#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—12
.
.
🍁
“সূর্যের ফুড়ফুড়ে আলোতে ঘুম ভাঙল আমার’!চারিদিকে পাখিদের আওয়াজ’!!সকালের এই সিগ্ধতার আলোতে পুরো রুম আলোতে ভরে গেছে’!!আমি আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকালাম’!!হর্ঠাৎই ভাইয়ার দিকে চোখ গেল আমার’!!ঘুমিয়ে আছে বেঘোরে সে’!!হর্ঠাৎই মনে পরল যে আমি কাব্যকে জড়িয়ে ধরে আছি’!!তাড়াতাড়ি সরে আসতে নিলে বুঝতে পারলাম কাব্যও আমায় জড়িয়ে ধরে আছে’!!এখন কি করব…..
“হর্ঠাৎই কাব্যের মুখের দিকে চোখ গেল আমার’!!কি সুন্দর লাগছে'”!!! সূর্যের আলো ভরা রশ্মিতে আরো অনেক বেশি সুন্দর লাগছে কাব্যকে’!!ইচ্ছে তো করছে কাব্যের গালে ছোট্ট একটা চুমু দিয়ে দেই’!!পরক্ষণেই মনে হলো যদি বুঝে যায় তাহলে আমার কি হবে'”!!! এসব আলতু ফালতু ভাবনার মাঝে হর্ঠাৎ ভাইয়া একটু নড়ে উঠল’!!সাথে সাথে আমি আমার চোখ খিচে বন্ধ করে ফেললাম’!!
“কিছুক্ষন পর আস্তে আস্তে চোখ খুললাম আমি’!!কাব্য এখনও ঘুমিয়ে আছে সেই সুযোগে আস্তে আস্তে কাব্যকে ছাড়িয়ে বিছানা থেকে উঠে পরলাম আমি’!!!তারপর চলে গেলাম ওয়াশরুম…..
“বেশকিছুক্ষন পর ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলাম’!!তারপর নিচে চলে গেলাম’!!
“এর ভিতর কাব্যও ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে আসলো’!!তারপর আমরা তিনজন একসাথে ব্রেকফাস্ট করে নিলাম’!!ব্রেকফাস্ট শেষে কাব্য আবার রুমে চলে গেল’!!
__________________________________________
_____________________
“কাব্য ভাইয়ার সামনে দাঁড়িয়ে আছি’!!কারন আমি কিছু বলতে চাই’!!এমন সময় কাব্য ভাইয়া বলে উঠলঃ
——-“কি হলো কিছু কি বলবি…….
——–“হুম মানে……
——-“এত মানে মানে না করে তাড়াতাড়ি বলে ফেল’!!
——–“বলছিলাম কি আমরা একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি’!!
———“হুম যা আমি কী বারন করছি তোকে……
——–“না মানে তুমি যাবে আমার সাথে একা একা ভয় না থুক্কু ভালো লাগছে না’!!
———“কেন রেনু খালাকে নিয়ে যা…….
———“উনি গেলে কি আর তোমায় বলতাম নাকি(মনে মনে) না মানে উনি যাবে না ওনার কাজ আছে তাই তুমি চলো’!!প্লিজ চলো “জামাই”….
———-“আচ্ছা ঠিক আছে চল……
“ভাইয়ার কথা শুনে খুশি হলাম আমি’!!
“তারপর আর কি ভাইয়াকে নিয়ে বেরিয়ে পরলাম আমি’!!জায়গাটা খুব সুন্দর’!!
“গ্রামীন এক রাস্তা’!!চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সুন্দর সুন্দর খাল-বিল আর নদী’!!মাটির রাস্তায় চারপাশে রয়েছে ছোট থেকে শুরু করে ইয়া বড় বড় সব ধরনের গাছ’!!তাদের মাঝখানে রয়েছে ছোট্ট ছোট্ট কিছু ঘরবাড়ি’!!ফসলের জন্য রয়েছে চারপাশে বিশাল বিশাল মাঠ’!!হর্ঠাৎই চোখ গেল সামনে থাকা খেজুর গাছের দিকে’!!একটা লোক রসের হাঁড়ি নামাচ্ছে'”!!! যা দেখে মুখে পানি চলে আসলো আমার'”!!! আমি ভাইয়ার হাত ধরে বললামঃ
——–“চলো না আমরা রস খাই……
“আচমকা এমনটা হওয়াতে কাব্য প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে বললোঃ
——–“ঠিক আছে……
———”তুমি খুব ভালো এই বলে ভাইয়াকে টানতে টানতে নিয়ে গেলাম আমি’!!
“এদিকে কাব্য মাইশার এমন বাচ্চামো দেখে মনে হাসছে খুব’!!আর ভাবছে আসলেই একটা বাচ্চা মেয়ে’!!😊
“আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে আসলাম ওই লোকটার কাছে’!!তারপর আমি খেলেও ভাইয়া খেলো না’!!!একদম খাঁটি রস খেতে সত্যি খুব মজা’!!😋
[অবশ্য আমি কোনো দিন খাই নি জাস্ট ফিল গাইস’!!😊]
“আমার খাওয়া শেষ হলে ভাইয়া লোকটাকে কিছু টাকা দিলো’!” তারপর আমরা আবার সামনে এগোতে লাগলাম’!!ভোরের এই সুন্দর মুহূর্ত আমার সত্যি খুব ভালো লাগছে’!!!
“পাক্কা দুই ঘন্টা হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে আসলাম আমরা’!!আমি আর হাঁটতে পারছি পা ব্যাথা হয়ে গেছে’!!
“আমি কাঁদো কাঁদো গলায় বললামঃ
——–“আর যাবো না চলো এখন বাড়ি ফিরে যাই’!!
“আমার কথা শুনে ভাইয়াও বলে উঠলঃ
——–“কেন??আর ভালো লাগছে না’!!
———“না তেমন কিছু নয় অনেক দূর চলে এসেছি এখন পা ব্যাথা করছে পরে আবার আসবো’!!এখন চলো…….
“ভাইয়াও আর কথা বাড়ালো না’!!আমরা দু’জনেই আবার পিছনে হাঁটা শুরু করলাম’!!কিছুদূর যেতেই আমার পা চলছেই না’!!একদম অবশ হয়ে গেছে মনে হয়’!!তারপরও যথা সম্ভব হাটা চেষ্টা করলাম আমি’!!কিন্তু আমি ব্যর্থ……..
“এদিকে কাব্য বুঝতে পেরেছে মাইশা আর চলতে পারছে না’!!সে পিছনে গিয়ে মাইশাকে কোলে তুলে নিল'”!!
“আচমকা কেউ কোলে তুলে নেওয়াতে আমি পুরো ঘাবড়ে গিয়ে তার শার্টের হাতা খামচে ধরলাম’!!মিট মিট করে তাকিয়ে দেখলাম কাব্য আমায় কোলে তুলে নিয়ে হাঁটছে’!!কাব্য ভাইয়ার এমন কাজে আমি যেন অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে গেছি’!!আমি বললামঃ
——–“এসব কি করছো লোকে দেখলে কি বলবে,,নামাও আমায়…..
———“থামবি তুই (দমক দিয়ে)
“ভাইয়ার দমক শুনে আমি চুপ আর কোনো কথা বললাম না’!!
“বেশকিছুক্ষন পর আমরা এসে পৌঁছালাম বাড়িতে’!!ভাইয়া আমায় দরজার সামনে নামিয়ে দিয়ে উপরে চলে গেল’!!হর্ঠাৎই মনে হলো আমার যেমন পায়ে ব্যাথা করছে ভাইয়ারও তো নিশ্চয়ই করছে’!!তার ওপর অর্ধেক রাস্তা আমায় কোলে তুলে নিয়ে এসেছে’!!এই ভেবে কিছু একটা বানাতে চলে গেলাম রান্না ঘরে………..
__________________________________________
_____________________
“হাতে গরম তেল তার সাথে রসুন একসাথে গরম করে দাঁড়িয়ে আছি আমি কাব্য ভাইয়ার রুমে’!!আর ভাইয়া বিছানায় চুপ করে শুয়ে আছে’!!আমি কোনো কিছু না ভেবেই ভাইয়ার পায়ে ওগুলো লাগিয়ে দিতে লাগলাম’!!
“আচমকা কারো হাতের স্পর্শ পায়ে লাগায় কাব্য কেঁপে উঠল’!!চোখ খুলে মাইশাকে দেখে চমকে গিয়ে বললো সেঃ
———“কি করছিস তুই………
——–“তেমন কিছু না তুমি চুপটি করে শুয়ে থাকো আমি তোমার পায়ে মালিশ করে দিচ্ছি’!!তোমার পায়ের ব্যাথা কমে যাবে’!!এতটুকু বলে ভাইয়ার পায়ে মালিশ করে দিতে লাগলাম আমি’!!
“কাব্য আর কিছু বললো না’!!কারন সত্যি সত্যি তার পায়ে প্রচুর ব্যাথা করছে’!!আর মাইশা যখন নিজ ইচ্ছেতেই আসছে তাহলে আর ক্ষতি কি’!!মাইশার কাজে খুশি কাব্য’!!
__________________________________________
_____________________
“দেখতে দেখতে ১০দিন কেটে গেল……..
“এই ১০ দিনে প্রচুর কাজ করিয়েছে কাব্য ভাইয়া'”!!! রান্নাটা ওই একদিনই করেছিলাম’!!কিন্তু খাবার খাইয়ে দিতে প্রতিদিনই হয়েছে’!!সবই ঠিক ছিলো প্রতিদিন ওই আচমকা চিৎকার করে উঠার ব্যাপারটা বুঝলাম না’!!প্রতিদিন এই বিষয়টা নিয়ে ভয়ে থাকতাম আমি আর প্রতিদিন ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানো লাগতো’!!তবে এই দশদিন খুব সুন্দর ভাবে কেটে গেছে’!!এখন ভাইয়াকে অসম্ভব ভালো লাগে আমার’!!কেন লাগে জানি না’!!আচ্ছা আমি কি ভাইয়াকে ভালোবেসে ফেলেছি নাকি…….
“এসব ভাবনার মাঝে হর্ঠাৎই কাব্য ভাইয়া মাথায় টোক্কা দিয়ে বললোঃ
———“এত কি ভাবসিছ তুই……..
———“না কিছু না,,
———“হুম তা তৈরি তো চল এখন……
———-“হুম চলো’!!এই বলে আরেকবার রুমটার চারদিকে তাকিয়ে চলে আসলাম আমি’ কেমন যেন একটা মায়া পড়ে গেছে…….
“সবাইকে বিদায় জানিয়ে গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি’!!আর ভাইয়া গাড়ি আনতে গেছে’!!এমন সময় রেনু খালা বলে উঠলেনঃ
——–“আবার আসবে কিন্তু…..
——–“অবশ্যই আসবো…..
“এদিকে কাব্য গাড়ির কাছে আসতেই সেই ছেলেটি কাব্যের সামনে এসে বললোঃ
———-“ভাইয়া আবার আসবেন কিন্তু…..
———“হুম আবার আসবো……
———“আচ্ছা ভাইয়া একটা কথা বলি……..
———“হুম…….
———“বলছি কি ভাইয়া আপনি প্রতিদিন রাতে আমায় চিৎকার দিতে কেন বলতেন…….
“ছেলেটির কথা শুনে কাব্য বললোঃ
———“হুস সিক্রেট……….এতটুকু বলে মুচকি হেঁসে কাব্য গাড়ি করে বেরিয়ে আসলো’!!আর ছেলেটি কাব্যের কথার আগা মাথা কিছু বুঝতে না পেরে হাবলার মতো তাকিয়ে রইল’!!
.
“সবাইকে টাটা দিয়ে চলে আসলাম আমরা’!!!ভাইয়া গাড়ি চালাচ্ছে আর আমি বসে আছি’!!সত্যি খুব সুন্দর কেটেছে এই দশদিন…….
.
“এদিকে কাব্য ভাবছে চিৎকার দেওয়ার আসল কাহিনি চিৎকার না দিলে কি প্রতিদিন মাইশা ভয় পেয়ে জড়িয়ে ধরতো আমায়’!!এসব ভেবে মনে হাসলো কাব্য……..
.
“হর্ঠাৎ করে ভাইয়াকে এই হাসার কারন বুঝলাম না’ আমি’!!কিছু জিজ্ঞেস না করে আমিও চুপচাপ বসে রইলাম’!!
“কিছুক্ষন পর হর্ঠাৎই গাড়ি থামিয়ে দিল কাব্য ভাইয়া’!!আমরা কি এসে পরেছি’!!সামনে তাকিয়ে দেখলাম এটা একটা মাঝরাস্তা’!!কিন্তু ভাইয়া মাঝরাস্তায় গাড়ি থামালো কেন??
!
!
!
!
!
!
#চলবে……….
#TanjiL_Mim♥️