ওয়াদা ১১

0
4031

ওয়াদা ১১
ওর তো হাসি থামছেই না। এতো হাসার কি হলো কে জানে। মনে হচ্ছে আমি কোনো জোকার আর ওর সামনে দাড়িয়ে সার্কাস দেখাচ্ছি। যদিও ও হাসছে এটা দেখে আমার খুব ভালো লাগছে তবুও এতটা হাসার কারণ কি?
-আ,,,পনি এতো হা,,,,সছেন কেন,,,??( একটু ভয়ে ভয়ে বললাম)
-বিনা পয়সায় সার্কাস দেখছি আর হাসবো না?(বলে ভ্রু কুচকে তাকালো আমার দিকে)
কিন্তু কি বলছে রাক্ষসটা সার্কাস দেখছে মানে কি? তারপর ও আমার হাত ধরে সবার সামনে দিয়ে আমার রুমে নিয়ে গেলো। সবার সামনে দিয়ে আসার সময় সবাই আমার দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি করে হাসছিলো। কি হচ্ছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার রুমে এসে ও আমায় আয়নার সামনে দাড় করালো আর আমায় ইশারায় আয়নার দিকে তাকাতে বললো। আমি আয়নার দিকে তাকাতেই দিলাম এক চিৎকার
-হায় আল্লাহ এটা কে?(আমি)
-এটা,,? এটা হলো শেওড়া গাছের সাদা পেত্নী। (মেঘ)
-কিন্তু আমি এমন পেত্নী হলাম কিভাবে?(আচ্ছা তখন যে আমি লাটসাহেবকে এতো উলট পালট কথা বলেছিলাম সেজন্য কি ও আমায় খুন করলো। আমি কি তাহলে মারা গেছি। আর মরার পর ভুত হয়ে গেছি? আল্লাহ তোমার কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম তাও তুৃমি আমায় সাহায্য করলে না। বিয়ের আগেই শুভকে বিধবা করে দিলে? ধুর ছেলেরা বিধবা হয় নাকি মরে গিয়ে আমার মাথাটাও খারাপ হয়ে গেছে নাকি? আল্লাহ তুমি আমায় এতো বড় শাস্তি কেন দিলে? কেন কেন কেন? মনে মনে কথা গুলো বলছিলাম)
-নাহ্।(মেঘ)
-কি নাহ্?
-তুমি যা ভাবছো তেমন কিছু হয়নি।
-আমি কি ভাবছি আর কি হয় নি?
-এটাই যে আমি তোমায় খুন করিনি, তুমি মারা যাও নি আর শুভ বিধবাও হয় নি।(মেঘ)
হায় আল্লাহ আমি মনে মনে কি বলছি সে ও কিভাবে বুঝলো? আর ও শুভর কথাও জানে? কিন্তু কিভাবে? তন্নি বলেছে কি? না তন্নি কখনো বলবে না। তাহলে? আর আমার এই অবস্থা হলো কিভাবে? মনে মনে ভাবছি।
-তুৃমি যখন দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেলে তখন তোমার পাশ দিয়ে নিশাত চালের গুড়ার বাটি নিয়ে যাচ্ছিলো আর তুমি ধাক্কা খাওয়ার সময় একটু দুরে ও পা পিচলে পড়ে যায় আর বাটি থেকে সব গুড়ো তোমার গায়ে পরে। আর তুমি তখন এতটাই ভয় পেয়ে ছিলে যে তোমার গায়ে গুড়া পরেছে তুমি বুঝতেই পারো নি। আর নিশাত ভয়ে তোমায় কিছু বলেনি। তোমার এই অবস্থা দেখে হাসি আটকাতে পারলাম না। মনে হচ্ছিলো একটা সাদা পেত্নী কোনো মানুষকে ভয় পেয়ে কুকড়িয়ে গেছে। হা হা হা।(মেঘ)
এবার আমার নিজের উপর রাগ হচ্ছে। আমি এতটা ভীতু কেন?
নিশাতকে তো খুন করতে ইচ্ছা করছে। ওর ক্লাসতো পরে নিচ্ছি।
-আমার পুরো ড্রেস নষ্ট হয়ে গেছে। চুল সব সাদা হয়ে গেছে এখন আমি কি করবো।
-চুল খুলে ভালো করে ঝেড়ে নিলেইতো হয়। এতো নেকামি করার কি আছে?(মেঘ)
-কিহ্ আমি নেকামি করছি? চুল না হয় ঝেড়ে নিলাম, কিন্তু ড্রেস এটাতো ঝাড়লেও সাদা হয়ে থাকবে আর অনেক টাইম লাগবে। আর আপনার নেকামি মনে হচ্ছে? একটা কাজ করুন আমি না হয় নেকামিই করছি তো আপনি একটা ভালো উপায় বলে দিন।
-ওকে। (বলে বাইরে চলে গেলো)
যাহ্ বাবা। ওকে বলে হন হন করে চলে গেলো। যাবেইতো কোন উপায় জানা থাকলে তো বলবে। লাটসাহেব একটা। কিন্তু আমি এখন কি পরবো। পুরানো ড্রেস পরতে ইচ্ছা করছে না। একটু পর লাটসাহেবটা আবার এলো। আমার দিকে একটা প্যাকেট এগিয়ে দিয়ে বললো
-এটার মধ্য একটা ড্রেস আছে ভালো লাগলে পরতে পারো।(মেঘ)
আমি কিছু না বলেই প্যাকেটটা নিয়ে খুললাম। একটা কালো রং এর লেহেঙ্গা। লেহেঙ্গাটার দিকে শুধু তাকিয়েই থাকতে ইচ্ছা করছে। মনে হচ্ছে কয়লার মধ্য হিরা চকচক করছে। চোখ ধাদিয়ে যাচ্ছে। সকালের শাড়িটা আর লাল লেহেঙ্গাটা অনেক সুন্দর ছিলো কিন্তু এটা ওই দুইটার থেকে অনেক বেশি সুন্দর। কালোর উপর সাদা পাথরের কাজ করা কাপড় এতো সুন্দর লাগতে পারে আমি জানতামই না। এর আগে কালোর উপর সাদা পাথরে কাজ দেখেছি কিন্তু এতো ভালো লাগেনি। কালো মেঘের সব থেকে প্রিয় রং তাই কালো কিনেছে হয়তো।
-এটা তোমার বার্থডে গিফট হিসেবে এনেছিলাম। এটা তোমারই তাই চাইলে পরতেই পারো। আর হ্যা চুল গুলো টুলেদের মতো উচু করে না বেধে ছেড়ে দিও। তাহলে একটু ভালো লাগলেও লাগতে পারে।( বলেই চলে গলো)
আমায় কিছু বলার সুযোগও দিলো না। আমায় টুলে বললো। এর শোধ আমি ঠিক তুলবো লাটসাহেব। তারপর খুব তাড়াতাড়ি করে চুল ঝেড়ে চেন্জ করে নিলাম। লাটসাহেব যেহেতু বলেছে তাই চুল ছেড়ে দিলাম। আর হালকা সাজু গুজো করে বেড়িয়ে আসলাম। সবাই আমার ড্রেসটার প্রশংসা করছে। আর এটা আগে না পরে ওই লাল ড্রেসটা কেন পরেছিলাম সেটা জানতে চাইছে। কিন্তু আমি খুজছি লাটসাহেবকে ওকে একটা ধন্যবাদ দেওয়া উচিত এতো সুন্দর একটা গিফট দেওয়ার জন্য। হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো শুভর কল। আমি একটু অন্য পাশে সবার থেকে একটু দূরে গিয়ে ফোনটা রিসিভ করললাম।
-হ্যালো।(শুভ)
-হুম বলো।
-কি করছো জান?
-মা বাড়িতে ছোট খাটো একটা অনুষ্টানের আয়জন করেছে আমার জন্মদিন উপলক্ষে। সো,,,,
-বুঝেছি। তারমানে এখন তুমি বিজি তাইতো?
-হুম একটু বিজিতো আছিই। আর তাছাড়া বাড়িতে অনেক লোকজন তাই এখন কথা বলতে পারবো না। সরি প্লিজ।
-ইটস ওকে। যাও সবার সাথে ইনজয় করো। ফ্রি হলে কল দিও।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
-লাভ ইউ।
-লাভ ইউ টু মেরি জান। বাই।
-বাই
তারপর ফোনটা কেটে দিয়ে মায়ের কাছে গেলাম। অনেক রাত হয়েছে তাই সবাই কেকটা কেটে ফেলতে বললো। তারপর আমরা সবাই মিলে কেক কাটলাম। একে একে সবাইকে খাইয়ে দিলাম। কিন্তু লাটসাহেব কে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না। এরপর সবাই খাওয়া দাওয়া করে চলে গেলো। কিন্তু তাও লাটসাহেবটা কে দেখলাম না। হয়তো চলে গেছে। ওরতো আজ রাতে আমাদের এখানে ডিনার করার কথা তাহলে চলে গেলো কেন। আর কেকটাও খেলো না। মা অবশ্য ওর জন্য কেক তুলে রেখেছে। তবে আজ আমি অনেক অনেক বেশি খুশি। মেঘ আজ আমার সাথে আগের মতো কিছুটা ফাজলামি করেছে। আজকের দিনটা সত্যি খুব ভালো। এত্তোগুলো খুশি আজকে আমি। ইস সব যদি আগের মতো হয়ে যেতো। কত ভালই না হতো। আল্লাহ প্লিজ মেঘের মনটা একটু নরম করে দাও। ওকে এমন কঠিন হয়ে থাকা একদম মানায় না। ওকে সবসময় হাসি খুশি থাকলেই মানায়। এসব ভাবতে ভাবতে মা ডাক দিলো। তাই মায়ের কাছে গেলাম।
-হ্যা মা বলো।
-শোন না। মেঘতো কিছু না খেয়েই চলে গেছে। তাই ভাবছিলাম ওর খাবার আর কেকটা ওদের ফ্লাটে গিয়ে দিয়ে আসি।(মা)
এটাই সুযোগ। এই সুযোগেই ওকে ধন্যবাদটা দিয়ে আসবো। পরে যদি আবার নিজের রাক্ষস রুপে ফিরে আসে। বলা যায় না।
-ঠিক আছে মা। তুৃমি একটু ওয়েট করো আমি এই ড্রেসটা চেন্জ করে আসি অনেক ভারী।
-আচ্ছা। তাড়াতাড়ি আয়।
আমি আমার রুমে গিয়ে একটা হালকা হলুদ রং এর থ্রি পিচ পরলাম। আর মুখের মেকাপটা ধুয়ে ফেললাম। এখন নিজেকে অনেক হালকা লাগছে। তারপর মায়ের সাথে মেঘদের ফ্লাটে গেলাম। মা কাকিমাকে খাবারটা দিলো। কিন্তু মেঘ নাকি ছাদে গেছে। আমার হাতে কেকের বাটিটা ছিলো তাই আম্মু আমায় বাটিটা নিয়ে ছাদে যেতে বললো। আমার জন্মদিনের কেক আমি নিজে না দিলে কেমন দেখাবে তাই।
আজ মেঘের মনটা বেশ ভালই দেখলাম তাই যাওয়া যেতেই পারে। আমিও আর কিছু না বলে বাটিটা নিয়ে সোজা ছাদে চলে গেলাম। আমাদের বিল্ডিং এর ছাদটা অনেক বড়। চারি পাশে অনেক ফুল গাছ লাগানো আছে। আর ছাদের একদম কিনারায় দুইটা চেয়ার আর একটা টি টেবিল রাখা আছে। জোৎস্না রাত তায় ছাদের লাইট গুলো হয়তো অফ করে রাখা। চাঁদের আলোয় সব কিছু দেখা যাচ্ছে। মেঘকে দেখলাম গিটার হাতে করে চেয়ারে বসে আছে। আর গিটারে টুং টুং শব্দ করছে। কোনো সুর নেই। আমি আস্তে আস্তে ওর সামনে গিয়ে দাড়ালাম। ও অন্যমনস্ক হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে আর আনমনে গিটারের উপর শুধু হাত নাড়িয়ে যাচ্ছে। ওকে দেখে মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব থেকে দুঃখী ব্যক্তি ও। পৃথিবীর সব কষ্ট যেন ওর বুকে এসে জমাট বেধেছে। এমন লাগছে কেন ওকে। ওর কি কিছু হয়েছে। ধুর আমি কেন ওর কথা এতো ভাবছি। ওতো এখন একটা রাক্ষস। আর রাক্ষসদের কোনো কষ্ট থাকে না। তারপর আমি একটু হালকা কাসলাম এটা বোঝানোর জন্য যে ওনার সামনে আমি আছি।
-এহেম এহেম।(ও আমার দিকে তাকালো)
-না মানে। তোমার জন্য কেক এনেছি। তখনতো তুমি কেকটা না খেয়েই চলে এলো। তাই নিয়ে এলাম। নাও খাও।(বলে বাটিটা ওর দিকে এগিয়ে দিলাম আর সাথে একটা মিষ্টি হাসিও দিলাম)
ও গিটারটা পাশে রেখে উঠে দাড়ালো। আর বাটিটার দিকে হাতটা বাড়ালো। আমি এখনও ওর দিকে খুশি মনে তাকিয়ে আছি। আমি ওকে ধন্যবাদ দিতে যাবো তখনি ও আমার হাত থেকে বাটিটা উপরে চেলে ফেলে দিলো। আমি ওর এমন আচারণে অনেক অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ করে কি হলো ওর? একটু আগেও তো খুব ভালো করেই কথা বলছিলো। তাহলে এখন আবার এমন করলো কেন?
-কি ভাবো কি নিজেকে তুমি। একটু হেসে আর নরম করে কথা বলেছি বলে ভেবেছো আমি তোমার উপর ফিদা হয়েছে গেছি। তোমার সুন্দর চেহারা আছে বলে সবাই তোমার পিছে পিছে ঘুরবে। আরে ভার্সিটিতে মেয়েরা আমার পিছনে লাইন দিয়ে দাড়িয়ে থাকতো। বুঝছো? লাইন দিয়ে দাড়াতো। কিন্তু আমি কখনো পাত্তা দিনি কেননা এমন গায়ে পরা মেয়ে আমার একদম সহ্য হয়না। আর তুমি কি ভেবেছো আমায় তোমার জালে ফাসাতে পারবে? কখনো না। কখনো পারবে না ওকে টাকা ছিটালে তোমার মতো হাজারটা মেহজাবিন নাশরাহ আমার পায়ের কাছে এসে বসে থাকবে। তোমার মতো মেয়েদের খুব ভালো করেই চেনা আছে। বড় লোকের ছেলে দেখলে তোমাদের মাথা কাজ করে না। টাকার জন্য নিজের দেহ বিলাতেও তোমাদের বাধে না।
আমি ওর কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। আমার চোখ দিয়ে অনবরত পানি পরেই যাচ্ছে। আমি কিছু বলতে চাচ্ছি কিন্তু আমার গলা দিয়ে কোনো আওয়াজ বের হচ্ছে না। আমার পুরো শরীর মনে হচ্ছে কাপছে। আমি ঠিক করে দাড়াতে পারছিলাম না। তাই আমি কিছু না বলেই চলে আসছিলাম। আমি গেটের কাছে আসতে পেছন থেকে কেউ ডাকলো
-মেঘপরী?
আমি পেছন ফিরে দেখলাম মেঘ আমার দিকে খুব করুণ চোখে তাকিয়ে আছে। আজ দুবছর পর ও আমায় মেঘ পরী বলে ডাকলো। ওর মুখে এই নামটা শুনে ছোট বেলার কথা মনে পরে গেলো। একদিন আমি আমার পরার টেবিলে বসে খাতায় ড্রইং করছিলাম। এমন সময় মেঘ আমার চুলের বিনুনি ধরে টান দিলো আর বললো
-কিরে মেঘপরী কি করছিস?
-কি করছি দেখতে পারছো না? কানা হয়ে গেছো নাকি?
-আচ্ছা তুই এতো সুন্দর করে ছবি আকাস কিভাবে?
-তুৃমি আমায় শিখিয়ে দিয়েছিলে তোমার মনে নেই?
-মেঘপরী?(হালকা রেগে বললো)
-আচ্ছা তুমি আমায় মেঘ পরী কেনো বলো? আমার নাম তো নাশরাহ।
-তোকে মেঘ পরী বলে ডাকি কারণ তুই দেখতে একদম পরীর মতো তাই। (বলে আমার গালটা টেনে দিলো)
-উফ গাল টেনো না তো। কিন্তু মেঘপরী কেন বলো। শুধু পরী না বলে?
-দেখ তুই দেখতে পরীর মতো। আর তোকে কালো রং এ সব থেকে সুন্দর লাগে। আর তোর প্রিয় রং ও কালো। আর এদিকে মেঘের রং কালো আর সাদা হয়। কালো বললে ভুল হবে যদিও রংটা ধূসর তবুও কালো আর ধূসর রংতো একি জাতের। আর তাছাড়া সব থেকে বড় ব্যাপার হলো আমার নাম মেঘ। তাই তুই আমার কাছে আমার মেঘপরী। তোকে মেঘপরী বলে ডাকার অধিকার শুধু আমার। শোন অন্য কাউকে কখনো এই নামে ডাকতে দিবি না। যদি ভুল করেও কেউ ডাকে তাহলে বলবি যে “আমি শুধু মেঘের পরী কেউ আমায় এই নামে ডাকবে না”। বুঝলি?
-হুম বুজলাম।
-হুম। কতো বুঝেছো সেটা তো বুঝতেই পারছি। তুমিতো পাকা বুড়ি।(বলেই আবার আমার বিনুনি ধরে টান মেরে চলে গেলো। আর আমি ওকে ধরার জন্য ওর পিছে পিছে দৌড়াচ্ছি)
আবার মেঘপরী ডাকটা শুনে আমার হুশ ফিরলো। আমি মেঘের দিকে তাকালাম। ও এখনো ওইখানে একি ভাবে দাড়িয়ে আছে। ওকে খুব অসহায় দেখাচ্ছে। ওর এমন করুন মুখটা দেখে আমায় করা ওর অপমানের কথা ভুলেই গেলাম।
চলবে,,,,

#মেহজাবিন_নাশরাহ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে