কিছু সমাপ্ত পূর্ণতার পর্ব-০৩

0
935

কিছু সমাপ্ত পূর্ণতার (পর্ব – ৩)
সুমাইয়া আক্তার
__________________
দরজা, জানালা বন্ধ করে বসে আছে তানজিম। কম্বলের ভেতরে দুই পা, কোলে ল্যাপটপ। টি-টেবিলে ধোঁয়া ওঠানো কফি। তানজিম সেই কফিকে অবজ্ঞা করে ল্যাপটপে অফিসের কাজটা সেরে নিচ্ছে। স্ক্রিণের কোণে দেখাচ্ছে, সময় ভোর পাঁচটা। চারটা থেকেই ই-মেইল চেক করে চলেছে সে। কিছু ই-মেইল রি-টাইপ করে পাঠাতে হচ্ছে। চোখের কোণ দিয়ে কফির দিকে বেশ কয়েকবার তাকিয়েছে তানজিম, কিন্তু সেটাকে অবজ্ঞা করে মনে মনে একটা শান্তি পাচ্ছে। তাই এক চুমুকও মুখে নেওয়ার ইচ্ছা নেই তার। হাত দু’টো অবশ হয়ে আসছে ঠাণ্ডায়। ইচ্ছে করছে আরেকটু কম্বলের ভেতর ঢুকে থাকতে। কিন্তু কেলেঙ্কারি হলো ঘুম আসছে না। মাথার ওপর এত বড় বড় বোঝা থাকলে কি আর ঘুম আসে? এখন শুধু মাথায় একটা প্রধান কথা ঘুরছে—শ্বশুরবাড়িতে যেতে হবে!

দু’হাতে মুখটা একটু ঢেকে বসে থাকল তানজিম। আঙুলের ফাঁক দিয়ে বন্ধ দরজা দেখে, হাতের পাশে থাকা মোবাইলটা উঠিয়ে নাহিদাকে কল করল। এবারও রিং হয়ে কেটে গেল। কল লিস্টে সবার ওপরে নাহিদার নাম। ৪০০ কল পূর্ণ হলো! এবার একটু রাগ হচ্ছে তানজিমের। স্বামীকে কেউ এতটা অবিশ্বাস করে নাকি? একবার তো অন্তত ফোনটা ওঠাতে পারত!

সকাল নয়টা বেজে গেছে। কম্বলের নিচ থেকে বেরিয়ে কফির দিকে তাকাল তানজিম। কফি ততক্ষণে হিম হয়ে গেছে। পরোয়া করল না সে। দরজা খুলে বাইরে বের হলো। ফ্রিজে রান্না করা মাংস আছে। সেগুলো বের করে গরম করল। দ্রুত খাবার সেরে কাপড় বদলে নিল। জুতা পরে জ্যাকেট গায়ে উঠিয়ে বেরোলো। তখন’ই ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কেউ দরজা লাগিয়ে দিল। তানজিম একবার পিছু ফিরে দেখে দাঁড়িয়ে পড়ল।
সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠছেন বাড়ির মালকিন ইয়াসমিন। মোটা শরীরটাকে পাতলা করার জন্য সিঁড়িতে রোজ তার ছুটোছুটি শুরু হয়। আজও তা’ই করছেন হয়তো। তানজিমকে দেখেই তিনি হাত নাড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হ্যালো, কেমন আছ তানজিম?’
তানজিম সহজ হলো, ‘আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো। আপনি কেমন আছেন আন্টি?’
‘আমিও ভালো আছি। কোথাও বেরোচ্ছ?’
‘জি, একটু বেরোচ্ছিলাম।’
‘নাহিদাও যাচ্ছে কি?’ দরজার দিকে তাকালেন ইয়াসমিন, ‘ওহ্, ভেতরেই আছে মনে হচ্ছে! ওর সাথে কিছু কথা ছিল।’
‘আমাকে বলতে পারেন।’
‘খুব প্রয়োজনীয় কিছু না। নাহিদাকে বলে দেবো।’ বলতে বলতে ফ্ল্যাটের দরজার দিকে পা বাড়ালেন ইয়াসমিন। আড়ো চোখে একবার তানজিমকে দেখলেন তিনি।
তানজিম কুন্ঠা ফেলে বলল, ‘নাহিদা তো বাসায় নেই আন্টি। বাবার বাড়িতে গেছে। ওকে আনতেই যাচ্ছি আমি। আচ্ছা, আমার দেরি হচ্ছে। আসি, পরে কথা হবে।’
আর দাঁড়াল না তানজিম। লিফট্-এর অপেক্ষা না করেই দ্রুত সিঁড়ি ভেঙে নিচে নেমে গেল সে। তার বুটের খটখট শব্দে শুনতেই পেল না ইয়াসমিনের মিইয়ে যাওয়া কণ্ঠ, ‘দরজা লক না করেই চলে যাচ্ছ যে?’

তানজিম শুনতে পায়নি। এই ছেলেকে নিয়ে মুশকিল জ্বালা! ইয়াসমিনের কাছে পুরো বিল্ডিংয়ের বাড়তি চাবি আছে। তাই তিনিই দরজা লক করতে পারবেন ভেবে এগিয়ে গেলেন। আওয়াজটা তখন’ই ভেতর থেকে এলো—একটা গ্লাস ভাঙার আওয়াজ। নারীরা কৌতুহলী। কৌতুহল তাদের মাঝে ঠেসে ঠেসে ভরা। তাই ইয়াসমিন দরজায় লক করার পূর্বে দরজাটা খুলে চারিদিকে চোখ না বুলিয়ে পারলেন না। তখন’ই চোখে পড়ল এক নারীর অবয়ব। ঢিলেঢালা পোশাকে ডাইনিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে সে।
ইয়াসমিন তৎক্ষনাৎ ফ্ল্যাটে ঢুকে আওয়াজ ছাড়লেন, ‘কে তুমি?’
বেশ কিছু পরে ক্ষীণ স্বরে জবাব এলো, ‘আশফিয়া।’
ইয়াসমিন অবাক হয়ে গেলেন। সারা ফ্ল্যাটে নাহিদার চিহ্নমাত্র নেই। তানজিম তাহলে ঠিক’ই বলেছে, নাহিদা তার বাবার বাড়িতে। কিন্তু নাহিদার অনুপস্থতিতে এই মেয়েটা তানজিমের সাথে কী করছে?

মোটরসাইকেলে চেপে অনেক আগেই রওনা হয়েছে তানজিম। ভাবছে নাহিদার কথা। নাহিদার কথা ভাবতে গিয়ে সুত্র ধরে ভাবনা গিয়ে ঠেকলো ইয়াসমিন পর্যন্ত। মহা ধুরন্ধর মহিলা। সতেরো তলা বিল্ডিংয়ের প্রতিটা ফ্ল্যাটের খবর তার কাছে থাকে। ইয়া বড় একটা চাবির গোছা সঙ্গে নিয়ে ঘোরে। বেচারা স্বামী—না আছে পাওয়ার, না আছে মালিকানা। ঘরজামাই হয়েছিল এই ভেবে যে, শ্বশুরের সম্পত্তি ভেঙে খাবে। কিন্তু ধুরন্ধর ইয়াসমিন তা হতে দেননি। বাবার পরে সবকিছুর দায়িত্ব তিনি একা কাঁধে নিয়েছেন। শেখ মুজিবুরের মতো আঙুল তুলে ভাষণের সুরে বলেছেন, ‘আমরা মায়ের জাত। চাইলেই সব জয় করতে পারি।’
তিনি তা’ই করে দেখিয়েছেন। কথাবার্তাও ভালো তার। তবে সমস্যা হলো, আল্লাহ্ মুখ দিয়েছেন বলে তিনি যেখানে সেখানে তা চালান। ভুল, সঠিক না জেনেই পুরো বিল্ডিংয়ের কাছে কোনো কিছুর খবর পৌঁছাতে তিনি একদম কার্পণ্য করেন না।

রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যাল পড়েছে। দাঁড়িয়ে পড়েছে শত শত গাড়ি। কয়েকটা গাড়ি পেরিয়ে একজন ট্রাফিক পুলিশ এসে দাঁড়াল তানজিমের সামনে। তানজিম বিরক্তে মুখ বিকৃত করল। না জানি কোন কেসে ফাঁসিয়ে বলবে তিন হাজার টাকা বের করো!
‘মাথায় হেলমেট পরেননি কেন?’
ট্রাফিক পুলিশটির আওয়াজে আরেকবার তাকে দেখল তানজিম। এত নাদুসনুদুস মানুষটার মেয়েদের মতো ক্ষীণ আওয়াজ? আশ্চর্য!
‘ভুলে গেছি।’ দ্রুত বলল তানজিম।
‘এখন আপনাকে বেঁধে রেখে পিটিয়ে বলি ভুলে গেছি?’
‘মনে না থাকলে কী করব বলুন? এমনিতেও তাড়াহুড়ায় ছিলাম, তাই।’
‘এই তাড়াহুড়ার জন্যে যে আপনার জীবনটাই তাড়াহুড়ো করে চলে যেতে পারে, তা বোঝেন না? বাড়িতে আপনার পরিবার আছে। আল্লাহ্ না করুক, যদি আপনার এক্সিডেন্ট হয় এবং আপনি মাথায় আঘাতের কারণে মারা যান, তখন তাদের কী হবে? জীবনটা সুন্দর। উপোভোগ করার জন্য বাঁচতে হবে।’
ঠাট্টার হাসি দিয়ে তানজিম বলল, ‘এই জীবন নিয়েই টানাটানিতে আছি।’
মুচকি হাসলেন ট্রাফিক পুলিশ। বললেন, ‘আমার স্ত্রী গত পর্ষু মারা গেছে, আর আজ আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি। আমার জীবনের থেকে মনে হয় না আপনার টানাপোড়েন বেশি।’
পুলিশটি আর কিছু বললেন না। হাত দিয়ে ইশারা করে চলে যেতে বললেন। তানজিম অবাক হয়ে পুলিশটির দিকে তাকিয়ে রইল। কী আশ্চর্য মানুষ! দায়িত্ব তার কাছে কত বড়! এদিকে প্রত্যেকটা মোটরসাইকেল আরোহীর হেলমেট পরা দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু সবার এতে কত অবহেলা!

ম্লান মুখ আরও ম্লান হলো তানজিমের। মোটরসাইকেল তার গতিতে চলছে। দু’পাশে সারিবদ্ধ দোকান, শো-রুমগুলো এখনও শেষ হয়নি। চেনাজানা একটা দোকানের সামনে মোটরসাইকেল থামালো তানজিম। ভালো দেখে একটা হেলমেট কিনে মাথায় দিল সে। তারপর আবারও যাত্রা শুরু করল। সে বাঁচতে চায়। এখনও অর্ধেক জীবন বাকি!
__________

বই খুলে তাতে মুখ গুজে বসে আছে নাহিদা। দেড় ঘণ্টা ধরে একটা অক্ষরও পড়েনি সে। শুধু শুধু বই খুলে বই পড়ার ভান চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে ইফতেখার এসে কিছু প্রশ্ন করার সুযোগ না পায়। কলিং বেলের আওয়াজ কানে এলো নাহিদার। একবার না, প্রায় পাঁচবারের মতো বাজল। কিন্তু কেউ দরজা খুলল না।
জাফরিন রান্নাঘর থেকে নাদিয়ার উদ্দেশ্য গলা উঁচিয়ে বললেন, ‘দরজা একটু খোল না, মা। আমি রান্নাঘরে ব্যস্ত।’
বইগুলো বন্ধ করে নাহিদা উঠে দাঁড়াল। নিজ ঘরের দরজার কাছে যেতেই কোথা থেকে ইফতেখার দরজা খুলতে এসে গেল। হাত মুড়িয়ে পেছনে ঘুরল নাহিদা। তখন’ই তানজিমের গলা ফ্ল্যাটে বেজে উঠল। প্রত্যেকটা দেওয়ালে তার আওয়াজ আঘাত খেয়ে এসে নাহিদার অন্তরে প্রবেশ করল। পিছু ফিরল সে। ইফতেখারের মুখ শক্ত। তানজিমের অবস্থা তখন লবণের কবলে পড়া জোঁকের মতো হয়ে গেছে। নাহিদা বুঝল, আজ আরেক কেলেঙ্কারি হতে চলেছে।

ইফতেখার জিজ্ঞাসা করল, ‘তুমি?’
তানজিমের শিশুসুলভ উত্তর, ‘জি ভাইয়া। কেমন আছেন?’
‘ভালো। কিন্তু আমার বোন ভালো নেই।’
চোখ তুলে তাকাল নাহিদা। তানজিমের সাথে চোখাচোখি হতেই চোখ নামিয়ে ফেলল।
তানজিম জিজ্ঞাসা করল, ‘কেন?’
‘সেটা তো তুমিই বলতে পারবে। গতকাল থেকে ওর মুখে খোলামেলা হাসি দেখিনি আমি। নিশ্চয় তুমি’ই কিছু করেছ।’
রান্নাঘর থেকে কথার আওয়াজ পেয়ে রান্না ছেড়েই বেরিয়ে এলেন জাফরিন। ইফতেখারকে দরজার হাতলে হাত রেখে থাকতে দেখে আপনমনে বিড়বিড় করে বললেন, ‘আমার ছেলেটা সব কিছুর মাথা খায়! নাহিদাকে বললাম দরজা খুলতে, খুলল ও!’
‘কী হলো?’ ইফতেখারের কণ্ঠ ধীরে ধীরে উঁচু হচ্ছে।
জাফরিন বলে উঠলেন, ‘ওকে দরজায়’ই দাঁড় করিয়ে রাখবি নাকি? ভেতরে আসতে দে। পরে ওসব কথা হবে।’ নাহিদার দিকে তাকালেন তিনি, ‘ওভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? তানজিমকে ঘরে নিয়ে যা।’
নাহিদাও ইফতেখারের সামনে তাল ঠিক রাখতে বলল, ‘ভেতরে এসো।’

ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দিল তানজিম। বাইরে তখনও ইফতেখার দাঁড়িয়ে।
নাহিদা ভ্রু কুঁচকে ফেলল। বলল, ‘এটা কেমন আচরণ? বাইরে ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে। দরজা খোল।’
তানজিম দরজা তো খুলল’ই না উপরন্তু নাহিদার হাত দু’টো আঁকড়ে নিজের বুকে ঠেকাল, ‘এত অভিমান তোমার? এতবার কল করেছি আমি। একটাবারও কী মনে হয়নি ফোনটা ধরে দেখি মানুষটা কী বলে!’
‘কী বলবে তুমি? কী বলার আছে?’
‘অনেক কিছু।’
‘আমি শুনতে চাই না। ছাড়ো।’
‘মাথা ঠাণ্ডা করে আমার একটু কথা শোন।’
‘ছাড়ো!’ চাপা গর্জন করে উঠল নাহিদা। কাজ হলো না।
তানজিম শক্ত করে জড়িয়ে ধরল নাহিদাকে। খুব শান্ত স্বরে ফিসফিস করে বলল, ‘আমাকে একটা সুযোগ দাও। আমি প্রমাণ করে দেবো আশফিয়া মিথ্যা বলছে। বিশ্বাস করো, তোমাকে ছাড়া থাকতে আমার খুব কষ্ট হয়।’
কেঁদে ফেলল নাহিদা। তানজিমকে সরিয়ে দেওয়ার মানসিক শক্তি নেই তার। একজন নারীকে তার স্বামী যখন জড়িয়ে বলে, ‘তোমাকে ছাড়া থাকতে আমার খুব কষ্ট হয়’ তখন সেই নারীর পক্ষে এই কথাটুকুকে টপকে যাওয়া সহজ নয়। নাহিদাও টপকাতে পারল না। দু’হাতে তানজিমের শার্টের কলার মুচড়ে ধরল। তানজিমের বুকে মাথা ঠেকিয়ে কেঁদে কেঁদে বলল, ‘ভাগ্য এমন কেন তানজিম?’

জাফরিন সব রান্না সেরে একে একে টেবিলে এনে সাজাতে লাগলেন। ঘর থেকে বেরিয়ে নাহিদাও হাত লাগালো।
‘সমাধান হলো?’
ভেজা ভেজা চোখের পাপড়ির উপর হাত ঢাকল নাহিদা। মুচকি হেসে বলল, ‘জানি না মা। তবে মনে হচ্ছে ভালো কিছুই হবে।’
‘মেয়েটাকে কখনও প্রশ্রয় দিবি না। দেখা যাবে মাঝে মাঝেই ফ্ল্যাটে আসবে। ভালোভাবে বের করে দিবি। সে যে মা হতে চলেছে, তা মনে রাখবি। আর শোন, সত্যিটা যদিও তিক্ত হয়, তবুও তা সুফলদায়ক।’
শেষ কথাটায় জাফরিন কী বলতে চেয়েছেন বুঝল নাহিদা। গত রাতে সব কথা শুনে জাফরিন প্রথমে একটু চিন্তিত হলেও এখন তিনি স্বাভাবিক। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার ক্ষমতা জাফরিনের মোটামোটি ভালোই আছে। একজন নারীর এমন ক্ষমতা সত্যিই প্রশংসনীয়!
নাহিদা জিজ্ঞাসা করল, ‘তানজিম আসলেই এমন কিছু করতর পারে? তোমার কী ধরণা?’
‘ধারণার উপর কাউকে বিবেচনা করা ঠিক নয়। যাক গে, দ্রুত খেয়ে নে সবাই। দশটা পেরিয়ে গেছে।’
‘হুঁ।’ বলে আবারও কিছু ভাবতে লাগল নাহিদা। কিন্তু এবার তার মন ঘুরে গেছে। তানজিমের দোষ থাকলেও তা আর চোখে পড়বে না বলেই মনে হচ্ছে!

তানজিম ঘরে পায়চারি করছে। নাহিদাকে এখন সে মানিয়ে নিতে পারল, কিন্তু আশফিয়াকে দেখলে আবার বিগড়ে যাবে না তো? গতকাল লাগেজভর্তি কাপড় নিয়ে ফ্ল্যাটে ঢুকেছে আশফিয়া। তানজিম আটকাতে পারেনি। আশফিয়া ধমকাচ্ছিল, সে তানজিমের নামে কেস ঠুকে দেবে। সে খুব সাহসী মেয়ে—দমবার পাত্রী নয়। তানজিম নিরুপায় ছিল। কিন্তু এখন ভীষণ চিন্তা হচ্ছে। বাম চোখ লাফাচ্ছে তার। নতুন কোনো বিপদ হয়তো আসন্ন!

(চলবে)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে