#কানামাছি
#পার্টঃ১৭ অন্তিম
#জান্নাতুল কুহু (ছদ্মনাম)
প্রেগ্ন্যাসির রিপোর্ট হাতে নিয়ে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সাঁঝ। তার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না রিপোর্টে পজেটিভ লেখা আছে। সাঁঝের মনে হলো এখনই মাথা ঘুরে পড়ে যাবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে থাকলো। তার একটা ছোট্ট বাবু হবে? যে ইহানকে বাবা আর তাকে মা বলে ডাকবে! গুটিগুটি পায়ে ঘরময় হেঁটে বেড়াবে। সাঁঝের চোখ পানিতে ভর্তি হয়ে গেলো। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সাঁঝকে সে নিজেই চিনতে পারলো না। খুশিতে নাচতে ইচ্ছা হচ্ছে তার। নিজের পেটের উপর হাত রাখলো সে।
কয়েকদিন ধরে শরীর খারাপ লাগছিলো। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরে ডাক্তার কিছু টেস্ট দিয়েছিলো। আজ রিপোর্ট হাতে পেয়েছে। আর রিপোর্ট খুলে দেখে প্রেগ্ন্যাসি পজেটিভ। ডাক্তারের কাছে আবার যেতে হবে রিপোর্ট নিয়ে। এই সব কাজ বাড়ির সবার অগোচরে করেছে। ইহান নিজেই অসুস্থ তাই ইহানকে বলে আর বিচলিত করতে চায়নি। আজ সে ভার্সিটিতে যায়নি। ইহান গিয়েছে। তাই রিপোর্ট নিয়ে আসতে আর কোন ঝামেলা হয়নি।
বিকালে ইহান তাকে নিয়ে বেড়াতে যাবে। কোন সারপ্রাইজ আছে তার জন্য। ইহান তার জন্য যে সারপ্রাইজ রাখুক না কেন সেও আজ সারপ্রাইজ দিবে। সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ।
সাঁঝের মন খুশিতে ভরে উঠলো। তার মনে হলো এতোদিন সে যে কষ্ট করেছে তা সুখে পরিনত হয়েছে বিয়ের পর থেকে। বিয়ের পরে এতো ভালো একজন জীবনসঙ্গী, একজন মা একজন বাবা আর একজন বোন পেয়েছে। তার জীবনটা একটা সুখের বাগানে পরিনত হয়েছে। ইহান আসার পর থেকে জীবনটা পরিবর্তিত হতে শুরু করেছে। এখন যদি কেউ জিজ্ঞেস করে তুমি কেমন আছো তাহলে সে মন থেকে বলতে পারবে আমি অনেক ভালো আছি। অনেক!
সাঁঝ ড্রয়িংরুমের চলে আসলো। আম্মু টিভি দেখছে আম্মুর পাশে বসে আহ্লাদীর সুরে বলল,
—” আম্মু”
আম্মু টিভি দেখতে দেখতে বলল,
—” হুম বলো”
—” মিষ্টি খাবে?”
আম্মু একটু অবাক হয়ে বলল,
—” এখন মিষ্টি? ”
সাঁঝ হেসে বলল,
—” হ্যা। আমি খাবো। তুমিও খাও আমার সাথে”
—” আচ্ছা”
—” আমি আনছি”
সাঁঝ মিষ্টি নিয়ে আসলো দুজনের জন্য। খেতে তার মনে হলো আজকের মিষ্টিটা বেশিই ভালো। সাঁঝ জিজ্ঞেস বললো,
—” ইশিতার বাসায় আসতে তো দেরী আছে এখনো। নাহলে তিনজন মিলে খেতে পারতাম”
—” হুম কলেজ শেষ করে প্রাইভেট পড়ে তারপর আসবে”
সাঁঝ মিষ্টি খাওয়া শেষ হলে রুমে চলে আসলো। তার আর তর সইছে না ইহান কখন আসবে? সবার আগে ইহানকেই বলবে। তারপর বাড়ির বাকি সবাইকে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো এখনো দুপুরই হয়নি। ইহান তো আসবে দুপুরের পরে। সাঁঝ টিভি দেখার চেষ্টা করলো, বই পড়ার চেষ্টা করলো কিন্তু কোনটাতে মন বসলো না। এরপর শাওয়ার নিয়ে এসে শুয়ে পড়লো। কিছুক্ষণ পরে ঘুমিয়েও পড়লো।
,
,
,
,
🌿
রেডি হয়ে নিজেকে আয়নায় ভালো ভাবে দেখে নিচ্ছে সব ঠিক আছে কিনা। ইহান তাকে বলেছিলো “তোমাকে লাল গোলাপের মোহে না কাঠগোলাপের শুভ্রতায় মানায়।”
যেহেতু কাঠগোলাপের শুভ্রতায় মানায় তাই কাঠগোলাপের মতো শুভ্র ভাবেই আজ সেজেছে। সাদা শাড়ি পরেছে। এখনও ইহান আসেনি কিন্তু তবুও আগে থেকে রেডি হয়ে থাকলো। বেশ কিছুক্ষণ পরে ক্লান্ত ভঙ্গিতে ইহান রুমে এসে তাকে দেখে থমকে দাঁড়ালো। সাঁঝ হেসে জিজ্ঞেস করলো,
—” এসে গেছো? কেমন লাগছে আমাকে বলো?”
ইহান কিছুটা অবাক হয়েই বলল,
—” আসলাম আর তোমাকেও অনেক সুন্দর লাগছে। কিন্তু এভাবে সাজার কারণ?”
সাঁঝ একগাল হেসে বলল,
—” আজ বেড়াতে যাবো না? সেজন্য রেডি হয়েছি”
—” কিন্তু সেটা তো এখন না। বিকালে”
—” হ্যা জানি তো। কিন্তু আমার ইচ্ছা হলো তাই এখনই রেডি হলাম”
—” আচ্ছা”
ইহান শাওয়ারে যেতে যেতে ভাবলো আজ সাঁঝকে বেশিই খুশি লাগছে। বেড়াতে যাওয়ার জন্য এতো বেশি খুশি তো আগে কখনো হয়নি! ইহান দীর্ঘশ্বাস ফেললো। হয়তো আজই শেষ ঘুরতে যাওয়া। সেজন্য না জেনেও সাঁঝ কোনভাবে এতো খুশি হয়েছে।
,
,
,
,
🌿
ইহান একদৃষ্টিতে সাঁঝকে দেখছে। শুনছে সাঁঝের সব কথা। নদীর পাড়ে বসে একদিক থেকে বাতাস লেগে সাঁঝের চুল গুলো উড়ছে। আর নানা রকমের গল্প শোনাচ্ছে। ইহান শুধু শ্রোতার ভূমিকা পালন করছে এখন। সাঁঝের কথা শুনতেও ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে ও এভাবেই বলতে থাক। বুকে কিছুটা ব্যথাও অনুভব হচ্ছে। কারণ যখন সে বলতে শুরু করবে তখন সাঁঝ নিশ্চুপ থাকবে। আর কোনদিন কথা বলবে কিনা সেটাও সন্দেহ। সাঁঝের উড়তে থাকা চুলগুলো কানের পিছনে গুঁজে দিলো। সাঁঝ তার দিকে তাকিয়ে বলল,
—” এভাবে কি দেখছো? আমিই কখন থেকে কথা বলে যাচ্ছি আর তুমি চুপচাপ শুনছো। কিছু বলছো না কেন?”
—” তোমার কথা শুনতে ভালো লাগছে। সেজন্য কিছু বলছি না।”
—” আচ্ছা।”
একটু চুপ থাকার পরে সাঁঝ আবার বলল,
—” তুমি না বললে আমার জন্য সারপ্রাইজ রেখেছো? কি সারপ্রাইজ? ”
ইহান আঙ্গুল দিয়ে সাঁঝের পিছন দিকে ইশারা করলো। সাঁঝ ঘুরে দেখলো একটা নৌকা। বেশ সুন্দর করে সাজানো। সাঁঝ একটু খুশি হয়ে বলল,
—” আমাদের জন্য?”
ইহান একটু হেসে বলল,
—” হ্যা আজ বিকালের জন্য এটা আমাদের। আমরা ঘুরবো এই নদীর বুকে”
—” তাহলে চলো”
নৌকায় উঠে সাঁঝ মন জুড়িয়ে গেলো। দুই পাশে সবুজ গাছপালা দেখা যাচ্ছে। আর মাঝে নৌকায় চড়ে ঘুরছে। মৃদু ঢেউ আছে নদীতে। সাঁঝের ইচ্ছা হলো পানিতে পা ডুবিয়ে বসতে। ইহান কে বলল,
—” আমি পা নামায় পানিতে?”
ইহান কড়া সুরে বলল,
—” না তুমি সাঁতার জানোনা। পড়ে গেলে সমস্যা হবে”
সাঁঝ একটু হেসে বলল,
—” তুমি তো জানো। আমি পড়লে তুমিও নেমে যাবে আমাকে বাঁচানোর জন্য। নামায় না প্লিজ! দরকার হলে আমার একহাত তুমি ধরে থাকো”
ইহানকে শেষ পর্যন্ত সাঁঝের কথা মানতেই হলো। সাঁঝ ইহানের একহাত ধরে পানিতে পা ডুবিয়ে বসলো। নৌকা মাঝে মাঝে দুলছে। আর পা কখনো বেশি ডুবে যাচ্ছে কখনো অল্প। সাঁঝের দারুণ মজা লাগছে। শাড়িও অবশ্য ভিজে যাচ্ছে। কিন্তু সেটা ব্যাপার না।
আর ইহান চোখ ভরে সাঁঝের উচ্ছ্বাস দেখছে। এই উচ্ছ্বাসকে গুড়িয়ে নষ্ট করতে ইচ্ছা হচ্ছে না। কিন্তু সে সত্যিকে আর লুকিয়ে রাখবে না৷ আজ বলবে সব। যেভাবেই হোক।
,
,
,
,
🌿
নদীর ধারে সাঁঝের মুখে আনন্দের ঝিলিক দেখে ইহান কিছু বলেনি। কিন্তু এখন বলবে। সাঁঝের দিকে ঘুরে তাকালো। সাঁঝ জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। ইহান আবার গাড়ি চালানোয় মনোযোগ দিলো।
সাঁঝ ভেবে রেখেছে গাড়ি থেকে নেমে ইহানের কানে কানে বলবে সে বাবা হবে তারপর দৌড়ে বাড়ির ভিতর চলে যাবে। সারাদিন আর ইহানের সামনে আসবে না। একটু মজা তো নেয়ায় যায় এটা নিয়ে। ইহানের মুখের অবস্থা কি হবে ভেবে আনমনে হেসে উঠলো। ইহান ডেকে উঠলো,
—” সাঁঝ শোন”
সাঁঝ ইহানের দিকে তাকিয়ে বলল,
—” বলো”
—” আমার কিছু বলার আছে”
—” বলো আমি শুনছি”
ইহান একটা বড় শ্বাস নিয়ে বলল,
—” সাঁঝ অনিক আমার ভাই”
ইহান সাঁঝের মুখের দিকে তাকালো। যে হাসিটুকু ছিলো সেটা উবে গেল। স্থির দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ একদম স্থির। দৃষ্টি শান্ত। ইহান আবার বলা শুরু করলো,
—” অনিক বড় চাচার প্রথম সন্তান যার খবর আমি বাবা আর চাচা জানি। অনিক গত কয়েকমাস ধরে আইসিইউ তে ভর্তি আছে। মিশনে ওর গুলি লেগেছিলো সেটা অনিকের ইচ্ছাকৃত ছিলো। অনিক আত্মহত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে গুলির সামনে দাঁড়ায়। আর আত্মহত্যার কারণ দুটা ছিলো। প্রথমটা ও তোমাকে অনেক ভালোবাসতো। তোমার ছেড়ে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেনি আর দ্বিতীয় একটা অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয় যেটা ও নিতে পারিনি। আর ওটা তুমি ভাইরাল করেছিলে”
ইহান একটু থেমে আবার বলা শুরু করলো,
—” অনিককে আমি ছোট থেকে দেখেছি। ও আমার খুব কাছের। আমি ওর এই অবস্থাকে মেনে নিতে পারিনি। তাই আমি খোঁজ খবর নিয়ে তোমার কথা জানতে পারি। আর ঠিক করি তোমাকেও একটু একটু করে কষ্ট দিবো। ভালোবাসার নাটক করবো আর তারপর তোমাকে ছেড়ে দেবো যেমনটা তুমি করেছিলে। তাই তোমাকে বিয়ে করি। আর তোমার সাথে ভালোবাসার নাটক শুরু করি। তোমাকে বজ্রপাতের সময় বারান্দায় আমি বন্দী করেছিলাম। মানসিকভাবে অসুস্থ করে দেয়ার জন্য।”
ইহান থামলো। সাঁঝ সেই শান্ত দৃষ্টিতে এখনো তাকিয়ে আছে। ইহানের গা শিউরে উঠলো এই দৃষ্টি দেখে।
সাঁঝের মুখে একটু হাসির আভা দেখা দিলো। সাঁঝ বিদ্রুপের সুরে বলল,
—” তার মানে আমি মিথ্যা সুখে বাঁচছিলাম?”
ইহানের চোখের কোনে পানি জমলো৷ বলল,
—” যখন তোমার ডায়েরিটা পড়লাম তখন আমার মনে হলো আমি সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী। আমার মরে যাওয়া উচিত। আর বুঝতে পারলাম আমি…আমি তোমাকে ভালোবাসি”
সাঁঝের হাসি আরেকটু বিস্তৃত হলো। সে বলল,
—” যখন আপনি দেখলেন আমি কোথাও না কোথাও আপনার দিক থেকে ভুল হয়েও ঠিক তখন বুঝলেন আপনি আমাকে ভালোবাসেন?”
—” না সাঁঝ আমি তোমাকে আগে থেকেই ভালোবাসি৷ আমার প্রতি তোমার ভালোবাসার তীব্রতা আমাকে আগেই বাধ্য করেছিলো ভালোবাসতে। কিন্তু তখন মনে হতো আমি আমার ভাইয়ের অপরাধীর জন্য অনুভব করি? নিজেকে ধিক্কার জানাতাম। কিন্তু সত্য জানার পরে আমি বুঝেছি আমি ভুল মানুষকে ভালোবাসিনি”
সাঁঝ শুধু ইহানের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলো। ইহান আবার বলল,
—” এগুলো জানার পরে তুমি কি আমাকে চিরকালের জন্য নিজের জীবন আর স্মৃতি থেকে মুছে ফেলবা না কি করবে সেটা সম্পূর্ণ তোমার সিদ্ধান্ত। শুধু এটাই বলতে চাই যে আমি তোমাকে……”
হঠাৎ বিক্ষিপ্ত ভাবে তীব্র কিছু শব্দ হলো তারপর সব থেকে গিয়ে অন্ধকার……………
পরেরদিন খবরের কাগজে এক জায়গায় খবর বের হলো মহাসড়কে সন্ধ্যাবেলায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ি গাছের সাথে লেগে এক্সিডেন্ট করেছে। গাড়িতে অবস্থানকারী দুজনের মধ্যে একজন ওখানেই মৃত আর আরেকজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
,
,
,
,
🌿
ইহান বারান্দায় বসে সূর্য ডোবা দেখছে। সামনে সাঁঝের জামা কাপড় ছড়ানো। সাঁঝের প্রেগ্ন্যাসির রিপোর্টটা এক কোণে পড়ে আছে। আর কিছু বাচ্চাদের খেলনাও আছে সামনে। হঠাৎ একাই হেসে উঠলো ইহান।
নিজের জীবনের উপর হেসে উঠলো। কি পেলো প্রতিশোধের কানামাছি খেলে? যার জন্য খেলছিলো সে প্রায় নয়-দশ মাস আইসিইউতে থেকে মারা গেলো।
যার সাথে ভুল করে খেলছিলো, তার ভালোবাসা তার জীবনের আলো সাঁঝ, তার সাথে কানামাছি খেলে ধরা ছোয়ার বাইরে চলে গেলো। তার অনাগত সন্তান যার খবর সাঁঝ তাকে দিতোই হয়তো তাকেও হারিয়ে ফেলেছে। সন্তানের খুশির খবরটা অনুভব করতে পারলো না।
নিজের কাজের শাস্তি চেয়েছিলো আল্লাহর কাছে। পেয়েছে এবং পাচ্ছে। কঠিন রূপে পাচ্ছে। একই এক্সিডেন্ট একজন মারা গেলো আরেকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো। সে কেন বেঁচে গেলো? সাঁঝ কেন বাঁচলো না? কেন? সাঁঝ তো তার অপরাধী ছিলো না। তার সন্তান কেন বাঁচলো না? এর থেকে সে নিজেই মরে যেতো সাঁঝ আর তার সন্তানের বদলে! এ কেমন খেলা? যার শুরু তো খুব আগ্রহ নিয়ে করেছিলো কিন্তু শেষ করার সময় সব শেষ করে গেলো।
ইহান ডুকরে কেঁদে উঠলো। একটু আগেই অবশ্য হাসছিলো। এখন কাঁদছে। এখন তার সাথে এমনই হয়। নিজের ভালোবাসার কাছে ক্ষমা পর্যন্ত চাইতে পারলো না। স্ত্রী আর অনাগত সন্তানকে হারিয়ে আজ সে উন্মাদ…..
“It wasn’t a love story. It was a story of revenge. It was a story of bitterness and hate. And hate always leads people to destruction.”
~Kuhu. (সমাপ্ত)
⛔⛔ কিছু কথাঃ
★ইহান কি পজেটিভ ক্যারেক্টার না নেগেটিভ ক্যারেক্টর?
গল্পের মূল চরিত্র সাঁঝ। সাঁঝের সাপেক্ষে ইহান যখন তার জীবনে আসে তখন একটা নেগেটিভ ক্যারেক্টর হিসেবে আসে। কিন্তু ক্রমেই সে পজেটিভ ক্যারেক্টারে রূপান্তরিত হয়। আর অনিক শুরু থেকেই একটা নেগেটিভ ক্যারেক্টর ছিলো।
★আপু সাঁঝ সারাজীবন কষ্ট করেই গেল?
সাঁঝের জীবনটা কষ্টের ছিলো। ইহান আসার পর থেকে সে সুখে থাকতে শুরু করে। সেটা ইহানের খেলা হোক বা অন্য কারণে সাঁঝ সবকিছু থেকে অজ্ঞ থেকেই সুখটুকু পুরোপুরি ভাবে অনুভব করেছে। ইহান এবং অনিক ভুল ছিলো। তাদের ভুলের শাস্তিও তারা পেয়েছে। তাহলে আপু সাঁঝ কিসের শাস্তি পেয়েছে?
প্রশ্ন আপনাদের কাছে থাকলো সাঁঝও কি পুরোপুরি নির্দোষ ছিলো?
আমি প্রতিটা চরিত্রের ভুলের বিপরীতে শাস্তি আর কষ্টের বিপরীতে সুখ দেয়ার চেষ্টা করেছি। কতটুকু পেরেছি সেটা আপনারা ভালো বলতে পারবেন। আমি নিতান্তই একজন নতুন আর ক্ষুদ্র লেখিকা। ভুল ত্রুটি করলে সেগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই জানাবেন কেমন লাগলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে♥️♥️।
গল্পটা চমৎকার। আপু তুমি জানতে চাচ্ছিলে সাঁজ পুরোপুরি নির্দোষ কি না অবশ্যই না কিন্তু ওর সাথে ও ভালো কিছু হয় নাই। একটা মানুষের অন্যায়ের শাস্তি দিতে চাচ্ছিল কিন্তু ভুল পথ অবলম্বন করেছিল।আর ইহান এর শাস্তি তো প্রকৃতি তাকে দিয়ে দিছে।সাঁজ বেচে থাকলে ও হয়তো মানসিকভাবে সুস্থ থাকত না আর এর জন্য যথেষ্ট কারন আছে। সবশেষে বলতে চাই অনেক অনেক ভালো হইছে গল্পটা।কৃত্রিমতা অনেক কম আছে।গল্প তো গল্পই বাস্তবজীবনের সাথে মিল নাই মানুষের জীবনে কখনো হ্যাপি এন্ডিং হয় না এতে মানুষ আরে নিষ্ঠুরভাবে ঠকে যায়।