ক্যাকটাস? পর্ব ১৬

0
2006

ক্যাকটাস?
পর্ব ১৬
Writer Taniya Sheikh-Tanishq

মেহেরের ঠোঁটে অকারনের হাসি, ধারাপাতের জলে মুখশ্রীর বধূসাজ মলিন। সে চেয়ে আছে রাফসানের অশ্রুবিসর্জিত চোখ,মুখে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে৷ তাতে চোখের জল তার আরও বাড়ছে । নিয়তি এমন কেন হয়? যাকে আমরা চাই সে অন্য কাউকে চায়। কেন সব জেনেও নিজ হস্তে দুঃখকে বুকের মাঝে আঁকড়ে ধরি আমরা। ভাবি এই তো ভালোবাসা! এই তো ভালোবাসা! না হোক পাওয়া তবুও সেই আমার চাওয়া। পরম আকাঙ্ক্ষিত চাওয়া।

ওয়েটিং রুমের বাহিরে অপেক্ষমান দু’বাড়ির লোক। সবার মধ্যে চাপা উত্তেজনা। রাহেলাকে ধরে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে টুসি। বিধ্বস্ত অবস্থা রাহেলার মুখের। গোল্ডেন শেরওয়ানি পড়া শোয়েবকে চোখের কোনা দিয়ে দেখছেন তিনি। তাতেই তার পরাণ ছটফট করছে। ইতোমধ্যে যা শোনার শুনেছে রাহেলা বানু। বুক চাপড়ে কাঁদতে পারলে শান্তি পেতেন বোধ করছেন। ছেলের উপর প্রচন্ড রাগ হচ্ছে তার। এ কারনেই বুঝি চুপ করে ছিল এতোক্ষণ রাফসান! রাহেলা বুকের উপর এক হাত নিয়ে শব্দ করে শ্বাস ছাড়েন। টুসি ভীত নজরে রাহেলার মুখের দিকে একবার তো বন্ধ দরজার দিকে আরেকবার তাকাচ্ছে। অদূরে দাঁড়ানো শারমিনের পেছনে একপ্রকার নিজেকে আড়াল করে রেখেছে নীরা। রাহেলা অথবা রাফসানের বাড়ির লোকের মুখোমুখি হতে ইচ্ছুক নয় সে।

মেহেরের মা এগিয়ে আসে শোয়েবের পাশে। মেয়ের চিন্তায় মুখটা বিমর্ষ তার। ভাগ্যিস! বুদ্ধি করে তেমন কাউকে জানানো হয়নি এনগেজমেন্টে। যে’কজন এই মুহূর্তে উপস্থিত সবই অতি নিকটতম আত্মীয়। এরা শোয়েবের বিষয়ে আগে থেকেই অবগত আছে। শোয়েব কে জ্বামাতা হিসেবে মানতে, তাদের মধ্যে সামান্যতম বিরোধ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মেহেরের মায়েরও শোয়েবকে অপছন্দ নয়। রাফসান মেহেরের পছন্দ ছিল কিন্তু শোয়েব ছিল তাদের পছন্দের। সেই পছন্দ এমন অসময়ে ফিরে আসাতে কিছুটা নাখোশ হলেও মেনে নিলেন তিনি। শোয়েবকে টেনে নিয়ে এলেন জনশূন্য এককোনে। শ্বাশুড়ির সাথে পূর্বে ভালো সম্পর্ক ছিল শোয়েবের। শ্বাশুড়িকে সালাম দিতেই মেহেরের মা একপ্রস্ত হাসে। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন,

” আমার মেয়েটাকে নিয়ে এভাবে বিয়ে করলে কেন? কষ্ট পেয়েছি কিন্তু বাবা।”

” মাফ করবেন আম্মু। আসলে,,,”

” হয়েছে! আর কিছু বলতে হবে না। তোমার বাড়ির লোক জানেন এ বিষয়ে?”

” জি! বিয়েটা আমাদের বাড়িতেই হয়েছে। মামা- মায়ের সামনে।”

মেহেরের মা বিস্ময়ে হা করে ঠোঁটে হাত রাখে।

” বলো কী? তোমরা হঠাৎ এমন করলে কেন বলো তো? এদিকে হাসপাতালের সবাই এই নিয়ে ফিসুরফাসুর করছে। তোমার শ্বশুর অসুস্থ মানুষ আরও অসুস্থ হয়ে গেছেন মেয়ের খবর না পেয়ে৷ তারউপর রাফসানের পরিবারের সামনে কী মান থাকলো আমাদের বলো? এমনটা না করলেই কী হতো না তোমাদের?”

” আম্মু স্যরি বাট উপায় ছিল না। মেহেরকে তো চেনেনই। আমাকে বললো হয় বিয়ে করেন, নয়ত কোনোদিন আমার সম্মুখে আসবেন না। আপনি তো সবই জানেন। মেহেরকে স্ত্রী হিসেবে পাবার ইচ্ছা আমি এতোবছরেও ভুলতে পারিনি। আজ যখন মেহের নিজে থেকে চাইলো। মানছি অন্যায় হয়েছে আমাদের। শাস্তির জন্য তৈরি আমি আম্মু। ”

” শাস্তি তো দেবই। সারাজীবন মেহেরকে দিয়ে।” মেহেরের মা অশ্রুসজল চোখে হাসেন। শোয়েব নত মুখে হাসে। মেহেরের মা শোয়েবের মাথায় হাত রেখে বলে,

” আমার পাগলীটাকে সামলে রেখো বাবা। আমি এবং মেহেরের বাবা মনেপ্রাণে চেয়েছিলাম তোমাকে জ্বামাতা হিসেবে। আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করেছেন। তোমাকে নতুন করে কিছুই বলার নেই। সবই জানো ওর সম্পর্কে তুমি। তবুও ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করে দিও মেয়েটাকে৷”

” আম্মু আপনি নিশ্চিত থাকুন। দোয়া করবেন আমাদের জন্য। যাকে এতো সাধনায় পেলাম তার চোখে জল আনব না কোনদিনই। এইটুকু বিশ্বাস এই ছেলের উপর রাখতে পারেন আপনি। ” শ্বাশুড়ি হাতটা নিজ হাতে নিয়ে বলে শোয়েব

” হুমম! আল্লাহ তোমাদের কল্যাণ করুন। আচ্ছা ও ভেতরে করছে টা কী?”

” আম্মু ওটা তো আমি বলতে পারব না।” শোয়েব মুচকি হাসে

” বুঝেছি। বউয়ের সাপোর্ট এক্ষুণি শুরু? বের হোক ঐটা! পাগলামো ছুটাচ্ছি ওর। এখন রাফসানের পরিবারকে সামলাব কী করে সেটা বলো?”

” আপনাকে এতোকিছু নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আপনি চলুন আমার সাথে উপরে।”

” কোথায়?”

” আব্বুর কাছে। চলুন!”

শোয়েব শ্বাশুড়ির হাত ধরে উপরে চলে যায়। রাহেলা সহ উপস্থিত সবাই শুনলো শোয়েবের কথা। মাহাদি সহ মেহেরের দু’একজন আত্মীয় স্বজন যারা উপস্থিত ছিল তারাও উপরে চলে গেল। নিচে এমুহূর্তে দাঁড়ানো রাহেলা, টুসি, রাফসানের মামা, চাচা, শারমিন এবং নীরা। রাফসানের চাচা, মামা সব বুঝে রাহেলাকে উদ্দেশ্যে করে “আসি” বলে মাথা নিচু করে হাসপাতালের বাইরে চলে যান। রাহেলা কাঁদো কাঁদো চোখে এদিক ওদিক তাকাতেই নীরাকে দেখে। বিষন্ন চোখদুটো এক লহমায় জ্বলে ওঠে। দাঁতে দাঁত পিষে তাকিয়ে থাকেন নীরার চুপসে যাওয়া মুখটা দেখে।নীরা সে নজর এড়িয়ে পাশের দেয়ালের আড়ালে দাঁড়ায়। শারমিন ভ্রুকুটি করে বোনের দিকে তাকিয়ে পরক্ষনেই দৃষ্টি ঘুরিয়ে তাকায় রাহেলার দিকে। রাহেলা চোখ, মুখ কঠিন করে দৃষ্টি সরিয়ে নেয় ওদের থেকে৷

ওয়েটিং রুমের সোফায় পাশাপাশি বসে আছে রাফসান এবং মেহের। রাফসান ঝুঁকে হাঁটুতে বাহু ঠেকিয়ে করতলে মুখ ঢেকে বললো,

“তুমি বাইরে যাও মেহের!”

” কেন?”

” সবাই হয়ত এতোক্ষনে সব জেনে গেছে। এভাবে এখানে দেখলে খারাপ ভাববে। তাছাড়া শোয়েব ই বা কী ভাববে?”

” শোয়েব সব জানে। নতুন করে ভাবার কিছুই নেই ওর।”

” সব জানে মানে?” মুখ থেকে হাত সরিয়ে ঘাড় বাকিয়ে শুধায় রাফসান।

” সব জানে মানে সব জানে।” মেহেরের তেজ দীপ্ত কন্ঠস্বর। রাফসান কিছুক্ষণ চুপ থেকে কাঁপা স্বরে বলে,

” খুব ভালোবাসে বুঝি তোমাকে ?”

” হুমম! তোমারই মতো।”

“আমার মতো মানে?” ভ্রুকুটি করে রাফসান

” তুমি যেমন তোমার ক্যাকটাসকে ভালোবেসে ক্ষত বিক্ষত হচ্ছ। একসময় সেও আমাকে ভালোবেসে ক্ষত বিক্ষত হয়েছে। তার জীবনের ক্যাকটাস আমি।” মেহের হাসল দৃষ্টি অবনত করে। রাফসান স্থির দৃষ্টিতে দেখছে মেহেরকে। অসহনীয় ব্যথা হচ্ছে মেহেরের মুখটা দেখে রাফসানের। মানুষ জীবনের কোন এক মোড়ে হঠাৎই অসহায় হয়ে যায়। তখন দেখা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। আনন্দের সব পথ রুদ্ধ মনে হয়। না নিজেকে সুখী প্রমাণিত করতে পারে, না আশেপাশের মানুষগুলোকে। মেহের রাফসানের মুখের দিকে তাকিয়ে পুনরায় বলে,

” আমি তোমাকে পেলাম না রাফসান। ভালোবাসায় ব্যর্থ আমি। সময়ের কথা সময়ে বলা উচিত ছিল। অসময় হতে দেরি লাগে না। আমার সময়, অসময় হয়ে গেছে। আমার কী মনে হচ্ছে জানো রাফসান? মনে হচ্ছে আমার জীবনটাই পানসে হয়ে গেল,নিরর্থক হয়ে গেল। তুমিহীন আমাকে আমি কল্পনা করতে পারছি না। মরে গেছি একপ্রকার।” মেহের ঢোক গিলে কান্না থামায়। চোখ মুছে ফের বলে,

” তবুও আজ থেকে শোয়েবের জন্য বেঁচে রবো। আমি যা হারিয়েছি তাকে তা হারাতে দিতে চাই না। হারানোর কষ্ট খুব জানো তো? তোমার মনে অন্য কেউ জানামাত্রই মন বিষিয়ে উঠল আমার। যা আমার তাতে অন্যের নাম কেন খোদাই থাকবে বলো? আমি মানতে পারব না কোনোদিন। তাইতো যার মনে আমি খোদিত তারই হলাম।” মেহের অবনত মাথায় নাক টেনে হাসল।

” তুমি যা মানতে পারবে না সেটা শোয়েবকে মানাতে বাধ্য করছ? আমি তোমাকে মিথ্যা মরিচিকার মধ্যে রাখতে চাইনি কিন্তু তুমি তো শোয়েবের সাথে ধোঁকা করছ মেহের।” রাফসান ভরাট স্বরে নিচে তাকিয়ে বললো

” ধোঁকা! হ্যাঁ করছি। অনেকেই তো করে। তোমার কী ধারণা সবাই ভালোবাসা পায় জীবনে? আমার মতোও অনেকে হয় বুঝলে। যারা মনের কোনে ভালোবাসা চাপা দিয়ে অনায়াসে স্বামী সংসার করে। একসময় স্বামীই তার সর্বেসর্বা হয়ে যায়। সেই ভালোবাসা ধূসর স্মৃতিতে পরিনত হয় সময় পরিক্রমায়। আমারও এমন হবে দেখো। তুমি স্মৃতি হয়ে যাবে। তোমার স্থানে নয় তারচেয়েও উপরে একদিন শোয়েব থাকবে। তুমি কেবলই রবে স্মৃতি হয়ে। কেবলই স্মৃতি। ব্যথাতুর স্মৃতি!” মেহের রাফসানের দিকে তাকিয়ে অঝোরে চোখের জল ফেলে। রাফসানের দমবন্ধ হয়ে আসছে। তীর হয়ে বিঁধছে বুকে মেহেরের কথাগুলো।

” তুমি যাও মেহের!” রাফসান হাঁটুর কাছে মুখ ঝুঁকিয়ে দু’হাতে চুল মুঠ করে বললো

” হুমম!” মেহের উঠে দাঁড়ায়। দরজার কাছে গিয়ে ঘুরে দাড়িয়ে রাফসানকে দেখে। এই শেষ! এই শেষ তাকে এভাবে দেখা। এরপর আর দেখবে না সে। তার পৃথিবী এখন শোয়েব নামক সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরবে। যা সত্য তা হচ্ছে শোয়েব। বাকিসব পাপ! মেহের চোখ মোছে। ঢোক গিলে মৃদু হেঁসে বলে,

” তাকে ছাড়া বাঁচতে পারবে?”

” পারব! ” রাফসান কঠিন স্বরে বলে

” মিথ্যা বলছ তুমি। তোমাকে দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মৃতপ্রায় মানুষ হয়ে যাচ্ছ ক্রমশ। কিসের বাঁধা তাকে বলতে?” জোর গলায় বলে মেহের

” আমিই আমার ভালোবাসায় বাঁধা।তোমাদের বোঝাতে পারব না আমি। তোমরাও বুঝবে না। আর প্রশ্ন করো না মেহের। প্লীজ!” রাফসান উঠে জানালার কাছে দাঁড়ায়। ধেয়ে আসা মুক্ত বাতাস চোখ বন্ধ করে উপলব্ধি করছে সে। মেহের একপলক তাকিয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে আসে। বাইরে আসতেই রাহেলার সম্মুখীন হয় মেহের।ও’পাশে শারমিন, নীরার কৌতূহলী দৃষ্টি। রাহেলা রাগে মুখ ফিরিয়ে নেয়। মেহের এক চিলতে হেঁসে গটগট করে হেঁটে চলে যায় উপরে । শারমিন এবং নীরাও মেহেরকে অনুসরণ করে।

হাসপাতালের বারান্দার এই অংশ এখন প্রায় জনশূন্য। দু’একজন আসা যাওয়া করছে এদিক ওদিক থেকে৷ রাহেলা টুসির হাত ঝটকা মেরে কাঁধের উপর থেকে সরিয়ে ওয়েটিং রুমের ভেতরে চলে আসে। মা’কে অনুসরণ করে ভীত সন্ত্রস্ত টুসি। রাফসান তখনও দু’হাত বগলদাবা করে জানালার পাশে একপেশে হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।

” শান্তি এবার তোর?” উঁচু গলায় বলেন রাহেলা

রাফসান নিশ্চুপ। ছেলের জবাব না পেয়ে তড়িৎ বেগে ছুটে যায় রাহেলা। মাথার ওড়না ছিটকে পড়ে কাঁধে। রাফসানের হাত ধরে টেনে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বলে,

” কথা বলছিস না কেন? অপমান করে শান্তি পেয়েছিস খুব? আমার কোনো মূল্যই কী তোর জীবনে নেই? কথা বল? ” রাহেলা কথা বলতে বলতেই সমর্থ ছেলের গালে এলোপাথাড়ি চড় কষেন। রাফসান চুপচাপ দাঁড়িয়ে হজম করে নেয়। একটু দূরে দাঁড়ানো টুসি তৎক্ষণাৎ দরজা লাগিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে,” মা তুমি কী করছ? কী হয়েছে তোমার? ভাইয়া কথা বলছ না কেন? মা থামো!”

” আমার আজ নিজের উপরই রাগ হচ্ছে। নিজের রক্ত পানি করে তোকে এতোবড় কেন করলাম? কেন রাস্তায় ছেড়ে দিলাম না? আমাকে কী দিলি তুই? বল কী দিলি? কথা দিয়েও কথা রাখলি না? মিথ্যাবাদী পেটে ধরেছিলাম আমি। কুসন্তান পেটে ধরেছিলাম। আল্লাহ আমার মরণ দাও। মরি আমি! এমন সন্তানের মুখ দেখে বাঁচার চেয়ে মরাই ভালো।” রাহেলা কপাল চাপড়ে বিলাপ করে। রাগের মাথায় তার কোনো হুশজ্ঞান নেই। রাফসান মায়ের পাশ কেটে টুসির সামনে এসে দাঁড়ায়। ভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে টুসি ফুঁপিয়ে কাঁদছে। ফর্সা সুন্দর গালটা হাতের আঘাতে লাল বর্ণ ধারণ করেছে ভাইয়ের। চোখ রক্ত লাল হয়ে আছে। এমন ভাইকে সে কোনোদিন দেখে নি। রাফসান টুসির দিকে না তাকিয়েই গম্ভীরমুখে বললো,

” মা’কে নিয়ে আয়। আমি গাড়ি বের করছি।” কথাটা বলে দরজা খুলে বেরিয়ে গেল রাফসান। টুসি ছুটে গেল মায়ের কাছে। রাহেলা ছেলের যাওয়া পথে তাকিয়ে বিস্মিত চোখে বললো,

” এইডা কে টুসি? এ্যাই টুসি আমার রাফসান কই? এইডা আমার রাফসান তো না। আমার পোলা এমন হইছে ক্যান? এইডা আমার পোলা না। এইডা আমার রাফসান না। রাফসান! বাবু! ও বাবু!” রাহেলা হাত মুষ্টিবদ্ধ করে শূন্যে আছরাতে থাকে। টুসি দু’হাতে মা’কে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। তার ভাইয়ের এমন পরিবর্তন এতোদিন তাদের চোখে পড়েনি। ভাইয়ের নিশ্চুপ হয়ে যাওয়ার কারনও এতোদিন খোঁজে নি কেউ। আজ মনে হচ্ছে ভুল করেছে। বড্ড ভুল করেছে। আমাদের অতিকাছের মানুষের বদলে যাওয়া আমরা সবসময় লক্ষ্য করি না। এভাবেই ধীরে ধীরে কাছের মানুষগুলো বদলে দূরে বহুদূরে হারিয়ে যায় অনেক সময়।

চলবে,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে