গল্প :- কালো মেঘ
পর্ব :- ৩ এবং শেষ
Writer :- Kabbo Ahammad
.
.
.
-: “নুসরাতের ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও বাবা’র কথা ভেবে বিয়েতে রাজি হয়। রাসেল যখন এই বিষয়টা জানতে পারে তখনই নতুন একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়। রাসেল নুসরাতকে বাঁধা দিতে থাকে এই বিয়ে না করার জন্য। রাসেল বার-বার বলতে থাকে তাদের বিষয় তার বাবা’কে জানাতে। কিন্তু নুসরাত তার বাবা’কে তাদের গোপনে বিয়ে করার কথা কিছুতেই জানাতে চাচ্ছিল না। সে মনে করছে তার বাবা অসুস্থ, এমন অবস্থায় যদি তাদের বিয়ের কথা তাকে জানায় তাহলে সমস্যা বাড়া ছাড়া কমবে না। তাই রাসেলের কথা পাত্তা না দিয়েই কাব্যকে বিয়ে করে ফেলে। রাসেল তখন নিজেকে অপদার্থ মনে করতে থাকে। তার ভিতর একটা প্রতিশোধ এর আগুন জ্বলে ওঠে। তার চিন্তা ধারা পাল্টে যায়। যার জন্য বখাটেদের খাতা থেকে নিজের নাম কেটে খারাপ পথ থেকে সরে গিয়ে আজ ভালো পথে এসেছে, সেই কিনা তার নিজের স্বার্থ দেখছে। বিষয়টা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না রাসেল।
তবুও মাঝেমধ্যে নুসরাতের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়। নিজে কতটুকু ভালো আছে, কতটুকু সুখ শান্তিতে আছে সেটা নুসরাতকে বুঝাতে চায়। নুসরাত বুঝতে পারে কিনা জানে না। আর বুঝতে পারলেও হয়তো প্রকাশ করে না। কারণ প্রকাশ করার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
তারপর হটাৎ নুসরাতের বাবা জাফর মিয়া নুসরাতের পাশে এসে দাঁড়ায়। নুসরাত চোখ ঘুরিয়ে এক পলক দেখে আবার চোখ বুজে ফেলে। জাফর মিয়া নুসরাতের মাথার পাশে এসে বসলেন। কাঁপা কাঁপা হাতটা মাথায় উপর রাখলেন। আর বললেন।
–“মা একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?
নুসরাত চোখ মেলে তাকালো। হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লো।
–“তুই গলায় ফাঁস দিতে গেলি কেন?
নুসরাত কেনো জবাব দিলো না। চুপ করে রইলো।জাফর মিয়া তখন আবার বলতে লাগলেন।
–“আমি কি তোকে কখনও কষ্ট দিয়েছি? আঁদর ভালোবাসায় তো কখনও কমতি রাখিনি। তোর ইচ্ছার প্রাধান্য দিয়েছি সবসময়। কখনও কোন ইচ্ছে অপূরর্ণ রাখিনি। নিজের সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছি তোর ইচ্ছে গুলো পূরণ করার। আমি জানি তুই কাব্যর সাথে থেকে সুখে নেই। কাব্যর মতের সাথে হয়তো তোর কোনো মতের মিল নেই। তাই বলে এত বড় ভুল সিদ্ধান্ত বেছে নিবি?? কেন করতে গেলি এই কাজটা??
নুসরাত কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো।
–“বাবা তোমার ধারণা ভুল! তুমি যেটা ভাবছো আমি সেটার জন্য এই ভুল সিদ্ধান্ত নেই নি। অন্য একটা কারণ ছিল।
জাফর মিয়া একটু অবাক হলেন। অন্য কোনো কারণ কী হতে পারে এটা তার মাথায় ঢুকছে না।
–“অন্য একটা কারণ কী ছিল??
নুসরাত অন্যদিক মাথা ঘুরিয়ে জবাব দিলো।
–“এটা আমি তোমাকে বলতে পারবো না বাবা!
জাফর মিয়া আর কোনো প্রশ্ন করলেন না। সোজা রুম থেকে বের হয়ে গেলেন।
এদিকে কাব্য কোথায় আছে সে নিজেও জানে না। একটা চেয়ারের সাথে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে। চাইলেই সে উঠতে পারবে না। কারা বা কে তাকে এখানে এনেছে তার কিছুই জানে না। তবে তার উদ্দেশ্য এখন একটাই, এখান থেকে ফিরে যেতে হবে যে করেই হোক। নুসরাতকে দেখতে হাসপাতাল আসার সময় চারজন লোক মিলে তাকে টেনে একটা গাড়িতে তোলে। সাথে সাথে চোখ বেঁধে ফেলে। তারপর এই রুমে নিয়ে এসে বন্ধি করে রাখে। মোবাইল ফোন টাকা মানিব্যাগ সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়া হয় তার কাছ থেকে।
হঠাৎ একটা লোক তার সামনে এসে ছোট্ট একা কাঁশি দেয়। চোখ বাঁধা থাকার কারণে লোকটা কে দেখতে পারলো না। তারপর লোকটা একটানে কাব্যর চোখের বাঁধন খুলে ফেলে। কাব্য চোখ মেলে তাকিয়ে যাকে দেখলো তা সে কল্পনাও করেনি কখনও। রাসেল তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে!
–“রাসেল তুমি??
রাসেল পাশ থেকে একটা চেয়ার টেনে নিয়ে কাব্যর সামনে বসলো। পকেট থেকে সিগারেট এর প্যাকেট বের করে একটা সিগারেট জ্বালালো। সিগারেট টানতে টানতে বললো।
–“হ্যাঁ ভাই আমি!!
–“তুমি আমাকে এখানে এনেছো কেন ভাই?
–“আচ্ছা আপনার কি মনে হয় আপনিই খুব চালাক? জানেন না? চোরের উপরও বাটপারি চলে!
কথাটা শুনে কাব্য কিছুটা অবাক ই হয়। কারণ এসব কথার অর্থ একটুও বুঝতে পারছে না। আসলে রাসেল তাকে কী বুঝাতে চাইছে।
–“আমি তোমার কথার কিছুই বুঝতে পারছি না। তুমি কী বলতে চাও সরাসরি বলো?? আর আমাকে এখানে ধরে আনার মানে কী?
–“সব বলবো। তার আগের আমার কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর আপনাকে দিতে হবে।
–“বলো কী জানতে চাও?
–“আপনার সাথে আমার কতদিনের সম্পর্ক?
–“নুসরাতের সাথে আমার বিয়ে হবার কয়েক মাস পর থেকেই তোমার সাথে আমার পরিচয়।
রাসেল তখন সিগারেটে একটা টোকা দিয়ে ছাই গুলো নিচে ফেলে পা দিয়ে ডলছে। কিছুক্ষণ ছাই গুলো নিয়ে খেলা করে, আবার জিজ্ঞেস করলো,
–“আচ্ছা আপনি আমার সম্পর্কে কী কী জানেন?
কাব্য একটু বিরক্ত হলো। মূল কথা না বলে অপ্রয়োজনীয় কথা জিজ্ঞেস করছে। একটু কর্কশ কণ্ঠেই বললো।
–“এগুলো কোনো প্রশ্নের ভিতর পড়ে না রাসেল। তুমি যে প্রশ্ন গুলো করছো সেগুলো বাচ্চাদের প্রশ্ন। তুমি বরং এটা বলো, আমাকে এখানে কেন এনেছো?
রাসেল তখন হাসতে হাসতে বললো।
–“আমি বাচ্চাদের মতো প্রশ্ন করছি!!
–“হ্যাঁ তুমি বাচ্চাদের মতোই প্রশ্ন করছো।
–“উত্তেজিত হবেন না ভাই। আমি যে প্রশ্ন গুলো করছি সেগুলোর সোজাসুজি উত্তর দেন। আপনার ও ভালো হবে এবং আমার জন্য ও ভালো হবে।
কাব্য তখন খুব বিরক্ত বোধ করছে। কিন্তু কিছুই করার নেই কারণ, সে রাসেলের জিম্মায় বন্ধী। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে জিজ্ঞেস করলো।
–“আচ্ছা করো প্রশ্ন।
সিগারেট একটা শেষ হতে না হতেই আরেকটা জ্বালিয়ে নিলো রাসেল। অর্ধেক খাওয়া সিগারেট টা কাব্যর ঠোটে ঢুকিয়ে দিলো এবং নতুনটা নিজের ঠোটে ঢুকিয়ে নিলো। কাব্য রাসেলের এমন আচরণ দেখে প্রচণ্ড রেগে গেলো। এখন হাত খোলা থাকলে নিশ্চয় রাসেলের গালে একটা চড় বসিয়ে দিতো। কিন্তু সে নিরুপায় এখন। তাই মুখ বুজে চুপ করে রইলো।
তারপর রাসেল নতুন সিগারেট টা টানতে টানতে প্রশ্ন করলো।
–“ওহ্ হ্যাঁ যেটা বলছিলাম। আপনি আমার সম্পর্কে কী কী জানেন?
জাহিদ অন্যদিক মাথা ঘুড়িয়ে নিয়ে বললো।
–“তুমি নুসরাতের প্রথম হাজবেন্ড! তোমারা লুকিয়ে বিয়ে করেছো এবং এই বিষয়টা সবার থেকে গোপন রেখেছো। আমার সাথে নুসরাতের বিয়ে হবার কয়েক মাস পর তুমি নিজেই আমার সাথে দেখা করে তোমাদের বিষয়টা জানিয়েছিলে। এবং তুমি আমাকে বলেছো নুসরাতকে ডিভোর্স দিতে। আর তোমার সাথে যে আমার কথা হয়েছে বা তোমাদের বিষয়ে আমি জানি, এটা নুসরাত যেন কখনও জানতে না পারে। এটাই তো তোমার পরিচয় এবং তোমার সম্পর্কে আমি এতটুকুই জানি। আর আমি এই বিষয়টা কাউকে বলিনি।
–“হ্যাঁ সব ঠিক আছে। কিন্তু একটা কথা আপনি রাখেন নি।
–“কোনটা?
–“নুসরাতকে ডিভোর্স দিতে বলেছিলাম। আপনি সেটা করেননি। (রাসেল ভ্রু কুঁচকে বললো)
–“আমার স্ত্রী’কে আমি ডিভোর্স দিবো কি দিবো না, সেটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
–“কাব্য সাহেব আপনি ভুলে যাচ্ছেন নুসরাত আইন অনুযায়ী আমার স্ত্রী!
–“হ্যাঁ নুসরাত আইন অনুযায়ী আমারও স্ত্রী!
–“ভাই আমি নুসরাতকে ভীষণ ভালোবাসি এবং নুসরাতও আমাকে ভালোবাসে। এখন ভালোবাসে কিনা সঠিক জানি না। তবে ওকে ছাড়া আমার জীনটা মূল্যহীন।
–“রাসেল তুমি আমাকে তোমাদের বিষয়টা জানিয়েছো বিয়ের কয়েক মাস পর। আমিও এই কয়েক মাসে নুসরাতকে নিজের চেয়ে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছি। কিন্তু কী করবো বলো? পঁচা শামুকে তো পা কেটেই ফেলেছি, চাইলেই তো আর সেই দাঁগ মোছা যায় না। তাই ওকে ডিভোর্স দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।
–“ভাই আপনি একটু আমার বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করেন।
–“আমার আর কিছু বুঝতে হবে না। তুমি আমার হাতের বাঁধনটা খুলে দেও, আমি নুসরাতের সাথে দেখা করতে যাবো হাসপাতালে।
–“আচ্ছা আপনি নুসরাতকে ওর বাবা’র বাড়ি দিয়ে আসলেন কেন?
–“তোমাকে আর ওকে এক রিকশায় সেদিন দেখে সহ্য করতে পারিনি তাই।
–“তাহলে?
–“তাহলে কী?
–“না কিছু না।
–“এবার বাঁধন খুলে দেও।
তারপর রাসেল কাব্যর হাতের বাঁধন খুলে দিলো। কাব্য চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালো। তখন রাসেলের ঘাড়ে হাত রেখে বললো।
–“রাসেল তুমি যতটুকু নুসরাতকে ভালোবাসো আমিও হয়তো তার কোনো অংশে কম ভালোবাসিনি তাকে। কিন্তু আজ যে কাজটা তুমি করলে আমার সাথে এটা মোটেও ভালো করোনি!
কথাটা বলে কাব্য রুম থেকে বের হবার জন্য দরজার দিকে এগিয়ে গেলো। পিছন থেকে রাসেল ডাক দিয়ে বললো।
–“ভাই একটা কথা শোনেন,,
কাব্য পিছন ফিরে জিজ্ঞেস করলো,
–“বলো?
–“আপনি কি জানেন নুসরাত কেন আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল?
–“না।
–“আমাদের বিয়ের পর একটা গোপন ভিডিও ছিল। সেটা আমি নুসরাতকে দেখিয়ে বলেছিলাম আপনাকে ভিডিওটা দিবো। এটা নুসরাত সহ্য করতে পারেনি তাই আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। আসলে নুসরাত তো জানে না যে, আপনার আমার সাথে যোগাযোগ আছে বা আপনি আমাদের সম্পর্কে জানেন। ও ভয় পেয়েছিল যে, আপনি ঐ ভিডিটা দেখলে জানাজানি হয়ে যাবে এবং নুসরাতকে আর ওর বাবা’কে চরম অপমান হতে হবে। তাই দিশেহারা হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। কিন্তু ভাই বিশ্বাস করেন আমি এগুলো করতে চাইনি। ভিডিওটা আপনাকে দিতাম ও না। আমি শুধু নুসরাতকে ভয় দেখিয়েছিলাম কারণ, সে যেন আপনাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। আপনি তো ডিভোর্স দেননি তাই ওকে দিয়ে দেওয়াতে চেয়েছিলাম। আসলে ভাই আমি ওকে ভীষণ ভালোবাসি এবং ওর পাশে অন্য পুরুষকে কখনও মেনে নিতে পারছিলাম না। তাই এমনটা করেছিলাম। আপনি এখন নুসরাতের কাছেই যাচ্ছেন। ওকে একটু বলে দিয়েন, পারলে যেন আমাকে ক্ষমা করে দেয়।
.
.
রাসেল কগুলো বলে চোখের পানি মুছতে মুছতে অন্য রুমের দিকে এগিয়ে গেলে। কাব্য কথাগুলো চুপচাপ দাঁড়িয়ে শুনলো। কোনো কথা বলেনি। রাসেল অন্য রুমের দিকে এগিয়ে যাবার পর কাব্যও সেখান থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। কাব্যও যে নুসরাতকে কম ভালোবাসে তা নয়। প্রচণ্ড ভালোবাসে। আর এই ভালোবাসাটা তৈরি হয়েছিল ওদের বিষয়ে জানার আগের কয়েক মাসে।
এখন কাব্য হাসপাতাল এসে নুসরাতের পাশে মাথা নিচু করে চুপ করে বসে আছে। জাফর মিয়া কাব্যকে দেখে একটু খুশি হলেন।
ওদিকে রাসেল বুঝে নিয়েছে তার ভালোবাসা সে হারিয়ে ফেলেছে চিরদিনের জন্য। আর কখনও সেই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা সে ফিরে পাবে না। এবং নুসরাতের সামনে যেন আর কখনও না যেতে হয়, এবং নুসরাত আর কাব্যর পথের কাঁটা যেন আর না হতে হয় সেই ব্যবস্থা করবে বলে ভাবছে। পুরা এক প্যাকেট সিগারেট সবগুলো খেয়ে শেষ করে ফেলেছে। তারপর কোথা থেকে একটা দঁড়ি এনে, লম্বা একটা টুলের উপর দাঁড়িয়ে পাখার সাথে দড়িটা বেঁধে নিলো। দড়িটা গলার ভিতর ঢুকিয়েছে মাত্র, আর ঠিক তখনই কাব্য তার সামনে এসে দাঁড়ালো। ধমক দিয়ে রাসেলকে টুলের উপর থেকে নামালো। এবং ডান গালের উপর টেনে একটা চড় বসিয়ে দিলো। রাসেল গালে হাত দিয়ে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে পড়লো। কাব্য চড়টা মেরে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। রাসেল গালে হাত দিয়েই দাঁড়িয়ে রইলো। কয়েক সেকেন্ড পর দেখলো, কাব্য নুসরাতের হাত ধরে রুমে প্রবেশ করলো। তারপর কাব্য নুসরাতকে রাসেলের কাছে দিয়ে বললো
–“তোমার আমানত তোমার কাছে দিয়ে গেলাম রাসেল। খুব মূল্যবান জিনিস এটা। খুব যত্নে রাখবা। কখনও অবহেলা করবা না। নিজে কষ্ট পেলেও ভালোবাসাকে কষ্ট পেতে দিবা না। আমি নুসরাতকে ভালোবাসি ঠিকই কিন্তু নুসরাতের মনে আমি নেই। তার মনে বসবাস করছো তুমি। আমিও চাই না নুসরাত কষ্ট পাক তাই তোমার কাছে দিয়ে গেলাম। ভালো থেকো তোমরা।
.
.
কথাগুলো বলে কাব্য রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। তখনই পিছন থেকে রাসেল কিছু বলতে যাবে তার আগেই কাব্য পিছনে না তাকিয়েই বললো,
–“আগামীকাল ই আমি ডিভোর্স এর কাগজ পাঠিয়ে দিবো।
কথাটা বলেই রুম থেকে জোর পায়ে হেঁটে বেরিয়ে চলে গেলো।
তারপর রাসেল এবং নুসরাতের ভালোবাসর নতুন একটি রচনা শুরু হলো। আর কাব্যর জীবনের ভালোবাসার রচনা এখানেই শেষ হয়ে কিছু স্মৃতি হিসাবে রয়ে গেলো। জাফর মিয়া সবকিছু জেনেও চুপ করে আছেন। এখনও সে মাঝেমাঝে রাহেলার সঙ্গে দেখা করতে কবর এর দিকে ছুটে যান।
.
.
সমাপ্ত……….
.
বিঃদ্রঃ মন যেমন চেয়েছি তেমন লিখে শেষ করলাম। ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো