এসো শব্দহীন পায়ে
পর্ব ১৩
মিশু মনি
.
বিয়ের আলাপ আলোচনা চলাকালীন মেয়েরা কেমন উদাস হয়ে যায়। কোনো কাজেই মন বসে না। ‘টুং’ করে শব্দ হলেও চমকে ওঠে। কারো পায়ের শব্দ শুনলে গলা শুকিয়ে যায়। রূপসারও সেই দশা। সারাক্ষণ অস্থির অস্থির লাগে। হঠাৎ কারো গলা শুনলেই ভাবে, এই বুঝি তিতাস এলো।
এভাবেই অস্থিরতায় দিন কাটছিলো। মা বাবা গোপনে আলাপ আলোচনা করেন, রূপসা তার কিছুই শুনতে পায় না। কেবল ঘরের এক কোণে শুয়ে বসে প্রতীক্ষার প্রহর গুণছে।
মা একবার ডেকে বললেন, ‘তোর বিয়ের সম্বন্ধ আসছে। ছেলে সরকারি চাকরি করে। ঢাকায় বাড়ি। অর্থ সম্পত্তি ম্যালা। দেখতে শুনতেও ভালো। সরকারি চাকরিওলা পাত্তর কি সবার কপালে জোটে? জোটে না। তোর বাপ তো এগ্লার ব্যাপারে এক্কেরে উদাসীন। আমি বলে কয়ে রাজি করিছি।’
রূপসা মনেমনে বললো, ‘তিতাস সরকারি চাকরিও করে! এটা তো জানতাম ই না।’ লাজুক স্বরে মাটির দিকে তাকিয়ে মাকে বললো, ‘আচ্ছা মা। তোমরা যা বলবা তাই।’
– ‘ছেলেপক্ষ কালকে আসবে বুজছিস? সেইভাবে থাকিস। আর মান সম্মান জানি থাকে।’
– ‘থাকবে মা।’
– ‘তুই একটু শইল্যের যত্ন নে। গোছলের সময় গায়ে উপটান লাগাইস। মাথাটাও ধুইস আজকে।’
রূপসা শিহরিত হয়ে উঠলো। কারো আপন হতে গেলে বুঝি এত আয়োজন করে নিজেকে সাজাতে হবে। সেটুকু রূপসা করবে, অবশ্যই করবে। নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করবে যে, তার চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। তার মুগ্ধতাতেই রূপসার সকল সার্থকতা।
মা বললেন, ‘কি হইল?’
– ‘ঠিকাছে মা।’
রূপসা লজ্জানত চেহারায় দাঁড়িয়ে থাকে। মা আরো কিছু বলবে সেই আশায়। কিন্তু মায়ের কাছ থেকে আর সেরকম কিছু শুনতে পেলো না। বারান্দার চৌকাঠ ধরে উদাস চোখে তাকিয়ে রইলো রূপসা।
আজকের রাতটা যেন জীবনের সবচেয়ে দীর্ঘ রাত। পেরোতেই চাইছে না। রূপসা কখনো বসে, কখনো উপুড় হয়ে শোয়। কখনো আলো জ্বালিয়ে বই নিয়ে পাতা উল্টায়, আবার কখনো আলো নিভিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ে। ওর বড় ছটফটানি কাজ করছে। বুকের ভেতর শব্দ হচ্ছে, ‘ঢিপঢিপ ঢিপঢিপ।’ আষাঢ় মাসে বৃষ্টির পর যেমন হিমশীতল বাতাস বয়, তেমনই একটা শীতল অনুভূতি হচ্ছে। থেকে থেকে কি যেন ভেবে শরীর শিউরে ওঠে। কারো আপন হতে পারার আনন্দ উথলে ওঠে। মনে ভেসে আসে সুখের জোয়ার।
কেউ একজন কাছে ডাকছে, কবুল বলবে, হাত ধরবে, চুলের গন্ধ নেবে। ভালোবেসে আলতো করে স্পর্শ করবে। আরো কত রাত? আরো কত সময়? সে তারাতাড়ি আসছে না কেন। তার পায়ের শব্দ শোনার জন্য তৃষ্ণার্ত মন বড় ব্যকুল হয়ে আছে। আর কতক্ষণ?
১৫
সকালবেলা থেকেই বাড়িতে হুলস্থুল পড়ে গেলো। জোরেশোরে চলছে মেহমানের প্রস্তুতি পর্ব। চাচীরা আদা, রসুন, মশলা বাটছেন। মশলার গন্ধে চারিদিক মোঁ মোঁ করছে। কেউ পোলাওয়ের চাল ধুচ্ছে, কেউ চালের আটা করছে, এরপর পিঠা ভাজতে হবে, আরো কত কি! বড় আম্মা গরুর গোশত কুটছেন। দাদী কুটছেন ব্রয়লার মুরগী। মেজো চাচা পুকুর থেকে রুই মাছ তুলে এনেছেন। বাড়ির ছোট রা উপুড় হয়ে মাছ দেখছে। একটা হৈহৈ রৈরৈ ব্যাপার। উৎসব উৎসব ভাব পুরো বাড়ি জুরে। রূপসার আজকে কোনো কাজ নেই। ও বারান্দায় বসে মুগ্ধ নয়নে সকলের ব্যস্ততা দেখছে। পাত্রপক্ষকে আপ্যায়নের জন্যই এত আয়োজন, তাহলে বিয়েতে না জানি কত ধুমধাম হবে! সবার আনন্দ দেখে রূপসারও ভীষণ আনন্দ হচ্ছে।
পাত্রপক্ষ এলে বাড়ি নিস্তব্ধ হয়ে গেলো। ভদ্রতার সহিত পাত্রপক্ষের সাথে কথাবার্তা চলছে। রূপসা ওর চাচীর ঘরে সাজগোজ করছে আর মনেমনে নানান আঁকিবুঁকি করছে। যখন পাত্রপক্ষের সামনে ওকে নিয়ে যাওয়া হলো, তখন হৃদপিন্ড বাড়তে বাড়তে এমন হলো এই বুঝি হার্ট ফেটে বেরিয়ে আসবে।
লাজবরণ মুখে ঘোমটা টেনে বসে আছে রূপসা। একজন মুরুব্বি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার নাম কি মা?’
রূপসা নিজের নাম বলে চোখ তুলে তাকালো। কিন্তু ঘরভর্তি মেহমানদেরকে দেখে ওর বুকটা কেমন ধক করে উঠলো। শূন্যতায় ভরে গেলো পুরো বুক। তিতাস কোথায়? এখানে যারা বসে আছে তারমধ্যে তিন/চারজন কে রূপসা আগেও দেখেছে। মেজো চাচীর বড় বোনও আছে। কিছুই বুঝতে পারছে না রূপসা। তিতাসকে খুঁজে চলেছে ওর চোখ।
গুরুজনের বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পর রূপসা ঘরে যাওয়ার অনুমতি পেলো। ওর মাথার ভেতর গন্ডগোল শুরু হয়ে গেছে। কিছুই বুঝতে পারছে না। খানিকক্ষণ পরে চাচা এসে বললেন পাত্রের সাথে আলাদা করে কথা বলতে হবে। পাত্র ওনার ঘরে অপেক্ষা করছে। রূপসা কৌতুহল দমাতে পারছিল না। একদিকে শঙ্কা অন্যদিকে আশা বুকে নিয়ে চাচার ঘরে গেলো। দরজায় দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে অনুমতি চাইলো, ‘আসবো?’
একটা অপরিচিত কণ্ঠস্বর ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিলো। গলা শুনেই পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছিল রূপসার। এ তো তিতাসের কণ্ঠস্বর নয়। তবে!
বুকটা আর্তনাদ করে উঠলো ওর। গত দুদিনের সব অস্থিরতা, সমস্ত ছটফটানি এক ঝলকেই চুপসে গেলো। ছেলের মুখের পানে তাকিয়ে কথা বলতে ভুলে গেলো রূপসা। ছেলেটাকে ও কয়েক বছর আগে দেখেছিল। মেজো চাচীর বড় বোনের ছেলে। ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা চিৎকারের শব্দে রূপসার বুক ফেটে যাচ্ছে অথচ কেউই শুনতে পাচ্ছে না সেই চিৎকার। কিছু না বলেই রূপসা ঘর থেকে বেরিয়ে এলো।
বারান্দায় আসামাত্র মেজো চাচা এসে জিজ্ঞেস করলেন,
– ‘কি রে মা, পাত্রের সাথে কথা হইছে?’
রূপসা অনেক কষ্টে কান্না সংবরণ করে নিলো। মৃদুস্বরে বললো, ‘না।’
– ‘যা কথা বল। ভয়ের কিছু নাই। আমরা সবাই তো আছি এইখানে।’
রূপসা কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে দ্রুতপদে নিজের ঘরের দিকে যেতে লাগলো। চাচা কিছুই বুঝে উঠতে পারলেন না। উনি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন রূপসার দিকে। কয়েক পা এগিয়ে রূপসা কি ভেবে যেন পিছনে তাকালো। তারপর আবার ছুটে এসে চাচাকে জিজ্ঞেস করলো, ‘চাচা আমাকে একটা কথা বলবেন?’
– ‘বল মা।’
– ‘বিয়ের আলাপ কিভাবে হইছে?’
চাচা বললেন, ‘আমি একটা কাজে ঢাকা গেছিলাম না? তো বড় আপার বাড়িতেই উঠছিলাম। মানে আমার বড় শালী। ছেলের বিয়ে দেয়ার জন্য পাত্রী খুঁজছিলো। আমিও কথায় কথায় তোর কথা বললাম। আপা বললো তোকে যখন দেখছিল তখন নাকি ভালোই লাগছে। এইভাবেই আলাপ হইছে আর কি। কেন রে? ছেলে তোকে কিছু বলছে?’
রূপসা কোনো উত্তর দিলো না। মাটির দিকে তাকিয়ে রইলো। তিতাসকে নিয়ে এতদিনের এত আশা সব কিভাবে মরিচিকা হয়ে গেলো। কিভাবে তিতাসের কথা জিজ্ঞেস করবে তাও বুঝতে পারছে না। ওর হৃদয় ভেঙে গেছে। স্থির হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। সবকিছু ঝাঁপসা লাগছে ওর কাছে।
চাচা রূপসার মুখটা ধরে বললেন, ‘কি রে মা? বল আমাকে?’
– ‘কিছু না চাচা।’
– ‘তাহলে পাত্রের সাথে কথা বল গিয়ে। যা।’
রূপসা বললো, ‘শহরের মানুষদেরকে আমি ভয় পাই চাচা। খুব ভয় পাই।’
– ‘আমরা তো আছি রে মা। ভয়ের কি আছে?’
রূপসা উত্তর দেয় না। ছুটে ঘরে চলে আসে। বুকে বালিশ চেপে ধরে কেঁদে ফেলে। কি ভীষণ কষ্ট হচ্ছে আজ। তিতাসের প্রতীক্ষায় কতগুলো রাত নির্ঘুম কাটিয়েছে। অথচ তিতাসের দিক থেকে কোনো সাড়া নেই। তার উপর কোথ থেকে চাচা আরেকজনের সাথে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হলেন। মানতে পারছে না রূপসা। বাড়ির সবাই কত আনন্দ করছে। কেউ কি জানে ওর বুকের ভেতর কি চলছে! কেঁদে বুক ভাসিয়ে ফেলছে ও। এমন সময় মা ডাকতে ডাকতে ঘরে এলেন। বললেন, ‘শুইয়া আছিস ক্যান? ছেলেটা কখন থাইকা বইসা রইছে। হইছে কি বল তো?’
– ‘যাইতেছি মা।’
– ‘তাড়াতাড়ি যা।’
ব্যথায় বুক ভারী হয়ে উঠেছে। সেই নিদারুণ বিষাদ নিয়েই পাত্রের সামনে গিয়ে দাঁড়াতে হলো রূপসাকে। ছেলেটা রূপসার মুখের দিকে একপলক তাকিয়েই চমকালো। কি মায়াবী একটা মুখ! সেও মায়া নিয়েই জিজ্ঞেস করলো, ‘ আপনি কাঁদছেন কেন?’
রূপসা কিছু বললো না। ছেলেটা বললো, ‘ বিয়েতে বুঝি আপনার মত নেই? দেখুন, আপনি না চাইলে জোর করে কেউ বিয়ে দেবে না। আমরা তো শুধুমাত্র দেখতে এসেছি। দেখতে এলেই যে বিয়ে হয় এমন তো না। কাঁদবেন না প্লিজ। আমি মেয়েদের কান্না সহ্য করতে পারি না।’
রূপসা চোখ তুলে তাকালো ছেলেটার দিকে। প্রচন্ড ভালোমানুষি চেহারা। বয়স কিছুটা বেশি। কিন্তু ভদ্র, বিনয়ী। তার কথা শুনে রূপসা কিছুটা অবাকও হয়েছে। কান্না থামানোর জন্য কেউ এভাবে বলতে পারে ওর জানা ছিলো না।
ছেলেটা বললো, ‘আপনি রাজি না থাকলে আমি আপনার বাবাকে নিষেধ করে দেবো। এসব নিয়ে ভাব্বেন না। আমরা শুধুমাত্র আজকে পরিচিত হবো। একজনের আরেকজনকে কেমন লাগে সে সবের উপর নির্ভর করে তারপর কথাবার্তা। প্লিজ আপনি কাঁদবেন না।’
রূপসা মৃদুস্বরে বললো, ‘আমাকে আপনার পছন্দ হইছে?’
ছেলেটা হেসে উত্তর দিলো, ‘পছন্দ তো এভাবে হয় না। কথাবার্তা বলতে হবে, একজন আরেকজনের সম্পর্কে জানতে হবে।’
– ‘না জানলে কি বিয়ে করা যায় না?’
– ‘না জেনে কিভাবে বিয়ে করবো?’
– ‘না জেনেই তো আমি….’
এতটুকু বলে থেমে গেলো রূপসা। কি বলতে কি বলে ফেলছে। নিজেকে সামলে নিয়ে বললো, ‘না জেনেই মেয়েরা বিয়েতে রাজি হয় জানেন? বাবা মায়ের জন্য।’
– ‘ হা হা। আমি তো আপনাকে আগেই বলে দিয়েছি। আমি সেরকম ছেলে নই। আপনার মতামত না থাকলে আমি নিষেধ করে দেবো।’
– ‘আমার অন্য একটা কারণে মন খারাপ। আপনি আবার নিজেকে দোষারোপ করবেন না।’
– ‘ওহ আচ্ছা। ঠিক আছে।’
রূপসা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো, ‘অনেকদিন থেকে একটা জিনিসের প্রতি আমার খুব মায়া বুঝলেন তো। সেই জিনিসটা হারিয়ে গেছে। তাই কান্নাকাটি করছি।’
– ‘বুঝেছি। কি জিনিস?’
– ‘একটা পাখি।’
ছেলেটা উৎফুল্ল হয়ে বললো, ‘আপনি পাখি পুষতে ভালোবাসেন? আমিও খুব ভালোবাসি। একটা টিয়া পাখি আছে আমার।’
রূপসা একটা ছোটখাটো নিশ্বাস ফেলে বললো, ‘আমারটা অন্য পাখি। পাখির শোকে কান্দি আমি। আপনার সাথে এখন কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। কিন্তু এটা বললে মা আমাকে খুব রাগ দেখাবে। আমি যদি পরে কথা বলি আপনি কিছু মনে করবেন?’
– ‘একদমই না। কিচ্ছু মনে করবো না। আপনি পরেই কথা বলবেন। অসুবিধা নেই।’
রূপসা ঘর থেকে বেরিয়ে নিজের ঘরে চলে এলো। ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দিলো যাতে কেউ না আসতে পারে। ও জানে এখন চাচী, মা আরো অনেকে ছুটে আসবেন কি কথা হয়েছে শোনার জন্য।
অনেক্ষণ নিরবে কান্নার পর রূপসা মন শক্ত করে উঠে দাঁড়ায়। বারান্দায় এসে ইশারায় ডাক দেয় মেজো চাচাকে। পরোক্ষভাবে তিতাসের কথা জানতেই হবে ওকে।
বেশ স্বাভাবিক গলায় চাচাকে বললো, ‘চাচা ছেলেটা ভালোই। কিন্তু বয়সটা বেশি মনে হইতেছে।’
– ‘লেখাপড়া শেষ করার পর এখন সরকারি চাকরি করে। বয়স তো বেশি হইবই।’
রূপসা কৌশলে বললো, ‘আজকাল আমাদের গ্রামে খালি শহরের বিয়ের প্রস্তাব আসে। কয়েকদিন আগে ওয়ামিয়ার প্রস্তাব আসছিলো। ওই যে, কোঁকড়া চুলের ছেলেটা ছবি তোলে না? আমাদের বাড়িতে আসছিলো যে? তারা ওয়ামিয়ার সাথে সম্বন্ধ নিয়া আসছিল। পরে কি হইছে শুনি নাই। চাচা আপনি তো গেছিলেন তাদের বাড়িতে। ওয়ামিয়ার সাথে বিয়ের ব্যাপারে কিছু শোনেন নাই?’
– ‘নাহ। এই ব্যাপারে কিচ্ছু শুনি নাই।’
– ‘ও। পাত্রপক্ষ তো ভালোই ছিল। বিয়ে হওয়ার তো কথা।’
– ‘না। মনেহয় বিয়া দিবে না। ছেলে তো বিদেশ চলে গেছে।’
– ‘বিদেশ চলে গেছে! কে গেছে চাচা?’
– ‘আরে ওই কোঁকড়া চুলের ছেলেটা। বিদেশে চলে গেছে। ওয়ামিয়ার সাথে বিয়া হইলে তো যাওয়ার আগে বিয়া কইরা তারপর যাইতো।’
রূপসা শেষের কথাগুলো আর শুনতে পেলো না। ওর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তিতাস বিদেশে চলে গেছে এটা ও মানতেই পারছে না। যদি কিছু না বলেই বিদেশে চলে যাবে তবে কেন এসেছিল মায়া বাড়াতে! নাকি রূপসারই কোথাও বোঝার ভুল হয়েছে। সে হয়তো রূপসাকে নিয়ে সেভাবে ভাবেও নি। মনে হাজারো প্রশ্ন নিয়ে দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে জংগলের দিকে ছোটে ও। কারণ আজকে ও খুব শব্দ করে কাঁদবে। হাউমাউ করে। বাড়িতে থাকলে কাঁদতে পারবে না। কান্নার জন্য ওকে সবার আড়ালে যেতেই হবে।
চলবে..