ক্রাশ যখন বর Season_3Part_31
Writer-Afnan Lara
তনু আড়চোখে তাকালো শিশিরের দিকে
শিশিরের কপাল থেকে ঘাম বেয়ে বেয়ে নিচে পড়তেছে হাত কাঁপতেছে
তনু-থাক,মুখ চেয়েই আমার জীবন কাটবে,
তনু মুচকি হেসে চলে গেলো
শিশির টিসু এনে মুখ মুছে নিলো,,
বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে,,
তনু বারান্দায় বসে গাছ দেখতেছে,
শিশির উঁকি মেরে তনুকে দেখতেছে এই নিয়ে ২২বার হলো,,
আলমারি থেকে সাদা একটা শার্ট নিয়ে পরে নিলো শিশির,,
তনু গাছ ধরে ছেড়ে দিতেই গাছের পানি সব এসে তনুর গায়ে পড়লো
তনু চোখ বন্ধ করে ফেললো
এটা দেখে শিশির বুকে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে গেলো,
বারান্দার গ্রিলের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শিশির,হঠাৎ মুখ দিয়ে দুলাইন গান বেরিয়ে গেলো শিশিরের
পড়েনা চোখের পলক?
কি তোমার রূপের ঝলক?
দোহাই লাগে মুখটি তোমার
একটু আঁচলে ঢাকো??
আমি জ্ঞান হারাবো?
মরেই যাবো?
বাঁচাবে পারবেনাকো?
তনু অবাক হয়ে শিশিরের দিকে তাকালো
শিশিরের কাশি উঠে গেলো,
তনু-?
শিশির এসে তনুর পাশে বসলো,,তনুর হাত ধরলো,,চুমু দিলো হাতে
তনুর আরেকটু কাছে গেলো,,বড় একটা শ্বাস নিলো,,
শিশির-তনু ততততততনু
তনু-জ্বী
শিশির-আ
কলিংবেল বাজলো,,
শিশির -উফফফফ!!!!!!
শিশির উঠে গিয়ে দরজা খুললো,মা এসেছে,বাবাও,
শিশির উনাদের সালাম করলো, তনু ও এসে উনাদের সালাম করলো,,
তনু বুয়ার সাথে ব্যস্ত হয়ে পড়লো নাস্তা বানাতে বানাতে,আর মা তো দুনিয়ার সব কাহিনি বলতেছে শিশিরকে ধরে,শিশির চিপস খাচ্ছে আর তনুকে দেখছে
তনু নাস্তা এনে দিলো,,শিশিরকে কফির মগ এগিয়ে দিলো তনু, শিশির তনুর হাতের কব্জি ধরে হাত আনলো,তনু ব্রু কুঁচকে তাকাতেই শিশির হাত সরিয়ে নিলো
মা মুচকি হাসতেছে
তনু বাবাকে চা দিয়ে এসে দেখলো মা আর বুয়া কথা বলতেছে, মা হাসতেছে
তনু-কি মা??
মা এসে তনুকে জড়িয়ে ধরলো
তনু-কি হইসে?
মা-আমি দাদি হতে চলেছি,কি যে ভালো লাগতেছে আমার,,কই গো শুনসো
তনু -মানে??
মা দাঁড়াও
মা তো চলে গেলে,তনু এক দৌড়ে শিশিরের কাছে গেলো,
শিশির-কিহ?কে বললো
তনু-কি জানি,মনে হয় কাল যে বমি করসি,বুয়া অন্য কিছু ভাবসে
শিশির-উফ মা কে কি বুঝাবো?
মা এসে শিশিরকে জড়িয়ে ধরলো
শিশির মায়ের হাত ধরে খাটে বসিয়ে বুঝালো যে এটা সত্যি না,মায়ের মন খারাপ হয়ে গেলে,
তনুর ও খুব খারাপ লাগতেছে,উনি তো জানে না উনার ছেলে কিরকম,আমাকে ছুঁলেই মাথা ঘুরায় উনার ছেলের?
রাতে খাবার খেয়ে শিশির রুমে এসে দেখলো তনু কাঁথা টেনে সোফায় শুয়ে আছে
শিশির-কি?আমার কোলে উঠতে মন চায় নাকি
তনু-না কেন
শিশির-তাহলে এত বড় খাট রেখে সোফায় আসছো কেন
তনু-ঘুমাতে
শিশির খপ করে ধরে কোলে তুলে নিলো তনুকে,তারপর বিছানায় এনে শোয়ালো
তনু-ঢং দেখলে বাঁচি না
সকালবেলা♥♥♥
চোখ খুলে দেখলাম একটা লাল টুকটুকে মেয়ে চারিদিকে ছোটাছুটি করতেছে,,এটা যদি আমার বউ হতো,নাহ এটা তো আমারই বউ,তনু,সপ্ন দেখতেছি নাকি,শিশির নিজের হাতে নিজে চিমটি দিয়ে উঠে বসলো,,
শিশির-আজ কি কিছু আছে,বুঝলাম না, এমন সাজ, আর কি করতেছো তুমি
তনু-মেহমান আসবে তো তাই ঘর গুছাই
শিশির-কিসের মেহমান?
তনু-তোর মা রে জিগা
শিশির তনুর কথাই অবাক+ভয় দুটোই পেলো,কারন তনু সহজে তুই বলে না
শিশির fresh হয়ে এসে নাস্তা করতে বসলো,,মা এসে বসলো পাশে,মায়ের মুখে হাসি,
মা-তনু বলেছে শীঘ্রই আমাকে দাদি বানাবে
কথাটা শুনে শিশিরের কাশি উঠে গেলো,কিহ?কি বললা,
শিশিরের ভয়ে গলা শুকিয়ে গেসে,এটা কেন বলসে তনু,তনুর দিকে তাকাতেই তনু মুখ ভেটকাই দিলো,
শিশির নিজের রুমে এসে বসলো,
শিশির-তুমি মাকে এটা কেন বলসো
তনু-যেটা সত্যি হতে চলেছে সেটাই
শিশির-মানে?
তনু-আপনি তো নিজে আমাকে বাবু দিবেন না
শিশির-তাহলে কি করবা তুমি
তনু-বাবু আদায় করে নিব
শিশির চোখ বড়বড় করে তাকালো তনুর দিকে,জীবনে প্রথম মেয়ে মানুষের সামনে নিজেকে অসহায় মনে হচ্ছে,,
শিশির মুখ মুছে রেডি হয়ে অফিসে চলে গেলো,,
শিশির অফিসে বসে ভাবতেছে আজ দেরি করে বাসায় যাবে,না জানি তনু কি না কি করে বসে
রাত ১২টার দিকে শিশির বাসায় আসলো,সবাই ঘুমিয়ে গেসে,,
বিছানায়ও তনু শুয়ে আছে,
যাক বাবা বাঁচা গেলো,
শিশির fresh হয়ে বের হলো,,হঠাৎ কেউ একজন শিশিরকে জড়িয়ে ধরলো পিছন থেকে,শিশির অবাক হয়ে পিছনে তাকালো,তনু?তাহলে বিছানায় কে
শিশির-আমার সতীন,
শিশির-কে?
তনু-কোলবালিশ,
জানতাম আমি জেগে থাকলে কাছে আসতেন না,তাই এই কাজ করসি
শিশির তনুর হাত ছাড়িয়ে সরতে গেলো তনু টান দিয়ে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরলো শিশিরকে,
শিশিরের পায়ের পাতার উপর ভর করে দাঁড়ালো তনু,
শিশির-আমি! আমি! আমি!
তনু-কিছু করতে হবে না শিশির
শিশির-আসলে!
তনু শিশিরের গলা জড়িয়ে ধরে ওর বুকে শুয়ে পড়লো,
শিশিরের ভয় চলে গেলো হঠাৎ করে,,তনুকে ধরলো শক্ত করে,,
তনু-আজ আমাকে ফিরিয়ে দিয়েন না
শিশির ২মিনিট নিরব হয়ে থেকে পরে আর কিছু না বলে তনুকে কোলে তুলে নিলো,বিছানায় নিয়ে গেলো,
শিশির তনুর কানে চুমু খেয়ে তনুর কাঁধের থেকে জামা সামান্য সরিয়ে গলার দিকে চুমু দিতে যেতেই তনু উঠে বসলো শিশিরকে সরিয়ে দিয়ে
শিশির-কি হয়সে?
তনু-আমি ঘুমাবো
তনু কাঁথা নিয়ে সোফায় চলে যেতে নিতেই শিশির আটকালো
শিশির-কেন?
তনু-আমি পরিস্থিতির শিকার হয়ে আপনাকে জোর করতে গেসিলাম,তা মনে পড়াই চলে যাচ্ছি,সেদিনের অপেক্ষায় থাকবো যেদিন আমি আপনাকে জড়িয়ে ধরে ভয় দূর করাতে হবে না আপনি নিজেই আসবেন আমাকে ভালোবাসতে
তনু চলে গেলো,রুমটা নিস্তব্ধ হয়ে গেসে,বাইরের বৃষ্টির শব্দ হচ্ছে শুধু,,
শিশির ঘুমায়নি,,, জানালার থাই গ্লাসের দিকে চেয়ে বসে আছে,কারন সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তনু কাঁদতেছে,আর চোখ মুছতেছে,অথচ একটা আওয়াজ ও বের হচ্ছে না
অজান্তেই শিশিরের চোখ দিয়ে দুফোঁটা পানি বেরিয়ে আসলো,আমি তো পারতাম আজ তনুকে চলে যাওয়ার সময় আটকাতে,তাহলে মন কেন আমাকে বাঁধা দিলো
শিশির উঠে রুম থেকে বেরিয়ে যেতেই মায়ের সাথে ধাক্কা খেলো, মা পানি নিতে এসেছিলো,
মা শিশিরের মুখ দেখে অবাক হয়ে গেলো,কারন ওর চোখে পানি
মা শিশিরের হাত ধরে সোফায় নিয়ে গেলো
মা-কি হয়সে আমাকে বল
শিশির-মা আমি চাইলেও তনুকে ভালোবাসতে পারি না কেন,বারবার ওকে আমি ফিরিয়ে দিই,মেয়েটা কষ্ট পেতে পেতে শেষ হয়ে যাচ্ছে,আমি আর এটা দেখতে পারতেছি না
মা-দেখ তোদের বিয়ের অল্প কদিন হয়েছে,,এমন নয় যে তুই তনুকে আগ থেকেই চিনস,,সময় নিজেকে দে,তনু তোকে চায়,এবার তুই তনুকে চাইতে হলে আগে তোর নিজেকে সময় দিতে হবে,
মা শিশিরের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো,,
শিশির মায়ের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো
সকালে তনু ঘুম থেকে উঠে এসে দেখলো শিশির সোফায় ঘুমাচ্ছে,
তনু নাস্তা বানাতে চলে গেলো,
বুয়া-আপা ঝগড়া হইসে নাকি
তনু কোনো কথা না বলেই কাজ করতেছে,,
চলবে♥
(অনেকেই বলেন যে তনু শুধু বেহায়ার মতন কেন থাকে,,
উত্তর-গল্পের নাম হলো Crush যখন বর,,মানে crush যখন বর হবে তখন নায়িকা বিয়ের আগে যেমন পাগল ছিলো পরেও তেমনই পাগল থাকবে,,আর এটা নয় যে নায়ক খারাপ,,যথেষ্ট ভালো গুন আমি দিয়েছি নায়কের মধ্যে,,,যদি নামের সাথে গল্পের মিলই না হয় তাহলে তো বলবেন গল্পের সাথে গল্পের থিনের মিল নেই,)
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
ক্রাশ যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_32
শিশির উঠে দেখলো তনু কাজ করতেছে,,
শিশির রেডি হয়ে অফিস চলে গেলো,তনু ও আটকালো না,
মা ১০টার দিকে শিশিরকে কল দিলো
শিশির-হুম মা বলো
মা-খেয়েছিস?
শিশির-না,টাইম পাই না
মা-খেয়ে নে,তনুও না খেয়ে আছে
শিশির-ওকে বলে আমি খেয়ে নিচ্ছি
মা-ঠিক আছে,খাস কিন্তু
তনু বারান্দাতে বসে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে,,
সারা বিকাল সেখানে বসেই কাটিয়ে দিলো তনু
সন্ধ্যাই শেষ হয়ে এখন রাত ৮টা বেজে গেসে,বাইরের বাতাসে তনুর এত ঘুম এলো যে খবরই নেই,,
শিশির অফিস থেকে এসে রুমের লাইট জ্বালিয়ে ভিতরে ঢুকলো,,তনুকে খুঁজতে খুঁজতে বারান্দাতে গিয়ে দেখলো সেখানে যে attached টুলটা আছে সেখানে ঘুমিয়ে আছে তনু,,চাঁদের আলোয় শুধু ওর মুখ আর হাত পা দেখা যাচ্ছে,কারন পরনে ছিল কালো শাড়ী
শিশির শার্ট থেকে টাই খুলে খাটে ছুড়ে মারলো,,তনুর পাশে বসে ওর যতটুকু গলা দেখা যায় ততটুকুতে চুমু দিলো
তনু স্পর্শ পেয়ে উঠে গেলো,
অন্ধকারে হঠাৎ এমন স্পর্শ তনুকে ভয় পাইয়ে দিসিলো
তনু-কে
শিশির কিছু না বলে তনুকে কোলে তুলে নিলো,শিশিরের গায়ের ঘ্রানে তনু বুঝলো এটা শিশির,
শিশির চুপচাপ হাঁটতেছে,
তনুকে খাটে নামিয়ে দিয়ে শার্টে হাত দিলো শিশির
তনু-মা আপনাকে কিছু বলসে??বিশ্বাস করুন,আমি মাকে কিছু বলিনি,,,,আমি আপনাকে বলতেছি বাধ্য হয়ে কিছু করবেন না
তনু কথাগুলো ভয় ভয় চোখে বলতেছে,কারন শিশিরের ভঙ্গী তনুর অন্যরকম লাগতেছে
শিশির শার্ট খুলে তনুর দিকে এগিয়ে গেলো,
তনু-মা আমাকে বলছে আপনি নাকি
শিশির মুখে আঙুল দিয়ে তনুর কথাবলা থামালো
শিশির -চুপ
তনুর চোখে অনেক প্রশ্ন,,
শিশির তনুর গায়ের থেকে শাড়ীর আঁচল ফেলে দিলো,
তনুর শুধু মনে হচ্ছে মা শিশিরকে ধমকিয়েছে আর তাই শিশির এমন করতেছে,
শিশির কাঁদের উপরের তিলটাতে আলতো করে কামড় দিলো
তনুর হাত পা কাঁপতেছে
শিশির থেমে তনুর দিকে তাকালো,তনুর চোখ বন্ধ করে আছে দেখে মনে হচ্ছে পর পুরুষ ওর সাথে এমন করতেছে
শিশির-এই মেয়ে শুনো,মা আমাকে কিছু বলেনি,বউকে আমার ভালো লাগসে তাই আমি এমন করতেছি,অন্য কিছু ভাবলে সেটা তোমার দোষ,আমার না,এখন আমাকে disturb করবা না,খায়নি কিছু এখনও,,
তনু-আমি খাবার দিচ্ছি,
তনু আঁচল টেনে গা ঢেকে উঠতে গেলো শিশির টান দিয়ে বিছানায় চেপে ধরলো
শিশির-বহুত পালাইসো,পালাইয়া আমার দোষ দিসো,আজ তোমাকে পালাতে দিচ্ছি না
শিশির তনুর হাত আর ছাড়লো না,,
তনুকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ঠিক তেমন করে যেমনটা তনু শুরু থেকে চেয়ে এসেছিলো,খুশিতে তনুর চোখ থেকে পানি বেয়ে পড়লো,
ফোন আসলো,শিশির রিসিভ করলো না কারন সে এখন তনুকে ভালোবাসতে ব্যস্ত,,
তনুর শাড়ীতে হাত দিতেই তনু দুহাত দিয়ে চোখ বুঝে ফেললো,,
শিশির মুচকি হেসে শাড়ী নিজের হাতে নিয়ে আনলো,
শিশির-এখনই এত লজ্জা?
তনু-??
তনুর গা এখনও কাঁপতেছে,সয্য করতে না পেরে উঠে বসলো তনু,,
শিশির-কি হয়সে আবার
তনু-আমার লজ্জা করে
শিশির-তো,কি করতাম তাহলে
তনু-?কিছু করতে বলি নাই আমি
শিশির-তাহলে,এখন কি হবে?
তনু-আরে ধুর,এটা বলা লাগে, কচু,
শিশির-ওহ আচ্ছা,তার মানে লজ্জা লাগুক না লাগুক বলতে হবে এটা
তনু-হুম
শিশির-তা কে বললে এটা?
তনু-আম্মু বলসে বলতে
শিশির-ওহ আচ্ছা,তো আপনার কি সত্যি লজ্জা লাগসে নাকি হুদাই শিখানো কথা বললেন
তনু-না মানে আসলে
শিশির তনুর ব্লাউজের ফিতা এক টান দিতেই তনু চিৎকার দিয়ে বললো সত্যি লজ্জা পেয়েছি
শিশির জিভে কামড় দিয়ে তনুর মুখ চেপে ধরে ওকে বিছানায় চেপে ধরলো
শিশির-আরে এত জোরে বলা লাগে,মা বাবা কি বলবে?
তনু-ওহ সরি
শিশির উঠে গিয়ে রুমের লাইট অফ করে ফিরে আসলো,
(তারপর কি হয়সে তোমরা তো জানোই,আমি কমু না,আমার নিজেরই এখন শরম করতেছে?)
১১টা বাজে,,
তনু ঘুমাচ্ছে,,
শিশির খুধায় শেষ,ওর চোখে ঘুম নেই,তাই উঠে গিয়ে মাকে বলে খেতে বসলো,
মা-কিরে তনু কই ওর শরীর খারাপ নাকি
শিশির-না,,আসবে এখনই
তনু চুড়ির খোঁচায় জেগে গেলো,
উঠে বসতেই ১১টা বাজে দেখে তাড়াতাড়ি করে শাড়ী খুঁজে পরে বেরিয়ে আসলো,,
মা খাবার খাচ্ছে,শিশির খাবার মুখে দিয়ে তনুর দিকে তাকিয়ে ওর গলায় খাবার আটকে গেলো,কারন তনু ব্লাউজ ছাড়ায় শাড়ী পরে এসেছে
মা-কিরে শিশির কি হয়সে,পানি খা
মা তনুর দিকে তাকিয়ে হেসে দিলো,
তনু-কি হয়সে মা
শিশির-রুমে যাও
তনু-কেন যাব
শিশির উঠে হাত ধরে নিয়ে গেলো,নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড় করালে
তনু-এই রে ইস,আমি একদম খেয়াল করিনি,সরি
শিশির-শয়তান মাইয়া,মা এখন হাসতেছে,মুখ দেখাব কি করে আমি,
শিশির চোখ রাঙিয়ে চলে গেলো
তনু-বাহ বেশ লাগতেছে আমাকে,চাকমা মেয়েদের মত,
তনু শাড়ীটা আরেকটু উঁচু করে পড়লো আর পেঁচিয়ে নিলো চাকমা মেয়েদের মত,
শিশির খাবার শেষ করে এসে দেখলো তনু একটা গোলাপ নিয়ে কানে গুজছে,তনুর পোশাক দেখে শিশির কিছুক্ষন হা হয়ে তাকিয়ে রইলো
তনু-কেমন লাগতেছে??
শিশির-আমি জ্ঞান হারাবো
তনু-??
শিশির তনুকে কোলে তুলে বারান্দায় নিয়ে গিয়ে নিজের কোলে বসালো,
তনুর কানের ফুলের ঘ্রান আর তনুর গায়ের ঘ্রান যেন এক নেশা সৃষ্টি করতেছে,শিশির তনুর ঘাড়ে নাক রেখে সেই ঘ্রান নিচ্ছে
তনু-?????????
শিশির-কি ম্যাডাম এত হাসার কি আছে?
তনু-কাতুকুতু লাগতেছে,নাক সরান না প্লিস
শিশির-ও তোমার এই জায়গায় কাতুকুতু আছে বুঝি
তনু-হ্যাঁ অনেক
শিশির শয়তানি হাসি দিয়ে তনুর ঘাড়ে হাত দিয়ে কাতুকুতু দিতে থাকলো,তনু চিল্লাইতে চিল্লাইতে উঠে গেলো,কিন্তু শিশির থামতেছে না দেখে দৌড় দিলো,আর বাইরের কার্পেটের সাথে পা পেছিয়ে দুম করে নিচে পড়ে গেলো তনু,শাড়ীর পেঁচ ও খুলে গেলো,
তনু চোখ মুখ শাড়ীর আঁচল দিয়ে লুকিয়ে ফেললো
শিশির-কি?দৌড়াও আরও
তনু-নাহ
শিশির-কেন??দৌড়াও আমি দেখি
তনু-দেখতে হবে না
শিশির তনুর পাশে বসে তনুর দিকে তাকিয়ে আছে
তনু-প্লিস আরেকদিকে তাকান,আমি শাড়ী ঠিক করবো
শিশির-কেন তাকাব
তনু-তাকান না,একটা জিনিস দিব তাহলে
শিশির -ওকে
শিশির আরেকদিকে তাকালো,তনু শাড়ী ঠিক করে উঠে গিয়ে রান্নাঘর থেকে মুড়ি এক মুঠো আনলো
তনু-দেখি চোখ বন্ধ করেন,,জিনিসটা দিব,আর হাত পাতেন?
শিশির তো খুশি হয়ে হাত পাতলো
তনু মুড়ি গুলো শিশিরের হাতে দিয়ে এক দৌড়ে পালালো
শিশির চোখ খুলে রেগে গেলো
শিশির-শয়তান মাইয়া,রুমে আসো তোমার খবর আছে
তনু গিয়ে মায়ের কাছে চলে গেলো
মা-নে মা অনেক গল্প করলাম এবার তুই যা ঘুমা
তনু-তুমি ঘুমাবা,আচ্ছা
তনু ভয়ে ভয়ে উঁকি মেরে দেখলো কাঁথা মুড়ি দিয়ে শিশির ঘুমাচ্ছে
তনু রুমে ঢুকতেই কেউ দরজা টা লাগিয়ে দিলো
তনু চোখ বড়বড় করে পিছনে তাকালো
তনু-আপনি,তাহলে বিছানায় কে
শিশির-আমার 1st wife,কোলবালিশ??তোমার আইডিয়া কাজে লাগালাম
তনু পিছিয়ে যাওয়া ধরতেই শিশির হাত ধরে ফেললো,
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
ক্রাশ যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_33
শিশির-আমাকে তো মুড়ি খাওয়ালেন
তনু-হ্যাঁ তো
শিশির-তো কি আর,
তনু-এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন হুম?
শিশির-নাহ দেখতেছি,
তনু-কি দেখেন??
শিশির-গোলাপ গাছে আরেকটা গোলাপ ফুটেছে
শিশির আরেকদিকে তাকিয়ে চলে গেলে
তনু ব্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে,
তনু-(আমি ভাবলাম আমার দিকে তাকিয়ে দেখতেছে,)
শিশির -একি আরেকটা গোলাপ যেন কই,ও হ্যাঁ তনুর কাছে,,
তনু তাড়াতাড়ি কানের থেকে ফুল নিয়ে শিশিরকে এগিয়ে দিলো
শিশির-খুললে কেন?
তনু-এমনি,নিন
শিশির ফুলটি নিয়ে dressing table থেকে একটা ক্লিপ এনে তনুর কাছে এসে ওর চুলের সিতি বরাবর টিকলির মতন আটকিয়ে দিলো,
শিশির-নাইস
তনু-আর কিছু না?
শিশির-মারকাটারি ফিগার
তনু-??
শিশির-?
শিশিরের ফোন আবার বাজলো,শিশির গিয়ে ফোন হাতে নিলো,,নাতাশার ফোন,উফ!
শিশির number blk করে দিলো,
তনু শিশিরকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো
তনু-কে?
শিশির-নাতাশার ফোন
তনু-মেয়েটা এমন করে কেন
শিশির-জানি না,বাদ দাও
শিশির তনুকে কোলে তুলে বিছানায় নিয়ে গেলো,ওর ঠোঁট হাত দিয়ে স্পর্শ করে সেখানে চুমু দিলো,♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥
পরেরদিন সকাল♥
শিশির তাড়াতাড়ি করে উঠে রেডি হয়ে অফিস চলে গেলো,কারন অনেক কাজ পড়ে আছে,
শিশির অফিসে আসতেই দেখলো নাতাশা বসে আছে ওয়েটিং রুমে,
শিশির-সমস্যা কি তোমার
নাতাশা-তুমি আমাকে মিথ্যা বলসো কেন?তোমার তো এইডস না
শিশির-whatever!!বেরিয়ে যাও এখান থেকে
নাতাশা-চলো রুমডেট করি
শিশির-মাথা ঠিক আছে তোমার??
নাতাশা-ওহ আমাকে আর লাগবে না তোমার
নাতাশা শিশিরের কলার টেনে ধরলো,
শিশির-ছাড়ো,রহিম চাচা, রহিম চাচা!!
রহিম -জী সাহেব
শিশির-ওকে বের করো
নাতাশা-খবরদার,বেরিয়ে যাও, আমি শিশিরের সাথে কথা বলবো,
নাতাশা শিশিরের দিকে এগিয়ে ওকে চুমু খেতে যেতেই একটা হাত ওকে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো,এমন জোরে যে নাতাশা গিয়ে নিচে পড়লো
হাতটা শিশিরের না,
তনুর
তনু-চুমু দিবি?এত সাহস??
তনু টেবিল থেকে পানি নিয়ে নাতাশার গায়ে ছুড়ে মারলো,
পায়ের থেকে জুতা নিলো
তনু-বের হবি নাকি জুতা পেটা করবো?
নাতাশা-how dare you?
তনু-how dare you???
শিশির-তুমি কখন এলে
তনু-কিছুক্ষন আগেই,আমি জানতাম আজ ও আপনার সাথে মিট করার চেষ্টা করবে,আর আমার সন্দেহ ঠিক ছিলো
নাতাশা উঠে তনুকে ধাক্কা দেওয়া ধরলো শিশির হাত ধরে ফেললো,হাত ছুড়ে মেরে একটা stuff কে ইশারা করলো,সে এসে নাতাশাকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো,
শিশির-উফ কি ঝামেলা
তনু-সব আপনার জন্য
শিশির-আমি কি করলাম
তনু-সেদিন ওর বাসায় গিয়ে নাটক না করলে এমন হতো না,test মারাইতে গেসে,
শিশির – ?
তনু -হুহ
তনু গিয়ে শিশিরের চেয়ারে বসলো
তনু-এই মিঃ যাও আমার জন্য কফি নিয়ে আসো
শিশির-ওকে ম্যাম,,টিপু টিপু!!
তনু-তোমাকে বলসি আনতে,বড় পদের লোকদের এভাবে আপ্যায়ন করো বুঝি?
শিশির-সরি ম্যাম,আমি আনতেছি,,
টিপু কফি বানিয়ে শিশিরের হাতে দিলো,, শিশির কফি নিয়ে এসে টেবিলে রাখলো,তনু ধরতে যেতেই মগটা নিয়ে নিলো শিশির
শিশির-তো আপনার পদকি জানতে পারি?
তনু-আমি এই অফিসের মালিকের বউ
শিশির-সব যখন আমি করলাম,খাইয়েও আমি দিব,
শিশির তনুকে উঁচু করে তুলে টেবিলে বসিয়ে দিলো
তনু-লাগবে না লাগবে না,আমি নিজেই খেয়ে নিব
শিশির-তা হচ্ছে না,আপ্যায়ন করতে দিন
শিশির তনুর কোমড় চেপে ধরে কফি মুখের কাছে ধরলো,কাতুকুতুতে তনু মরে যাচ্ছে,অনেক কষ্টে এক চুমুক দিলো,,শিশিরের হাত এবার তনুর ব্লাউজের ফিতার দিকে গেলো
তনু-হয়সে হয়সে,এমন আপ্যায়ন আমার লাগবে না,আমি যাই
শিশির-কোনো কমতি হলো নাকি
শিশির তনুর হাত টেনে বুকের সাথে মিশিয়ে ফেললো তনুকে,
তনু-নাহ কমতি হয়নি,বাসায় যাব?
শিশির-আমি যখন চাইব তখন,
তনু মুখ গোমড়া করে সোফায় বসে আছে,শিশির কাজ করতেছে,,
তনু হঠাৎ ফোন নিয়ে acting করতে করতে বললো,হ্যাঁ মা আসতেছি,
তনু-মা কল দিসে,বাই
শিশির-না,
তনু-মা বললো তো
শিশির-মা বাবাকে নিয়ে ফুফুর বাসায় গেসে,আমাকে বলসে,হুদাই drama করে এখান থেকে পালাতে পারবা না,তোমাকে নিয়ে এক জায়গায় যাব
তনু-কই???
শিশির-তা নিজেই দেখতে পাবে
শিশির কাজ শেষ করে তনুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো,,
তনুর চোখ বেঁধে দিয়েছে শিশির
তনু-কোথায় যাচ্ছি আমরা
শিশির-গেলেই দেখবেন
তনুর হাত ধরে বের হলো শিশির,আস্তে আস্তে ওকে নিয়ে যাচ্ছে,,একটা বাসায় ঢুকলো তনুর মনে হচ্ছে,,
শিশির রুমে এসে তনুর ঘাড়ের উপর থেকে চুল সরিয়ে চুমু দিলো,,
তনু-কোথায় আমরা
শিশির তনুর চোখের থেকে কাপড়টা খুলে ফেলবো,,
তনু-আরে এটা তো আমাদের রুম,,এভাবে সাজালেন কখন,,
শিশির-রহিমকে পাঠিয়ে করসি এসব,
পুরো রুম গোলাপ ফুল আর বেলি দিয়ে সাজানো,,
তনু তো পাগল হয়ে যাবে,খাটে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে লিখা তনু♥শিশির,,
শিশির-আজ আমাদের বিয়ের ২মাস পূর্ন হলো
তনু-ইস আমার একদম মনে ছিলো না?
শিশির-জী,,নেন,কেক কেটে আমাকে উদ্ধার করেন
তনু-মা বাবা কই
শিশির-উনারা আগামী ২দিন আসবে না,ফুফুর বাসায় থাকবে
তনু-ওহ
তনু কেক কেটে শিশিরের সারা গালে লাগিয়ে এক দৌড় মারলো
শিশির -আজ তোমার খবর আছে,
শিশির রুম থেকে বেরিয়ে দেখলো কোথাও তনু নেই মানে লুকিয়ে গেসে,,
শিশির-তনু ভালই ভালই চলে আসো নইলো আমি ধরলে খবর আছে
তনু-কচু করবা
ইস এটা কেন বললাম ধুর?
শিশির-হাহাহা,বোকা
শিশির সোফার পেছনে গেলো নাহ নেই,অল্প সময়ে লুকালো কেমনে,,
শিশির হাতের ঘড়ির কাঁচে তনুকে দেখতে পেলো,,
ব্যস এক টান দিয়ে ধরে ফেললো
তনু-প্লিস ছাড়ুন,?
শিশির-?
শিশির তনুকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরলো,,
তনু-ঐ যে বুয়া
শিশির পিছনে তাকাতেই তনু আরেক দৌড় মারলো
রুমে এসে দরজা লাগাতে যাবে দেখলো শিশির এসে গেসে,তাই পিছিয়ে বাথরুমে গিয়ে দরজা লাগাতে যাবে শিশির আটকিয়ে নিজে ঢুকে গেলো,দরজাটা ভালো করে লাগিয়ে দিলো
শিশির-তনু এবার কই পালাবা??
তনু-এ্যা আম্মুউউউউ????
শিশির তনুর হাত দুটো শক্ত করে চেপে ধরলো,,তনুর গালে ঘষে নিজের গালের কেক লাগিয়ে দিলো,,
তনু হাত নড়াচ্ছে শুধু
শিশির হেসে দিয়ে ঝর্না ছেড়ে দিলো
দুজনেই চুপচাপ ভিজতেছে
তনু-একটা কথা বলবো
শিশির-বলো
তনু-আমি এখন বেবি চাই না
শিশির-হুম আমিও,কারন তুমি এখনও ছোট,তোমার পক্ষে এত কিছু সামলানো সম্ভব হবে না
তনু-আর মা?
শিশির-মাকে আমি বুঝিয়ে দিব
তনু শিশিরকে জড়িয়ে ধরলো
তনু-আমাকে বুঝবেন জানতাম আমি
শিশির-জী,,তো চলেন, নইলে জ্বর এসে যাবে,
শিশির ঝর্না অফ করে দিলো,,
তনু মন খারাপ করে ফেললো,এতক্ষন ভালই লাগতেছিলো
তনু বের হয়ে দাঁড়িয়ে গেলো,গায়ে দুজনেরই ভিজা কাপড়
তনু শিশিরের দিকে তাকিয়ে আছে,শিশির নিজের জামা নিতেছে পরার জন্য
তনু-আচ্ছা এখন যদি আমার জায়গায় নাতাশা থাকতো,ভিজা কাপড়ে,সেম পরিস্থিতিতে কি ও আপনি এমন করতেন?
শিশির থমকে গেলো তনুর কথায়,,কি বললে?
তনু-কিছু না
তনু নিজের জামা নিয়ে বাথরুমে যেতে নিলো শিশির পথ আটকালো
শিশির-তোমার মতে আমি তোমাকে আদর করতে কমতি দেখাচ্ছি?
চলবে♥