#কুহেলিকা (পর্ব-০১)
#লেখক-আকাশ মাহমুদ
প্রভা একটা দোকান থেকে মদের দু’টো বোতল কিনে নিয়ে অপরিচিত একটা লোকের সাথে আঁধার নগরীতে প্রবেশ করলো। যেই আঁধার নগরী সম্পর্কে জানেনা এমন একটা লোক এই শহরে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কারন এই গলির মুখেই অতিরঞ্জিত সাজে মহিলারা দাঁড়িয়ে থাকে, তাদের গায়ে নামমাত্র পোশাক। শরীরের আকর্ষণীয় স্থানগুলো লোকসম্মুখে উন্মুক্তই বলা চলে। কারো বক্ষবন্ধনীর মাঝ বরাবর দেখা যাচ্ছে গভীর খাঁজ, কারো স্রোতের ন্যায় কল্লোলিত কোমরের বাঁক, কারো নাভীর গভীর খাদ পুরুষদের চুম্বকের ন্যায় আকর্ষণ করছে। এটা খদ্দেরের দৃষ্টি আকর্ষণের সনাতন কৌশল। এই আঁধার নগরীকে মানুষ আরেকটা নামেও চেনে অন্ধকার পল্লী। এই অন্ধকার পল্লীতে একটা মায়া ভ্রমর বাস করে। যেই মায়া ভ্রমরটা এই অন্ধকার পল্লীর আশপাশ দিয়ে যাতায়াত করা আশি শতাংশ পুরুষকেই অন্ধকার পল্লীর নারীদের উপরে ভ্রম খাইয়ে দেয়। বাকি বিশ শতাংশ পুরুষ নিজের দৃঢ় ঈমানের বলেই বেঁচে যায়। কিন্তু প্রভা মদের বোতল নিয়ে অচেনা একটা লোকের সাথে এই অন্ধকার পল্লীতে কি করছে। ট্রাফিকজ্যামে আঁটকে থাকা আকাশের মাথায় এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। আজ আকাশের অফিসে জয়েনিং করার প্রথম দিন। আকাশের বাবা লোকমান সাহেব রিটায়ার্ড করবে সব কিছু থেকে। তাই তিনি অফিসের সমস্ত দায়দায়িত্ব আকাশকে বুঝিয়ে দিতে চায়। আকাশ বাসা থেকে রেডি হয়ে গাড়ি নিয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। কিন্তু মাঝপথে ট্রাফিকজ্যামে আঁটকে পড়ায় প্রভার ছলনাময়ী দৃশ্য তার চোখে পড়েছে। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সে একদম স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু বর্তমানে প্রভার অদ্ভুৎ আচরণ দেখে তার মাঝে দুনিয়ায় সমস্ত অস্থিরতা এসে হানা দিয়েছে। ট্রাফিকজ্যামের মতন করে তার মাথাটাও জ্যাম হয়ে গেছে। সে প্রভার এসব আচরণের কোনো মাহাত্ম্য খুঁজে পাচ্ছে না। এই তো গতরাতে মেয়েটা তার সাথে কতো সুন্দর করে কলে কথা বলেছে। প্রভা হচ্ছে আকাশের প্রিয়তমা। আজ বছর খানিক ধরে তাঁদের দু’জনের মাঝে রিলেশন চলছে। কিন্তু হুট করেই আকাশ প্রভাকে মদের বোতল নিয়ে অন্ধকার পল্লীতে যেতে দেখে সে যেনো নিজের হিতাহিত জ্ঞান হারাতে বসেছে। আকাশ প্রভাকে নিয়ে চিন্তায় বিভোর। এমন সময় ট্রাফিকজ্যাম ছুটে গিয়েছে। ট্রাফিকজ্যাম ছুটতেই ড্রাইভার অফিসের উদ্দেশ্যে গাড়ি ছুটিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট করে অফিসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার জন্য কিছুটা সামনে এগোতেই আকাশ ড্রাইভারকে বলে,
–‘মালেক ভাই গাড়ি থামান।’ (মালেক ড্রাইভারের নাম)
–‘কেন স্যার কি হয়েছে?’
–‘কি হয়েছে সেটা আমারো অজানা। আপনি গাড়ি থামান। আমি একটা জায়গায় যাবো কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে। তারপর উত্তর জেনে এসে না হয় আপনার প্রশ্নের উত্তর দিব।’
–‘ঠিক আছে স্যার।’
–‘ড্রাইভারকে রেখে গাড়ি থেকে নেমে আঁধার নগরীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। আঁধার নগরীর মুখেই মাছির সংখ্যায় রমণীরা ভো…ভো করছে। আমি কারোর দিকে দৃষ্টিপাত না করে নগরীর ভিতরে ঢোকার জন্য আপন মনে ছুটে চললাম। কিন্তু গলির মুখে যেতেই রমণীরা আমার দিকে মৌমাছির ঝাঁকের ন্যায় এগিয়ে আসতে লাগলো। এমন সময় হুট করেই কোথা থেকে যেনো দৌড়ে এসে অল্প বয়সী একটা মেয়ে আমার হাত খপ করে চেপে ধরলো। মেয়েটা আমার হাত চেপে ধরতেই রমণীর ঝাঁকটা থেমে গেলো। আমি অবাক চোখে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি! কারন মেয়েটার বয়স সর্বোচ্চ হলে সতেরো কি আঠারো। আর তাছাড়া মেয়েটাকে দেখে বোঝাও যাচ্ছে না সে এই আঁধার নগরীর বাসিন্দা। স্মার্ট করে শাড়ী পড়েছে। তার পাশাপাশি ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক। চোখের কোনে মোটা পরত করে কাজল দিয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালো বংশের একটা মেয়ে। আমি মেয়েটাকে নিয়ে ভবাছিলাম, এমন সময় মেয়েটা আমার হাত ধরে টানতে টানতে পল্লীর মুখ ছেড়ে আঁধার নগরীর কিছুটা ভিতরে নিয়ে রাস্তার পাশে একটা দেয়াল ঘেঁসে দাঁড়ালো। এটুকুতেই শেষ নয়। দেয়াল ঘেঁসে দাঁড়ানোর পর আমার এক হাত টেনে নিয়ে গিয়ে তার কোমরের মাঝে রাখলো। অপর আরেক হাত ও টেনে নিয়ে গিয়ে ঘাড়ের সাইড করে দেয়ালের সাথে ঠেকিয়ে দিল। মেয়েটার এমন আচরণে আমি রীতিমতো অবাক হয়েই চলেছি। তখনি সে আমায় বলে উঠলো,
–‘সাহেব আমার মতন করে রোমান্টিক স্টাইলে এই পল্লীর কেউ খদ্দের সাথে ডিল করে না। একমাত্র আমিই খালি ব্যাক্তি, যে কিনা কাস্টমারের সাথে রোমান্টিক অঙ্গভঙ্গিতে ডিল করি। তো বলুন কতো দিবেন?’
–‘মেয়েটার কথা শুনে আমার সারা শরীর কাঁপতে আরম্ভ করেছে। আমি যেনো আর নিজের মধ্যে নেই। আমি ছলছল করে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি, তখনই সে আবার বলে উঠলো,
–‘কি হলো সাহেব আমায় কি আপনার ভালো লাগেনি? আপনার কি অন্য কোনো নারী পছন্দ হয়েছে?’
–‘এবার আর চুপসে থাকতে পারলাম না। কারন চুপসে থাকলেই কথা লতার মতন বড় হবে। তার থেকে ভালো নিজের আসল উদ্দেশ্যটা মেয়েটাকে জানিয়ে দেই। দেখুন আসলে আমি এসবের জন্য এখানে আসিনি।’
–‘তাহলে কি জন্য এসেছেন এই নিষিদ্ধ নগরীতে আপনি?’
–‘আমি একজনের তালাশ করতে এখানে এসেছি।’
–‘কে সে?’
–‘আমার প্রেমিকা। সে মদের বোতল নিয়ে অন্য একটা পুরুষের সাথে এই নগরীতে প্রবেশ করেছে। তাই আমি তার পিছু নিতে নিতে এখান পর্যন্ত এসেছে। আপনি কি জানেন সে এখানে কি করতে এসেছে?’
–‘সাহেব আমি বুঝতে পেরেছি আপনি কার কথা বলছেন। আসলে দেখুন সেই নারী সম্পর্কে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। কারন সেই নারীকে কুহেলিকা বললেই চলে। সে কুয়াশার মতন এই নগরীতে প্রবেশ করে। তারপর ধোঁয়ায় মিশে যায়।’
–‘মানে কি?’
–‘সোজা বাংলায় মানে হলো সে এই পল্লীতে এসে কিছু সময় কাটিয়ে আবার চলে যায়। কারোর সাথে কখনো কোনো কথা বলে না। চুপচাপ একটা লোকের সাথে আসে। আবার চুপচাপ সেই লোকটার সঙ্গেই পল্লী থেকে বেরিয়ে যায়।’
–‘মেয়েটার কথা শুনে গায়ের সমস্ত পশম দাঁড়িয়ে গেছে! কারন মেয়েটার কথা শুনে স্পষ্ট ভাবে বুঝাই যাচ্ছে, যে প্রভা এখানে প্রায় সময় আসে। কিন্তু কেন আসে সে এখানে! তখনি সেই মেয়েটা আমায় জিজ্ঞাস করলো,
–‘সাহেব মেয়েটা কে হয় আপনার?’
–‘আমার প্রিয়তমা। আমরা একে অপরকে ভালোবাসি।’
‘মেয়েটা আকাশের কথা শুনে মুচকি একটা হাসি দেয়। আকাশ মেয়েটার হাসির রহস্য জানতে না চেয়ে মেয়েটার কোমর থেকে হাত সরিয়ে নিয়ে মেয়েটাকে বলে,
–‘আমি পল্লীর ভিতরে যাচ্ছি। আমি জানতে চাই আমার প্রিয় মানুষটা এখানে কি করছে। চললাম আপনি থাকুন।’
‘আকাশ মেয়েটাকে চললাম বলে পল্লীর ভিতরে যাওয়ার জন্য কদম বাড়ায়। এমন সময় মেয়েটা পিছন থেকে আকাশকে বলে উঠে,
–‘সাহেব আপনি ভিতরে যাবেন না।’
–‘কেন যাবো না?’
–‘না যাওয়ার দু’টো কারন। প্রথমটা হলো আপনি পল্লীর ভিতরে গেলে আপনার পবিত্র শরীরে কলঙ্ক লাগিয়ে দিবে পল্লীর লোকজন। আর দ্বিতীয়টা হচ্ছে আপনি পল্লীর ভিতরে গিয়ে নিজের প্রিয়তমাকে অপ্রস্তুত ভাবে দেখতে পেলে নিজেকে সামলাতে পারবেন না। তাই আমার মতে এই বিষয় নিয়ে আপনার প্রিয়তমার সাথে পল্লীর বাহিরে অন্য কোনো সময় কথা বললেই ভালো হবে।’
–‘মেয়েটার কথা শুনে নিজের উদ্দেশ্য টাকে পাল্টে ফেললাম। মেয়েটা ঠিক কথাই বলেছে। আমাকে এই পল্লীর ভিতরে কেউ দেখতে পেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। তাই মেয়েটাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মানিব্যাগ থেকে পাঁচশত টাকার একটা নোট বের করে তার দিকে এগিয়ে দিলাম। কিন্তু মেয়েটা আমার হাত থেকে টাকা না নিয়ে শব্দ করে হাসতে আরম্ভ করলো। তবে হাসিটা তার চেহারায় বেশিক্ষণ সময় থাকে না। খানিক বাদেই হাসি থামিয়ে সর্পিল আঁখিতে ঘৃণার দৃষ্টিতে আমার দিকে একপা, দু’পা করে এগোতে এগোতে বলে,
–‘আমার টাকার প্রতি লোভ নেই, আমি শরীরের উষ্ণতা দেওয়ার পরেই টাকা হাতে তুলে নেই। আমরা হলাম উষ্ণতা বিক্রেতা। তবে বাকিরা কি করে আমার জানা নেই, কিন্তু আমি কখনো অহেতুক টাকা নেই না খদ্দের থেকে। আর সাহেব আপনাকে একটা মূল্যবান কথা বলি। আপনার প্রিয়তমাও হয়তো ভালোবাসা বিক্রেতা। সে টাকার বিনিময়ে হয়তো আপনার অগোচরে ভালোবাসা বিক্রি করে। কারন আমাদের এখানে প্রচলিত একটা ছন্দ আছে। টাকা থাকলে আজ কাল কাঠের পুতুল কথা কয়, টাকা ওয়ালা কাকুরা সব জুয়ান,জুয়ান মাইয়া লয়। আপনার প্রিয়তমা হয়তো টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। না হয়তো আপনি দেখতে শুনতে সেই ছেলে থেকেও সুন্দর এবং স্মার্ট। যদি আমার কথা ভুল না হয় তাহলে আপনার প্রিয়তমা আপনাকে রেখে পরপুরুষের সাথে এই নিষিদ্ধ নগরীতে কি করছে বলতে পারেন? অবশ্যই পারেন না। কারন আপনি উত্তর জানার জন্যই এখানে এসেছেন। আর আমি আপনাকে উত্তর খুঁজতে সাহায্য করেছি। আমার কথাটা আপনি মিলিয়ে নিয়েন।’
–‘মেয়েটার মুখে এসব কথাবার্তা শুনে কলিজাটা মোচড় দিয়ে উঠেছে! নাহ আর এক সেকেন্ড ও এখানে থাকা যাবে না। না হয়তো মানসিক ভারসম্য হারিয়ে বসবো। চিন্তা-ভাবনা মোতাবেক আর কথাবার্তা না বাড়িয়ে সোজা নিষিদ্ধ নগরী থেকে বেরিয়ে আসার জন্য রওয়ানা হলাম। কিন্তু আমার সাথে আবারো সেই সমস্যাটা হলো। নিষিদ্ধ নগরীর মুখে আসতেই গলির মুখে দাঁড়িয়ে থাকা রমণী গুলো আবারো মৌমাছির ঝাঁকের ন্যায় এসে আমাকে ঘিরে ধরলো। আগের বার পিছনে রেখে আসা মেয়েটা আমায় বাঁচিয়েছিল, কিন্তু এবার আমি ফেঁসে গেছি। সবাই এক সাথে আমায় ঘিরে ধরে এটা সেটা বলতে আরম্ভ করলো। বেশ বিব্রতকর একটা অবস্থার মধ্যে ফেঁসে গেছি। কি করে এখান থেকে পালাবো সেই রাস্তাটা খুঁজে বেড়াচ্ছি। এমন সময় একজন রমণী আমার হাবভাব দেখে আমায় বলে বসলো,
–‘কিরে তুই কি তৃতীয় লিঙ্গের নাকি রে?
নাকি তোর মাঝে শক্তি নেই? এই তো সবে একটু আগেই পল্লীতে প্রবেশ করলি। ঘড়ির টাইম হিসেব করলে মিনিট দশেক ও হবে না। এতো জলদি বেরিয়ে আসলি যে? আবার এখন দেখি আমাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হবি দেখে চোরের মতন পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করছিস। বাহ বেশ হাস্যকর তো ব্যাপারটা।
–‘রমণীর কথা শুনে কথা বলার বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছি। তার উপরে লজ্জায় মাটি থেকে নজর উঠাতে পারছি না। এমন সময় আমার হাত ধরে নিয়ে যাওয়া সেই অল্প বয়সী মেয়েটা এসে সবার সামনে হাজির হলো। এবার রমণীটা তাকেও প্রশ্ন করলো,
–‘কিরে দিশা ছেলেটা কি তৃতীয় লিঙ্গের? নাকি শরীরে বেশিক্ষন টিকে থাকবার শক্তি নেই?’ (আকাশের হাত ধরে নিয়ে যাওয়া মেয়েটার নাম দিশা)
–‘বেহুদা কথাবার্তা না বলে তোমরা উনাকে যেতে দাও।’
–‘কেন রে দিশা, সে কি তোর জামাই লাগে? মনে হচ্ছে তাই। শোন তুই যতোই বলিস না কেন আমরা তার বিষয়ে জেনেই তারপর তাকে যেতে দিব। কারন সে এতো গুলো টাকা নষ্ট করে এখানে এসে অল্প সময় থেকেই চলে যাচ্ছে, তার সেই বিষয়ে আমাদের অবগত হওয়া দরকার।
‘রমণীটার কথা শুনে দিশা রাগান্বিত দৃষ্টিভঙ্গিতে আকাশের দিকে এগিয়ে এসে আকাশকে সবার থেকে ছাড়িয়ে নেয়। তারপর আকাশকে সবার সামনেই আলতো পিঠে জড়িয়ে সবাইকে বলে,
–‘হ্যাঁ উনি আমার জামাই লাগে। আর উনি এখানে কারোর সাথেই কিছু করতে আসেনি। উনি এসেছে আমার সাথে কথাবার্তা বলতে। তাই তোমরা এই বিষয়ে আর মাথা না ঘামিয়ে সবাই উনার আশপাশ থেকে কয়েকশত হাত দূরে সরো। না হয় তো আমি এই পুরো অন্ধকার পল্লীকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিব। আর তোমরা ভালো করেই জানো আমার পাওয়ার কতোটুকু এই অন্ধকার পল্লীতে। তাই আমার কথা টাকে ভালো ভাবে সবাই মাথায় ঢুকিয়ে নিয়ে উনার যাওয়ার পথ ক্লিয়ার করে দাও।’
‘দিশার রাগান্বিত কন্ঠ শুনে সবাই আকাশের আশপাশ থেকে দূরে সরে যায়। সবাই আকাশের আশপাশ থেকে দূরে সরে যেতেই দিশাও আকাশকে ছেড়ে দিয়ে কিছুটা দূরে সরে গিয়ে আকাশের যাওয়ার পথ ক্লিয়ার করে দেয়। আকাশের যাওয়ার পথ এখন ক্লিয়ার। কিন্তু সে না গিয়ে দিশার নিকটে এগিয়ে যায়। এগিয়ে যাওয়ার পর সবার সামনেই দিশার কাঁধের পাশ থেকে চুল গুলো সরিয়ে অপ্রত্যাশিত ভাবে আকাশ দিশার কাঁধে একটা চুমু একে দেয়। এরপর মানিব্যাগ থেকে বের করা সেই পাঁচশত টাকার নোট টা দিশার হাতে শক্ত করে গুঁজে দিয়ে দিশার কানে কানে বলে,
–‘আমি তোমার উষ্ণতা গ্রহণ করেই এই টাকাটা তোমায় দিলাম। এটা রেখে দাও তোমার কাছে। চললাম এখন….
চলবে….