ওয়াদা ৪
মা তার রুমে নেই। আমি নিশাতকে ডাক দিলাম।
-নিশাত, নিশাত
-হ্যা বল। ডাকছিস কেনো।
-মা কোথায়রে?
-মা তো একটু মার্কেট এ গেছে।
-এতো সকালে মার্কেট এ গেছে কেনো?
এখনো দোকান সব খুলেছে বলে মনে হয় না।
-হুম। মা বললো মায়ের কি কাজ আছে সেটা সেরে তারপর বাজার করে বাড়ি ফিরবে।
-ও। তুই স্কুলে যাচ্ছিস?
-হুম।
-ওকে সাবধানে যাস।
-ওকে, বাই।
-বাই।
নিশাত চলে গেলো কিন্তু আমি এখন কি করবো। আমি একটা কাজ করি আগে কোন শাড়িটা পরবো সেটা ঠিক করি তারপর দেখা যাবে কি করা যায়। তারপর আলমারি খুলতে গিয়ে দেখি তালা দেওয়া।
এই মাও না? জানি না আলমারিতে কি গুপ্তধন রেখেছে যে সবসময় তালা দিয়ে রাখে। আর চাবিটাও সবসময় নিজের কাছে রেখে দিবে। যেন ওই চাবিটা মার সব। কিন্তু আমি কি করবো? এখন একটাই উপায় আছে অনু কাকিমা। কিন্তু ওই লাটসাহেবের সাথে যদি দেখা হয়ে যায় তাহলে আবার কোনো না কোনো ভাবে আমায় অপমান করবে। তবে এতক্ষণে অফিসে চলে যাওয়ার কথা। এত না ভেবে গিয়ে দেখি কিছু বললে কাকিমার কাছে নালিশ দিবো। তারপর কাকিমাদের ফ্লাটে গেলাম। কাকিমা কার সাথে যেনো ফোনে কথা বলছে। আমায় দেখে ইশারায় বসতে বললো। আমি এই ফাকে দেখে নি লাটসাহেবটা আছে না গেছে।
নাহ্ কোথাও নেই তারমানে হয়তো অফিসে চলে গেছে। ওর রুমে একটু উকি দিয়ে আসবো? না বাবা থাক। যদি থাকে আর আমায় দেখে তাহলেতো আমায় আস্ত চিবিয়ে থাবে। তার চেয়ে বরং আমি যে কাজে এসেছি সেটাই করি। কাকিমার কাছে গেলাম ওনারো কথা বলা শেষ।
-কি রে কিছু বলবি?
-হুম। আসলে আমি আজ ক্যাম্পাসে শাড়ি পরে যাবো ভাবছিলাম কিন্তু মা কি কাজে যেন বাইরে গেছে আর একেবারে বাজার করে বাড়ি ফিরবে। আমার সব ফ্রেন্ডরা বার বার কল করছে। ওরা সবাইও বলছে আমি যেন অবশ্যই শাড়ি পরে যায়। কিন্তু মায়ের সব শাড়ি আলমারিতে আর মা আলমারিতে তালা দিয়ে গেছে, চাবিটাও নিজের সাথে নিয়ে গেছে। মায়ের আসতে অনেক দেরি হবে তায় তোমার কাছে এলাম একটা শাড়ি নিতে। (একদমে কথাগুলো বললাম)
-ওহ্। আচ্ছা চল আমার আলমারিতে যে শাড়িগুলো আছে তার মধ্য তোর যেটা ভালো লাগে সেটা নিস।
-চলো।
তারপর আমরা অনু কাকিমার রুমে গেলাম। অনু কাকিমা আলমারি খুলে এক এক করে শাড়ি বের করে আমায় দেখাতে লাগলো। শাড়িগুলো অনেক দামি আর সুন্দর কিন্তু কিছুটা মহিলা টাইপের। আমাদের এইসব শাড়ি পরলে মানাবে না, বয়স্ক দেখাবে একটু।
তাই কাকিমাকে বললাম
-কাকিমা তোমার কোনো সিল্কের শাড়ি নেই?
-না। আমাদের কি আর এমন শাড়ি পরার বয়স আছে নাকি?
-বলো কি? বয়স নেই মানে। তোমায় দেখলে এখনো আঠারো বছরে যুবতী মনে হয়। মনেই হয় না তোমার এতো বড় একটা ছেলে আছে আর তুমি বলছো বয়স নেই।
-এতো হাওয়া দিতে হবে না। তুই কোন শাড়িটা নিবি দেখতে লাগ আমি একটু রান্নাঘর থেকে আসছি
-ওকে যাও।
তারপর আমি একাই শাড়ি দেখতে লাগলাম।। হঠাৎ করে আলমারিতে একটা প্যাকেট দেখতে পেলাম। প্যাকেট টা খুব যন্ত করে রাখা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমি প্যাকেটটা হাতে নিলাম। প্যাকেটের ভেতরে কাপড় জাতীয় কিছু আছে। আর প্যাকেটা যেভাবে মোড়ানো তাতে মনে হচ্ছে এখনো খোলা হয়নি,,
চলবে,,,
#মেহজাবিন_নাশরাহ