🧡 #এক_বসন্ত_প্রেম 🧡
লেখক- এ রহমান
শেষ পর্ব
শীতের একদম শেষ প্রান্তে এসে আবহাওয়াটা কেমন জানি অস্থির করে ফেলছে। তীব্র শীতের মাঝে ঘামে ভেজা গরমের আভাস যেন একি দেশে একি সময়ে দুই রকম ঋতুর অনুভুতি জানিয়ে দিচ্ছে। আদৌ কি সম্ভব? কিন্তু এই মুহূর্তে সেটাই তো হচ্ছে। কিছুক্ষন আগেই যে গ্রামের সকালের তীব্র শীতের অনুভুতি ছিল সেটা পেরিয়ে শহরে প্রবেশ করতেই রোদেলা দুপুর ঘামে ভেজা গরমের অস্বস্তি হানা দিচ্ছে। কামিজের লম্বা হাতা দিয়ে বারবার কপালে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘাম মুছে ফেলছে স্নেহ। কান্নাকাটি করে চোখ মুখ সব ফুলে উঠেছে তার। হবেই না বা কেন বাবার অতো বড় অসুখ বলে কথা। সাদেকের ব্রেইন স্ট্রোক হয়েছে। তাই তাকে শহরের বড় হসপিটালে আনা হয়েছে। সবাই চিন্তিত মুখে বসে অপেক্ষা করছে ডাক্তারের জন্য।
সুমি সুহা আর লতাকে জোর করছে তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য। ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নিয়ে তারপর আবার আসবে। কিন্তু কিছুতেই রাজি হচ্ছেনা তারা। অবশেষে শেফা মোটামুটি জোর করেই তাদেরকে পাঠিয়ে দিলো। স্নেহকে শুধু রেখে দিলো হসপিটালে।
ডাক্তার সাদেকের রুম থেকে বের হতেই শেফা তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। “এখন কেমন আছে?” শেফার কথা শুনে ডাক্তার খুব শান্ত ভাবে বলল “ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু কিছুদিন আরও হসপিটালে থাকতে হবে।”
ডাক্তারের কথা শুনে এক রাশ ভয় নিয়ে শেফা কাপা কাপা গলায় বলল “সুস্থ হয়ে যাবে তো?” ডাক্তার শেফার ভয় বুঝতে পেরে বললেন “চিন্তা করবেন না। ঠিক হয়ে যাবে। ওনার কন্ডিশন ভালই।”
স্নেহকে মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখে নাবিল এসে তার পাশে বসলো। স্নেহর দিকে একবার তাকিয়ে আবার সামনে তাকিয়ে বলল “এখন আর ভয় নাই। ঠিক হয়ে যাবে সব।” নাবিলের কথাটা শেষ হতেই স্নেহ তার ঘাড়ে মাথা দিয়ে মুখে ওড়না চেপে ডুকরে কেঁদে উঠলো। নাবিল কিছুক্ষনের জন্য অবাক হলেও পরক্ষনেই নিজেকে সামলে স্নেহকে এক হাতে জড়িয়ে নিলো। এতে যেন স্নেহর কান্নার বেগ আরও বেড়ে গেলো। কিছুতেই নিজেকে সামলাতে পারছে না। শেফা দুর থেকে দাড়িয়ে সব কিছু চুপচাপ দেখছিল। নাবিলের হঠাৎ শেফার দিকে চোখ পড়তেই সে একটু অপ্রস্তুত হয়ে স্নেহকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু স্নেহর যে সেদিকে কোন খেয়াল নেই। সে আনমনে কেদেই চলেছে। শেফা ধির পায়ে সামনে এসে বলল “স্নেহ!” শেফার গলার আওয়াজ শুনে স্নেহ ঠিক হয়ে বসলো। মাথা নিচু করেই বলল “জি ফুপু?”
শেফার ছায়ার দিকে তাকিয়ে বলল “ওকে বাড়ি নিয়ে যা। রেস্ট নিয়ে তারপর আবার আসবে।” ফুপুর কড়া কথার উত্তরে স্নেহ আর কিছু বলল না। ছায়ার সাথে চলে গেলো। শেফা নাবিলের পাশে বসে সামনে তাকিয়ে বলল “স্নেহর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে নাবিল।”
“জানি।” এক রাশ হতাশা নিয়ে কথাটা বলল নাবিল। শেফা নাবিলের দিকে তাকাল। তার মনের অবস্থাটা বুঝতে চেষ্টা করলো। কিছুক্ষন চুপ করে থেকে আবার বলল “স্নেহ কি এই বিয়েতে খুশি না?”
শেফার কথার মানে বুঝতে পেরে নাবিল তার দিকে তাকাল। একটু হেসে সামনে তাকিয়ে শান্ত গলায় বলল “জানিনা খালামনি।”
“জানার চেষ্টা করনি?”
নাবিল না সুচক মাথা নাড়ল। “কেন?” শেফার প্রশ্নে নাবিল তার দিকে তাকিয়ে বলল “আমি জানতাম না স্নেহর বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। আমি চেয়েছিলাম ওর মনের মধ্যে জায়গা করে নিতে। তারপর জানতে চেয়েছিলাম ঠিক কতটুকু জায়গা করতে পেরেছি। কিন্তু আসলেই কোন জায়গা তৈরি করতে পেরেছি কিনা সেটা জানার সুযোগ হয়নি।”
শেফা মলিন মুখে বলল “একটা মেয়ে বিপদের সময় যাকে সব থেকে আগে মনে করে সেই তার মনের কাছে থাকে। স্নেহ কিন্তু অভ্রর কথা এক বারও বলেনি। তোমার কাধে মাথা রেখে ঠিকই মন খুলে কাঁদছিল।”
নাবিল একটু ভ্রু কুচকে তাকাল শেফার দিকে। কৌতূহলী কণ্ঠে বলল “ঠিক কি বলতে চাইছ তুমি?”
“দেখ স্নেহ নিজের আবেগ সম্পর্কে এখনো অবগত নয়। তাকে সেটা বঝানর দায়িত্ব তোমার। তুমি যদি তোমার দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালোণ করতে সক্ষম হও তাহলে আমি বাকিটা দেখতে পারি।”
শেফার কথা শুনে নাবিল একটু হাসল। শেফার দিকে তাকিয়ে বলল “তুমি বাসায় যাও। রেস্ট নিয়ে তারপর আবার আসিও।”
শেফা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল “আমি এখানেই থাকবো। সবাই আসুক তারপর যাবো।”
————
শীত শেষে হাওয়ার রুপ বদল করে বসন্তের আগমন। ফাল্গুনের আগমনে মূর্ছা যাওয়া প্রকৃতি কেমন ঝলমলিয়ে উঠেছে। হাওয়ার মাঝেও যেন বসন্তের ঘ্রান। ছাদে দাড়িয়ে সেই হাওয়ায় নিজেকে বিলীন করতেই ব্যস্ত স্নেহ। এক দৃষ্টিতে সামনে তাকিয়ে আছে। আনমনে ভাবছে। বেশ কয়েক দিন হল সাদেক হসপিটাল থেকে এসেছে। এখন পুরো সুস্থ। সুমির বাড়িতে আজ সবাই ভিড় করেছে কারন কাল ওরা গ্রামে চলে যাবে। সবাই মোটামুটি খুশি সাদেকের সুস্থতা নিয়ে। কিন্তু স্নেহর কেন জানি মন খারাপ। গ্রামে চলে যাবে ভেবেই তার চোখ ভরে উঠছে। কাউকে বলতে পারছে না।
“স্নেহময়ি!” নাবিলের উতফুল্য সরের কথা কানে আসতেই পিছনে ঘুরে তাকাল। নাবিল কে দেখে তার কোথাও একটা শান্তি অনুভুত হল। নাবিল ধির পায়ে এগিয়ে এসে তার পাশে দাঁড়ালো। পকেটে হাত গুঁজে সামনে তাকিয়ে আছে। স্নেহ সামনে তাকাল। মলিন ভাবে বলল “নাবিল ভাইয়া আমি কাল চলে যাচ্ছি।”
“জানি।” ছোট্ট করে উত্তর দিলো নাবিল। কিন্তু স্নেহর মনটা খারাপ হয়ে গেলো। চোখ ভরে এলো। না চাইতেও টুপ করে এক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো। নাবিল নিসচুপ সামনে তাকিয়ে আছে। নিজের চোখের পানি আড়াল করে আবার বলল “নাবিল ভাইয়া আমি গ্রামে চলে গেলে আপনি আসবেন না?”
নাবিল একটা শ্বাস ছেড়ে বলল “আমি কেন গ্রামে যাবো স্নেহ? বেড়াতে গিয়েছিলাম। তারপর তোমার বিয়ে। মামার অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তোমার বিয়ে পিছিয়ে গেলো। আবার যখন তোমার বিয়ে হবে তখন যাবো।”
নাবিলের নির্লিপ্ত উত্তর শুনে স্নেহ তার দিকে একটু তাকাল। চোখ ভরে এলো তার আর কিছু না বলে নিচে যাওয়ার জন্য পিছনে পা বাড়াল। কিন্তু নাবিলের ডাকে থেমে গেলো।
“স্নেহময়ি।” স্নেহ পিছনে না ঘুরেই কাপা কাপা গলায় বলল “বলেন।” নাবিল খুব শান্ত ভাবে জিজ্ঞেস করলো “তোমার কি কোন কারনে মন খারাপ। মানে মন খারাপ হলে কারণটা আমাকে বলতে পার।” স্নেহ কিছু বলতে পারল না। মাথা নাড়িয়ে না বলে নিচে চলে গেলো। নিচে বাড়ির ভিতরে পা দিতেই দেখল একজন বয়স্ক মহিলা সোফায় বসে পান চিবুচ্ছেন। স্নেহকে দেখে নিজের চশমাটা ভালো করে চেপে দিয়ে হাত দিয়ে ইশারা করলেন তার কাছে যেতে। স্নেহ আশে পাশে তাকিয়ে বুঝতে পারল অনেক নতুন আত্মীয় এসেছে। সে কোন কথা না বলে সেই বয়স্ক মহিলার পাশে গিয়ে বসলো। মহিলা পান চিবুতে চিবুতে তাকে জিজ্ঞেস করলো “কি নাম?”
“স্নেহময়ি।” স্নেহ ভিত কণ্ঠে উত্তর দিলো। “আমি নাবিল দাদু ভাইয়ের দাদী। দাদু ভাই আমাকে দাদুমনি কয়। তুমিও তাই ডাকবা।” স্নেহ নত দৃষ্টিতে মাথা নাড়াল। উনি থুতনিটা ধরে বলল “মাশ আল্লাহ!”
তার কথা শেষ হতে না হতেই এক কম বয়সি মেয়ে এসে সহাস্যে বলল “তুমি স্নেহময়ি বুঝি!” স্নেহ মাথা নাড়াল। মেয়েটি কিছু বলতে যাবে তার আগেই নাবিল এসে ভিতরে ঢুকল। স্নেহর পাশে গিয়ে বসলো। নাবিলের এভাবে বসাতে কিছু অংশ স্নেহর শরীর ছুয়ে দিলো। খুব অস্বস্তি হল তার। কোন রকমে নিজকে সামলে নিয়ে উঠে দাঁড়ালো। দাড়িয়ে ঘরে যেতেই স্নেহর মা এসে বলল “তোর বাবা ডাকে।” স্নেহ মাথা নাড়িয়ে বাবার কাছে গেলো।
“বাবা ডাকছ?” সাদেক রাজ্জাকের সাথে জরুরী বিষয় নিয়ে কথা বলছিল। স্নেহর গলা শুনে দুজনি দরজার দিকে তাকাল। রাজ্জাক হাসি মুখে বললেন “কাছে আসো স্নেহময়ি।” স্নেহ বুঝতে পারল না কিছুই কিন্তু তার ভিতরে কেন জানি অনেক ভয় হল। বুকের ভিতরের দুরু কাপন বেড়ে গেলো। নত দৃষ্টিতেই বাবার পাশে গিয়ে বসলো। মাথার ওড়নাটা আর একটু টেনে দিলো। রাজ্জাক এবার খুব শান্ত ভাবে ডাকল “সুমি এদিকে এসো।” সুমি মুহূর্তের মধ্যে কত গুলো ব্যগ নিয়ে চলে এলো। স্নেহর পাশে বসে ব্যাস্ত ভঙ্গিতে একটা ব্যাগ হাতে দিয়ে বলল “এখন এটা পরবি ঠিক আছে? আর …।”
কথা শেষ করার আগে স্নেহর দিকে চোখ পড়তেই দেখল স্নেহ কৌতূহলী চোখে তাকিয়ে আছে তার দিকে। সুমি ভ্রু কুচকে বলল “কি রে? এমন করে তাকায়ে আছিস কেন? এই জামা পরেই কি বিয়ে করবি নাকি?” স্নেহ যেন এবার আকাশ থেকে পড়লো। তার বিয়ে মানে? এখনি বিয়ে কেন? আর অভ্র কি এখানে এসেছে? তার মস্তিষ্ক শুন্য হয়ে গেলো। ভাবনা গুলো প্রচণ্ড অগোছালো। মাথা ঝিম মেরে গেলো। নিসশাসের বেগ বেড়ে গেলো। ঘামতে শুরু করলো। তার অবস্থা বুঝতে পেরে সুমি কিছু বলতে যাবে তার আগেই একজন মাঝ বয়সি মহিলা এসে বলল “কাজি এসে গেছে। সব লেখা লেখি করবে। ততক্ষনে স্নেহকে রেডি করে দিতে বলল।” স্নেহর চোখ ঝাপসা হয়ে এলো। তাকে জিজ্ঞেস না করেই এতো আয়োজন! কিন্তু কেন? তাকে জানালনা কেন? আর এতো তাড়াতাড়ি করার কি আছে? সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।
মাঝ বয়সি মহিলাটা স্নেহ কে শাড়ী পড়াতে শুরু করলো। শাড়ী পরাতে পরাতে বলল “আমি নাবিলের ফুপু।” স্নেহ কথা বলতে চেয়েও পারল না। গলায় আঁটকে গেলো। যত সময় যাচ্ছে নিঃশ্বাসের বেগ তত বাড়ছে। একজনের ডাকে মহিলাটা ঘর থেকে বের হয়ে চলে গেলো। স্নেহ বিছানায় বসে পড়লো। হাতের দিকে চেয়ে বসে থাকলো। এক ফোটা পানি চোখ বেয়ে হাতে টুপ করে পড়ার আগেই আরেক টা হাত তার উপরে চোখে পড়তেই স্নেহ ঝাপসা চোখে তাকাল মালিক টাকে দেখতে। নাবিল স্নেহর হাতের উপরে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে। স্নেহর চোখে চোখ পড়তেই একটু হাসল। পাশে একটা টুল টেনে নিয়ে বসলো। খুব শান্ত গলায় বলল “মনের কথা বলে দিতে হয় স্নেহময়ি। দেরি হয়ে গেলে দুঃখের শেষ থাকেনা।”
নাবিলের কথা শুনে স্নেহর আবার চোখ ঝাপসা হয়ে এলো। এখন আর বলে কি লাভ? চুপ করে থাকলো। কোন কথা বলল না। নাবিল স্নেহর চুপ করে থাকা দেখে নিজে থেকেই বলল “তুমি চুপ করে থাকলেও আমি তো পারিনা।” স্নেহর এক হাত নিজের হাতের মধ্যে খুব যত্ন করে নিয়ে বলল “এই বসন্তের শুরুতে আমার মনে জমানো এক_বসন্ত_প্রেম আজ তোমার নামে দিলাম। গ্রহন করবে কি আমার এই প্রেম?”
স্নেহ ছল ছল চোখে নাবিলের দিকে তাকাল। বাইরে থেকে আওয়াজ আসতেই নাবিল দরজার দিকে তাকাল। উঠে দরজা পর্যন্ত যেয়ে আবার ফিরে তাকিয়ে বলল “উত্তরটা বাকি থাকলো। পরে দিও কিন্তু।”
স্নেহ অসহায় দৃষ্টিতে চেয়ে থাকলো।
——–
অবশেষে সেই মুহূর্ত। স্নেহর বিয়ে। স্নেহ রীতিমতো কাঁপছে। কারণটা ঠিক বুঝতে পারছে না। তার পাশে নাবিল বর বেশে বসে আছে। স্নেহ অবশ্য একটু আগেই জানতে পেরেছে তার বর কে। তাই সে এখন খুশি।
আসলে এই সব কিছু তার বড় ফুপু শেফা আর নাবিলের দাদির কাজ। কিন্তু স্নেহর জন্য সারপ্রাইজটা নাবিলের পক্ষ থেকে ছিল। প্রথমে সবার মধ্যে একটু চিন্তা থাকলেও চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলার পর সবার চিন্তা দূর হয়েছে। নাবিল নিজে অভ্রর সাথে কথা বলেছে। তাকে ভালো করে বুঝিয়েছে যে স্নেহর মনে তার জন্য অনুভুতি তৈরি হয়েছে। সব কিছু শোনার পর অভ্র মেনে নিয়েছে যার মনে তার জন্য অনুভুতি নেই তাকে জোর করে বিয়ে করা বোকামি। তাই সে আর বিষয়টা নিয়ে বাড়াবাড়ি করেনি। তবে চেয়ারম্যন সাহেব বেশ মন খারাপ করেছেন। তিনি সাদেকের পরিবারের সাথে কোন রকম সম্পর্ক রাখতে নারাজ। এতে অবশ্য সাদেকের তেমন কোন সমস্যা নেই। কারন শেফা তাকে বুঝিয়েছে সব সম্পর্কের আগে মেয়ের সুখ। সাদেক সব বুঝেই মেনে নিয়েছে।
বিয়ে শেষ করে নাবিলের ফুপুত বোন আর ছায়া দুজন মিলে স্নেহকে ছাদে নিয়ে গেলো। কিন্তু তারা তাকে ছাদে রেখেই নিচে চলে গেলো। স্নেহ আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। অসম্ভব সুন্দর তারা। হালকা বাতাস বইছে। বসন্তের বাতাস। স্নেহর বেশ লাগছে।
“স্নেহময়ি।” নাবিলের আওয়াজ শুনে স্নেহ হাসি মুখে তার দিকে ফিরে তাকায়। নাবিল ধির পায়ে স্নেহর কাছে এসে দাঁড়ায়। ভাল করে তার চেহারা দেখে নেয়। তারপর তার হাত ধরে বলে “আমার উত্তরটা!”
স্নেহ লজ্জায় মিইয়ে যায়। এতদিনের সব জমানো সাহস এই মানুষটার সামনে যেন কোথায় হারিয়ে গেলো। মুখ তুলতে পারছে না। তবুও নাবিলের অপেক্ষা যেন তার আর সহ্য হচ্ছে না। নিজেকে স্বাভাবিক করেই নত দৃষ্টিতে বলল “আপনার দেয়া ডাইরিতে কলমের আঁচড় কেটে লিপিবদ্ধ করবো আমাদের এক বসন্ত প্রেমের গল্প।” নাবিল একটু হেসে স্নেহকে নিজের সাথে জড়িয়ে নিলো।
সমাপ্ত।
ভাইয়া খুব সুন্দর করে সাজিয়ে লিখেছেন গল্প টি। এতো সুন্দর একটা গল্পের জন্য ধন্যবাদ।