কোন কাননের ফুল গো তুমি পর্ব-১৮

0
800

#কোন_কাননের_ফুল_গো_তুমি
#পর্ব_১৮
#মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া
_____
রূপকের প্রশ্নের উত্তর মুখে নেই মিতুলের। কী বলবে সে? সব ছেড়ে, সবাইকে ছেড়ে রূপকের সঙ্গে সে চলে যাবে? আদতে কি এটা সম্ভব? বাবা-মায়ের এত বছরের ভালোবাসা তো আর তার এখনকার ভালোবাসার কাছে তুচ্ছ হতে পারে না। তারচেয়েও বড়ো কথা সে কেনই বা এমন কাজ করবে? তার পরিবার তো রাজি। এমন তো নয় যে তার পরিবার জোর-জবরদস্তি করে অন্য কোথাও বিয়ে দিতে চাচ্ছে। উপরন্তু প্রায় ঠিক হয়ে যাওয়া বিয়েটাও তারা ভেঙে দিচ্ছে শুধুমাত্র মিতুলের সুখের কথা ভেবে।

মিতুলকে নিশ্চুপ ও নিরুত্তর দেখে রূপক ফের প্রশ্ন করল,

“কী হলো মিতুল? পারবে না সব ছেড়ে আমার হাত ধরতে?”

মিতুল নিজের গাল থেকে রূপকের হাত সরিয়ে দিল। প্রত্যাখানে রূপক ও বিস্ময় ও বজ্রাহত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ঐতো চাঁদের আলোতেও তার চোখের কোলে পানি চিকচিক করছে। পরক্ষণেই এক পশলা বৃষ্টির মতো মিতুল ঝাঁপিয়ে পড়ল রূপকের বুকে। হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলল,

“আমি এটা কী করে করব? না আমি আপনাকে ছাড়তে পারব; আর না পারব আমার পরিবারকে ছাড়তে।”

তৃষ্ণার্ত পথিক যেমন বৃষ্টির আগমনে উচ্ছ্বাসিত হয়ে ওঠে, মিতুলের এভাবে জড়িয়ে ধরাটাও রূপকের জন্য তৃষ্ণা নিবারণ ছিল। মিতুলও যে তাকে ভালোবাসে। সে নিজেও মিতুলকে ভীষণ শক্ত করে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরল। মাথায় চুমু খেয়ে বলল,

“কাউকে ছাড়তে হবে না তোমার। আমি ঠিক ঠিক সব ম্যানেজ করে নেব দেখে নিও তুমি।”

“সব কি এতটা সহজ হবে?” ফুঁপিয়ে বলে উঠল মিতুল।

“ভালোবাসার জন্য মানুষ কতকিছুই না করে। আর আমি কঠিন একটা বিষয়কে সহজ করতে পারব না? তুমি কোনো চিন্তা কোরো না। শুধু আমার ওপর ভরসা রাখো আর আমার পাশে থেকো।”

মিতুল উত্তরে আর কিছু বলল না। অনেকক্ষণ দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে থাকল। এরপর রূপক ছেড়ে দিয়ে মিতুলের চোখের পানি মুছে কপালে আলতো করে চুমু খেয়ে বলল,

“বাসায় যাও।”

“আপনি?”

“তুমি যাওয়ার পর যাব।”

মিতুল আর কিছু বলেনি। রূপকের থেকে বিদায় নিয়ে ফ্ল্যাটে চলে এসেছে। সারা রাত দুশ্চিন্তায় ঘুম না এলেও ভোরের দিকে চোখ দুটো লেগে এসেছিল। এর কিছুক্ষণ পরই উঠে আবার ক্লাস। সে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে বেরিয়ে দেখে বাইরে রূপক দাঁড়িয়ে আছে। মিতুলকে দেখেই সে হাসল। হাসি ফুটে উঠল মিতুলের ঠোঁটেও।

দুজনে রিকশায় পাশাপাশি বসে আছে। রূপকের হাতের মুঠোয় মিতুলের এক হাত। মিতুলের এত লজ্জা লাগছিল! তার এখন মনে হচ্ছে, আগের সম্পর্কটাই ভালো ছিল। ঝগড়া করলেও সেখানে লাজলজ্জা, সংকোচ ছিল না। কিন্তু এখন রূপককে দেখলেই তার লজ্জা করে। এতটা লজ্জাবতীও তো সে ছিল না। তাহলে হঠাৎ করে এত লজ্জা আসলো কোত্থেকে?

“কী হয়েছে? তুমি এত লজ্জা পাচ্ছ কেন?”

রূপকের প্রশ্নে মিতুল হকচকিয়ে যায়। তুতলিয়ে বলে,

“ক…কই?”

“তোমার মুখ দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে। গাল দুটো তো একদম লাল করে ফেলেছ লজ্জা পেয়ে।”

সঙ্গে সঙ্গে মিতুল অন্য হাত দিয়ে মুখ ঢাকল। রূপক শব্দ করে হেসে ফেলে। জোর করে মিতুলের মুখের ওপর থেকে হাত সরিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে,

“সব লজ্জা কি এখন পেলেই চলবে? কিছু লজ্জা বিয়ের পরের জন্যও বাঁচিয়ে রাখো।”

এ কথা শুনে মিতুল আরও লজ্জা পেয়ে গেল। দুম করে রূপকের বাহুতে কিল বসিয়ে বলল,

“আপনি খুব খারাপ। খুব বাজে। অসভ্য।”

বকা শুনে রূপকের হাসি আরও প্রশস্ত হলো। ভার্সিটির সামনে আসার পর মিতুল রিকশা থেকে নেমে বলে,

“শুনুন, আপনি আর এই শার্ট পরে বাইরে বের হবেন না।”

রূপক তার শার্টের দিকে তাকাল। ভালো করে দেখল কোথাও কোনো দাগ পড়েছে কিনা। কিন্তু শার্টের কোথাও তো দাগ নেই। বরং একদম টিপটপ। ইস্ত্রি করা শার্ট। সে বিস্ময় নিয়ে বলল,

“কেন?”

“কেন সে কথা তো আপনার জানার দরকার নেই। আমি যা বলেছি আপনার শুনতে হবে। তবে হ্যাঁ, খুব বেশি যদি পরতে ইচ্ছে হয় তাহলে শুধু আমার সামনে পরবেন। আর কারও সামনে নয়।”

এরপর আর রূপককে কিছু বলতে না দিয়েই তার হাত ঘড়িতে সময় দেখল। গম্ভীর হয়ে বলল,

“আমার ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। আসছি।”

উলটোপথে ঘুরে হাঁটার সময় মিতুল হেসে ফেলে। কেন যে এই শার্ট পরতে মিতুল বারণ করেছে এটা কি রূপক বুঝবে? কালো, সাদা আর নীল রঙের শার্ট পরলে যে ছেলেটাকে কী দারুণ লাগে এটা তো মনে হয় সে নিজেও জানে না। মিতুল তো নিজেই চোখ ফেরাতে পারে না। এইযে আজ রূপক ধবধবে সাদা রঙের শার্ট পরেছে। মিতুল যে কতবার আড়চোখে তাকিয়েছে সেটা তো ক্যালকুলেটর দিয়েও হিসাব করে বের করা যাবে না। কতবার তার মনে নিষিদ্ধ ভাবনার উদয় হয়েছে সেটা সে নিজেও জানে না। তার মন, হাত শুধু নিশপিশ করছিল একটাবার জড়িয়ে ধরার জন্য। এই জড়িয়ে ধরার সময়টা হবে সীমাহীন। কোনো ছাড়াছাড়ি নাই। তাহলে মিতুলেরই যদি এই অবস্থা হয়, অন্যদের কথা তো বাদই রইল। মিতুল চায় না তার মতো এমন নেশা অন্য কারও হোক। সে একাই রূপকের নেশায় বুদ হয়ে থাকবে। অন্য কারও নজর পড়তে দেবে না।

“আরে বেয়াইনসাব, এত স্মাইলিং করছ কেন হু? ব্যাপার কী?”

হঠাৎ করে অনিকের আগমনে মিতুলের হাসি বন্ধ হয়ে যায়। আমতা আমতা করে বলে,

“আরে এমনিই!”

“এমনিই? শোনো মিস, তোমার সময়টা আমিও পার করে এসেছি ওকে? কোনটা এমনি হাসি আর কোনটা প্রেমে পড়ার লক্ষণ আমি কিন্তু সেটা বুঝি।”

মিতুল হাঁটা থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। দু’হাত বগলদাবা করে বলল,

“হ্যাঁ, আপনি তো প্রেম বিশেষজ্ঞ। প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে পিএইচডিও করে ফেলেছেন।”

অনিক কাঁধ নাচিয়ে বলল,

“একদম ঠিক।”

“তিশা আপু জানে?”

“কী জানবে?”

“এইযে প্রেম নিয়ে আপনার এত গবেষণা?”

“জানবে না কেন? আমার সব থিসিস তো ওকে নিয়েই।”

মিতুল হাসল। অনিক বলল,

“ওর কথা ছাড়ো। সারাক্ষণ বইয়ে মুখ ডুবিয়ে বসে থাকে! আচ্ছা এখন তোমার এত স্মাইলিং এর কারণ কী শুনি? পাত্র বুঝি পছন্দ হয়ে গেছে?”

“ধ্যাত না!”

“না? তাহলে কী? আমার জানামতে এই হাসি তো প্রেমে পড়ার হাসি।”

“আপনি কি এখন আমার হাসি নিয়ে রিসার্চ করবেন নাকি?”

“প্রয়োজন পড়লে তো করতেই হবে। দশটা না, পাঁচটা না; আমার একমাত্র বেয়াইন।”

“তাহলে রিসার্চ করে দেখুন কী ফলাফল আসে। যদি কোনো রেজাল্ট বের করতে না পারেন তাহলে সময়মতো আমিই বলে দেবো।”

এই বলে চোখ টিপে মিতুল ক্লাসে চলে গেল। অনিক মাথা চুলকিয়ে ভাবতে লাগল আসলে কী ঘটেছে!

আজ পুরোটা সময় ক্লাসে মিতুলের ঠোঁটে মুচকি মুচকি হাসি লেগেই ছিল। যতবার রূপকের কথা মনে পড়ছিল ততবারই হাসি চওড়া হচ্ছিল। বিষয়টা রায়া আর আর্শিও ধরতে পারে। ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করে,

“তোর হয়েছেটা কী?”

মিতুলও ওদের মতো ফিসফিস করে বলল,

“কী হবে?”

“কিছু না হলে এমন মিটমিট করে হাসছিস কেন?” জানতে চাইল রায়া।

“আরে কী আজব! হাসতে নিষেধ আছে নাকি?”

আর্শি বলল,

“হাসতে নিষেধ নেই। কিন্তু তোর হাসি তো সুবিধার না।”

মিতুল চোখ বড়ো বড়ো করে বলল,

“অসুবিধার কী দেখলি?”

“প্রেমে পড়েছিস নাকি?”

“তোরা দেখি সবাই একেকজন বিজ্ঞানী হয়ে যাচ্ছিস। মন নিয়ে গবেষণা করিস নাকি তোরা?”

“কথা ঘোরাবি না। সোজাসোজি উত্তর দে। তুই কি প্রেম করছিস?”

“তোদের কী মনে হয়?”

“আমাদের আবার কী মনে হবে? তুই উত্তর দে।”

“যদি বলি হ্যাঁ?”

এবার রায়া আর আর্শিও আগ্রহী হয়ে ওঠে। আপ্লুত কণ্ঠে বলে,

“সত্যিই? ছেলেটা কে রে? অনিক ভাইয়া নাকি?”

“আরে ধুর! মাথা খারাপ নাকি তোদের? তার গার্লফ্রেন্ড আছে।”

”তাহলে কে?”

“তার নাম রূপক। আমাদের বাড়িওয়ালার ছেলে।”

“আরে বাপ! জায়গামতো কো’প মারছিস। দুই দিন পর তুইও বাড়িওয়ালি হয়ে যাবি।”

“বাজে কথা বলিস না তো।”

“আচ্ছা এসব বাদ। আমাদের সাথে দেখা করাবি না?”

আর্শি বলল,

“আর আমাদের ট্রিট?”

মিতুল বলল,

“দেখা করাব আর ট্রিটও দেবো। এবার খুশি?”

“কিন্তু কবে?”

“এই সপ্তাহেই।”

“ঠিক আছে। অপেক্ষায় রইলাম।”

নওশাদ আজ কলেজে আসেনি। এখনো হয়তো ছুটিতে আছে। তাই তার বদলে ক্লাসটা অন্য এক স্যার নিয়েছে। ছুটির পর কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় রূপকের কল আসে। দুজনের কাছেই এখন দুজনের ফোন নাম্বার আছে, আইডিতে এড আছে। ইচ্ছে হলেই যখন-তখন কথা বলা যায়। রূপকের কল দেখে মিতুল খুশি হয়ে যায়। ফোন রিসিভ করে বলে,

“হ্যালো।”

“হ্যালো মিতুল, তোমার ক্লাস কি শেষ?”

“হ্যাঁ।”

“ছুটি হয়ে গেছে?”

“হুম মাত্রই।”

“তাহলে এক কাজ করো। ঐদিন আমরা যেখানে ফুচকা খেয়েছিলাম ওখানে চলে আসো। চিনবে না?”

“হ্যাঁ।”

“আচ্ছা আসো। আমি এখানেই আছি।”

ফোন রেখে আর্শি ও রায়ার থেকে বিদায় নিয়ে মিতুল রূপকের বলা জায়গাটিতে চলে গেল। দূর থেকেই দেখল রূপক কতগুলো ছোটো ছোটো বাচ্চাদের সাথে বসে আছে। গায়ে ওদের মলিন, ময়লা জামা-কাপড়। কিন্তু একেকজনের মুখের হাসি দেখলেই মন শান্তিতে ভরে যায়। একপাশে অনেকগুলো গোলাপ ফুল ও বেলীফুলের মালা জড়ো করে রাখা আছে। খুব সম্ভবত বাচ্চাগুলো ফুল বিক্রেতা। মিতুল দূর থেকেই কিছুক্ষণ মন ভরে বাচ্চাগুলোর হাসি দেখল। পরক্ষণে তার পূর্ণ দৃষ্টি যখন রূপকের ওপর পড়ল, মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল তার। এখনো সেই সাদা শার্টটাই পরা। বলার পরও চেঞ্জ করেনি। ব’দ লোক একটা!

মিতুল কাছাকাছি যাওয়ার পূর্বেই বাচ্চাগুলো চেয়ারে সিরিয়াল ধরে বসে গেল। ফুচকাওয়ালা মামা প্রত্যেককে এক প্লেট করে ফুচকা দিল। রূপক দোকানদারকে বলছে,

“মামা, আর যা চায় দিয়েন।”

“আচ্ছা মামা।” বলল দোকানদার।

“আর আমার জন্য?”

রূপকের পেছনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল মিতুল। রূপক পেছন ফিরে মিতুলকে দেখে হাসল। বলল,

“তোমার জন্য গিফ্ট আছে।”

এরপর সে মিতুলের হাত ধরে এতক্ষণ যেখানে বসে ছিল সেখানে নিয়ে গেল। বেলীফুলের মালাগুলো মিতুলের দুই হাতে পেঁচিয়ে পরিয়ে দিল। এতগুলা মালা যে তার দুই হাত ভরে গেছে। সেই সাথে বেলীফুলের ঘ্রাণে মো মো করছে। মনে হচ্ছে এখন সে নিজেও একটা বেলীফুল। রূপক এবার গোলাপগুলো মিতুলের হাতে দিয়ে বলল,

“পছন্দ হয়েছে?”

মিতুল গোলাপ ফুলের ঘ্রাণ নিয়ে বলল,

“ভীষণ!”

“আমারও।”

“কী?”

“মানে আমারও ভীষণ পছন্দ হয়েছে।”

“হওয়ারই কথা। যে ব্যক্তি ফুল পছন্দ করে না সে তো নিষ্ঠুর, পাষাণ।”

“রাইট। আমার তো ফুল পছন্দই। বাট কথা বলা ফুলটাকে বেশি পছন্দ।”

মিতুল ভ্রু কুঁচকে বলল,

“কথা বলা ফুল?”

রূপক মিতুলের গাল ধরে বলল,

“ইয়েস, আই লাইক মিতুল ফ্লাওয়ার মোর দ্যান আদার্স ফ্লাওয়ার। গট ইট?”

কমপ্লিমেন্ট শুনে মিতুল ফের লজ্জা পেয়ে গেল। চোখ নামিয়ে বলল,

“ধুর! আমি কি ফুল নাকি?”

“অবশ্যই। তুমি আমার মিতুল ফুল।”

মিতুল লজ্জাটুকু এড়িয়ে যেতে বলল,

“হয়েছে। শুধু ফুল দিলেই হবে? আমি ফুচকা খাব না?”

“খাবে না মানে? তুমি যদি ফুচকা না খাও তাহলে বেচারা ফুচকাগুলো তো না খেয়ে অন্বেষণ করে ম’র’বে।”

“খুব বেশি কথা বলেন আপনি। চলেন।”

মিতুলের রাগ দেখে হাসে রূপক। রাগলে মেয়েটাকে এত সুন্দর লাগে কেন? রাগ করলে কি সব মেয়েকেই এমন সুন্দর লাগে? থাক, সবার কথা ভেবে লাভ নেই। তার নিজের মানুষটাকে রাগলে সুন্দর লাগে এটাই তার জন্য যথেষ্ট। মিতুল এখন বাচ্চাগুলোর সাথে বসে গল্প করছে। তার জন্য ফুচকা বানানো হচ্ছে। এই সময়টুকুতে সে বাচ্চাগুলোর সাথে গল্প করছে, হাসছে, দুষ্টুমি করছে। একদম মিশে গেছে ওদের সাথে। রূপকের অবশ্য প্রথম দেখাতে মিতুলকে একদমই মিশুক মনে হয়নি। কিন্তু চেনার পর, জানার পর অনেক ধারণাই বদলিয়েছে। সময়ের আবর্তন ও বিবর্তনে মনে জন্ম নিয়েছে ভালোবাসা; যাকে এখন আর চোখের আড়ালই করতে ইচ্ছে করে না। এইতো এখন সে মুগ্ধ হয়ে তার ভালোবাসার মানুষটাকে হাসতে দেখছে। পৃথিবীতে এরচেয়ে সুন্দর দৃশ্য কি আর কিছু হয়? ভালোবাসা সত্যিই সুন্দর। যদি মানুষটা সঠিক হয়!

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে