কাছে আসার গল্প পর্ব ৯
লেখা আশিকা
হিমেল আমার ঠোট ছেড়ে গলায় চুমু একে দিচ্ছে..
এতক্ষন সে অন্য দুনিয়ায়.
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/
সে এক ঝটকায় আমার শাড়ীর আচল টেনে ধরেই চোখের দিকে তাকায়….
এতক্ষনে তার হুশ ফিরে…
সে আমার আচল ছেড়ে দিয়ে উঠে পড়ে…
হিমেল সরাসরি ওয়াশরুমে চলে যায়।আমি বিছানায় বসে কাদতে থাকি…
আমি কেদেই চলেছি..
আমি আমার পিঠে স্পর্শ অনুভব করি…
আমি হিমেলের হাত সরিয়ে দেই…
এইবার হিমেল আমার সামনে বসে আমার মুখটা উপড়ে টেনে তুলে…
— সরি, আসলে আমার মাথা ঠিক ছিলো।
প্রমিজ আর এমন হবেনা।
আমি হিমেলের দিকে তাকালাম…
হিমেল বিছানা থেকে উঠে পড়ে, তার ব্যাগ থেকে কি যেন খুজল,
এরপর সোজা বাহিরে চলে গেল, যাবার আগে দরজাটা বাহির থেকে লক করে দিলো…
জানি না কোথায় গেলো??
আমি ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়ি…
কিন্তু ঘুম আসছে না।
কিন্তু কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ি।
সকালে হিমেলকে সোফায় আবিষ্কার করি।
জানি না কখন রুমে আসছে??
ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘরে গেলাম।
রান্না কমপ্লিট করতেই সবাই খেতে আসলো। কিন্তু হিমেল আসলো না। মা মিথিকে বললো হিমেলকে ডেকে আনতে।
— এই ভাইয়া উঠ?? তুই তো কখনে এতো বেলা ঘুমুস না।
উঠ..
হিমেল উঠে বসে…
— তুই এখানে কেনো??
–…….
— কিরে বল??
— জানিনারে, বোধ হয় টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
কিন্তু উত্তরটা মিথিলার প্রছন্দ হয় নাই।
সে তার ভাইকে খাবার টেবিলে আসতে বলে…
হিমেল খাবার টেবিলে বসে আশ্চর্য আমার দিকে একবারো তাকায় নাই, ইভেন কারো সাথে কোনো কথাই বলে নাই।
চুপচাপ চলে যায়…
সেদিনের পর থেকে হিমেল আমার সাথে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলেনি।
আর সে সোফায় শুয়েছে…
আর আমিও তাকে বিছানায় আসতে বলিনি…
আমি বুঝেছিলাম হিমেল খুব হার্ট হয়েছে…
আমার ননদ আমাদের ব্যাপারটা বুজে ফেলেছিলো।
সেই থেকে মিথি আমাকে আড়চোখে দেখত।
মিথি দেখে তার ভাই সোফায় শুয়ে বেঘোরে ঘুমুচ্ছে…
যে হিমেল সবসময় বকবক করতো সেই হিমেল চুপচাপ থাকা শুরু করল।
এর মধ্যে আমাদের বাসায় বাবা ফোন করে যেতে বললো।
সারা রাস্তা হিমেল আমার সাথে কথা বললো না।
বাসায় যেয়েও সবার সাথে তেমন কথা বললো না।
আমি আর পারছিলাম না। তাই শেষমেশ হিমেলকে ধরেই ফেললাম…
— তোমার কি হয়েছে??
আমার সাথে এরকম কেনো করছো??
— কই কিছু হয় নাই তো, আর তুমিতো এটাই চেয়েছিলে…
— প্লিজ তুমি আমাকে বকো, তাও এইভাবে চুপ করে থেকোনা…
বলেই হিমেলের হাত ধরলাম
সে এক ঝটকায় আমার হাত ছাড়িয়ে চলে গেলো…
সেইদিন আমরা আমাদের বাসায় রাতে থাকলাম।
হিমল দেখি বালিশ নিয়া নিতে শুতে যাচ্ছে…
— তুমি যদি নিচে শোও তাহলে কিন্তু আমিও নিচেই আসব।
আমার কথা কানে না নিয়েই সে নিচে শুয়ে পড়ল।
আমার চরম অপমান লাগছিলো
কিন্তু কেঊ আমার সাথে রাগ করলে আমার চরম অশ্বস্তি হয়।
আমি হিমেলের পাশে শুয়ে পড়লাম।
সে জানে আমার ঠাণ্ডার সমস্যা, তাই রিস্কটা নিলাম কাজে দিলেও দিতে পারে…
আমার হাতে একটা জোরে হ্যাচকা টান দিয়ে হিমেল আমাকে বিছানায় নিয়া যায় আর নিজেও আসে।
— এইবার তো তুমিই জিতলা।
কি হ্যাপি??
— হুম…
ওপাশ ফিরে শুয়ে পড়লো…
আমিও অন্যপাশে শুয়ে পড়লাম।
হিমেল কি ঘুমিয়ে পড়েছে??
আমি ওই পাশে ফিরলাম
সেও আমার দিকে তাকাই আছে…
আমাকে দেখেই অন্যপাশ ফিরলো,
আমিও অন্যপাশে ফিরলাম।
কিছুক্ষণ পর আবার এইটাই মনে হলো, আমি তার দিকে ফিরলাম।
এইবারো সেও সেইম কাজটা করলো, একটা মুচকি হাসি দিলো, আমারো হাসি চলে আসল।
লজ্জায় অন্যপাশ ফিরে শুয়ে পড়লাম।
মনে হয় রাগ কমেছে…
সকালে দেখি আমি তার উপর পা তুলে শুয়ে আছি।
পরদিন খুশি মনে শ্বশুরবাড়ি গেলাম।
পরের কয়েকদিন আমরা খুব ভালো সময় কাটালাম ঠিক আগের মত।
শ্বশুর শাশুড়ি ডিসিশন নিলো এইবার হজ্বে যাবে।
আমাকে মা ঘরের সব কাজ শিখাতে লাগলেন।
এদিকে আস্তে আস্তে হিমেলের ছুটি শেষ হয়ে যাচ্ছে।
আমাকে এই কয়েকটা দিন হিমেল ইউনিভার্সিটিতে যেতে দেয় নাই।
বলেছে সে যখন চলে যাবে তখন যেন যাই।
সে আমাকে চোখে হারাত, সারাদিন বের হত না আমাকে টাইম দিতো।
নিতু ফোন করে বলে যে এক্সামের রিজাল্ট দিছে আমি বেশি ভালো মার্কস পাই নাই।
আমার তখন থেকেই মূড অফ ছিলো।
সব এই বিয়ের জন্য।
শ্বাশুড়ি মা আমাকে হিমেলকে ডেকে বললেন,হজে যাওয়ার আগে তার নাতি আসার সুসংবাদ শুনে যেতে চান, আমরা যেন অচিরেই তাকে সুসংবাদ দিতে পারি তিনি সেই আশায় বসে আছেন। যাওয়ার আগে এইটাই তার শেষ ইচ্ছা।
আমার মেজাজ খুব খারাপ হয়ে গেলো।
কিন্তু হিমেল লজ্জায় পুরা ব্লাশ করছে।
এইটা দেখে আমার রাগ আরোও বাড়তে থাকলো
চলবে।।।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/