গল্পের নাম প্রেমের শুরু পর্ব-০৭

0
1050

#গল্পের_নাম_প্রেমের_শুরু
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্বঃ৭
হিয়া কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,
~আমার বাচ্চা ঠিক আছে তো?
ডক্টর নাসরিন বললেন,
~এতো প্যানিক নিবেন না কারণ এটা আপনার জন্য ঠিক না আর আপনি প্রোপার রেস্ট ভিটামিন জাতীয় খাবার খাবেন এতেই আপনি আর বেবি ঠিক থাকবেন।
ফারুক বললো,
~অবশ্যই আমি এসব বিষয়ে খেয়াল রাখবো।
ডক্টর নাসরিন বললেন,
~সময় মতো খাবার আর ঔষধ আপনার প্রয়োজন এখন।বিনা কারণে কোনো বিষয় চিন্তা করবেন না আর হ্যাঁ নিজেকে বেশি সময় দিবেন।
হিয়া ফারুকের হাতটা শক্ত করে ধরে রাখলো ফারুক বললো,
~আপনি সব নিয়ম-কানুন লিখে দিন আমি নিজ দায়িত্বে সব দিকে খেয়াল রাখবো।
ডক্টর নাসরিন বললেন,
~ঠিক আছে।
হিয়া আর ফারুক বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে হিয়া ফারুককে বললো,
~সব ঠিকঠাক হবে তো আমাদের বাবু সুস্থ থাকবে তো?
ফারুক বললো,
~তুমি কোনো প্রকার টেনশন নিবে না আমাদের বাবু একদম ঠিক থাকবে কারণ ও অনেক সাহসী একদম বাবার মতো হবে।মায়ের মতো ভীতু হবেনা সবসময় কান্না করতে থাকে।
হিয়া গাল ফুলিয়ে বললো,
~আমি ভীতু যান কথা বলবোনা আপনার সাথে।
হিয়ার গাল টেনে দিয়ে ফারুক বললো,
~বাবুর দাদীকে যে খবরটা দিতে হবে সে যে খুশীতে আত্মহারা হয়ে যাবে।
হিয়া বললো,
~মাকে আমি অনেক মিস করছি তাকে চলে আসতে বলেন।
ফারুক বললো,
~এখন তাকে কেউ আটকে রাখতে পারবেও না তোমার কথা শুনলে দৌড়ে চলে আসবে।
ফারুকের কথা শুনে হিয়া খিলখিল করে হেসে উঠলে ফারুক সেই হাসির দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো,
~এই হাসিটা যাতে এই মুখ থেকে অদৃশ্য না হয়ে যাক।

হিয়া বাসায় পৌছাতেই হেমন্তির ফোন চলে আসে হিয়া রিসিভ করতেই হেমন্তির উৎসুক কন্ঠ বলা কথা শুনতে পেলো।হেমন্তি বললো,
~আপু সুখবর আছে কেয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
হিয়ার মুখে হাসির রেশ ফুটে উঠলো সে বললো,
~আমি অনেক খুশি হয়েছি হেমন্তি এ কথা শুনে।
হেমন্তি বললো,
~কালকে সবাই বিয়ের তারিখ ঠিক করতে আসবে তুমি আর ভাইয়াও আসবে মা বলে দিয়েছে।
হিয়া বললো,
~অবশ্যই আমরা আসবো।এখন আমার একটা সুখবর শুনবে
হেমন্তি বললো,
~বলো আপু সেই সুখবর।
হিয়া বললো,
~তুমি মামী হতে চলেছো।
হেমন্তি একথাটা শুনে খুশিতে লাফিয়ে উঠলো আর বললো,
~আপু এতো বড় একটা খবর দিচ্ছো বিনা মিষ্টি খাইয়ক আমি কিন্তু ছানা মিষ্টি খাবো।
হিয়া হেসে বললো,
~অবশ্যই বাবুর বাবা মিষ্টি নিয়ে হাজির হবে।
হেমন্তি বললো,
~আপু তুমি নিজের খেয়াল রাখবে দরকার পরলে আমাদের এখানে চলে আসো।
হিয়া বললো,
~আসবো কিন্তু পরে এখানে আমার মা আছে যে আমার খুব সেবা করবে।
হেমন্তি বললো,
~আমি অনেক খুশী হয়েছি উনি শুনলেও অনেক খুশী হবে।

ইলহাম অফিসে কাজের থেকে বেশী তার বসের বলা কথাটি নিয়ে চিন্তা করছে কীভাবে সব সামলাবে?ইলহাম বসে বসে তাই ভাবছিল তখনই তার ফোন বেজে উঠলো ইলহাম ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলো হেমন্তির ফোন।
ইলহাম ফোন রিসিভ করতেই হেমন্তি অতি খুশির কন্ঠে বলে উঠলো,
~অনেক বড় সুখবর এসেছে।
ইলহাম বললো,
~কীসের সুখবর?
হেমন্তি বললো,
~আপু মা হতে চলেছে আপনি মামা আর আমি মামী।
হেমন্তির কথা শুনে ইলহাম চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়িয়ে বললো,
~তুমি সত্যি বলছো?
হেমন্তি বললো,
~অবশ্যই।
ইলহামের চোখের কোণে অশ্রু জমা হলো তার মনে খুশীর সমুদ্র বয়ে যাচ্ছে ইলহাম বললো,
~তুমি রেডি হয়ে থেকে আমরা আজই হিয়ার বাসায় যাবো।
হেমন্তি বললো,
~ঠিক আছে।
ইলহাম ফোন রেখে বসের থেকে ছুটি নিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে সোজা শপিং মলে গিয়ে বোনের জন্য অনেক শপিং করলো।তারপর বাজারে গিয়ে ফলমূল সব কিনে একটা রিক্সা নিয়ে ছুটলো বাসার উদ্দেশ্যে।
আজ ইলহাম অনেক খুশী সে মনে মনে বললো,
~আজ যদি বাবা-মা বেঁচে থাকতো তাহলে হিয়ার এই সুখবর শুনে কতোটা খুশী হতো।

_____♥______

হেমন্তি আর ইলহাম হিয়ার বাসায় উপস্থিত হলো হিয়ার শাশুড়ি মহীমা বেগম তাদের দেখে অনেক খুশী।বিয়ের পর হেমন্তি এ নিয়ে ৪ বার এবাসায় এসেছে আর মহীমা বেগমকে দেখে সে অনেকটাই অবাক হয়েছে।এতো ভালো মনের মানুষ হেমন্তি কোনোদিন দেখেনি হেমন্তি সবসময় শুনেছে শাশুড়ী মানেই যম কিন্তু এখানে দেখছে পুরো উল্টো হিয়াকে নিজ মেয়ের মতো আগলে রেখেছে মহীমা বেগম।মহীমন বেগম নাস্তার ব্যবস্থা করে সব টেবিলে সাজিয়ে ইলহাম আর হেমন্তিকে বললেন,
~চলো এখন কিছু খেয়ে নেও সেই কখন এসেছো?
ইলহাম আলতে হেসে বললো,
~আন্টি আপনাকে এতো ব্যস্ত হতে হবে না আপনি আমাদের পাশে এসে বসেন।
মহীমা বেগম বললেন,
~তোমরা তো আসোই না এই বুড়িটার খোজ নিতে।
ইলহাম বললো,
~কাজের চাপটা একটু বেশি তাই আসা হয়না।
মহীমা বেগম হেমন্তির পাশে বসে বললেন,
~তোমার এই মিষ্টি বউটাকে আমার খুব পছন্দ ওকে কয়েকদিনের জন্য রেখে যেও।
ইলহাম বললো,
~রেখে যাবো আপনার শরীরটা কেমন?
মহীমা বেগম প্রাণবন্ত হাসি দিয়ে বললো,
~তোমার বোন যে সুখবর আমাকে দিয়েছে আমার শরীর আরো ভালো হয়ে গেছে।
হিয়া বললো,
~আমাকে কোনো কাজ করতে দিচ্ছে না নিজেই সব করছে।
ফারুক বললো,
~মা হিয়া দুজনই শুনো কাউকে কাজ করতে হবে না আমি কাজের লোক ঠিক করেছি সেই করবে সব।
মহীমা বেগম বললেন,
~আমি বেঁচে থাকতে আমার মেয়ে বোয়ার হাতের রান্না খাবে?আমি রান্না করবো বাকি কাজ তুই তোর বোয়াকে দিয়ে করিয়ে নিস আমার আপত্তি নেই।
ফারুক বললো,
~ঠিক আছে আমার মা আপনার হুকুম মাথার উপর।
হেমন্তি বললো,
~আন্টি,আপু কিছুদিন আমাদের সাথে থাকুক।

মহীমা বেগম বললেন,
~নাহ মা এখন হিয়ার এই বাসায় থাকাটা উত্তম ওর এখন রিক্সা দিয়ে চলা ফেরা না করাই ভালো।
হেমন্তি বললো,
~তাহলে আপু কালকেও যেতে পারবেনা?
হিয়া বললো,
~হেমন্তি মন খারাপ করোনা আসলে এখন আমি রাস্তায় বের হতেই চাই না।তাই কালকে তোমাদের বাসায়ও যেতে পারবোনা লক্ষ্মীটি রাগ করো না প্লিজ তোমার ভাইয়া যাবে।
হেমন্তি আলতো হেসে বললো,
~ঠিক আছে আপু আমাদের ছোট্ট সোনার জন্য যেটা ভালো হয় সেটাই করো।
ইলহাম বললো,
~হিয়া,তোর পছন্দের সব কিছু এনেছি আর আন্টির জন্য এই শাড়িটা এনেছি।
হিয়া বললো,
~এসবের কী প্রয়োজন ছিল?
ইলহাম বললো,
~আমার বোনের জীবনে এতো বড় সুখের উৎসবে ভাইয়ের তরফ থেকে ছোট একটি উপহার।
হিয়ার চোখের কোণে জল চলে আসলো বাবার কমতি ভাই পূরণ করছে তার ভাইটা যে তাকে এতো ভালোবাসে সেটা দেখে তার বুকটা খুশীতে ভরে গেলো।

মহীমা বেগমের যাতে কোনো কাজ না করতে হয় তাই ফারুক বাহির থেকে খাবার নিয়ে এসেছে রাতের।মহীমা বেগম নিজে টেবিল সাজালো তারপর সবাইকে নিয়ে বসে পরলো রাতের খাবার খেতে।মহীমা বেগম হেমন্তির প্লেটে খাবার তুলে দিতে দিতে বললো,
~তোমাদের সুখবরটা কবে শুনছি?
মহীমা বেগমের প্রশ্ন শুনে হেমন্তি আর ইলহাম দুজনই বিষম খেলো ইলহামকে ফারুক পানি দিলো আর হেমন্তিকে হিয়া।হেমন্তি পানি শেষ করে বললো,
~যখন আল্লাহর ইচ্ছে হবে।
ইলহাম বিড়বিড় করে বললো,
~এখানে লাভ স্টোরি শুরু হচ্ছেনা আবার বাচ্চা স্টোরি হবে।
ইলহামকে ঠোঁট নাড়াতে দেখে হিয়া বললো,
~কিছু বলছিস তুই?
হিয়ার দিকে তাকিয়ে ইলহাম বললো,
~কিছু না।
মহীমা বেগম বললেন,
~হিয়ার পরেই যাতে তোমার সুখবরটা শুনতে পাই তাই দোয়া রইলো।
হেমন্তি কিছু না বলে শুধু মুচকি হেসে খাবারে মনোযোগ দিলো তার অনেক অস্বস্তি হচ্ছে।

____♥_____

কেয়া বিছানায় শুয়ে গল্পের বই পরছে তখনই তার ফোনটা ভেজে উঠলো কেয়া একটু অবাক হলো এতো রাতে কে তাকে ফোন করলো?কেয়া ফোন হাতে নিসে দেখলো আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসছে।কেয়া ভাবছে ফোন রিসিভ করবে কী করবেনা?এরই মাঝে ফোনটা বাজতে বাজতে কেটে গেলো কেয়া ফোন রেখে দিতেই আবার বেজে উঠলো দুবার রিং হতেই কেয়া ফোন রিসিভ করে সালাম দিয়ে বললো,
~কে বলছেন?
অপর পাশ থেকে ভারী পুরুষালি কন্ঠে তানভীর বলে উঠলো,
~আমি বলছি তানভীর আহমেদ।
কেয়ার হাসি পেলো কিন্তু নিজের হাসিটাকে সামলে বললো,
~কে তানভীর আহমেদ?
তানভীর সিরিয়াস হয়ে বললো,
~আপনি কী সত্যিই আমাকে ভুলে গেছেন?
কেয়া বললো,
~মনে রাখার মতো কোনো কাজ তো আপনি করেননি তাই হয়তো আমার মনে নেই।
তানভীর বললো,
~আমি বুঝতে পেরেছি আপনি আমার সাথে মজা করছেন।
কেয়া বললো,
~যাক বুঝতে পেরেছেন।
এতটুকু বলে কেয়া বিছানায় পা দুটো ভাজ করে কোলে বালিশ নিয়ে বসে পরলো।তানভীর বললো,
~কালকে আমরা আপনাদের বাসায় আসছি।
কেয়া বললো,
~জানি বাসায় তা নিয়ে তোড়জোড় হচ্ছে।
তানভীর বললো,
~আপনার কী আমাকে সত্যিই পছন্দ হয়েছে?
কেয়া বললো,
~না হলে কী আপনার সাথে এখন কথা বলতাম?আচ্ছা আপনি আমার নাম্বার কোথা থেকে পেলেন?
তানভীর আলতো হেসে বললো,
~মায়ের ফোন থেকে নিয়েছি আপনার মা আমার মাকে দিয়েছিল।
কেয়া বললো,
~বাহ বুদ্ধি আছে বটে।
তানভীর বললো,
~আপনার কোন রঙ্গটা সবচেয়ে বেশী পছন্দ?
কেয়া বললো,
~তা জেনে কী করবেন?
তানভীর বললো,
~এভাবে জানতে চাচ্ছি।
কেয়া বললো,
~সবুজ রঙ্গটা পছন্দ।
তানভীর বললো,
~ওকে ঠিক আছে।
এভাবেই তাদের মধ্যে অনেকক্ষন কথা হলো কেয়া আর তানভীর হয়তো নিজদের বোঝার চেষ্টা করছে।

ইলহাম আর হেমন্তি বাসায় পৌছে গেছে হেমন্তি শাড়ি পাল্টে বিছানায় বসে পরলো। ইলহাম হেমন্তিকে উদ্দেশ্য করে বললো,
~কালতো শুক্রবার আমার অফিস নেই বিকেলে আমরা তোমার বাসায় যাবো।আমি ভাবছি সকালে আমরা ঘুরতে বের হলে কেমন হয়?
হেমন্তি ইলহামের দিকে তাকিয়ে বললো,
~আপনি ঘুরতে যেতে চান আমার সাথে?
ইলহাম বললো,
~আর কার সাথে যাবো আমি?
হেমন্তি বললো,
~নাহ মানে বিয়ের পর তো কোথাও যায়নি তাই
ইলহাম বললো,
~এখন যাবো শুনো কালকে তোমার নীল শাড়িটা পরবে তোমাকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে সেই শাড়িতে।
হেমন্তি বললো,
~দুপুরের খাবারের কী হবে?
ইলহাম হেমন্তির পাশে বসে বললো,
~বাহিরে খাবো এখন শুয়ে পরো কালকে আমাদের ভ্রমণ শুরু হবে।
হেমন্তি আর ইলহাম শুয়ে পরলো তারা দুজনই একরাশ স্বপ্ন নিয়ে কালকের সকালের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।

_____♥______

হেমন্তি ইলহামের কথামতো সকালে শাওয়ার নিয়ে নীল রঙ্গের শাড়ি পরে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসলো।একবার বিছানার দিকে তাকিয়ে দেখলো ইলহাম ঘুমিয়ে আছে হেমন্তি আয়নার সামনে দাড়িয়ে ভেজা চুলগুলো ভালো মতো টাওয়াল দিয়ে মুছে নিলো এরপর চুল চিরুনি করে হালকা রঙ্গের লিপস্টিক আর চোখে কাজল দিয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো সকাল ৯.৩০ বাজে।হেমন্তি ইলহামের কাছে গিয়ে তাকে ডাকতে লাগলো,
~এই যে উঠুন সকাল হয়ে গেছে।
হেমন্তির ডাক শুনে ইলহাম পিটপিট করে চোখ খুলে হেমন্তির দিকে তাকাতেই অবাক হয়ে গেলো নীল রঙ্গের শাড়িতে হেমন্তিকে অনেক সুন্দর লাগছে।ইলহাম দ্রুত শোয়া থেকে উঠে বসলো হেমন্তি বললো,
~নাস্তা তৈরি আছে আপনি রেডি হয়ে আসেন।
হেমন্তি এতটুকু বলে সেখান থেকে চলে আসলো ইলহাম হেমন্তির যাওয়ার পাণে তাকিয়ে বললো,
~কতবার তোমার এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ হবো?

ইলহাম হেমন্তির বের করে রাখ হালকা আকাশী রঙের পাঞ্জাবি পরে রেডি হয়ে নিলো।পাঞ্জাবির হাতা গুটিয়ে নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে দেখলো হেমন্তি নাস্তা টেবিলে সাজাচ্ছে।ইলহাম সোজা চেয়ারে বসে পরলো হেমন্তির নজর ইলহামের দিকে পরলো বেশ লাগছে এই পাঞ্জাবিতে ইলহামকে।হেমন্তি ইলহামকে নাস্তা দিয়ে নিজেও নাস্তা করতে বসে পরলো ইলহাম বললো,
~হেমন্তি আমরা নাস্তা করার পরই বের হয়ে পরবো তুমি তৈরি তো?
হেমন্তি বললো,
~আমি তো তৈরি কিন্তু আমরা যাবো কোথায়?
ইলহাম বললো,
~আরে সেখানে পৌছেই তো দেখতে পাবে।
হেমন্তি বললো,
~আপনার কথা আমি কিছুই বুঝতে পারিনা।
ইলহাম মুচকি হেসে বললো,
~এতো বুঝতে হবে না আমার মনের কথা বুঝতে পারলেই হবে।
তারা নাস্তা শেষ করে রওনা দিলো অজানা উদ্দেশ্যে ইলহাম আগে থেকেই রিক্সা বুক করে রেখেছিল।ইলহাম আর হেমন্তি সেই রিক্সায় বসে পরলো ইলহাম বললো,
~তোমার গরীব জামাইর কাছে রিক্সা ভাড়া করারই সার্মথ্য আছে একদিন অবশ্যই একটা বাইক কিনবো আর তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবো।
হেমন্তি ইলহামের কথা শুনে বললো,
~আমার এসব বাইকের কোনো দরকার নেই এই রিক্সাই আমার জন্য ভালো।
ইলহাম হেমন্তি কথা শুনে আলতো হেসে তার একহাত ধরে এই শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলো।

চলবে

(বিদ্রঃকেমন হয়েছে জানাবেন।ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো🥰🥰।Happy Reading🤗🤗)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে