কোন কাননের ফুল গো তুমি পর্ব-১১

0
814

#কোন_কাননের_ফুল_গো_তুমি
#পর্ব_১১
#মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া
________________
টুটুল ও রিনভীর বিয়ের পর মিতুলদের বাড়িতে যেন নতুন করে সুখ ও খুশির ডালা নিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে রিনভী। এত সহজে যে বাড়ির প্রতিটা মানুষের সঙ্গে মিশে যাবে এটা কেউ ভাবেনি। বিশেষ করে টুটুল তো নয়-ই। রিনভীর এটিটিউড একটু অন্যরকম। এরকম বলেই হয়তো টুটুলের রিনভীকে এত বেশিই ভালো লাগে। সকালের নাস্তা রিনভীই বানায়। মমতা বেগম ঘুম থেকে উঠলেও সে জোর করে রুমে পাঠিয়ে দেয়। একা হাতে সংসার সামলানোর এত গুণ মেয়েটার! মমতা বেগম আশা করেননি যে রিনভী এত সংসারী টাইপ হবে। এই যুগের মেয়েরা তো আর সংসার সম্পর্কে এতকিছু ধারণা রাখে না। হয়তো সময় এবং পরিবেশের সাথে সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয় একটা সময়। তখন সংসার সামলানোও শিখে যায় তারা। আজও সকালে তিনি ঘুম থেকে উঠলেন রিনভীকে সাহায্য করার জন্য। রিনভীও বরাবরের মতো দারাজ গলায় বলল,

“এতবার করে বারণ করার পরও কেন আসেন মা? আমার রান্না কি মজা হয় না?”

মমতা বেগম ব্যস্ত হয়ে বললেন,

“দেখো তো মেয়ের কাণ্ড! মজা হবে না কেন? বাড়ির সবাই-ই তো তোমার রান্নার প্রসংশা করে। আমি শুধু তোমাকে সাহায্য করতেই উঠি বিশ্বাস করো।”

“কোনো দরকার নেই। এতদিন আমি ছিলাম না সেটা অন্য হিসাব ছিল। এখন তো আমি আছি। সকালে আপনি আরাম করে ঘুমাবেন। দুপুরে আর রাতে পাশে থাকলেই হবে। যান গিয়ে শুয়ে পড়ুন।”

মমতা বেগম হেসে ফেললেন রিনভীর মেকি রাগ দেখে। তিনি গাল ছুঁয়ে চুমু খেয়ে বললেন,

“পাগলি মেয়ে!”

এরপর চলে এলেন রান্নাঘর থেকে। নিজের রুমে যাওয়ার আগে মিতুলের রুমে উঁকি দিলেন একবার। মিতুল টেবিলে বসে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে পড়ছে। পড়ার প্রতি তার মেয়ের অনাগ্রহ ছোটো থেকেই। তবে ক্লাসে পড়া না পারা কিংবা পরীক্ষায় ফেইল করা এরকম কোনো রেকর্ড মিতুলের নেই। তার মেয়েটা রাগী, জেদি যা-ই হোক না কেন, আত্মসম্মানবোধ প্রবল এবং লজ্জাটা অনেক বেশিই। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও ক্লাসের পড়াগুলো পড়ে ফেলে। এছাড়া সিলেবাসের পড়াও নিজে থেকে পড়ে কমিয়ে ফেলে। মিতুলের সাজগোজের প্রতিও কোনো আগ্রহ নেই। অথচ ওর ড্রেসিংটেবিল ভর্তি মেকাপের প্রসাধনী, বিভিন্ন স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টস। এর একটাও ব্যবহার করে না। এমনকি কোথাও ঘুরতে গেলেও মেকাপ করবে না। ঝটপট মুখে একটু পাউডার দেবে। ঠোঁটে লিপস্টিক। আর খুব বেশি মনে চাইলে আইলানার কিংবা কাজল দেবে। ব্যস সাজগোজ বলতে এতটুকুই। সাজতে যে মিতুলের ভালো লাগে না বিষয়টা এমনও নয়। সমস্যাটি হচ্ছে তার অলসতা। অলসতার জন্যই কিছু ইউজ করে না। এই মেয়ে সংসার করবে কীভাবে? ভীষণ অগাছালো তো! একে গোছাবে কে?

পড়তে পড়তে মিতুলের চোখ যায় দরজার দিকে। মাকে দেখে ভ্রু কুঁচকে বলে,

“তুমি ওখানে ভূতের মতো আড়ালে দাঁড়িয়ে আছ কেন? ভয় পেয়ে গেছি আমি! আর কী দেখছ ওভাবে?”

মমতা বেগম হেসে রুমে ঢুকলেন। মিতুলের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন,

“দেখছি তোকে। ভাবছি এবার তোর বিয়েটাও দিয়ে দেবো।”

“ভালো মানুষের মতো ভাবনাটা মাথা থেকে নামিয়ে ফেলো মা।”

“কেন? বিয়ে করবি না?”

“সত্যি বলতে আমার বিয়ে করতে ইচ্ছে করে না।”

“তোর তো শুধু উলটা-পালটা ইচ্ছে। রাজপুত্রের মতো দেখতে একটা ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেবো।”

“সময় হোক। দেখা যাবে। এখন তুমি যাও। আমার অনেক পড়া বাকি আছে।”

“আচ্ছা পড়।”

বলে মমতা বেগম নিজের রুমে চলে গেলেন। ভোর পেরিয়ে সকাল হতেই সবাই রেডি হয়ে খাবার টেবিলে চলে এলো। রিনভী এবং মমতা বেগম সবাইকে খাবার সার্ভ করে নিজরাও খেতে বসল। তৈয়ব রহমান টুটুলকে এত সকালে দেখে জিজ্ঞেস করলেন,

“তুমি এই সময়ে যে? তোমার ছুটি কী শেষ?”

টুটুল খেতে খেতে জবাব দিল,

“না। জরুরী একটা কাজ আছে।”

মমতা বেগম বললেন,

“তোর এখন জরুরী কাজটাজ রাখ তো। রিনভীকে নিয়ে দূরে কোথাও থেকে ঘুরে আয় কয়দিন।”

দূরে কোথাও বলতে তিনি হানিমুনকে মিন করেছেন ইনডিরেক্টলি। ছেলে-মেয়ের সামনে হানিমুন শব্দটা কেমন যেন অস্বস্তিকর লাগে। টুটুল বলল,

“আমি রিনভীকে বলেছি। ও এখনো কোনো প্লেস চ্যুজ করেনি।”

মমতা বেগম এবার রিনভীকে সুধালেন,

“কী ব্যাপার? কোথায় যাবে বলোনি কেন?”

“আমি এখনো কনফিউজড মা। দেখি কাল-পরশু জানাব।” বলল রিনভী।

খেতে খেতে সবাই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করল আরও।
.
.
মন কেমনের দিনগুলি অন্যরকম। আগের মতো যেন আর কোনোকিছুই নেই। অবশ্য ভবিতব্য সম্পর্কে পূর্বে কে-ই বা জানতে পারে? রূপক নিজেকে এবং নিজের মনকে নিয়ে ভীষণ দ্বিধায় আছে। আজকাল মিতুলের জন্য তার ভীষণ অস্থির লাগে। মিতুলকে দেখার তৃষ্ণা মেটে না। যতক্ষণ পাশে থাকে ততক্ষণই যেন দুনিয়ার সমস্ত সুখ সে অনুভব করতে পারে। দূরে গেলেই মন আকুল হয়ে পড়ে। মিতুলের মাঝে অবশ্য তেমন কোনো ভাবনা নেই। টুটুলের বিয়ে উপলক্ষে মিতুলের সঙ্গ পাওয়ার সুযোগ তার সবচেয়ে বেশি হয়েছিল। গায়ে হলুদের রাতে মিতুলের চোখের কাজল মুছে দেওয়ায় মিতুলের মাঝে যেই অস্থিরতা কাজ করছিল সেটা লক্ষ্য করেই রূপকের আরও বেশি ভালো লেগেছিল। তবে মেয়েটা অদ্ভুত। আনরোমান্টিকও বটে। আনরোমান্টিক না হলে কি আর দূরে সরে গিয়ে নিজেই টিস্যু দিয়ে কাজল মোছে? মিতুল এমন কেন করে? সে কি ছেলে হিসেবে মন্দ? তার জানামতে সে সবদিক দিয়েই ফিট আছে। অনেক মানুষের প্রসংশা কুরিয়েছে সে। সেই হিসেবে তার নিজের প্রতি আলাদা একটা কনফিডেন্স আছে। কিন্তু যখনই সে মিতুলের সামনে যায় তখনই তার সমস্ত কনফিডেন্স ভেঙে চুরমার হয়ে হয়ে যায়। মিতুলের কাঠকাঠ জবাব, কাঠিন্যতা, রাগী দৃষ্টি, ভাবলেশহীন অনুভূতি সবকিছুই তাকে তখন দ্বিধায় ফেলে দেয়। মিতুলের প্রসঙ্গ বাদ। রূপক ভাবছে এখন নিজেকে নিয়ে। তার এত অস্থিরতা, আকুলতার কারণ কী? তবে কি সে মিতুলের প্রেমে পড়ে গেল? উত্তর অবশ্য সে পায়নি। ব্রেইনের ওপর চাপও প্রয়োগ করল না। এসবের এখন সময় নেই। সে চটজলদি রেডি হয়ে রুম থেকে বের হলো। বাড়ির সবাই তখন নাস্তা করছিল। টুম্পা চোখের চশমা ঠিক করে বলল,

“একি ভাইয়া! এত সকালেই উঠে পড়েছ কেন?”

“তাতে তোর কি সমস্যা? তোর খাবারে কি ভাগ বসিয়েছি?”

“তুমি কি সোজা কথার সোজা উত্তর দিতে পারো না?”

রূপক হেসে বলল,

“পারি। কিন্তু অন্য সবার সাথে। তোর সাথে না।”

এরপর বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে বলল,

“আমি আসছি।”

“কিন্তু এত সকালে যাচ্ছ কোথায়?” জানতে চাইলেন টিয়া বেগম।

“বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাব মা।”

রাজকুমার উড়ে এসে বসল রূপকের কাঁধে। ডানা ঝাপটিয়ে বলল,

“রূপ, ঘুরু যাব। ঘুরু, ঘুরু যাব।”

“না। অনেকদূর যাব। তোকে নেওয়া যাবে না।”

“ঘুরু, ঘুরু যাব।”

টিয়া বেগম বললেন,

“ওকে নিয়ে যাও। আমরাও তো দূরে গেলে নিয়ে যাই। সমস্যা হবে না। জ্বালাবে না।”

রূপক মনে মনে বিরক্ত হলেও মায়ের মুখের ওপর কিছু বলল না। রাজকুমারকে নিয়েই বের হলো। বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে গিয়ে সে অপেক্ষা করতে লাগল। রাজকুমার উড়ে উড়ে বলছে,

“ঘুরু, ঘুরু যাব না?”

“যাব। অপেক্ষা কর।”

“ঘুরু যাব।”

“হ্যাঁ, যাব।”

রূপক ঘড়িতে সময় দেখছে। মিতুল এখনো আসছে না কেন? এতক্ষণে তো চলে আসার কথা। ঐতো রিকশায় দেখা যাচ্ছে। সে নিজের ভাবসাব বদলাল। মুখটা চিন্তিত বানাল। মিতুলের রিকশাটা কাছাকাছি আসতেই রূপক হাত নাড়িয়ে রিকশা থামাল। মিতুল মুখ ভার করে জানতে চাইল,

“কী হয়েছে?”

“একটু লিফ্ট দেবে? অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি। রিকশা পাচ্ছি না।”

“মাঝ রাস্তায় আপনি ফাঁকা রিকশা পাবেন কী করে?”

“ভেবেছিলাম পাব। এখন কি একটু লিফ্ট দেওয়া যাবে?”

মিতুল মুখের ওপর না করতে পারল না। সরে বসল। রূপক হেসে সিটে বসে বলল,

“থ্যাঙ্কিউ।”

“আপনি যাবেন কোথায়? আমি কিন্তু কলেজে যাচ্ছি।”

“সমস্যা নেই। তোমার কলেজের সামনে দিয়েই যাব।”

রাজকুমার ঝট করে উড়ে মিতুলের ব্যাগের ওপর বসল। বলল,

“মুতু, ঘুরু যাব।”

বরাবরের মতো মিতুলের মেজাজ বিগড়ে যায়। তিরিক্ষি মেজাজে বলল,

“এটাকে সাথে নিয়েছেন কেন?”

“জেদ করছিল আসার জন্য।”

“এই পাখির ঢং দেখলেই আমার সহ্য হয় না। পাখির আবার জেদ!”

রূপক এবার পিঞ্চ মেরে বলল,

“সহ্য না হওয়ারই কথা। ও পাখি হলেও মানুষের ভালোবাসা বোঝে, রাগ বোঝে। জেদ করতে জানে। তুমি তো মানুষ হয়ে এসবও পারো না। পারো শুধু কথায় কথায় বারুদের মতো জ্বলে উঠতে। সূতরাং ওকে তোমার সহ্য না হওয়ারই কথা।”

“ফালতু কথা বলবেন না বলে দিচ্ছি।ওর সাথে আপনি আমার তুলনা করছেন?”

“হ্যাঁ, করছি। কারণ ওর অনুভূতি শক্তি তোমার থেকেও প্রখর। এনিওয়ে, তোমার হাতে কি সময় আছে?”

“কেন?”

“তাহলে দোকানের সামনে রিকশাটা একটু থামাতাম।”

“আছে।”

রূপক একটা চায়ের দোকানের সামনে রিকশা থামাল। ফিরে এলো মিনিট দুয়েকের মাঝেই। এক হাতে অনেকগুলো চকোলেট এবং অন্য হাতে জলন্ত সিগারেট। মিতুলের মেজাজ এবার এতটাই খারাপ হলো যে, তার ইচ্ছে করছে রূপককে ধাক্কা দিয়ে রিকশা দিয়ে ফেলে দিতে। সে সিগারেট একদম সহ্য করতে পারে না। গন্ধ শুনলেই পেট গুলিয়ে বমি চলে আসে। আজকাল সিগারেট যদিও কমন তবে মিতুলের কাছে অসহ্য লাগে গন্ধটা। খুব কম ছেলেই হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে যারা সিগারেট খায় না। এতে এমন কী মধু আছে?

রিকশা ততক্ষণে চলতে শুরু করেছে। রূপক চকোলেটগুলো মিতুলের ব্যাগের ওপর রেখে বলল,

“নাও।”

মিতুল দু’হাতে নাক-মুখ চেপে কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে রূপকের দিকে। রূপকের অবশ্য সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। সে সিগারেট শেষ করে মিতুলের দিকে তাকাল। ভ্রু কুঁচকে জানতে চাইল,

“কী হয়েছে?”

“আপনি একটা অসভ্য, অভদ্র, ম্যানার্সলেস!”

“আজব! আমি আবার কী করলাম?”

“কী করেছেন জানেন না?”

“না বললে জানব কী করে?”

“আমার সামনে সিগারেট কেন খেলেন? একটা মেয়ের সামনে সিগারেট খাওয়া কোন ধরণের ভদ্রতা?”

“দেখো মিতুল, আমি সাধু-সন্ন্যাসী টাইপ কোনো ছেলে নই। আমার মাঝেও ভালো-খারাপ উভয় গুণই আছে। আমি যেটা সেটাই সবার সামনে প্রকাশ করি। মুখোশ পড়ে আমি থাকতে পারি না।”

“আমার সিগারেট পছন্দ না।”

“তুমি কি আমাকে সিগারেট ছেড়ে দিতে বলছ?”

“বলছি।”

রূপক কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থেকে বলল,

“তোমাকে একটা কথা বলি শোনো। নিজের বাবা, ভাই, রিলেটিভ এবং প্রেমিক বাদে পৃথিবীর অন্য কোনো ছেলেকেই কখনো সিগারেট খেতে বারণ করবে না।”

“কেন?”

“এতে সে ভাবতে পারে তার প্রতি তোমার ভালোলাগা, ভালোবাসা কিছু একটা আছে। এছাড়া এই নিষেধাজ্ঞায় একটা অধিকার আছে। আর অধিকার কিন্তু শুধু কাছের মানুষদের ওপরই প্রয়োগ করা যায়। সবার ওপর নয়।”

মিতুল চুপ করে রইল। নিরবতা কাটাতে রূপক নিজে থেকেই দুষ্টুমি করে বলল,

“তোমার বর যদি সিগারেট খায় তাহলে কী করবে?”

“এমন ছেলে আমি বিয়েই করব না।”

“এতটাও হেইট কোরো না সিগারেটকে। আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখেছি, আমরা যেই জিনিসটা খুব বেশি অপছন্দ করি সেটাই আমার কপালে জুটে যায়।”

“আপনার মাথা। এসব সিগারেট-টিগারেট আমার পছন্দ না। বমি চলে আসে।”

“অভ্যেস করে নাও।”

“কেন?”

“বলা তো যায় না, তোমার বর যদি চেইন স্মোকার হয়! তাহলে তো উঠতে-বসতে, ঘুমাতে-শুতে, খেতে সর্বাবস্থাতেই এই সিগারেটের গন্ধ সহ্য করতে হবে।”

“এরকম হলে আমি তাকে ঘরেই ঢুকতে দেবো না।”

রূপক শব্দ করে হেসে উঠল। মিতুল বিরক্ত হয়ে শুধাল,

“হাসছেন কেন?”

“হাসছি তোমার কথা শুনে।”

“আশ্চর্য! আমি কি আপনাকে কোনো জোক্স শুনিয়েছি নাকি?”

“অনেকটা ওরকমই। বিয়ের পর বরকে ছাড়া থাকতেই পারবে না। চোখে হারাবে তখন। আর তুমি কিনা ঘরেই ঢুকতে দেবে না বলছ!”

“আপনার এত কনফিডেন্স?”

“হ্যাঁ, আমার কনফিডেন্স লেভেল ফুল।”

“দেখা যাবে।”

রূপক প্রথমে ভ্রু কুঁচকে তাকাল মিতুলের দিকে। পরক্ষণেই চোখে-মুখে হাসি ফুটে উঠল। মুখটা মিতুলের দিকে এগিয়ে নিয়ে দুষ্টুমি করে বলল,

“দেখা যাবে মানে কী? তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে বলে ভেবেছ নাকি?”

চলবে…
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ।]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে