ফোনটা বেজে উঠলো ইলহাম ফোনটার দিকে একবার তাকিয়ে বারান্দায় চলে গেলো। ফোন রিসিভ করতেই অপর পাশ থেকে পুরুষালি কন্ঠে কেউ বলে উঠলো,

চলবে

(বিদ্রঃকেমন হয়েছে জানাবেন।ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো🥰🥰।Happy Reading 🤗🤗)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে