🧡 #এক_বসন্ত_প্রেম 🧡
লেখক- এ রহমান
পর্ব ৯
“সাদেক আছো?” দরজার বাইরে পরিচিত কণ্ঠের ডাকে সাদেক ঘর থেকে সাড়া দেয় “আছি। ভাই সাহেব নাকি? ভিতরে আসেন।” কথাটা বলতে বলতে বাইরে জান তিনি। বাইরে গিয়ে দেখে তার ধারনাই ঠিক। চেয়ারম্যান সাহেব তার ছেলেকে নিয়ে বাইরে দাড়িয়ে আছেন। গলার আওয়াজ শুনেই তিনি আন্দাজ করেছিলেন। এক গাল হেসে বললেন “ভিতরে আসেন ভাই সাহেব।”
মাজেদ চেয়ারম্যান তার ছেলে অভ্রর দিকে তাকিয়ে বললেন “আসো।” বলেই পা বাড়ালেন দরজার দিকে। বাবার পথ অনুসরন করে সেও এগিয়ে গেলো। সাদেক ভিতরে ঢুকে রাজ্জাক কে উদ্দেশ্য করে বললেন “চেয়ারমেন ভাইজান আসছে।” তার কথা শেষ হতেই মাজেদ তার ছেলেকে নিয়ে ঘরে ঢুকল।
“মেহমান আসছে নাকি?” রাজ্জাক কে দেখে বলল। “হ ভাইসাহেব। আমার ছোট বোন জামাই আর তার ছেলে আইছে।” সাদেক নম্র সূরে উত্তর দিলো।
“ওহ আচ্ছা তাহলে তোমার বোন জামাই।” বলেই সহাস্যে রাজ্জাকের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন মাজেদ। রাজ্জাক ও হাত মেলাল। হাত ধরেই পিছনে ঘুরে ছেলের দিকে তাকিয়ে বলল “আমার ছেলে। ডাক্তারি পড়ে শহরে। ছুটি টুটি তেমন পায়না। অনেক দিন পর আসছে তো তাই ভাবলাম বেড়ায়ে নিয়ে আসি।” বাবার কথা শেষ হতেই অভ্র সবার উদ্দেশ্যে সালাম দিলো।
রাজ্জাক সালাম নিয়ে “বেশ ভালো করছেন। বসেন!” সহাস্যে উত্তর দিলো। তারা ঘরে বসলো। মুহূর্তের মধ্যে সারা বাড়িতে রোল পড়ে গেলো চেয়ারম্যান তার ছেলেকে নিয়ে এসেছে। বাড়ির পুরুষ সবাই ওই ঘরে দৌড়ে গেলো তাদের সাথে কথা বলার জন্য। আর মহিলারা সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লো আপ্যায়নের জন্য। এই মুহূর্তে আপ্যায়ন টা কোন ভাবেই খারাপ হওয়া যাবেনা। যতই হোক বাড়ির হবু জামাই বলে কথা। তাকে কোন ভাবেই নিরাশ করা যাবেনা। তার কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়ার লোভে ব্যস্ত হয়ে উঠলো লতা। নিজে হাতে সব নাস্তা বানাতে বসে পড়লো। স্নেহ কে আদেশ করলো তার সেই বিখ্যত মসলা চা বানাতে। হবু জামাই ও তো বুঝুক মেয়ের রান্নার স্বাদটা। স্নেহর সমস্ত মনোযোগ চায়ের দিকে নিবিষ্ট থাকলেও সে স্থির থাকতে পারছেনা।
“আপা অভ্র ভাই আসছে মা তোমারে ডাকে।” সুহার মুখে উক্ত নামটা শুনেই তার বুকের ভিতরে দুরু দুরু কাপন যেন তীব্র হল। একটা শুকনো ঢক গিলে বলল “যা আসছি।” সভাবিক ভাবে কথাটা বললেও তার আচরনের অস্বাভাবিকতা সুহার চোখ এড়ায় নি। ধির পায়ে রান্না ঘরে ঢুকতেই মায়ের আদেশে চুলায় পানি দিলো চায়ের জন্য। চায়ের পানি নাড়ার দরকার না পড়লেও একটা চামুচ তাতে ডুবিয়ে এক মনে নেড়েই যাচ্ছে সে। মিনার বিষয়টা দৃষ্টিতে ঠেকল। একটু ঠাট্টা করে বলল “কি রে স্নেহ, চা কি ঘাটা হবে নাকি?”
পুরো রান্না ঘরে হাসির রোল পড়ে গেলো। লতা মা হয়ে মেয়ের এই অবস্থায় হাসাটা তার কাছে শোভনীয় মনে হল না। তাই ঠোঁট চেপে নিজের হাসি আটকাতে চেষ্টা করলো। লজ্জায় মিইয়ে গেলো স্নেহ। কিন্তু এই মুহূর্তে সে লজ্জাটাকে চাপা দিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বলল “চিনি মিশাই চাচি।” তার কথা শুনে সবাই ঠোঁট টিপে আবারো হাসল। কারন স্নেহ এখনো পানিতে চিনি মেশায়নি। তার অবস্থা বুঝে কেউ আর কথা বাড়াল না।
স্নেহর চা বানা শেষ হতেই লতা বলল “স্নেহ নাস্তা নিয়ে যা।” কথাটা কানে আসতেই স্নেহ জোরে জোরে শ্বাস ফেলে বলল “আমি!” লতা একটু কঠিন দৃষ্টিতে তাকাতেই স্নেহ আর কথা বাড়াল না। মাথার ওড়নাটা একটু বেশি করে টেনে দিয়ে সামনে সাজিয়ে রাখা নাস্তার ট্রে টা হাতে তুলে নিলো। ধির পায়ে ঘরের সামনে যেতেই স্নেহ থেমে দাড়িয়ে গেলো। হঠাৎ তার মাঝে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করলো। বুকের মাঝের দুরুদুরু কাপন বেড়ে গেলো। নিশ্বাস ভারি হয়ে আসলো। হাত পা কেমন যেন শিরশিরিয়ে উঠলো এক অজানা ভয়ে।
“আপা তাড়াতাড়ি যাও। তোমারে সবাই ডাকে।”সুহার চাপা গলার আওয়াজেও চমকে উঠলো। আরও বেশি ভয়ের আভাষ জড়িয়ে ধরল। কিন্তু এই সময় ভয় পেলে চলবে না। ঘর থেকে সবার কথার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে স্পষ্ট। স্নেহর অজানা অনুভুতি যেন আরও গাড় হল। সাথে এক রাশ লজ্জাও ঘিরে ফেললো। প্রাক্রিতিক নিয়মে মেয়েরা শরীরে বড় না হলেও মনে যে তাড়াতাড়ি বড় হয় সেটারি বোধ হয় বহিপ্রকাশ এই অচেনা অনুভুতি। ‘বিয়ে’ শব্দটা মেয়েদের মাঝে হঠাৎই একটা পরিপক্কতা এনে দেয়। যেটা অনেক সময় বয়সের ভারেও আসেনা। এখন আর ঘরে ঢোকার মতো সাহস পাচ্ছে না। নত দৃষ্টিতে দাড়িয়ে দুই হাতে ট্রে টা ধরে দাড়িয়ে আছে।
“আরে তুমি ওখানে কেন? ভিতরে আসো।”একটা ভারি গম্ভীর গলার আওয়াজে কেঁপে উঠলো সে। আওয়জের মালিকটাকে চোখ তুলে দেখার সাহস হল না। ভিতরে না গেলে এই মুহূর্তে সেটা চরম বেয়াদবি হবে। তাই সে ভিতরে ঢুকল। দৃষ্টি নামিয়েই রাখল। সবাই তার দিকেই দৃষ্টি স্থির রেখেছে। বেশ অস্বস্তি হচ্ছে। সামনে টেবিলটা চোখে পড়তেই ট্রেটা সেটার উপরে রেখে আবার আগের জায়গাতে এসে দাঁড়ালো।
যেই মানুষটাকে ভেবে এতদিন কাটিয়েছে তাকে সামনে থেকে দেখার প্রয়াসটা ভালভাবেই ঘিরে ফেলেছে তাকে। কিন্তু সেই মানুষটাকে চোখ তুলে দেখার সাহস তার নেই। সেই মানুষটা আদৌ তার দিকে তাকিয়ে আছে কিনা সেটাও বুঝতে পারছে না।
“ওইখানে দাড়ায়ে আছো কেন? আমার কাছে আসো।” মাজেদের কথা শুনে স্নেহ কিছুটা চমকে উঠলো। নাবিল এতক্ষন স্নেহকেই দেখছিল। তার অদ্ভুত আচরণ চোখ এড়ায় নি তাই বোঝার চেষ্টা করছিলো কারণটা। এখন জেরকম আচরণ করছে স্নেহ সে সেরকম মেয়ে কিন্তু না। তাহলে তার এরকম আড়ষ্ট হয়ে যাওয়ার কারন কি?
মাজেদের কথার মান রাখতে স্নেহ ধির পায়ে তার পাশে বসলো। মাজেদ স্নেহর মাথায় হাত দিয়ে বললেন “কেমন পড়াশুনা হইতেছে?”
“জি আলহামদুলিল্লাহ!” এক রাশ লজ্জা ভরা কণ্ঠ নিয়ে স্নেহ কথাটা বলল। তার মিইয়ে যাওয়া কণ্ঠের রেশ অভ্রর কানে পৌছাতেই সে স্নেহর দিকে ফিরে তাকাল। নত হওয়া মাথার ঘোমটার আড়ালে তেমন কিছুই দেখা না গেলেও আন্দাজ করা যাচ্ছে তার সৌন্দর্য। সেই দিকেই নিস্পলক তাকিয়ে থাকতে দেখে মাজেদ হাসল। আসলে আজ তার ছেলেকে নিয়ে আসার উদ্দেশ্যই তারা ঘরোয়া ভাবে আংটি পরিয়ে রাখতে চায়। বিয়েটা পরেই হোক তাতে সমস্যা নেই। আর তার ছেলের সেই স্থির দৃষ্টির মানে বুঝতে পেরে ঠোঁটের হাসি প্রশস্ত করে বলল “ঠিক আছে তুমি এখন যাও।”
কথাটা কানে আসতেই স্নেহ যেন শক্তি ফিরে পেলো। দ্রুত পায়ে চলে এলো ঘরে। হাফ ছেড়ে বার কয়েক জোরে জোরে শ্বাস নিলো। এতক্ষন প্রান পাখিটা যেন সারা ঘরময় উড়ে বেড়াচ্ছিল। এই মুহূর্তে নিজের মধ্যে ধরা দিলো।
——————
মসজিদের সেই শান বাঁধানো পুকুরের পাশেই একটা গাব গাছ। সেই গাছ নাকি অনেক পুরাতন। নুরুল মজুমদার সেই মোটা গাছের গুড়ির চারপাশে সিমেন্ট দিয়ে ঘিরে বসার জায়গা তৈরি করেছিলেন। অতিরিক্ত গরমে তিনি সেখানে বসে প্রশান্তির শীতল ছায়া উপভোগ করতেন। সেখানের হাওয়া যে শহরের নামিদামি এয়ারকন্ডিশনকেও হার মানাতে পারে তাতে সন্দেহ নেই। সেখানেই বসে শীতল হাওয়ায় গুন গুন করে পড়ছে স্নেহ। সুহা পাশেই একটা বরশি ফেলে চুপ চাপ অধির আগ্রহে বসে আছে কখন একটা মাছ উঠবে।
“এটা কি বরশি?” পিন পতন নিরবতায় আচমকাই এমন কথা শুনে দুই বোনই চমকে উঠে। তাদের এভাবে চমকান দেখে নাবিল একটু অপ্রস্তুত হয়ে যায়।
“যা বাবা! আমি কি ভুত নাকি যে এভাবে ভয় পাচ্ছ?” নাবিলের এমন কথায় স্নেহর কোন হেলদোল প্রকাশ পেলো না। সে আবার নিজের বইয়ের মাঝেই মুখ ডুবিয়ে দিলো। কিন্তু সুহা উত্তর দিলো ফিস ফিস করে। “এতো জোরে কথা বলা যাবেনা। মাছ পালায়ে যাবে তো!” নাবিল অনভিজ্ঞের ভঙ্গিতে মাথা নাড়িয়ে সুহার পাশে বসে পড়লো। ফিস ফিস করে দুজনে কথা চালিয়ে গেলো।
“কি দিয়ে মাছ ধরছ?”
“এটা দিয়ে” হাতে থাকা মাখান আটা দেখিয়ে বলল সুহা।
“এটা দিয়ে মাছ ধরে?” নাবিলের উত্তরে অভিজ্ঞর মতো মাথা নাড়াল সুহা।
“তুমি সাঁতার কাটতে পার?”
“হুম!” বলেই প্রশ্নবিধ্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল “আপনি পারেন না?”
নাবিল হতাশা নিয়ে না বোধক মাথা নাড়াল। সুহারো মন খারাপ হয়ে গেলো। এতো সুন্দর একটা মানুষ কত কিছু পারে অথচ সাঁতার কাটতে পারেনা। কি আজব দুনিয়া! নাবিল আড় চোখে স্নেহর দিকে তাকাল।
“তোমার হবু দুলাভাইকে কি তোমার ভালো লাগে? মানে তোমার আপুর সাথে বিয়ে হলে কি তুমি খুশি হবে?” সুহার উদ্দেশ্যে বলা নাবিলের এমন কথা কানে পৌছাতেই স্নেহ পড়া বন্ধ করে দিলো। একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। তার মানে এই মুহূর্তে বাড়িতে এটা নিয়েই আলোচনা চলছে। এই মানুষটার কান পর্যন্ত যাওয়া মানেই বিষয়টা বেশ গভীর। সুহা একটা নিশ্বাস ফেলে বলল “দেখাই হইছে কয়েকবার! একবারো কথা হয়নি। কেমন যে তাই জানিনা।”
নাবিল সামনে তাকিয়েই বলল “কেন ভয় পাও? কথা বল না কেন?” সুহা কোন কথা বলল না। একটু থেমে কিছু একটা ভেবে বলল “আপাই তো কোনদিন কথা কয়নি।” তার কথা শুনে নাবিল প্রথমে তার দিকে নিজের দৃষ্টি ফেরাল তারপর স্নেহর দিকে তাকাল। পুরো বিষয়টা তার সামনে আয়নার মতো খুলে গেলো। আজ পর্যন্ত যার সাথে কথাই হয়নি তার প্রতি কোন অনুভুতি তৈরি হওয়া অসম্ভব! স্নেহ একটু রাগী গলায় বলল “বকবক করিস না তো। পড়তেছি।”
স্নেহর এমন কথায় সুহা চুপসে গেলো। নাবিল ভালো করে স্নেহর দিকে তাকাল। বইয়ের দিকে দৃষ্টি থাকলেও এই মুহূর্তে সে যে গভীর ভাবনায় ডুবে আছে। স্নেহ যে নিজের ইচ্ছাতে বিয়ে করছেনা সেটা নাবিলের বুঝতে ওসুবিধা হল না। পরিবারের কথা ভেবে না বলাটা অন্যায় সেটা ভেবেই সে না বলছেনা। নাবিলের ঠোটের কোণে ক্ষীণ হাসি ফুটে উঠলো।
“ভাইয়া ফুপু তোমারে ডাকছে।” মুবিনের কথায় তার দিকে ঘুরে তাকায় নাবিল আর সুহা দুজনি। এবার সুহাকে উদ্দেশ্য করে বলে “তুইও আয়। তোরে মা ডাকে।” বলেই তারা তিনজন চলে গেলো বাড়ির ভেতরে। স্নেহ তাদের যাওয়ার দিকে একবার তাকিয়ে আবার নিজের পড়ায় মনোযোগ দিলো।
“স্নেহ!” আচমকাই কারও অপরিচিত গলার আওয়াজ পেয়ে স্নেহ চমকে ঘুরে তাকায়। অভ্র হাসি মুখে তার দিকে তাকিয়ে আছে। স্নেহ একটা শুকনো ঢোক গিলে তাড়াতাড়ি নিজের ওড়নাটা মাথায় লম্বা করে টেনে দেয়। অভ্র স্নেহর পাশে বসে। খুব ঠাণ্ডা গলায় বলে “কেমন আছো স্নেহ?” স্নেহ কোন কথা না বলে মাথা নাড়িয়ে ইশারা করে।
“তোমার সাথে একটু কথা ছিল।” অভ্রের কথার উত্তরে স্নেহ ছোট্ট করে বলে “বলেন!”
“আসলে আমি বলতে চাচ্ছিলাম যে তোমার সাথে তো সেভাবে কথা হয়নি। আর আমি জানিনা যে তুমি এই বিয়েতে রাজি কিনা। তাই সম্পর্ক এগিয়ে যাওয়ার আগে আমি তোমার কাছে জেনেই তবে সিদ্ধান্ত নিতে চাই।”
স্নেহ একটা শুকনো ঢোক গিলে নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে বলল “বাবা যা বলবে তাই।” অভ্র স্নেহর কথা শুনে তার দিকে একবার তাকিয়ে নিজের হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বলল “তোমার জন্য একটা গিফট এনেছিলাম। হাতটা দিবে?” অভ্রের হাতের দিকে একবার তাকিয়ে স্নেহ কাপতে কাপতে নিজের হাত এগিয়ে দিলো।
“স্নেহময়ি!” অভ্র স্নেহর হাত স্পর্শ করার আগেই নাবিলের ডাকে দুজনি একটু অপ্রস্তুত হয়ে ঘুরে তাকায়। কিন্তু পরিচিত কণ্ঠের ডাকে স্নেহ নিজের মনের মধ্যে এক অনাবিল শান্তি অনুভব করলো। এতক্ষন যে ভয়টা পাচ্ছিলো সেটা দূর হয়ে মুখে হাসি ফুটে উঠলো। নাবিল একটু ভ্রু কুচকে বলে “আরে মিস্টার অভ্র! আপনি এখানে কি করছেন? আপনার জন্য সবাই ভিতরে অপেক্ষা করছে।“
নাবিলের কথা শুনে অভ্র একটু লজ্জা পেলো। ম্লান হেসে বলল “যাচ্ছি।” বলেই উঠে চলে গেলো।
স্নেহ মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। সে এই ঘটনায় অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছে। নাবিল ধির পায়ে তার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। স্নেহর হাতটা তুলে তার সামনে ধরে বলল “আমি যে জিনিস একবার স্পর্শ করি সেটা অন্য কেউ করুক আমি পছন্দ করিনা। মাথায় রেখো।”
চলবে………।