এক বসন্ত প্রেম পর্ব-০১

0
3119

🧡 #এক_বসন্ত_প্রেম 🧡
লেখক- এ রহমান
সূচনা পর্ব

“আপা তাড়াতাড়ি কর। কেউ এসে পড়বে।” তীব্র শীতের স্পর্শে ঠক ঠক করে কাপতে কাপতে কথাটা বলল সুহা তার বড় বোন স্নেহ কে।

স্নেহ সেই সময় জলপাই গাছ বেয়ে অনেকটাই উঠে গেছে। সুহার কথা শুনে মাথা বাকিয়ে নিচে তাকাল। চার পাশে ভালো করে দেখে নিয়ে বলল “তুই এতো ভয় পাশ কেন সুহা? সবে মাত্র সকালের আলো ফুটেছে। এখন এই পাশটায় কেউ আসেনা।”

কথা শেষ করে মাথা ফিরিয়ে বাকি পথটা উঠতে ব্যস্ত হয়ে গেলো। গাছে উঠার জন্য শারীরিক পরিশ্রম হচ্ছে স্নেহর। তাই তার তেমন ঠাণ্ডা লাগছেনা। একটা পাতলা সোয়েটার গায়ে দিয়ে আছে সে। তার চাদরটা সুহার হাতে। কিন্তু সুহা গায়ে একটা সোয়েটার আবার তার উপরে চাদর জড়িয়েও কাঁপছে। বেশ ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। এখনো সূর্যের দেখা মেলেনি। চারিদিকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঘেরা। মাঘের মাঝামাঝি সময়ে শীতটা বেশ জাঁকিয়ে বসে। আজ আদৌ সূর্যের দেখা মিলবে কিনা তা নিয়ে বেশ সন্দেহ আছে। নিজের এক হাত আরেক হাতে ঘোষতে ঘোষতে চারিদিকে দেখছে সুহা। দেখছে বললে ভুল হবে আসলে পাহারা দিচ্ছে। জলপাই গাছটা পুকুর পাড়ের কাছে। এই সময় এই পাশটায় খুব একটা কেউ আসেনা। তাই তো স্নেহ এতো নিশ্চিন্তে উঠছে। কিন্তু সুহা কিছুতেই নিশ্চিন্ত হতে পারছেনা। স্নেহর এসবের কারনে অনেক বার মায়ের হাতে মার খেয়েছে। সুহা এই গাল, মার এগুলকে ছোট বেলা থেকেই ভয় পায়। কিন্তু স্নেহর এসবে তেমন কিছুই যায় আসেনা। দাঁত কামড়ে মার সহ্য করে। মাঝে মাঝে সুহার মনে হয় আল্লাহ স্নেহকে লোহা দিয়ে বানিয়েছে। মনটাও তেমনই শক্ত। সুহার মতো এতো আবেগি নয়। প্রচুর মার খেয়েও মুহূর্তেই হাসার মতো ক্ষমতা রাখে স্নেহ। এই ক্ষমতাটা সুহা আয়ত্ত করার চেষ্টা করেও পারেনি। একটু কড়া ধাচের কয়েকটা কথাই সুহাকে কাদাতে যথেষ্ট।

“আমি নিচে ফেলছি। তুই চাদরটা মেলে ধর।” মগ ডাল থেকে চেচিয়ে বলল স্নেহ। সুহা চার পাশে ভালো করে দেখে নিলো। তারপর একটু এগিয়ে গিয়ে স্নেহ যে ডালে বসে আছে ঠিক সেটার নিচে চাদরটা মেলে ধরল। স্নেহ একটা একটা করে জলপাই নিচে ফেলে দিলো। অনেক গুলো জলপাই নিমেষেই জমা হয়ে গেলো চাদরে।

“শেষ।” কথাটা কানে আসতেই সুহা চাদরটা ভাঁজ করে নিলো। গাছের নিচ থেকে সরে এসে দাড়ালো। স্নেহ ততক্ষনে অর্ধেকটা নেমে এসেছে। এই কাজটায় সে একদম পটু। একজন পুরুষ মানুষকে হার মানাতে পারবে খুব সহজে। কিন্তু তার এই প্রতিভা নিছক বেয়াড়াপনা ছাড়া আর কিছুই না। একজন মেয়ে মানুষ হয়ে এভাবে গাছে উঠা কেউ ভালো চোখে দেখেনা। আর সেটা যদি হয়ে থাকে এই বয়সে তাহলে তো পাপের সমতুল্য। কারন স্কুলের ছোঁয়া পেলেই গ্রামে মেয়েদের বিয়ে দেয়া হয়। সেখানে উচ্চ মাধ্যমিকের দার প্রান্তে এসে এভাবে ঘুরে বেড়ানো তার জন্য পাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।

“আপা রহিম চাচা আসছে।” সুহা ভিত কণ্ঠে বলতেই স্নেহ তার হাত টেনে পাশের ঝোপে লুকিয়ে পড়লো। কারন এই লোকটা একটু অন্য রকম। নিজের কাজ বাদ দিয়ে মানুষের বিষয়ে নাক গলাতেই বেশি পছন্দ করে। তাদেরকে দেখলে এখনি বাড়িতে জানিয়ে দিবে। আর বাড়িতে জানালে তাদের রক্ষা নেই।

রহিম চাচা চলে যেতেই দুই বোন ঝোপের আড়াল থেকে বের হয়ে এলো। “এখন কি করবে আপা?” স্নেহ সুহার হাতে মোড়ান চাদরের দিকে একবার দেখে নিয়ে তার হাত টেনে সামনে যেতে যেতে বলল “বাসায় রেখে দিবো। মাঝে মাঝে বের করে লবন মাখিয়ে খাবো।”

“যদি মা দেখে ফেলে!” সুহার অমন কথায় তার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে স্নেহ। সুহা ভয় পেয়ে চাদরটা আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। “সব সময় এমন কথা কস কেন রে?” গম্ভীর গলায় ধমক দিলো স্নেহ। তার মাথায় সব সময় এমন চিন্তা আসলে সেটাতে তার কি দোষ? বেশ বিরক্ত হল। কিছু নাবলে স্নেহর পিছু পিছু চলতে লাগলো।

————————
কুয়াশা কেটে গিয়ে এখন ঝলমলে রোদ উঠেছে। কিন্তু এই সময় রোদের তেমন তেজ থাকেনা। বরং একটা মিষ্টি ভাব থাকে যা শরীরে আরাম দেয়। সেই রোদে বসেই লতা তরকারি কাটছে। সুহা বারান্দা থেকে একটা টুল এনে মায়ের পাশে বসলো। এক দৃষ্টিতে মায়ের হাতের দিকে তাকিয়ে বলল “আমি কেটে দিবো মা?” লতা চোখ তুলে মেয়ের দিকে তাকাল। দুই মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়েটি বেশ শান্ত আর লক্ষি। খুব নরম সূরে কথা বলে। মিষ্টি গলার আওয়াজ। শুনতে বেশ লাগে। সূর্যের আলোতে চাপা গায়ের রঙটা ঝলমলিয়ে উঠছে। চোখ নামিয়ে কাজে মনোযোগ দিয়ে লতা বলল “আমারে না। পারলে তোর মিনা চাচিরে সাহায্য কর। তার শরীরটা আজ ভালো নাই। মনে হয় জর। মুখ ফুটে তো কাউরে বলবে না।”

লতার কথা শুনে সুহা আর দেরি করলো না। উঠে তার চাচির কাছে গেলো। “চাচি! চাচি!” বলতে বলতে ঘরে ঢুকল। মিনা এতক্ষন বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে ছিল। সুহার ডাকে উঠে বসে। “আয়।” হাতের ইশারায় পাশে বসতে বলল। সুহা বসতে বসতে বলল “তোমার নাকি জর?”

মিনা একটু অবাক চোখে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো। চোখ ছোট ছোট করে জিজ্ঞেস করলো “তোরে কে বলল?”

“মা বলল।” সুহার কথা শুনে মিনার ঠোঁটে চাপা হাসি ফুটে উঠলো। লতা এই বাড়ির বড় বউ হিসেবে একদম নিখুঁত। সবার খোঁজ খবর রাখে। কারও কোন কিছুই তার চোখ এড়ায় না। শরীরটা ভালো লাগছিলনা বলে সে সকাল থেকেই ঘরে। ফজরের নামাজ পড়ে শুয়ে ছিল। তখন একটু ঘুমিয়েছিল। আর সেই ফাকেই বুঝি লতা এসে দেখে গেছে।

“তুমি ঔষধ খাইছ চাচি?” কপালে হাত দিয়ে বলল সুহা। মিনার কপাল বেশ গরম। “ওমা! চাচি তোমার তো অনেক জর।” ঠোঁট জোড়া কিঞ্চিত ফাকা করে বলল সুহা।

“আরে তেমন কিছু না। ঠিক হয়ে যাবে।” মিনা হাসি মুখে সুহার হাত সরিয়ে দিতে দিতে বলল। কিন্তু সুহা এমন কথা শোনার পাত্রি না। এক দৌড়ে চলে গেলো ঘরে। টেবিলের উপরে তার বাবার ঔষধের বাক্স রাখা আছে। সেটাতে হাতড়াতে লাগলো। স্নেহ বিছানায় হেলানি দিয়ে বই পড়ছিল। তার হাতড়ানো দেখে মাথা তুলে বলল “কি খুজিস অমন করে?”। সুহা ব্যস্ত ভঙ্গিতে বলল “মিনা চাচির জর। ঔষধ খায়নি এখনো। তাই খুজতেছি।”

ঔষধ হাতের নাগালে পেতেই বাক্সটা বন্ধ করে আগের জায়গায় রেখে আবার দৌড় দিলো। “থাম সুহা! খালি পেটে খাওয়ান যাবেনা। কিছু খাইছে কিনা দেখ।” স্নেহ জোরে আওয়াজ করে বলল। কিন্তু সুহা ততক্ষনে দৌড়ে চলে গেছে। সুহার কানে গেলো কিনা সেটা নিশ্চিত না হতে পেরে সেও এক দৌড় দিলো।

এক দৌড়ে এসে দেখে সুহা ঔষধ হাতে পানি এগিয়ে দিচ্ছে। স্নেহ হাপাতে হাপাতে বলল “কিছু খাইছ চাচি? খালি পেটে কিন্তু খাওয়া যাবেনা।” মিনা ঔষধ হাতে নিয়ে বলল “চিড়া খাইছি।” বলেই পানি দিয়ে ঔষধটা গিলে ফেললো।

এইদিকে দুই মেয়ের দৌড়ানি দেখে লতাও উঠানে সব ফেলে ঘরের দিকে দৌড় দিলো। “কি হইছে রে মিনা?” বিচলিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো। মিনা এক হাত কপালে রেখে বলল “হায় আল্লাহ! সামান্য জ্বরেই এই অবস্থা। আমি মরলে জানি কি হয়।”

“তোরে কইছি না এসব আজে বাজে কথা কবিনা!” লতার ধমকে মিনা চুপ হয়ে যায়। পিটপিট করে তাকিয়ে বলে “ঔষধ খাইছি। একটু পরেই ঠিক হয়ে যাবে। তুমি চিন্তা করোনা বুবু।”

“তুই একটু ঘুমা। ঘর থেকে বের হস্ না।” লতার আদেশের ভারে মিনা আর কোন কথা বলল না। কথা বলেও যে লাভ হবে তাও না। লতার রাগ খুব সাংঘাতিক। তার কথার অমান্য হলে সেই রাগ হজম করার সাধ্য খুব কম জনেরি আছে।

————
দুপুরের খাবার শেষে বিছানায় শুয়ে আছে স্নেহ আর সুহা। স্নেহ বই পড়ছে। স্বভাবটা ডান পিটে হলেও পড়ালেখায় বেশ ভালো সে। খুব তাড়াতাড়ি পড়া আয়ত্ত করতে পারে। বই পড়ার ধৈরযটাও বেশ। সুহার তেমন বই পড়ার ধৈর্য নেই তবে সেও খারাপ না। স্কুলে কলেজে তাদের দুই বোনের বেশ নাম ডাক। দুপুরে খাবার পর সুহার একটু ঘুমিয়ে না নিলে হয়না। এটা বহুদিনের অভ্যাস। ১০ মিনিট হলেও একটু চোখ বন্ধ করতে হবে তার। সুহার ঘুমান দেখে স্নেহও বেশ কয়েকবার হাই তুলে বুকের উপরে বই রেখে চোখ বন্ধ করে নিলো। লতা কাথা সেলাইয়ের জন্য সুতা নিতে ঘরে এসে দেখে মেয়ে দুইটা ঘুমিয়ে পড়েছে। একটু দাড়িয়ে দুজন কেই দেখে নিলো। বড় মেয়েটা তার মতো ফর্সা রঙের। ছোটটার রঙ বাবার মতো চাপা। কিন্তু দেখতে খারাপ লাগেনা। সেটারও এক ধরনের সৌন্দর্য আছে। চোখ ধাধিয়ে যায়। স্নেহ পড়ালেখা নিয়েই ব্যস্ত থাকে। সব সময় হাতে বই তার। কিন্তু সুহা পড়ার পাশাপাশি ঘরের কাজেও পটু। মায়ের মতো সেলাইটা বেশ রপ্ত করে নিয়েছে। দুপুরের রোদটা স্নেহর গায়ে পড়তেই লতা এগিয়ে গিয়ে জানালার পর্দা ফেলে দিলো। সুতা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলো।

মেঝেতে মাদুর পেতে বড় কাথা সেখানে বিছিয়ে দিলো। নিজে বসে পায়ের উপরে কাথা নিয়ে এক মনে সুই চালাতে লাগলো সেটার ভাঁজে ভাঁজে। স্নেহর বাবা সাদেক বাইরে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিলেন। গ্রামের মোড়ে তার বড় দোকান আছে। পাশেই ছোট ভাইয়ের একটা দোকান। আসলে মোড়ের এক পাশের সব দোকান তাদের। সেখান থেকেই দুই ভাই দুইটা দোকান নিজেদের জন্য রেখে বাকি গুলো ভাড়া দেয়।

সাদেকের বাবা গ্রামের সম্পদ শালীদের মধ্যে একজন ছিলেন। তার দুই ছেলে দুই মেয়ে। সবাইকে তিনি শিক্ষিত করেছেন। মেয়েদের শহরে ভালো জায়গায় বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেরা মোটামুটি পড়ালেখা করে এসে তাদের জমিজমা সামলায়। সাথে ব্যবসা করে। তাদের গ্রামটা বেশ উন্নত। শহরের হালকা ছোঁয়া আছে। এই গ্রাম থেকেই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে অনেকেই। তাই তো তাদের বাড়ির ছেলে মেয়েরা পড়াশুনা করার যথেষ্ট সুযোগ পায়।

“আসার সময় বাজার করে আনিও।” লতা সেলাই করতে করতে বলল। “আচ্ছা।” ছোট করে উত্তর দিলো সাদেক। মাথা চিরুনি করে বের হয়ে গেলো। সাদেকের বের হওয়া দেখে মিনা ঘরে এসে ঢুকল। লতার সেলাই করা দেখে কোন কথা না বলে বসে পড়লো তার পাশে। লতা একবার চোখ তুলে মিনাকে দেখল। মিনা একটা সুইয়ে সুতা ভরিয়ে এক পাশের কাথা তার পায়ের উপরে নিয়ে লতার সাথে তাল মিলিয়ে কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে সুই চালাতে লাগলো।

“জর কমছে?” লতার গম্ভীর প্রশ্ন শুনে মিনা তার দিকে তাকাল। সে সুইয়ের দিকে চোখ রেখেই প্রশ্ন করেছে। “কমছে।” ছোট করে উত্তর দিলো। লতা আবার গম্ভীর সরে জিজ্ঞেস করলো “মুবিন আসেনা কেন? পড়ালেখা কি বাদ দিছে নাকি?”

“কাল আসতে কইছি।” মিনা ব্যস্ত ভাবেই উত্তর দেয়। মুবিন মিনার এক মাত্র ছেলে। কয়েকদিনের জন্য নানা বাড়ি বেড়াতে গেছে। বেশ কয়দিন হয়ে গেলো সেখানে থেকে গেছে। বাড়িতে তিন ছেলে মেয়ে। লতা আসলে তিন ছেলে মেয়ের পড়াশুনা নিয়ে খুব সচেতন। কেউ অবশ্য পড়ালেখায় গাফিলতি করেনা। কিন্তু করলেও লতার হাত থেকে রক্ষা নেই। সে কাউকে ছাড় দেয়না। লতাকে সবাই খুব ভয় পায়।

স্নেহর ঘুম ভেঙ্গে গেছে। এই মুহূর্তে কয়টা জলপাই খেতে পারলে মন্দ হতোনা। সে ঘর থেকে বের হয়ে ভালো করে দেখে নিলো কে কোথায়। তার মা চাচি ঘরে কাথা সেলাই করেছে আর গল্প করছে। তাই পা টিপে টিপে রান্না ঘরে গেলো। একটা বাটিতে লবন নিয়ে ঘরে চলে এলো। বালিশের নিচে লুকিয়ে রাখা জলপাই বের করে লবন মাখিয়ে খেতে শুরু করলো। তার নড়াচড়াতে সুহার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। ঘুম ঘুম চোখে তাকাল সে। জলপাই দেখে এক ঝটকায় উঠে বসলো। তার এভাবে বসা দেখে স্নেহ চমকে উঠে বলল “স্বপ্ন দেখছিস নাকি?”

সুহা ভ্রু কুচকে বলল “মা জানতে পারলে খারাপ হবে আপা!”। স্নেহ অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে হালকা হাতে সুহাকে মেরে বলল “সব সময় এমন অলুক্ষনে কথা না বললে ভাত হজম হয়না না? মা না দেখলেও তুই জোর করে দেখাইতে চাস।”

স্নেহর এমন ধমক শুনে সুহা চুপসে গেলো। আর কোন কথা বলল না। কিন্তু এই মুহূর্তে স্নেহর এমন সাহস দেখানোটাও তার ঠিক ভালো মনে হল না। লতা দেখলে বুঝে যাবে যে তারা গাছে উঠে জলপাই পেড়েছে। আর এই কথা জানলে সে লাঠি দিয়ে পিটাবে। তাতে স্নেহর কোন সমস্যা না থাকলেও সুহার অনেক সমস্যা। কারন সে এই মার খুব ভয় পায়। গভীর চিন্তায় ডুবে গেলো সে। বার বার ঘরের দরজার দিকে উকি ঝুকি মারতে লাগলো। তার এমন আচরণ দেখে স্নেহ বিরক্ত হয়ে জলপাই গুলো আবার লুকিয়ে রাখল।

“নে রাখছি। এখন আর ভয় নাই।” চোখ মুখ কুচকে বলল। সুহা মনে মনে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো। ঠোটের কোণে চাপা হাসি নিয়ে উঠে গেলো বাইরে। কিন্তু বাইরে যেতেই দেখল লতা অগ্নি মূর্তি ধারন করে দাড়িয়ে আছে। লতাকে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে সুহা ভয়ে ঘামতে লাগলো।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে