গল্পঃ অতীত কথা পর্ব-৩

0
1561

গল্পঃ অতীত কথা পর্ব-৩
আমি যা বললাম তা শুনে শুভ একদম হা হয়ে ত তাকায়া আছে আমি বললাম যে………………..

আমি বললাম যে আপনার দেবর এর সব দোষ আপনার দেবর এত বেশি…..
হঠাৎ করেই আমি কাঁচ এর গ্লাস টা নিয়ে পরে গেছিলাম আর এর ভাঙ্গা কাঁচ আর টুকরো গুলো হাতে বিধে হাত টা কেটে গেল একটু কেটেছে ।
ভাবী আর কথা বাড়ালো না বললো তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে চলে এসো ।নিচে সবাই বসে অপেক্ষা করছে তোমাদের জন্য এই বলে ভাবী নিচে চলে গেলো।
ভাবী চলে যেতেই শুভ আমার হাত চেপে ধরলো ।আমি উঠতে চাইলাম কিন্তু ও আমাকে শক্ত করে ধরে নিজের চোখ আর সামনে রেখে আমাকে বললো তুমি কাল রাতে এমন কেনো করলে কেনো? কি বুজতে চাইলে? আমার হাত দুটো শক্ত করে ধরে রাগে গজগজ করতে বলে উঠলো বলো কেনো এমন করলে ?আমি ওর চোখ দেখে ভয় পাচ্ছিলাম কিন্তু ওই সময় ওই রাগী চোখ গুলোর পিছনে আমি আমার জন্য অনুভূতি গুলো যেনো স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম। শুভ হাত টা একটু হালকা হলেই আমি উঠে গেলাম ।আর বলে উঠলাম আমি তোমার কথার উত্তর দিতে বাধ্য নই ।এই বলে নীচে চলে আসলাম।

সবাই বসে আছে খাবার নিয়ে জিতু সবার উদ্দেশ্যে সালাম দিল ।জিতু তার শাশুড়ি কে বলতে লাগলো মা আমি খাবার গুলো এনে দিচ্ছি মা তুমি বসো রান্না ঘরে গিয়ে ভাবী কে হেল্প করতে লাগলো।

শুভ ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে চলে আসে সবাই যার যার জায়গায় বসে পড়ে বাবা আমাকে শুভ এর পাশের সিট এ বসতে বলে আমি বসে গেলাম শুভ কি যেন ভাবছিল । খাবার সময় জিতু সবার সাথে খুব ভালো করেই কথা বলছিল খাওয়া শেষ করে তারা দুজনেই রুম এ চলে আসলো ।

শুভ বসে ল্যাপটপ খুলে বসলো সে গ্যালারি থেকে পিক দেখতে থাকলো আর সে তাদের একটা পুরাতন পিক খুঁজে পায় একজন আরেকজন কে জড়িয়ে ধরে আছে ।শুভ অতীত ভাবতে থাকলো তার আজও মনে আছে ছবি টার কথা পিক টা ওই দিন এর যেদিন শুভ ওর সাথে প্রথম দেখা করতে গিয়েছিলাম ও শহর এ যাবার এক সপ্তাহের মধ্যেই ও খুশি হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেছিল।ওই দিন গুলো কিন্তু বেশ ছিল ।কিন্তু আখন এমন কি হলো যে যেই মেয়ে টা আমাকে এত ভালোবাসতো সে কেনো এমন করছে । যে আমার সাথে একটু কথা বলার জন্য কত চেষ্টা করছে সেই মানুষ টা আমার দিকে দেখে না তবে কি সে আমাকে আর ভালোবাসে না ।তাহলে কেনো বিয়ে করলো আমি তো আর যোর করে বিয়ে করি নাই ।

জানালার ধারে জিতু দাড়াইয়া ছিল কি যেন ভাবছে ।এই সময়েই শুভ র বড় আপু তাদের জন্য বৌভাত আর পোশাক নিয়ে আসলো ।একটা নীল রঙের শাড়ি আর একটা ক্রিম একটা পাঞ্জাবী ।ড্রেস গুলো দেখেই তার মনে পরে গেল জিতু শুভ কে বলে ছিল যে শুভ যেন বিয়ে র পরের প্রথম শাড়ি টা নীল রং এর শাড়ি দেয় ।তখন ই বড় আপু বলে উঠলো শুভ নিজে পছন্দ করে জিতুর জন্য ঐ শাড়ি টা নিয়া আসছে ।শাড়িটা জিতুর খুব পছন্দ হইসে ।
সন্ধ্যায় বাড়িতে আয়োজন ।সবই ফ্যামিলি মেম্বার আর ফ্রেন্ড র বাইরের কোনো গেস্ট নেই ।

সারা দিন জিতু আর শুভ রুম এই ছিল কিন্তু কেউ কারো সাথে একটা সিঙ্গেল কোথাও বলে নি সন্ধ্যায় জিতু রেডি হতে ওয়াশ রুম এ চলে গেলো।শুভ বসে ফোন চাপছিল আর মাঝেই জিতু বার হলো নীল শাড়িতে। কিন্তু জিতু কেমন যেনো উসখুস করছে আমি( শুভ) বুঝতে পারলাম না দেখতে পেলাম যে ও আয়নার সামনে দাড়িয়ে ওর ব্লাজের পিছন দিকের ফিতা টা বাঁধতে চাইছে কিন্তু পারছে না কিন্তু শুভ কে বলছে ও না শুভ মনে মনে হাসে তারপর উঠে সামনে যায় আর একটা রাগী লুক নিয়ে জিতুর ব্লাইজ এর ফিতা টা বেঁধে দিয়ে নিজে ফ্রেশ হতে চলে যায়।
কিছু খন পরে তারা দুজনই নিচে নেমে আসে দুজন কেই অপূর্ব লাগছিল ।অনুষ্ঠান শুরু হলো জিতু সবার সাথেই ভালোভাবে কথা বলেছে কিন্তু শুভ র সাথে একটা কথাও বলে নি। হঠাৎ পার্টি র শেষ এর দিকে একটা ফিলমি ঘটনা ঘটেছে ……………………..
………………………
চলবে………………
লেখক- মম নূর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে