#কিশোরী_কন্যার_প্রেমে
#সুমাইয়া_সিদ্দিকা_আদ্রিতা
#পর্ব_২
.
ফুচকা খাওয়া শেষে টাকা দিতে গেলে ফুচকাওয়ালা বলল,
-“টাকা লাগবে না। আপনার টাকা দেওয়া আছে।”
-“মানে! কে দিয়েছে?”
-“রাস্তার ওপারে যে ছেলেদের দলটা আছে সেখানের একটা ছেলে দিয়েছে।”
-“ছেলেটা দিল আর আপনি নিয়ে নিলেন? আমাকে কি নতুন চেনেন আপনি? ছোটবেলা থেকে এই স্কুলে পড়ছি আর আপনার কাছ থেকেই ফুচকা খাচ্ছি। প্রতিবার টাকা আমি অথবা আমার ভাই দেয়। সেখানে চেনেন না জানেন না অন্য একটা ছেলের দেওয়া টাকা নিলেন কোন আক্কেলে?”
রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে গেছে অর্ঘমার। শাকিলের ওপরে ওঠা রাগটা সে ফুচকাওয়ালার উপর ঝেড়ে দিয়েছে। নিধির কথায় পাশে তাকাল। শাকিল এসে দাঁড়িয়েছে পাশে। অর্ঘমা রেগে বলল,
-“আপনি অতিরিক্ত করছেন এবার। কতবার বলেছি আমি আপনাকে পছন্দ করি না! তারপরও কেন পিছে পড়ে আছেন আমার? এতদিন কিছু বলিনি। কিন্তু আজ আপনি আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছেন। ওনাকে টাকা দিয়েছেন কোন সাহসে আপনি? আর আপনি ভাবলেনই বা কি করে যে আপনার দেওয়া টাকায় আমি খাব, যেখানে আমি আপনাকে চিনিই না! আর একদিন আমাকে ডিস্টার্ব করবেন তো আমি আমার ভাইকে বলে আপনাকে শিক্ষা দেওয়ার সকল ব্যবস্থা করব।”
অর্ঘমা ফুচকাওয়ালা আঙ্কেলকে জিজ্ঞেস করল,
-“কত টাকা দিয়েছেন উনি আপনাকে?”
-“একশো টাকা।”
ব্যাগ থেকে একশো টাকার একটা নোট বের করে শাকিলের সামনে ফুচকাওয়ালার গাড়ির ওপর টাকাটা রেখে বলল,
-“আমার বাপ-ভাই আমার সকল চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। বাইরের মানুষের টাকার আমার কোনো প্রয়োজন নেই। ইরিটেটিং পার্সোন একটা।”
কথাগুলো বলেই হনহন করে বাসার দিকে চলল অর্ঘমা।
বাসার সামনের গলির মাথায় এসে নীরদকে দেখতে পেল। বেশ কয়েকজন ছেলের সাথে ক্যারাম খেলছে। ছেলেগুলো বন্ধু হবে হয়তো। নীরদের দিকে এক পলক তাকাতেই চোখাচোখি হয়ে গেল। নীরদ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে তার দিকে। অর্ঘমা নিজের রাগ কমাতে পারছে না দেখে হনহনিয়ে চলে গেল বাসার ভেতরে। একসাথে ৪-৫ বার কলিংবেল চেপে দাঁড়িয়ে রইল। তার মা এসে দরজা খুলে বকতে লাগল এতবার বেল দেওয়ার জন্য। কোনো কথা না বলে অর্ঘমা হনহন করে নিজের রুমে চলে গেল। অন্যদিন হলে এতক্ষণে সে মায়ের কথার বিপরীতে অবশ্যই কিছু বলতো। কিন্তু আজ তার মাথা গরম হয়ে আছে।
মেয়ের কিছু একটা হয়েছে বুঝে আর চেঁচামেচি করলেন না অর্ঘমার মা। ফোন হাতে নিয়ে অভ্রকে কল লাগালেন তিনি। অর্ঘমা সবার আদরের হলেও নিজের সকল কথা একমাত্র অভ্র ছাড়া আর কারো সাথে শেয়ার করে না। অভ্রও অর্ঘমাকে ছোট থেকে একদম নিজের বাচ্চার মতো করে বড় করেছে। অভ্র আর অর্ঘমার সম্পর্কটা বেস্টফ্রেন্ডের মতো। দু’জনই দু’জনকে নিজেদের সব কথা শেয়ার করে। আবার যেকোন বিষয়ে দু’জন একে অপরের রায় জেনে তারপর কাজ করে। এজন্যই অর্ঘমার সবথেকে বড় দূর্বলতা তার ভাই অভ্র। অভ্ররও সবথেকে বড় দূর্বলতা তার ছোট বোন অর্ঘমা।
মায়ের ফোন পেয়ে এক প্রকার হন্তদন্ত হয়েই ফিরেছে অভ্র। বাসার সামনের গলির মাথায় এসে দোকান থেকে দুইটা আইসক্রিম, চিপস, চকলেট আর একটা ডিউয়ের বোতল নিয়ে দোকানিকে টাকা দিতেই অভ্রর ফোন বেজে উঠল। ফোন হাতে নিয়ে বন্ধুর কল দেখে ব্যাগটা এক হাতে নিয়ে অপর হাতে কল রিসিভ করে কানে ধরলো। বাসার দিকে হাঁটতে হাঁটতে ফোনে থাকা বন্ধুকে জানাল অর্ঘমার বিষয়টা। অতঃপর কল কেটে বাসায় ঢুকল।
অভ্র অর্ঘমার রুমে ঢুকে দেখে অর্ঘমা উবু হয়ে বালিশে মুখ গুঁজে শুয়ে আছে। তার পরনে এখনো স্কুল ড্রেস রয়েছে। কাছে এসে অর্ঘমার পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,
-“কী হয়েছে বুড়ি?”
ভাইয়ের গলা শুনে উঠে বসল অর্ঘমা। অভ্র তার হাতের ব্যাগটা অর্ঘমার দিকে এগিয়ে দিতেই অর্ঘমা ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে হাসল। তার একটু মন খারাপ হলেই অভ্র তার পছন্দের সকল খাবারের জিনিস নিয়ে আসবে তার মন ভালো করার জন্য। ব্যাগটা নিয়ে পাশে নামিয়ে রাখল। অর্ঘমার সামনের চুলগুলো ঠিক করে দিয়ে অভ্র জিজ্ঞেস করল,
-“কী হয়েছে বললি না তো?”
-“আমার স্কুলের সামনে একটা ছেলে তার দলবল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে আমার জন্য বলেছিলাম তোমায়।”
-“হ্যাঁ। কী করেছে ওই ছেলে? ডিস্টার্ব করেছে! কিছু বলেছে তোকে?”
-“আমি তাকে কয়েকবার রিজেক্ট করেছি। এরপর সে দাঁড়িয়ে থাকলেও আমাকে আর ডিস্টার্ব করত না কখনোই। কিন্তু আজ ফুচকা খাওয়ার পর টাকা দিতে গিয়ে শুনি সে ফুচকাওয়ালাকে একশো টাকা দিয়ে রেখেছে আমার জন্য। আমি কেন নিব তার টাকা? আমি কি তাকে চিনি! এই নিয়ে মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ফুচকাওয়ালা আঙ্কেল আর ওই ছেলেকে ইচ্ছা মতো ঝেড়ে এসেছি। আমার রাগ লাগছিল প্রচুর।”
অভ্র উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
-“আজকে ওই ছেলেকে আমি পিষেই ফেলবো।”
অভ্র যেতে গেলেই অর্ঘমা তার হাত ধরে থামাল। বলল,
-“আগেই ঝামেলা করো না ভাইয়া। আমি তাকে ওয়ার্নিং দিয়ে এসেছি। আর কখনো যদি সে এমন কিছু করে বা আমাকে ডিস্টার্ব করার চেষ্টা করে তাহলে তুমি তাকে যা মন চায় করো। আমি তখন আর কিছু বলব না।”
-“কিন্তু!”
-“কোনো কিন্তু না। যাও গিয়ে চেঞ্জ করে, গোসল করে এসো। তিনটা বাজতে চলল। খিদে পেয়েছে আমার। তোমার সাথে খাবার খাব।”
-“আচ্ছা।”
অভ্র চলে যেতেই জামাকাপড় নিয়ে গোসলে ঢুকল অর্ঘমা। ভাইয়ের সাথে কথা শেয়ার করে এখন তার অনেকটা হালকা লাগছে। রাগটাও কমে গিয়েছে।
অর্ঘমা আজকে আর প্রাইভেট পড়তে গেল না। বিকেলে অভ্রকে নিয়ে ছাদে এসেছে। এ বাসার ছাদে এই প্রথম আসলো তারা। ছাদটা সুন্দর। গাছগাছালি আছে কিছু। সবই ফুলের গাছ। এগুলো সব বাড়িওয়ালাদের। কারণ তারা বাসা দেখার সময়ই বাড়িওয়ালী জানিয়ে দিয়েছিলেন ছাদে কোনো গাছ লাগানো যাবে না। ছাদে শুধু তাদের লাগানো গাছ আছে। ছাদের একপাশে দাঁড়িয়ে দুই ভাইবোন মিলে গল্প করছিল। একটু পর পর দমকা হাওয়া বইছে। অভ্র অর্ঘমাকে ফোনে কিছু একটা দেখাচ্ছে। তা দেখে পেট চেপে জোরে জোরে হাসছে অর্ঘমা।
অভ্র খেয়াল করল ছাদের দরজার সামনে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। অভ্র নিজেও ভ্রু কুঁচকে তাকাল তার দিকে। অর্ঘমা হাসি থামিয়ে জিজ্ঞেস করল,
-“কী হয়েছে?”
অভ্র ফিসফিস করে বলল,
-“কে এই ছেলেটা? এভাবে তাকিয়ে আছে কেন আমাদের দিকে?”
অর্ঘমা ঘাড় ঘুরিয়ে দরজার সামনে নীরদকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ফিসফিসিয়ে বলল,
-“এটাই বাড়িওয়ালার ছেলে। আমার ক্রাশ বয়।”
অভ্রর কুঁচকানো ভ্রু এবার নীরদের থেকে সরে অর্ঘমার দিকে স্থীর হলো। আবারও নীরদের দিকে তাকাল। তখনো নীরদের দৃষ্টি তাদের দিকেই স্থীর। অভ্র বিরক্ত ভঙ্গিতে বলল,
-“কী ভাই এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?”
নীরদের সোজা প্রশ্ন,
-“আপনি কে?”
অর্ঘমা নীরদের কঠিন গলার স্বর শুনে প্রথমে ভরকালো। পরক্ষণেই তার মনে হলো হয়তো নীরদ তাদের ভুল বুঝছে। তাই সে বলল,
-“ও আমার বড় ভাই অভ্র। আপনাদের সম্ভবত এখনো দেখা হয়নি একে অপরের সাথে।”
নীরদের কুঁচকানো ভ্রু শিথিল হলো। ভদ্রতাসূচক হেসে এগিয়ে এসে অভ্রর দিকে তাকিয়ে বলল,
-“আসলে অচেনা কাউকে দেখলে আমার রিয়্যাকশন এমনই হয়। কিছু মনে করবেন না।”
-“ইট’স ওকে।”
-“আমি নীরদ। তিন তলায় থাকি।”
-“বাড়িওয়ালা আঙ্কেলের ছেলে?”
-“জি।”
-“আমি অভ্র। তোমাদের বাসার চারতলার নতুন ভাড়াটিয়া।”
অর্ঘমা ভ্রু কুঁচকে অভ্র আর নীরদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা দু’জন খোশ গল্পে মেতে আছে। বিরক্তবোধ করল অর্ঘমা। সে সামনে থাকাকালীন যদি কেউ তাকে বাদ দিয়ে কথা বলে বা গল্প করে তাহলে সেটা তার একদমই পছন্দ নয়। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দু’জনের খেজুরে আলাপ শুনে হনহনিয়ে চলে গেল। নীরদ সেদিকে তাকিয়ে বলল,
-“আপনার বোন কী রাগ করে চলে গেল?”
-“মনে হয়। আসলে ও সামনে থাকাকালীন যদি কেউ ওকে ইগনোর করে অন্য কারো সাথে গল্পে মশগুল হয়ে থাকে তাহলে ও সেটা পছন্দ করে না। সহ্যই করতে পারে না বলা যায়।”
-“ওহ আচ্ছা।”
কিছুক্ষণের মধ্যেই অভ্র এবং নীরদের মাঝে বেশ ভালো সখ্যতা হয়ে গেল। যদিও অভ্র নীরদের থেকে বয়সে বড় আর তার গ্র্যাজুয়েশনও শেষ।
সন্ধ্যায় হালকা নাস্তা করে পড়তে বসেছে অর্ঘমা। তখনই অভ্র এলো তার রুমে। ফোনটা অর্ঘমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
-“রিয়া কথা বলবে তোর সাথে।”
-“দাও।”
রিয়া অভ্রর গার্লফ্রেন্ডের নাম। অর্ঘমার সাথে রিয়ার খুব খাতির। বেশ কিছুক্ষণ রিয়ার সাথে কথা বলে ফোনটা অভ্রকে দিয়ে দিল। রুম ছেড়ে যাওয়ার আগে প্যান্টের পকেট থেকে একটা কিটক্যাট বের করে অর্ঘমার বইয়ের উপর নামিয়ে রেখে চলে গেল। তা দেখে হাসল অর্ঘমা।
পরের দিন সকালে স্কুলের জন্য অর্ঘমা তাড়াতাড়ি বের হলো। তিন তলার সিঁড়ির সামনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল নীরদের আশায়। কিন্তু তাকে নিরাশ হতে হলো। আজ আর নীরদের দেখা পাওয়া গেল না। নীরদের উপর তার খুব রাগ হলো। যাওয়ার সময় তিন তলার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে রেগে একসাথে ছয়-সাত বার বেল চেপে দৌড়ে নিচে নেমে গেল। নামার সময় বাড়িওয়ালা আঙ্কেলের চেঁচামেচি তার কানে এসেছে। রাস্তায় এসে পা দিয়ে মাটিতে দু’বার আঘাত করে হাঁটা শুরু করল স্কুলের দিকে।
আজকে আর ছুটির পরে শাকিলকে দেখতে পেল না অর্ঘমা। কিছুটা অবাক হলো। কারণ তাকে দেখার পর থেকে শাকিল একদিনও স্কুলের সামনে আসা মিস দেয়নি। আজ আসেনি দেখে প্রথমে কিছুটা অবাক হলেও পরক্ষণেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ল। অবশেষে বুঝি তার পিছু ছাড়ল ছেলেটা!
বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় অর্ঘমা সাইকেল নিয়ে বের হলো। গত বছর অনেক কান্নাকাটি করার পর অবশেষে তার সাইকেলের আশা পূরণ করেছে তার আব্বু। প্রথম প্রথম সে সাইকেল চালাতে জানত না। অভ্র তাকে একমাস ট্রেনিং দিয়ে শিখিয়েছে সাইকেল চালানো।
দোকান থেকে সেন্টার ফ্রুট কিনে যেতে গেলেই নীরদকে দেখতে পেল। বন্ধুদের সাথে রাস্তার পাশে টং দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছে। হাতে রয়েছে চায়ের কাপ। অর্ঘমা সেখান দিয়েই যাবে স্যারের বাসায়। একটা সেন্টার ফ্রুট খুলে মুখে দিয়ে সামনে তাকাতেই দেখতে পেল নীরদ তার দিকে তাকিয়ে আছে। ভ্রু কুঁচকে কিছু সময় তাকিয়ে থেকে সাইকেল চালিয়ে দ্রুত সেখানে গেল। হকচকিয়ে গেল নীরদ। ব্যাগের চেইন খুলে দুইটা সেন্টার ফ্রুট বের করে নীরদের হাতে দিয়ে বলল,
-“যেভাবে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন, আপনাকে না দিয়ে খেলে আমার পেটব্যথা করবে নিশ্চিত। তাই এগুলো আপনার। আর নজর দিবেন না। ওকে? আসছি।”
নীরদকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সাইকেল চালিয়ে চলে গেল অর্ঘমা। আহাম্মকের মতো কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল নীরদ। তার এক বন্ধুর কথায় হুঁশ ফিরল তার। সেন্টার ফ্রুটগুলোর দিকে তাকিয়ে পকেটে ঢুকিয়ে রাখল।
-“মেয়েটা কে ছিল রে নীরদ?”
-“আমাদের বাসার চারতলার নতুন ভাড়াটিয়া।”
-“দেখে তো বাচ্চা মনে হলো। তোকে কি সব বলে গেল। চিনে তোকে?”
-“চিনে বলতে তাদের বাড়িওয়ালা আঙ্কেলের ছেলে আমি। এতটুকুই চেনা পরিচিত।”
-“সেন্টার ফ্রুট কেন দিল তোকে? তুই কি সত্যি ওর দিকে তাকিয়ে ছিলি?”
-“জাস্ট চোখে চোখ পড়ে গিয়েছিল, এই। আর তাছাড়া গতকাল ছাদে ওর বড় ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছিল আমার। ভাইয়া বেশ ভালো। তিনিই আগ বাড়িয়ে তার বোনের ব্যাপারে বললেন। মেয়েটা নাকি বেশ দুষ্টু আর চঞ্চল প্রকৃতির। দূরন্তপনায় ঘেরা তার স্বভাব। তাই এই সেন্টার ফ্রুট দেওয়ার বিষয়টা আমার কাছে ওর স্বভাব অনুযায়ী নরমালই মনে হলো।”
-“আচ্ছা, ওর কথা বাদ দে।”
-“ওকে।”
চলবে….