ওয়াদা ১৮

0
3503

ওয়াদা ১৮
তারপর আমরা গাড়িতে উঠলাম। ও নিজেই ড্রাইভ করবে। গাড়িটা চলতে শুরু করলো। আমি গাড়ির গ্লাসটা খুলে দিলাম। খুব জোড়ে বাতাস বইছে। গাড়িটাও বেশ জোড়েই চালাচ্ছে। বাতাসে আমার চুলগুলো সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। রাস্তাটা ফাকা তাই আমি হাতটা বাইরে বের করে দিলাম। হাতটা বাইরে বের করে খুব ভালো লাগছে। আমি চোখ বন্ধ করে সেটা উপভোগ করছি।
-তুমি কোনো মন্ত্রীর মেয়ে বা বউ নও যে পুরা রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে।(মেঘ)
ওর কথা শুনে ওর দিকে তাকালাম আর কি বললো সেটা বোঝার চেষ্টা করছি।
-আমি জানি আমি দেখতে good looking, handsome, dashing and অনেক cute.(মেঘ)
ও কাকে কি বলছে। ফোনেতো কথা বলছে না। তাহলে কি একা একা বক বক করছে। মাথাটা কি পুরাই খারাপ হয়ে গেছে।(মনে মনে)
-আমার মাথা ঠিকই আছে। কথা গুলো আমি তোমায় বলছি মেহজাবিন নাশরাহ।(মেঘ)
যাহ বাবা মনে মনে কি বলছি সেটাও বুঝে গেছে। আজব তো।(মনে মনে)
-এটা Common Sense.
-কোনটা,,,?
-এটাই যে তুমি এই মুহূর্তে কি ভাবছো।
-ওহ্। কিন্তু একটা কথা জিজ্ঞাসা করি,,,?
-হুম।
-আপনি এতো সময় ধরে আমায় এগুলো কি বললেন?
-কি বললাম?
-এই যে আমি মন্ত্রীর মেয়ে নয়, আপনি দেখতে handsome। এইগুলো বলার কারণ কি?
-তুমি বাইরে হাত বের করে রেখেছিলে। রাস্তা দিয়ে আরো অনেক গাড়ি যাচ্ছে। যদি তোমার হাতে লাগতো তাহলে কি হতো তুমি ভাবতে পারছ? এইভাবে কেউ হাত বের করে রাখে?(একটু ধমক দিয়ে)
-রাস্তাতো প্রায় ফাকা তাই তো,,,
-রাস্তা এখন একটু ফাকা তাই বলে এমনটা নয় যে এই রাস্তায় আর কোনো গাড়ি চলবেই না।
-সরি। কিন্তু good looking, handsome বলার কারণ কি?
-তুমি আমার দিকে হা করে তাকিয়ে ছিলে তাই।
এবার ওর কথায় আমি লজ্জা পেলাম। আসলেই তো ওর কথা শুনে আমি ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। কিন্তু সেটাতো অবাক হয়ে। ও দেখতে সুন্দর সে জন্য নয়। নিজেকে যে কিভাবে আল্লাহই জানে।(মনে মনে)
তারপর আমি আর কোন কথা বললাম না। চুপচাপ বসে বাইরের দৃশ্যটা দেখতে লাগলাম। কিন্তু এখন আর এই দৃশ্যটা দেখতে অতটা ভালো লাগছে না। না না মেঘ ধমক দিয়ে বকেছে সেজন্য নয়। মেঘের কথায় আমার এখন আর অতো খারাপ লাগে না। কিন্তু ভালো না লাগার কারণ হলো আমার খুব খুদা পেয়েছে। সকালে রাগ করে না খেয়েই রুমে চলে গিয়েছিলাম। আসার সময় আর খাওয়ার কথা মনে ছিলো না। এখনতো পেটের মধ্য ইদুর দৌড়াদৌড়ি করছে। আমরা বাড়ি থেকে বেড়িয়েছি প্রায় এক ঘন্টা হলো। এখনো দুই ঘন্টা লাগবে তন্নিদের বাড়িতে পৌছাতে। এদিকে খুদায় আমার পেট জ্বলছে। নাহ আর থাকতে পারছি না। আমি একদমি না খেয়ে থাকতে পারি না। যা কিছু হয়ে যাক না কেন না খেয়ে থাকতেই পারি না। উফ আল্লাহ তাড়িতাড়ি পৌছায় দাও। ফোনটা বেজে উঠলো। শুভ কল করেছে। মেঘের সামনে কথা বলাটা ঠিক হবে না। তাই রিসিভ করছি না। কিন্তু ও বার বার কল করেই যাচ্ছে। তাই রিসিভ করলাম।
-হ্যালো(আমি)
-কোথায় এখন। পৌছায় গেছো কি?
-না আমরা এখনো রাস্তায়। এখনো প্রায় দেড় ঘন্টা লাগবে।
-ওহ আচ্ছা।
-হুম। গাড়িতে আছিতো পরে কথা হবে।
-ওকে। সাবধানে যেও। আর পৌছে আমায় কল করো।
-ঠিক আছে।
-বাই।
-বাই।
আমি ফোনটা রাখতেই হঠাৎ করে গাড়িটা থেমে গলো। ভয়েতো আমার গলা বুক সব শুকিয়ে গেছে। আমি ভাবলাম হয়তো আমাদের এক্সিডেন্ট হয়েগছে। কিন্তু না এমন কিছুই হয়নি। গাড়িটা থামানো হয়েছে। কেউ এইভাবে গাড়ি থামাই নাকি। এভাবে গাড়ি থামালেতো মানুষ হার্ট এট্যাক করে মরে যাবে।
-Out.(মেঘ সামনের দিকে তাকিয়ে কথাটা বললো।)
-কি?
-I say get out.(এবারও সামনের দিকে তাকিয়েই বললো। মনে হচ্ছে আমায় না অন্য কাউকে বলছে। কিন্তু এখানে আমি ছাড়া অন্য কেউ নেই। তার মানে আমাকেই বলছে। তাই বললাম)
-মানে কি?
-বাংলা কথা বোঝো না। (একটু রাগি লুক নিয়ে)
-আপনি বাংলায় না। ইংলিস এ বলেছেন।
-আবার মুখে মুখে তর্ক করছো।
-তো কি করবো?
-গাড়ি থেকে নেমে যাও।(জোড়ে বললো)
-আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আমি এই মাঝ রাস্তায় নেমে কি করবো। আমিতো এখানকার কিছুই চিনি না। এই জায়গাটাও কেমন কেমন যেন। একটু দুরে কয়েকটা বাড়ি। তাছাড়া কোনো লোকজন নেই। আপনি আমায় এখানে ফেলে চলে গেলে আমি যাবো কিভাবে। না না আমি নামবো না। প্লিজ আমায় এখানে নামিয়ে দিবেন না। আমি আর কখনো আপনাকে কোনো ভাবে বিরক্ত করবো না। (একদমে কথাগুলো বললাম। ভয়ে ভয়ে)
-আমি তোমায় নামতে বলেছি।(অনেক জোড়ে ধমক দিয়ে)
-কিন্তু আমি এখানে,,
-তুমি নামবে?( আরো জোড়ে ধমক দিয়ে)
আমার প্রায় কান্না চলে আসছে। নামতে ভয় করছে। আমি জানি ও আমায় এখানে রেখে চলে যাবে। না হলে এইভাবে কখনোই নামতে বলতো না। মা বিশ্বাস করে ওর সাথে পাঠালো আর ও,,,। না না ও আমার সাথে এমনটা করতে পারে না।
-কি হলো নামবে।(ধমক দিয়ে)
এতো ধমক কেন দিচ্ছে আল্লাহই জানে।
-হু,,,,ম। না,,ম,,,,ছি।
বলে গাড়ি থেকে নামলাম। আমি নামার সাথে সাথেই ও গাড়িটা স্ট্রাট দিলো। তার মানে সত্যি সত্যি আমায় এখানে রেখে চলে যাচ্ছে। ও আমার সাথে এমনটা করতে পারলো। আমি কি করবো এখন। গাড়ি আস্তে আস্তে চলতে শুরু করেছে। গাড়িটা সামনের দিকে এগোচ্ছে আর ভয়ে আমার হার্ট বিট বাড়ছে। কিছুটা দূর যাওয়ার পর গাড়িটা থামলো আর আস্তে আস্তে পেছন দিকে ব্যাক করতে লাগলো। তারপর এক পাশ করে গাড়িটা থামালো আর ও গাড়ি থেকে নেমে আমার দিকে আসতে লাগলো।। তারমানে ও গাড়ি পার্ক করছিলো। এবার কিছুটা স্বস্তি পেলাম। কিন্তু এখানে নামার কারণ কি। আমার সামনে এলো আর বললো।
-আমার সাথে এসো।(মেঘ)
আমি কিছু না বলে ওর পিছু পিছু হাটতে লাগলাম। এখন কিছু বলাই যাবে না। যা রেগে আছে। অবশ্য ও সব সময় এমন ভাবে রেগেই থাকে। যাই হোক আমরা একটা গলির ভেতর দিয়ে হাটতে লাগলাম। কিছুটা পথ হাটার পর গলিটা শেষ হলো। সামনে একটা বড় দিঘী। দিঘীর পাড় গুলো মাটি দিয়ে বেশ উচু করে বাধা। আর পাড় দিয়ে অনেক বড় বড় গাছ লাগানো সারি সারি। বসার জন্য জায়গাও আছে। অনেক মানুষ বসে আছে। হয়তো এরা এখানে ঘুরতে এসেছে। এমন একটা গলির পেছন এমন সুন্দর জায়গা থাকতে পারে আমি কল্পনায় করতে পারি নি। চারিদিকে নানা রকম পাখির ডাক। দিঘীর পাড়ে সব সময় হালকা বাতাস বয়তেই থাকে। আমরা সামনে এগোতে থাকলাম। দিঘীর পাড়ে আসতেই দেখলাম পানিতে পদ্ম ফুল ফুটেছে। ইস আমার খুব ইচ্ছা করছে পানিতে নামতে আর ফুল গুলো তুলতে। কিন্তু সেটা সম্ভব না। আমরা দিঘীর পাড় দিয়ে হাটছি। আমার তো খুব মজা হচ্ছে। মেঘ যে আমায় এমন একটা জায়গায় আনতে পারে আমি ভাবতেই পারি নি। গাড়ি থেকে নামার সময় যটতা খারাপ লাগছিলো এখন তার থেকে হাজার গুন ভালো লাগছে। এখানে অনেক গুলো ফুচকার দোকান আছে। আমরা হাটতে হাটতে একটা ফুচকার দোকানে এসে দাড়ালাম। আমি চারিদিকটা ভালো করে দেখছি। তখনই মেঘ বললো
-মামা এক প্লেট ফুচকা দাও তো।(মঘ)
-আরে মেঘ বাবা যে। কখন এলে। বসো বসো। তুমিতো প্রতি শুক্র বারে আসো। অন্য কোনদিন তো আসো না। তা আজ কি মনে করে এলে। (ফুচকা ওয়ালা কাকু)
-হ্যা। এদিকে একটা কাজে যাচ্ছিলাম তাই আসলাম আর কি।
-ওহ্। ভালো করেছো ভালো করেছ। কিন্তু এই মেয়েটি কে?
-নাশরাহ বসো। হুম,,? ও,,? ও হলো,,,
-বুঝেছি বুঝেছি। আর বলা লাগবে না। এটা সেই মেয়েটা তাই না যাকে তুমি মনে প্রাণে ভালোবাসো। যার কথা নিরিবিলি ভাবার জন্য তুমি প্রতি শুক্র বারে এখানে আসো। যার গল্প তুমি আমায় শোনাও। সত্যি মেয়েটি দেখতে একদম পরীর মতো। একদম যেমনটা তুমি বলতে তেমনটা।(কাকু ফুচকা বানাচ্ছেন আর কথা গুলো বলছেন)
ওনার কথা শুনে আমি বেশ অবাক হলাম। মেঘ প্রতি সপ্তাহে একবার করে এখানে আসে। তাও আবার এতো দূরে শুধু মাত্র রাত্রির কথা নিরিবিলিতে ভাববে বলে। মেয়েটিকে ও এতটা ভালোবাসে।(মনে মনে)
-কা,,,কু। তুমি তাড়াতাড়ি দাও আমাদের লে,,,ট হয়ে যাচ্ছে।(মেঘ কিছুটা তুতলিয়ে বললো আর ইশারায় ওনাকে চুপ করতে বললো)
কাকুও চুপ করে গেলেন আর কিছু বললেন না। আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি মেঘ আমার কাছ থেকে কথাটা লুকাতে চায়ছে। কাকুর ফুচকার প্লেট রেডি হয়ে গেছে। ফুচকা দেখে আমার খিদে দ্বিগুণ থেকে তিন গুন বেড়ে গেছে। কিন্তু ওতো এক প্লেট ওডার দিয়েছে। তারমানে ও একা খাবে আর আমায় চেয়ে চেয়ে দেখতে হবে। না ও একা একা নিশ্চয় খাবে না। এতটা খারাপ না। কিন্তু ওকে দিয়ে বিশ্বাস নেই ও সব পারে। কাকু প্লেট নিয়ে আমার সামনে এসে আমাকে দিতে চাইলো
-আরে আমায় কেন দিচ্ছেন। এটাতো ওনার জন্য।(আমি)
-কিন্তু মা ওতো ফুচকা খায় না।(কাকু)
-মানে? কিন্তু আপনিইতো বললেন উনি প্রতি শুক্র বারে আপনার দোকানে আসে।
-হুম আসে। কিন্তু ফুচকা খেতে নয়। ওতো এখানে আসে,,,,,,(কাকু)
-৭ মিনিট। তোমার হাতে ৭ মিনিট টাইম আছে। তারমধ্য খাওয়া শেষ করতে হবে। না খেয়ে সময় নষ্ট করে পরে আবার গাড়িতে উঠে খিদেয় ছটফট করবে আর আমি আবার আমার সময় নষ্ট করে তোমায় খাওয়বো। এমনটা আর হবে না। তাই তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও।(মেঘ)
তারমানে ও এখানে এসেছে আমার জন্য। আমার খিদে পেয়েছে তাই খাওয়াতে। আচ্ছা আমার যে খিদে পেয়েছে সেটা ও বুঝলো কিভাবে। ও এমন কেন। উপকার করবে তাও এমন ভয় দেখিয়ে। তখন ওমন ভাবে Get out না বলে ভালো ভাবে বললেইতো পারতো। আমায় খাওনার জন্য নিয়ে আসছে সেটা বললে কি এমন হতো। আমি জীবনে কাওকে এমন ধমক দিয়ে এমন ভাবে খাওয়াতে দেখিনি। ও সত্যি একটা পাগল। ভালো করে কথা বলতে হয়তো ভুলেই গেছে। এমনটা কেউ করে। (ওর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে কথা গুলো ভাবছি।)
-আমার মুখের দিকে তাকিয়ে অলরেডি এক মিনিট সময় নষ্ট করেছ। আর ছয় মিনিট আছে।(মেঘ ফোন টিপতে টিপতে ফোনের দিকে তাকিয়েই বললো)
-হুম?(ওর কথায় হুশ ফিরলো।)
-হুম নয় হুম।
আমি তাড়াতাড়ি খাওয়া শুরু করে দিলাম। ফুচকা আমার খুব প্রিয়। কিন্তু ফুচকা ধীরে ধীরে খেতেই মজা লাগে। এখন ধীরে খাওয়ার সময় নেই তাই একটার পর একটা মুখে ভেতর দিতেই আছি। পুরো মুখ ভরে গেছে। এবার চিবাতে কষ্ট হচ্ছে। মেঘ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আর আমি খেয়েই যাচ্ছি। অনেক কষ্টে ছয় মিনিটের মধ্য খাওয়া শেষ করলাম। খুব ঝাল লেগেছে। চোখ দিয়ে পানি পরছে। কিন্তু ফুচকাটা খেতে সেই মজা। এই মামার দোকানের ফুচকা যে খাবে সে বার বার খেতে চাইবে। ঝালে আমার অবস্থা খারাপ। এটা দেখে মেঘ আমায় পানি দিলো আর পকেট থেকে ওর রুমালটা বের করে দিয়ে বললো
-চোখের পানিটা মুছে না। আর কাজলটা ঠিক করে নাও।
-এখন কিভাবে কাজল ঠিক করবো। এখানেতো আয়না নেই।
-ঠিক আছে। কিন্তু চোখের পানিটা অন্তত মুছো।
আমি ওর হাত থেকে রুমালটা নিয়ে চোখের পানি মুছে ফেললাম। সাথে নাকের পানিও মুছে নিলাম। এতো ঝাল লেগেছে যে নাক দিয়ে সর্দি বেরিয়ে গেছে। ভালো করে নাক মুছে মেঘের দিকে রুমালটা এগিয়ে দিলাম। ও আমার দিকে খুব রাগি রাগি ভাবে তাকালো।। আমি তাড়াতাড়ি হাতটা সরিয়ে নিয়ে কান্না শুরু করে দিলাম।
-এ্যা এ্যা এ্যা।
-আরে আরে কাদছো কেন? কি হয়েছে। (ও বেশ ভয় পেয়েছে) আমি কান্নার আওয়াজটা আর একটু বাড়িয়ে দিলাম।
-এ্যা এ্যা এ্যা।
-আরে কান্নার কি হলে? দেখ আশে পাশের সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। সবাই কি ভাবছে বলতো। তুমি প্লিজ চুপ করো।
-বিশ্বাস করুন আমি ইচ্ছা করে আপনার রুমালে নাক মুছি নি। আমি চাইনি নাক মুছতে। ভুল করে মুছে ফেলেছি।
-আচ্ছা ঠিক আছে। ভুলতো হতেই পারে তাই না। তাই বলে এভাবে কাদতে হয় নাকি। এতো বড় মেয়ে এই ভাবে কাদতে আছে। পাগলি একটা। চুপ করো।(বলে আমার চোখের পানি মুছে দিলো)
আমি খুব ভালো করেই জানি এখন লোকজন আছে তাই এমন নরম ভাবে কথা বলছে না হলে এতক্ষণে আমার ঘার থেকে মাথাটা আলাদা করে দিতো।(মনে মনে)
-আগে বলুন আপনি আমায় ক্ষমা করেছেন?
-হ্যা বাবা করেছি। এবার কান্না থামাওতো। আর চলো।
আমি এবার কান্না থামিয়ে দিলাম। ঔষধ এ কাজ হয়েছে। ও ফুচকার বিল দিতে চাইলে কাকু কিছুতেই নিলেন না। বুঙলাম ওনার সাথে মেঘের খুব ভালো সম্পর্ক। তারপর আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে গাড়ির দিকে হাটতে লাগলাম। যদিও আমার ওখান থেকে আসতে একদমি ইচ্ছা করছিলো না। তাও আসতে হলো।
চলবে,,,
#মেহজাবিন_নাশরাহ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে