কনফিউশন পর্ব ২৯+৩০

0
1466

কনফিউশন
লেখকঃ মৌরি মরিয়ম
পর্ব ২৯+৩০

সেদিনের পর আরশি ও কাব্যর মধ্যে দূরত্ব মোটেও বাড়েনি বরং দুজনের ভেতরকার দুরত্ব যেটুকু ছিলো তারও খানিকটা যেন কমে এসেছে। তবে কয়েকমাস পর আরশির পরীক্ষা শুরু হওয়ায় কথাবার্তা কমে এসেছে। আরশি সারাক্ষণ পড়াশোনা নিয়ে থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে আর রাতে ঘুমানোর আগে একবার কথা হয় শুধু৷ আজ আরশি পড়তে পড়তেই হঠাৎ কাব্যকে খুব মিস করতে লাগলো। কয়েকদিন হয়ে গেছে দেখা হয়নি, এখন খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। পড়ায় আর মন বসাতে পারছে না। এক্ষুনি একবার দেখা করতেই হবে। কিন্তু রাত বাজে ন’টা। এখন কীভাবে দেখা করবে! এতো রাতে কী বলে বাইরে যাবে ভাবতে লাগলো। ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে হলো কিছু বলেই যেতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই। ভাবী আমরিনকে ঘুম পাড়াচ্ছে, ভাইয়া তাদের ঘরে টিভি দেখছে। এখন কাউকে না বলেই চলে যাওয়া যাবে, ঘর লক করা দেখলে সবাই ভাববে সে ভেতরে বসে পড়ছে। রাতের খাবারের আগে কেউ ডাকবে না। কাব্যকে দেখে ফিরে আসা ১০ মিনিটের ব্যাপার মাত্র। কেউ টেরই পাবে না। আরশি খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলো এবং চোরের মত বেরিয়ে চলে গেলো নিচে।

কাব্য অফিস থেকে ফেরার সময় বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়েছে। মাথা ধুয়ে কাপড় পাল্টে এক মগ চা নিয়ে বসেছে, কয়েক চুমুক খেতেই কলিং বেল বাজলো। দরজা খুলে আরশিকে দেখে কিছুটা চমকে গেলো কাব্য।
“আরে এতো রাতে তুমি?”
“ভেতরে আসতে বলো আগে, তারপর জিজ্ঞেস করো। কেউ দেখে ফেললে মিথ্যে বলতে হবে।”
কাব্য সরে দাঁড়াতেই আরশি ভেতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলো। তারপর চায়ের দিকে চোখ পড়তেই বললো,
“চা খাচ্ছো, আমাকেও দাওনা একটু।”
“একটু বসো আমি বানিয়ে আনছি।”
“আরে বানাতে হবেনা। একটা কাপ নিয়ে এসো, এখান থেকেই একটু নেই।”
“এটা আমার খাওয়া চা।”
“তাতে কী? বিষাক্ত হয়ে গেছে ওটা?”
কাব্য হেসে কাপ আনতে চলে গেলো। কাপ আনতেই আরশি মগ থেকে অর্ধেক চা ঢেলে নিলো। এরপর বললো,
“এতো রাতে এসেছি একটা বিশেষ কারণে।”
“কী কারণ?”
“পড়তে পড়তে মাথা জ্যাম হয়ে গেছে। এখন ব্রেক দরকার, ভ্যারিয়েশন দরকার। তাই একটা গল্পের বই নিতে এসেছি।”
“পরীক্ষার মধ্যে গল্পের বই পড়বে?”
“হ্যাঁ ছোটো কোনো বই যা দুই তিন ঘন্টায় শেষ করে ফেলা সম্ভব। আগামী দুদিন আমার কোনো পরীক্ষা নেই।”
“ও আচ্ছা। ঠিকাছে নাও যেটা পছন্দ।”
“উহু তুমি সিলেক্ট করে দাও, ভাবছি তোমার হিমু পড়বো। কোনটা পড়া যায় বলো তো।”
“সিরিয়াসলি তুমি হিমু পড়বে? হিমু না তোমার সবচেয় অপছন্দের চরিত্র?”
“হ্যাঁ কিন্তু তুমি তো জোর দিয়ে বলেছিলে আমি নিশ্চয়ই হিমুর ভালো কোনো বই পড়িনি বলে হিমুকে ভালো লাগেনি। অথচ হিমু নাকি হুমায়ুন আহমেদ স্যারের অসাধারণ একটা চরিত্র। দাও দেখি ভালো লাগার মতো একটি বই।”
কাব্য হেসে বললো,
“দিতে পারি তবে একটা শর্ত আছে।”
“কী শর্ত?”
“যদি তোমার হিমুকে ভালো লাগে তাহলে তোমার হলুদ রঙের শাড়ি পরে আমার সাথে ঘুরতে যেতে হবে। আর আমি পরব নীল পাঞ্জাবি। তুমি হবে মেয়ে হিমু, আমি হবো ছেলে রূপা। রাজী?”
“না, আমি শাড়ি পরিনা।”
কাব্য মৃদু হেসে তাকিয়ে রইলো। আরশি চোখ ফিরিয়ে নিলো।

কাব্য হাসতে হাসতে বুকসেল্ফের কাছে চলে গেলো। আরশি পেছন থেকে অপলক চোখে দেখছে কাব্যকে। ইদানীং আরশির প্রায়ই মনে হয় কাব্যর চেয়ে হ্যান্ডসাম এন্ড কিউট ছেলে পৃথিবীতে আর একটিও নেই। কাব্যর কত ছবি যে আরশির ফোনে সেভ করা আছে এবং প্রতিদিন কতবার তা দেখা হয় তা যদি কাব্য জানতো লজ্জায় মরে যেতো আরশি।
কাব্য একটি বই এনে আরশির সামনে রাখলো। বইটির নাম ‘হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম’। আরশি বইটি হাতে নিলো, উল্টেপাল্টে দেখে আবার চায়ে মনোযোগ দিলো। এখন আর কাব্যর দিকে তাকানো যাবে না। কারণ সে এখন হা করে তাকিয়ে আছে তার দিকে। এই ছেলেটাকে লুকিয়ে দেখা ছাড়া উপায় নেই। দেখা হলেই সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকে, যেন এই পৃথিবীতে আর কিছু দেখার নেই তার।

চা শেষ হতেই আরশি বললো,
“আমি এখন আসি কাব্য। কাউকে কিছু না বলে এসেছি।”
আরশি দরজার কাছে যেতেই কাব্য বললো,
“এই বইটা ভুলে রেখে যাচ্ছো।”
“ভুলে না ইচ্ছে করেই রেখে যাচ্ছি কারণ হিমুকে ভাল লেগে গেলে শাড়ি পরতে পারবো না।”
কাব্য হেসে বললো,
“তোমার অস্বস্তি হয় এমন কোনো কিছুতেই আমি কখনো জোর করি আরশি? আমি তো দুষ্টুমি করছিলাম।”
আরশি বইটা নিতে নিতে বললো,
“তোমার শাড়ি অনেক পছন্দ তাইনা?”
কাব্য বইটা আরশির হাতে দিতে দিতে বললো,
“হুম। বাদ দাও ওসব। আপাতত এই বইটা পড়ো। পরীক্ষা শেষে হিমুর আরো কিছু বই দেবো।”
“আচ্ছা, এখন আসি।”
আরশি চলে গেলো। কাব্য দরজায় দাঁড়িয়ে আরশির চলে যাওয়া পথের দিকে চেয়ে রইলো অনেকক্ষণ। এতো মুগ্ধতা কেন এই মেয়েটার ভেতরে?

চলবে…

কনফিউশন
লেখকঃ মৌরি মরিয়ম
পর্ব ৩০

কাব্য আগামী মাসে সুইডেন চলে যাচ্ছে, স্কলারশিপ পেয়েছে সে। সুখবরটা পেয়ে আরশির যতটা খুশি হওয়ার কথা ছিলো ততোটা হতে পারেনি সে। কাব্যর কাছে খুশি প্রকাশ করলেও খবরটা শোনার পর থেকেই তার মন খারাপ। আজকাল কাব্যকে ছাড়া একটা দিন কল্পনা করতে পারেনা সে। সে চায়নি কাউকে এতোটা ভালোবেসে ফেলতে আবার আটকেও রাখতে পারেনি নিজেকে। আজ আরশি ক্লাস শেষ করে বেরিয়ে দেখে আকাশে মেঘ জমেছে, কাছেই হয়তো কোথাও ঝুমবৃষ্টি হচ্ছে। গাছ থেকে ঝরে যাওয়া মরা পাতাগুলো বাতাসে ছুটোছুটি করছে। এমন মেঘলা আবহাওয়া দেখে হঠাৎ করেই কাব্যর জন্য মন কেমন করে উঠলো তার। খোলা রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা কাব্যর হাত ধরে হাঁটতে ইচ্ছে করছে। যদিও সেটা কখনোই সম্ভব না। রাস্তা পার করার সময় কদাচিৎ তার হাত ধরে কাব্য, সেও এমন ভাব করে দাঁড়িয়ে থাকে যেন একা রাস্তা পার হতে জানেনা। কিন্তু কাব্য কি পারে না পুরো রাস্তাটা তার হাত ধরে হাঁটতে?

কাব্য নিজের কাজ গুছিয়ে ফেললো। আজ সে হাফবেলা ছুটি নিয়েছে। কাল থেকে আরশির মেডিকেল কলেজ বন্ধ থাকবে। তাই সে বাসা থেকে বের হবে না। যেহেতু বাইরে দেখা হওয়া বন্ধ তাই আজকে একসাথে লাঞ্চ করে একসাথে বাসায় ফিরতে চায় কাব্য। কিন্তু সে ফোন করার আগেই আরশি ফোন করলো।
“হ্যালো কাব্য।”
“বলো আরশি।”
“তুমি কি ব্যস্ত?”
“তেমন না, কেন বলোতো।”
“তুমি ফ্রি থাকলে ঘুরতাম। ওয়েদার ডিমান্ড।”
কাব্য একটু মুচকি হাসলো। তারপর বললো,
“কোথায় আসবো?”
“আমি তোমার অফিসের সামনে আসবো?”
“তুমি উল্টো এতদূর আসবে কেন? ওইদিকেই বরং অপেক্ষা করো আমি আসছি।”
“আচ্ছা।”

সারা বিকেল ঘুরে সন্ধ্যাবেলা যখন রিক্সায় করে বাসায় ফিরছিলো তখন কাব্য বললো,
“আজকে থেকে তো তুমি ফ্রি, হিমুর বাকী বইগুলো পড়ে ফেলো। নীলপদ্ম যখন ভালো লেগেছে, আমি যেগুলো দেবো সবগুলোই ভালো লাগবে।”
“আচ্ছা আজ গিয়ে নিয়ে নেবো।”
“ঠিকাছে।”
হঠাৎ বৃষ্টি নামতে শুরু করলো, রিক্সাওয়ালা কাব্যর হাতে পর্দা দিতেই কাব্য সেটাকে মেলে দিলো। আরশি বললো,
“চলোনা আজ বৃষ্টিতে ভিজি।”
“ঠান্ডা লাগবে।”
আরশি হেসে বললো,
“ছুটি নিয়ে নিও। আমি নিয়মিত সেবা করতে যাবো।”
“কী সৌভাগ্য! কিন্তু আমি আপনার ঠান্ডা লাগার কথা বলছি ডাক্তার আপা।”
“কলেজ বন্ধ, এই ফাঁকে একটু ঠান্ডা লাগলে ক্ষতি কী?”
কাব্য হেসে পর্দা সরিয়ে দিলো, হুড ফেলে দিলো। বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলো দুজনে। কিছুক্ষণ পর রিক্সাও ছেড়ে দিলো। হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরলো।

বাড়ি ফিরে দেখে বিদ্যুৎ নেই। কাব্য তার মোবাইলের টর্চ জ্বেলে ধরলো, আরশি উপরে উঠে গেলো। আরশি উপরে যাওয়ার পর কাব্য ঘরে ঢুকলো। কাপড়ও পালটানোর সুযোগ পেলো না তার আগেই আবার দরজায় টোকা পড়লো। দরজা খুলে দেখে আরশি দাঁড়িয়ে৷ কাব্য অবাক হয়ে বললো,
“কী ব্যাপার? ভেজা কাপড়ে আবার ফিরে এলে যে?”
“বাসায় কেউ নেই। আমার কাছে চাবিও নেই। ভাবিকে ফোন করলাম। ভাবি তাদের বাসায় গিয়েছিলো। ফিরছে এখন, কাছাকাছি চলে এসেছে।”
“ও আচ্ছা, তাহলে ভেতরে এসে বসো।”
আরশি ভেতরে ঢুকে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। কাব্য বললো,
“বসো না।”
“কোথায় বসবো? সব ভিজে যাবে।”
“আরে ধুর, ভিজলেই কী?”
“না বসবো না, এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতেই ভালো লাগছে।”
“আচ্ছা তাহলে কাপড় পালটাবে? আমার পাঞ্জাবি তোমার ফিট হবে, পরতে পারো।”
আরশির খুব ইচ্ছে করছিলো কাব্যর পাঞ্জাবি পরতে। কিন্তু তারচেয়ে বেশি লজ্জা করছিলো। বললো,
“দরকার নেই, ভাবি এক্ষুণি চলে আসবে।”
“আচ্ছা আলোর ব্যবস্থা করি তাহলে।”
কাব্য ভেতরে যাচ্ছিলো। আরশি সাহস করে কাব্যর হাত ধরে থামালো। বললো,
“আবছা আলো ভালো লাগছে।”
“মোম জ্বালাই অন্তত। তোমাকে দেখতেই তো পাচ্ছি না।”
এ কথায় আরশি লজ্জা পেয়ে হাতটা ছেড়ে দিলো। কাব্য মোম জ্বালিয়ে দিলো। কিন্তু মোমটা জ্বালানো বোধহয় ভুল হলো। মোমের আলোয় ভেজা কাপড়ে, ভেজা চুলে আরশিকে ঐশ্বরিক কোনো দেবীর মতো লাগছে। আরশির এই রূপে কাব্য এলোমেলো হয়ে গেলো। কাছে গিয়ে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।
আরশির খুব অদ্ভুত লাগছে। সে চাইছিলো আরো কিছুক্ষণ কাব্যর সাথে থাকতে। সে চায় কাব্য তাকে দেখুক। অথচ এখন যখন কাব্য তাকে দেখছে, তার চোখ তুলে তাকাবার সাহস হচ্ছেনা। প্রচন্ড লজ্জা লাগছে। কেন এমন হয়? কাব্য হঠাৎ বললো,
“আরশি তাকাও আমার দিকে।”
আরশি তাকিয়ে সাথে সাথেই আবার চোখ ফিরিয়ে নিলো। কাব্য বললো,
“তুমি কখনো আমার চোখের দিকে তাকাও না কেন বলোতো? সবসময় চোখে চোখ পড়লেই চোখ ফিরিয়ে নাও!”
“কই না তো।”
কাব্য আরশির গালে হাত রেখে মুখটা নিজের দিকে ফিরিয়ে বললো,
“দেখি তাকাও।”
আরশির পুরো শরীর কেঁপে উঠলো। আবার তাকালো। কিন্তু ওই চোখে তাকালে আরশির যেন কী হয়! সাথে সাথে আবার চোখ নামিয়ে নিচ্ছিলো। কাব্য এবার দুহাতে আরশির মুখটা ধরে বললো,
“প্লিজ তাকাও।”
আরশি আবার তাকালো। দুজন দুজনের চোখে তাকিয়ে রইলো অনেকক্ষণ। আরশি অদ্ভুতভাবে কাব্যর চোখভরা ভালোবাসা আবিষ্কার করলো। কাব্যর কনফিউশন আছে কিনা জানেনা সে তবে আজ থেকে তার আর কোনো কনফিউশন নেই। এই চোখে আরো আগে তাকালো না কেন সে? তাহলে তো আরো আগেই জানতে পারতো কাব্য কতোটা ভালোবাসে তাকে।
কাব্যর ইচ্ছে করছে আরশিকে আরো কাছে টেনে নিতে। সে জানে এই মুহুর্তে সেটা অসম্ভব না। আরশি পাগলের মতো ভালোবাসে তাকে। কিন্তু সে তো খারাপ ছেলে তাই তাকে ভালোওবাসতে হবে খুব সাবধানে। ভালোবাসার সব বহিঃপ্রকাশ তার বেলায় খাটবে না। সে চায়না কোনোভাবে আরশি দূরে সরে যাক। এইযে আরশি তার জীবনের কালো অধ্যায়গুলো সম্পর্কে জানার পরেও তাকে এতো বিশ্বাস করে, তার চোখে নিজেকে সপে দিয়েছে! একটা খারাপ ছেলের জীবনে এরচেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে? কাব্য আরশিকে ছেড়ে দিয়ে সরে গিয়ে বললো,
“ভাবিকে ফোন দাও, দেখো কতদূর এলো।”
আরশি ঘন ঘন শ্বাস নিতে লাগলো। যেন অনেকক্ষণ পর নিশ্বাস নিলো। কিন্তু এতোক্ষণ নিশ্বাস আটকে থাকতেও তার ভালো লাগছিলো। আরো কিছুক্ষণ তার নিশ্বাস আটকিয়ে রাখতে পারলো না কাব্য?
আরশি বেরিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু মাথায় ভুত চাপলো, আবার ফিরে এলো কাব্যকে জড়িয়ে ধরবে বলে। কিন্তু কাব্যর সামনে এসে মনে হলো এটা কাব্যর তরফ থেকে হওয়া উচিৎ। একদিনে অনেক পাগলামি করেছে সে, আর নয়। কাব্য বললো,
“কিছু বলবে?”
“না।”
আরশি বেরিয়ে গেলো। আরশি চলে যাওয়ার পর কাব্যর খেয়াল হলো রশ্নি ভাবি তো এখনো আসেনি। মেয়েটা একা একা উপরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে? এই ভেবে সিঁড়ির দিকে আগাতেই শুনতে পেলো রশ্নি ভাবি দরজা খুলে বলছেন,
“কীরে এতো দেরী হলো? ফোনেও পাচ্ছিলাম না তোকে। বাইরে এতো বৃষ্টি আমি তো খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম।”
“ফোন চার্জ শেষ হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে ভাবি। বৃষ্টিতে আটকা পড়েছিলাম। পরে দেরি হচ্ছিলো বলে ভিজেই চলে এসেছি।”
“আচ্ছা ফ্রেশ হয়ে নে।”

কাব্য হেসে দিলো। তার মানে রশ্নি ভাবি বাসাতেই ছিলো। আরো কিছুক্ষণ একসাথে থাকার জন্য আরশি মিথ্যে বলেছে!

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে