ওয়াদা ৩৩

0
3711

ওয়াদা৩৩
রান্নাঘরে এসে মাকে সাহায্য করতে লাগলাম। একটু পর মেঘও আসলো। এসে খাবার টেবিলে বসলো। বাবাও বসে আছেন। মেঘ টেবিলের উপর ঠুক ঠুক শব্দ করছে আর গান গাইছে গুন গুন করে। “আমার স্বপ্ন যে সত্যি হলো আজ”। গান শুনে পুরো শরীর জ্বলে যাচ্ছে। মানলাম ও ওর ভালোবাসার মানুষটাকে পেয়ে গেছে তাই বলে সারাদিন এমন ন্যাকামি করতে হবে। ইচ্ছা করছে এই গরম তরকারি ওর মাথায় ঢেলে দি। যতসব ঢং।
-নাশু?
-হ্যা মা
-তোর বাবাকে আর মেঘকে খাবারটা দিয়ে দে।
-ঠিক আছে।
ঝুমা আর আমি মিলে খাবার গুলো টেবিলে রাখলাম। মেঘ এখনো গুন গুন করে গান গেয়েই যাচ্ছে। থামার নামই নিচ্ছে না।
-কি ব্যাপার মনে রঙ লেগেছে মনে হচ্ছে?(বাবা)
-নতুন নতুন বিয়ে করলে সবার মনেই একটু আধটু এমন রঙ লাগে। কেন তোমার এমন হয় নি?(মেঘ)
আমি মেঘের কথা শুনে পুরো অবাক হয়ে গেলাম। বলে কি?
-হা হা হা। শোন তাহলে আমাদের বিয়ের পর তোর দাদা আমায় প্রথম যেদিন জোর করে অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছিলো। আমার যেতে ইচ্ছাই করছিলো না নতুন বউ বাড়িতে রেখে। যাওয়ার সময় তোর মা আমায় কিছু বলে নি তাই রাগ করে আমিও সারাদিনে একবারও কল করি নি। রাতে যখন বাড়ি ফিরলাম তখনই তোর মা কোথা থেকে দৌড়ে এসে সবার সামনে আমায় জড়িয়ে ধরে মরা কান্না শুরু করে দেয়। তোর দাদা-দাদিতো লজ্জায় ওখান থেকে উঠে চলে যায়। আর বাকি সবাই ওর কান্ড দেখে হাসাহাসি করে। এতো করে বলছিলাম সবাই দেখছে কে শোনে কার কথা। তোর মা তো একদম আমার জন্য পাগল ছিলো। হা হা হা।(বাবা)
-মোটেও আমি তোমার জন্য পাগল ছিলাম না। বরং তুমি আমার জন্য পাগল ছিলে। মনে আছে অফিসের কাজ ফেলে চুরি করে বাসায় আসতে আমার জন্য বিভিন্ন রকমের জিনিস নিয়ে। এর জন্য বাবা তোমায় একদিন খুব বকেছিলো তাই তুমি বাবাকে বলেছিলে, আমার বউ এর জন্য আমি এনেছি পারলে তুমি তোমার বউ এর জন্য নিয়ে আসো। এটা নিয়ে সে কি কান্ড হয়েছিলো বাবা। মনে পরলে এখনো হাসি পায়।(মা)
বাবা আর মায়ের কথা শুনে আমি, মেঘ আর ঝুমা মুখ টিপে টিপে হাসছি। মা সেটা দেখে লজ্জা পেয়ে বললো
-তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে ওঠতো সবাই। আমার কাজ আছে। নাশু তুই আজ ভার্সিটিতে যাবি না?(মা)
-হ্যা মা। আজ থেকেতো ক্লাস শুরু হবে।
-তাহলে তুইও বসে পর। আমি খাবার দিচ্ছি।(মা)
-মা আমি তোমার সাথে পরে খাবো।
-না মেঘের তো খাওয়া প্রায় শেষ। তোর দেরি হলে ও আবার চলে যাবেতো।(মা)
-উনি আবার কোথায় যাবেন?(আমি)
-কোথায় আবার ভার্সিটিতে।(মা)
-আপনি ভার্সিটিতে যাবেন?(মেঘের দিকে তাকিয়ে বললাম)
-হুম।(মেঘ)
-তুই যে জন্য ভার্সিটিতে জয়েন করেছিলি সেটাতো শেষ তাহলে আবার কেন যাবি?(বাবা)
-বাবা আমি তো এক বছরে কন্টাক্ট করেছিলাম। এক বছর শেষ না হলে চাকরিটা ছাড়তে পারবো না।(মেঘ)
-ওহ আচ্ছ। এক বছর পূর্ণ হলে আবার আমাদের অফিসে জয়েন করবি।(বাবা)
-ঠিক আছে বাবা।(মেঘ)
-তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে রেডি হয়ে নাও। আমি কিন্তু বেশিক্ষণ ওয়েট করতে পারবো না।(মেঘ আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো)
মেঘ রুমে চলে গেলো। আমিও তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে রুমে গিয়ে রেডি হয়ে নিলাম। মেঘকে আজ অনেক হ্যান্ডাসাম লাগছে। আমি আর মেঘ গাড়িতে বসলাম। ও আবার ওই গানটা গাওয়া শুরু করলো।
-কি সমস্যা কি আপনার বলুনতো?(আমি)
-কি হয়েছে?
-কাল থেকে একি গান গেয়েই যাচ্ছেন গেয়েই যাচ্ছেন।
-ওহ্। এই গানটা না আমার খুব প্রিয়। সারা দিন গাইতে মন চায়। তোমায় পুরো গানটা শোনাবো?
-না থাক। দরকার নেই আমার গান শোনার। দয়া করে বন্ধ করুন।
তারপর চুপ করে গাড়ি চালাতে লাগলো। আমরা ভার্সিটিতে পৌঁছে গেলাম। গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে অনিক, নিয়ন, জয়া, তুবা সবাই এলো।
-কেমন আছিস নাশু?(জয়া আমায় জড়িয়ে ধরে)
-ভালো তোরা সবাই কেমন আছিস?
-আমরা সবাই ভালো আছি।(অনিক)
-স্যার আপনি কেমন আছেন?(জয়া মেঘের দিকে হা করে তাকিয়ে থেকে বললো)
-আমি ভালো আছি তোমরা সবাই কেমন আছো?
-আমরা সবাই ভালো আছি স্যার।(তুবা)
-ওকে ক্লাসে দেখা হবে বাই।(বলে মেঘ চলে গেলো)
আর জয়া মেঘের চলে যাওয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
-দোস্ত ওর হাটার স্টাইলের উপর ক্রাশ খাইলাম রে।(জয়া)
-ওর মানে?
-আরে মেঘের।(জয়া)
-ওই তুই মেঘের নাম ধরছিস কেন? ওতো তোর স্যার হয়? আগেতো স্যার বলেই ডাকতিস।(আমি)
-আরে আগেতো জানতাম না যে স্যার তোর ভাই হয়। আর আমি ওর মেঘ নামটারও উপরও ক্রাশ খাইছি।(জয়া)
হারামি ও আমার ভাই না বর হয় আমার বর। তুই আমার বরের দিকে নজর দিচ্ছিস। মনে মনে রেগে বললাম।
-নাশু তুই ওর কথা বাদ দেতো। তুই আগে আমায় এটা বল তুই কেমন আছিস?(তুবা)
-বললামই তো ভালো আছি।
-নাশু আমরা কেউ ভাবতেই পারি নি শুভ এমনটা করতে পারে। ও এতো দিন ধরে আমাদের সাথে আছে অথচ আমরা কেউ ওকে চিনতেই পারলাম না।(নিয়ন)
-নিয়ন প্লিজ তোরা শুভর কথা বাদ দে। আমার ওর কথা শুনতে ভালো লাগছে না।
-আমরা বুঝতে পারছি নাশু তোর মনে এখন কি চলছে। তুইযে ওকে খুব ভালোবাসতিস।(তুবা)
-হয়তো বাসতাম। কিন্তু এখন আর আমার মনে ওর জন্য কোনো জায়গা নেই বিশ্বাস কর। আমারতো ওর কথা মনেও পরে না।
-তুই সত্যি বলছিস?(জয়া)
-হ্যা সত্যি বলছি। আমার মনে এখন শুধুমাত্র আমার বর আছে।(আনমনা হয়ে বললাম)
-কিহ্? কি,,,কি বললি তুই?(তুবা)
এইরে এটা আমি কি বলে ফেললাম। ইস এবার নিশ্চিত ধরা খেয়ে যাবো।
-তোর বর মানে?(অনিক)
-কি হলো বল?(জয়া)
-এক মিনিট এক মিনিট। এতো সময় খেয়াল করি নাই তোর নাকে নাকফুল হাতে চুরি। এইগুলার মানে কি?(নিয়ন)
ইস চুরি গুলো খুলতেই মনে নেই। মা পরিয়ে দিয়েছিলো বিয়ের পর মেয়েদের নাকি চুরি আর নাকফুল পরতে হয়। এটা নাকি মুসলিম মেয়েদের বিয়ের চিহ্ন। এখনকার মেয়েরা এইগুলা পরে না কিন্তু মা আমায় কখনো খুলতে মানা করেছে। তাই সব সময় পরে থাকি। ভেবেছিলাম ভার্সিটিতে আসার সময় খুলে আসবো আর বাড়ি ফিরে আবার পরে নিবো। কিন্তু আসার সময় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে মনেও নেই।
-কি হলো চুপ করে আছিস কেন? কিছু বলবি?(তুবা)
-আসলে তোদের কে একটা কথা বলা হয় নি।(আমি)
-কি কথা?(অনিক)
-কথাটা হলো,,,,
-থেমে গেলি কেন? বল।(জয়া)
-আসলে আমার বিয়ে হয়ে গেছে।
-কিহ্? বিয়ে হয়ে গেছে মানে?(তুবা)
-কবে?(নিয়ন)
-কার সাথে?(অনিক)
-আমাদের জানালি না কেন?(জয়া)
-তুই আমাদের না জানিয়ে বিয়ে করতে পারলি?(নিয়ন)
-আমাদের সাথে এই অন্যায়টা করতে তোর একটুও খারাপ লাগলো না?(তুবা)
-কোথায় বিয়ে হয়েছে তোর? আর বর কি করে? নাম কি?(অনিক)
ওরা একের পর এক প্রশ্ন করেই যাচ্ছে। আমায় কোনো কথা বলার সুযোগই দিচ্ছে না।
-উফ্। তোরা থামবি।(রেগে গিয়ে বললাম)
-সরি। আসলে হঠাৎ করে এমন একটা কথা শুনবো ভাবতেই পারি নি। তোর বিয়ে হয়ে গেলো আর আমরা জানতেই পারলাম না। তাই আর কি,,,,(অনিক)
-আসলে বিয়েটা হঠাৎ করেই হয়ে গেছে। আমি নিজেও জানতাম না আমার বিয়ে।
-তোর বর কোথায়।
আমি মেঘের কথা বলতে যাবো তখনই ক্লাসের সময় হয়ে গেলো।
-আচ্ছা এখন ক্লাসে চল ক্লাস শেষে বলবো সব।
-ঠিক আছে। চল।(জয়া)
আমরা সবাই ক্লাসে গেলাম। ক্লাসে কিছু ছেলে আর কিছু মেয়ে আছে। তেমন কোন ছাত্র-ছাত্রী আসেনি। এমনিতেও কেউ ক্লাস করে না তার উপর আজ প্রথম দিন। ক্লাস রুমটা কেমন ফাকা ফাকা লাগছে। প্রথম দুইটা ক্লাস ভালো ভাবেই শেষ হলো। কিন্তু হঠাৎ করেই কোথা থেকে মেয়েরা সব তাড়াহুড়ো করে ক্লাসে ঢুকলো। পুরো ক্লাস রুম ভরে গেলো।
-দেখেছিস কি অবস্থা?(তুবা)
-কিছুই বুঝলাম না। এইগুলো কোথা থেকে আসলো।(আমি)
-তুই ক্লাস রুটিন নিস নি।(জয়া)
-না।(কেন)
-এই নে। এটা রাখ। আমি যাওয়ার সময় আর একটা নিয়ে যাবো।(জয়া)
-থ্যাংকস।
বলার সাথে সাথেই মেঘ ক্লাসে এলো। সব মেয়েরাই উঠে দাড়িয়ে মেঘকে সালাম দিলো। অন্য টিচারদের এইভাবে সালাম দিতে কখনো দেখিনি। তবে এবার বুঝতে পেরেছি এই মেয়েগুলো কেন ক্লাসে এসেছে। মেঘ সবার সাথে বেশ হাসি মুখে কথা বলছে আর ম্যাথ করাচ্ছে। মেয়ে গুলা সবাই মেঘের দিকে ক্যাবলার মতো হা করে তাকিয়ে আছে। আরে এইভাবে নির্লজ্জের মতো অন্য মেয়ের বরের দিকে তাকাতে তোদের লজ্জা করে না। জীবনে পুরুষ মানুষ দেখিস নি যে আমার বরের দিকে নজর দিচ্ছিস। আর আমার বর টাকে দেখো সবাই ওনার দিকে তাকিয়ে আছে বলে মনে হচ্ছে উনি আকাশে উড়ছেন। যতসব। ক্লাসের প্রায় অর্ধেকটা সময় হয়েছে। তখন জয়া আমায় বললো
-দোস্ত মেঘের কোনো গার্লফ্রেন্ড আছে।(জয়া)
আমি ওর দিকে রাগি চোখে তাকালাম।
-আরে রাগছিস কেন বল না।(জয়া)
-কি?
-ও কি কারোর সাথে প্রেম করে?
-জেনে কি করবি?
-ধুর আগে বলনা তারপর বলছি।
-না।
-দোস্ত তাহলে আমার একটা হেল্প করবি মেঘ,,,,,,
-তোকে বলেছি না ওকে মেঘ বলবি না?
-এতো রাগছিস কেন? আচ্ছা যা আর বলবো না। কিন্তু আমার কথাটাতো শোন।
-বল।
-বলছি শাফিন স্যারের সাথে আমার প্রেম করিয়ে দিবি প্লিজ। উনিতো তোর পরিচিত ওনাকে একটু আমার কথা বলবি প্লিজ প্লিজ প্লিজ।(জয়া)
এবার আমার র্ধৈয্যের বাদ ভেঙে গেছে। তাই রেগে গিয়ে অনেকটা জোড়েই বললাম।
-শাফিন স্যার কারোর সাথে প্রেম করে না কিন্তু স্যার বিবাহিত। ওনার বাড়িতে ওনার বিয়ে করা বউ আছে। বুঝলি।
আমি কথাটা বলার সাথে সাথে ক্লাস রুমটা পুরো ফাঁকা হয়ে গেছে। মানে মেয়েদের সারিটা পুরো ফাকা। শুধু কয়েকটা মেয়ে আছে। জয়াতো আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। আমি রাগে মাথা নিচু করে বসে আছি। আর মেঘ আবুলের মতো দাড়িয়ে আছে। ও বুঝতেই পারছে না এখানে কি হলো। মেয়েরা সবাই এইভাবে চলে গেলো কেন।
-স্যার আপনি ওইভাবে দাড়িয়ে আছেন কেন?(ক্লাসের একটা ছেলে)
– না মানে সবাই এইভাবে বেরিয়ে গেলো কেন?(মেঘ)
-স্যার ওরা সবাই বেশির ভাগ অন্য ডিপার্টমেন্টেরর মেয়ে। আর আমাদের ডিপার্টমেন্টের গুলা ভুল করেও কখনো ক্লাস করে না।(সেই ছেলেটি)
-অন্য ডিপার্টমেন্টেরর মেয়েরা এখানে ক্লাস করছিলো কেন?
-আপনার জন্য স্যার।(সেই ছেলেটি)
-তার মানে?
-স্যার আপনি ভার্সিটিতে আসার পর সব গুলো মেয়ে আপনায় দেখে ক্রাশ খাইছে। যে মেয়েগুলে ভুলেও ক্লাস করেনা সেই গুলো শুধুমাত্র আপনার জন্য ক্লাস করে আর অন্য ডিপার্টমেন্টের মেয়ে গুলাও ওই কারনেই ম্যাথ ক্লাস করতে আসে। আজ যখন শুনলো আপনি বিবাহিত তখনতো আর বসে থাইকা লাভ নাই তাই সবাই চলে গেলো।(বলার সাথে সাথে সব ছেলেরা হেসে দিলো)
এবার আমারও হাসি পাচ্ছে। কি কান্ডটা নাই হলো। হি হি হি। মেঘ আমার দিকে ক্যাবলার মতো তাকিয়ে আছে। কিন্তু একটু পর একটা মুচকি হাসি দিয়ে ভাব দেখিয়ে চলে গেলো। হুহ যতই ভাব দেখাও এখন আজ থেকে ভার্সিটির কোনো মেয়েই তোমার দিকে তাকাবে না। সবাই জেনে গেছে তুমি বিবাহিত। বেশ হয়েছে। এবার আকাশে ওড়ো। হুহ। এদিকে জয়ার মুখ অন্ধকার। মনে হচ্ছে এখনি কেঁদে দেবে। সবাই মিলে জয়াকে ক্লাস রুম থেকে বাইরে নিয়ে আসলাম।
-দোস্ত মন খারাপ করিস না। চল নাশুর বিয়ে উপলক্ষে আজ আমরা সবাই মিলে তোর প্রিয় ফুচকা খাবো। আর বিলটাও নাশু দেবে চল।(নিয়ন)
-যাহ বাবা। ওর মন খারাপ বলে তোরা আমায় এইভাবে বাশ দিবি?
-ওই তুই চুপ কর। বিয়েতে তো কাউকে বলিস নি। তোর কাছে একটা খাওয়া এমনিতেই পাওনা আছে বুঝলি।(নিয়ন)
-কষ্ট করে বিয়ে করলাম আমি কোথায় তোরা আমায় খাওয়াবি তা না উল্টো আমায় খাওয়াতে বলছিস?
-ইস উনি নাকি কষ্ট করে বিয়ে করেছে। বিয়ে করেতো ঠিকই মজা নিচ্ছো।(জয়া মুখ ভেঙেই)
-কি? কি বললি তুই।(আমি রেগে গিয়ে)
-উফ তোরা থামবি। চলতো।(তুবা)
তারপর আমরা সবাই মিলে কাম্পাসের মধ্য থাকা ফুচকার দোকানে গেলাম। দোকানওয়ালা মামা ফুচকা বানাচ্ছিলেন তখন আমাদের সামনে দিয়ে মেঘ যাচ্ছিলো। মেঘকে দেখেই জয়া ন্যাকা কন্ঠে ডাক দিলো।
-স্যার।
উফ এই মেয়েটা এমন কেন।
চলবে,,,

#মেহজাবিন_নাশরাহ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে