এক পূর্ণিমা সন্ধ্যায় পর্ব-০৯

0
859

#এক_পূর্ণিমা_সন্ধ্যায়
#পর্ব_৯
#নিশাত_জাহান_নিশি

“কি হলো ঐথি? আমাকে এত ভয় পাওয়ার কি আছে? মানে, তোমার কি কোনো ভাবে মনে হয়? আমি মৃদুল কিংবা হায়দার সাহেবের লোক?”

ঐথি হকচকিয়ে উঠল। লাগাতার শুকনো ঢোক গিলতে আরম্ভ করল! অজানা, অদৃশ্য ভয়ে সে যেন এক প্রকার সিঁটিয়ে আছে। চক্ষু জোড়ায় ভয়, আচ্ছন্নতা এবং উৎকন্ঠার ছাপ প্রগাঢ় ভাবে ফুটে উঠেছে। ঐথির এহেন অহেতুক ভয়কে দমন করার জন্য উপায় বুদ্ধি না পেয়ে অনল ঐথিকে তার সুঠাম বাহুডোরে শক্ত বন্ধনীতে আবদ্ধ করে নিলো। আকস্মিকতায় ঐথি খানিক নড়েচড়ে উঠতেই অনল ম্লান হেসে ঐথির বিস্মিত চক্ষু জোড়ায় শান্ত দৃষ্টি স্থাপন করে বলল,,

“এত ভয় কিসের হুম? আমি পাশে আছি, এরপরেও এত ভয়?”

চক্ষু জোড়ায় অঢেল উদগ্রীবতা নিয়ে ঐথি সন্দিহান গলায় বলল,,

“লোকটি কি তোমার পরিচিত কেউ?”

“হুম। আমার দুঃসম্পর্কের জেঠাতো ভাই। পেশায় একজন গোয়েন্দা পুলিশ। আমাদের সাহায্য করার জন্যই মূলত ভাইয়ার এইখানে আসা।”

“বিশ্বস্ত তো? মানে, ভরসা করা যায় তো?”

“চোখ বুজেই ভরসা করা যায়। ভিকটিম হিসেবে তোমার যা যা স্টেটমেন্ট দেওয়া প্রয়োজন, তা তুমি নির্ভয়ে এবং নির্দ্বিধায় ভাইয়ার কাছে তুলে ধরতে পার।”

অনলের ভরসা যোগ্য অভয় পেয়ে ঐথির ভয়াতুর ভাবভঙ্গি যেন কিছুটা হলেও উপসম হলো। সারল্য দৃষ্টিতে ঐথি মিস্টার শিমুল হকের দূরদৃষ্টিতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করল। মিস্টার শিমুল হক ম্লান হেসে ঐথির দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বলল,,

“তো? ভয় কেটেছে এবার?”

ঐথি জোরপূর্বক হাসি টেনে নিম্ন গলায় বলল,,

“হুম।”

“এবার নিশ্চয়ই তুমি খুব ফ্রি লি তোমার সাথে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনা এক এক আমায় বিশ্লেষণ করতে পারবে? মানে, মনে ভয় বা কোনো ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা চালাবে না?”

মলিন হেসে ঐথি মাথা নাড়িয়ে না বুঝাল। মিস্টার শিমুল হক মৃদু হেসে জিজ্ঞাসু গলায় বলল,,

“তো বলো? দীর্ঘ ২/৩ বছর ধরে তোমার সাথে এবং তোমার বোনের সাথে ঠিক কি কি ঘটে আসছে?”

ঐথি দম নিয়ে এক এক করে সমস্ত ঘটনা খুলে বলল মিস্টার শিমুল হককে। সম্পূর্ণ ঘটনা মনযোগ সহকারে শোনার পর মিস্টার শিমুল হক মিনিট কয়েক মৌণ রইলেন। আচম্বিতে মৌনতা ভেঙ্গে তিনি গম্ভীর এবং ভাবুক ভঙ্গিতে বিড়বিড় গলায় বললেন,,

“কোনো অমিল পেলাম না। অনলের বলা প্রতিটি স্টেটমেন্টের সাথে ঐথির ও প্রতিটি স্টেটমেন্ট খুব সূক্ষ্মভাবে মিলে গেল! মানে তারা দুজনই সত্যি বলছে। সন্দেহ করার কোনো সুযোগই নেই।”

গলা খাঁকিয়ে উঠলেন মিস্টার শিমুল হক। ঐথি এবং অনলের দিকে তৎপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললেন,,

“তোমাদের বলা প্রতিটি স্টেটমেন্ট কাগজে, কলমে লিখে দিতে পারবে? পরবর্তীতে যেন নিজেদের স্টেটমেন্ট বদলাতে না পারো সেই জন্যে!”

ঐথি সচকিত দৃষ্টিতে অনলের দিকে তাকাল! অনল তাড়াহুড়ো করে ঐথির থেকে অস্থির দৃষ্টি সরিয়ে শুকনো গলায় মিস্টার শিমুল হককে বলল,,

“কেন নয় স্যার? অবশ্যই পারি!”

মিস্টার শিমুল হক উনার জেব থেকে একটি সাদা কাগজ এবং একটি কলম বের করলেন। অনলের দিকে কাগজ এবং কলমটি এগিয়ে দিয়ে বললেন,,

“দুজনের বয়ানই উল্লেখ থাকতে হবে এই কাগজটিতে। সুবিন্যস্তভাবে এবং সুস্পষ্টভাবে।”

অনল এবং ঐথি দুজনই হ্যাঁ সূচক সম্মিত জানাল। কাগজটি হাতে নিয়ে অনল প্রথমে ঐথির দিকে এগিয়ে দিল। ঐথির স্টেটমেন্ট কাগজটিতে লিপিবদ্ধকরণের পরেই অনল তার স্টেটমেন্ট কাগজটিতে লিপিবদ্ধ করবে। প্রায় পনেরো থেকে বিশ মিনিটের মধ্যেই দুজন তাদের স্টেটমেন্ট কাগজটিতে সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরে কাগজটি মিস্টার শিমুল হকের হাতে তুলে দিল। শিমুল হক উনার তীক্ষ্ণ, অভিজ্ঞ এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন দৃষ্টিতে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত পুরোটা কাগজ পর্যবেক্ষণ করে কাগজটি পকেটে ঢুকিয়ে নিলেন। শিথিল হয়ে আসা হাত দু’খানা ঘঁষে তিনি ঐথির দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বললেন,,

“পারবে? এক্ষণি আমার সাথে ঐ বাড়ি যেতে? মানে, তোমার বোনের কাছে যেতে?”

ঐথি আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে অর্নগল গলায় বলল,,

“পারব স্যার। অবশ্যই পারব।”

পরক্ষণে কিছু একটা স্মরণে আসতেই ঐথি হঠাৎ নিরস গলায় বলল,,

“কিন্তু স্যার, বাবা-মা ও তো ঐ বাড়িতে থাকবেন। তাদের উপেক্ষা করে আমরা কিভাবে মুনার সাথে দেখা করতে যাব?”

অট্ট হেসে উঠলেন মিস্টার শিমুল হক! ঠোঁটের কোণে একই হাসির রেখা বজায় রেখে তিনি অস্পষ্ট গলায় বললেন,,

“সিলি গার্ল!”

ঐথি খানিক লজ্জিত হলো। মাথা নুঁইয়ে নিতে বাধ্য হলো। হাসি থামিয়ে মিস্টার শিমুল হক তৎপর গলায় ঐথির উদ্দেশ্যে বললেন,,

“আমরা তো তোমার পরিবারের সাথেই দেখা করতে যাব ঐথি! মূল ভিকটিম মানে ‘মুনাকে’ জিপে তুলতে যাব। তার স্টেটমেন্ট নিব। তার স্টেটমেন্টের ভিত্তিতেই আমরা মৃদুল এবং তার বাবার নামে থানায় মামলা করব। সেই মামলা কোর্টে উঠবে। তারপরই তো কেইস জমবে। সমস্ত প্রমাণ যখন মৃদুল এবং তার বাবার বিরুদ্ধে থাকবে তখনই তো তুমি এবং তোমরা ন্যায় পাবে। ইউ নো হোয়াট? নারী নির্যাতনের মামলা কতটা জঘন্যতম হয়? এই মামলা থেকে দেশের এমপি, মন্ত্রীরাও রেহাই পায় না! তোমাদের সাহস আছে বিধায় তোমরা এত এত বছর পর নিপীড়িত, নিষ্পেষিত মানুষদের পক্ষপাত হয়ে দাঁড়িয়েছ। মৃদুল এবং তার বাবার বিরুদ্ধে হাজারটা অভিযোগ ঝুলে আছে পুলিশদের ডেস্কে সাজানো প্রতিটি ধূলোবালি মিশ্রিত ফাইলে। শুধু মাত্র মুখ্যম প্রমানের অভাবে তারা দু’জনই আইনের হাত থেকে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এইবার আর তাদের রেহাই মিলবে না। উপর মহলের হাজারটা কড়া হুমকি উপেক্ষা করে হলেও আমি এই কেইসটির সঙ্গ দিব! তাদের বিরুদ্ধে প্রতিটি প্রমান একত্রিত করব!”

দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে মিস্টার শিমুল হক বসা থেকে উঠে দাঁড়ালেন। গুরুগম্ভীর গলায় উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন,,

“তোমরা সবাই এখন আমার সাথে যাবে। আমাদের সবার এখন একটাই লক্ষ্য, মুনাকে সেইফ করা এবং ঐথি, অনলের সাথে হওয়া অন্যায়ের প্রতিরোধ করা!”

মিস্টার শিমুল হোক হনহনিয়ে কামরা থেকে প্রস্থান নিলেন। মাথা নুঁইয়ে নিয়াজ, আহির এবং রুহাজ ও মিস্টার শিমুল হককে অনুসরন করল। ঐথি এবং অনল চোখ তুলে দুজন দুজনের দিকে তাকাল। কিঞ্চিৎ মুহূর্ত দুজন শান্ত দৃষ্টিতে দুজনের দিকে তাকিয়ে আচম্বিতেই হু হা শব্দে হেসে উঠল! এই হাসি যেন থামবার নয়! খুবই প্রতিক্ষিত আনন্দের এই হাসি! দম ফাঁটা হাসি খানিক থামিয়ে অনল রহস্যময়ী দৃষ্টিতে নিম্ন গলায় বলল,,

“খেলা একদম জমে গেছে ঐথি!”

দম ফাঁটা হাসি থামাল ঐথি! গলায় হঠাৎ বেদনার সুর মিশিয়ে বলল,,

“পতন চাই আমি আমার বাবার! সাথে আমার ঐ সো কল্ড মায়েরও! আরও পতন চাই ঐ নিকৃষ্ট হাওলাদারের, এবং তার ঐ বিগড়ে যাওয়া সন্তান মৃদুলেরও!”

নিষ্ক্রিয় দৃষ্টিতে অনল ঐথির আহত দৃষ্টিতে তাকাল। বিষাদের ছাপ মুখমন্ডলে ফুটিয়ে অনল ঐথির দু’বাহুতে হাত রেখে বলল,,

“ডোন্ট বি আপসেট ঐথি। সমস্ত অন্যায়ের ন্যায় তুমি এক এক করে পাবে। পাবে মানে পাবেই। এই অনল যতক্ষণ তোমার পাশে আছে, তোমার হাত ধরে আছে, ততক্ষণ অবধি তোমার সাথে করা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অন্যায়ের প্রতিটি শাস্তি লোকজন পাবে! কেউ সেই শাস্তি থেকে পার পেয়ে যাবে না। হোক সেই ব্যক্তি খুব নামী দামী লোক, অঢেল প্রতিপত্তি ওয়ালা বা বিশাল বড় রাজনীতিবিদ। অনলের করা ছক থেকে তারা কিছুতেই রক্ষা পাবে না।”

মৃদু হেসে উঠল ঐথি। ইতোমধ্যেই ঐথির সরলরৈখিক দৃষ্টি পড়ল খোলা জানালার দিকে। শীতের আকাশে উদয়মান পূণিমা চাঁদের শুভ্র আলোক রশ্মিটি যেন হাঁটু গলিয়ে নির্দ্বিধায় কামরায় প্রবেশ করছে। উপচে পড়া সেই আলো! গোলাকৃতির চাঁদটি যেন কুয়াশার ঘন নিবিড় আস্তরন ভেদ করে ধরণীকে অফুরন্ত আলোয় আলোকিত করে রাখছে। কুয়াশার গাঢ় উপস্থিতিতে মনে হচ্ছে যেন চাঁদের উপর মেঘ উড়ছে! কুয়াশার প্রলেপ যেন উত্তপ্ত চাঁদকে হিম শীতল চাঁদে পরিণত করছে। যতদূর চোখ যাচ্ছে শুধু দিনের আলোর মতো ফকফকে আলোতে আশপাশটা খালি চোখে পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে। প্রকৃতির এই সুন্দরতম মুহূর্ত প্রদর্শণ করা মাত্রই ঐথি হাসি মুখেও গলায় ব্যথার রাগিণী ফুটিয়ে বলল,,

“মনে আছে অনল? সেই পূর্ণিমা সন্ধ্যার কথা? এমনই এক পূর্ণিমা সন্ধ্যায় আমি আমার ‘মা’ কে হারিয়েছিলাম! দীর্ঘ আঠারো বছর পর আরও এক পূর্ণিমা সন্ধ্যায় আমি তোমায় খুঁজে পেয়েছিলাম! তোমার দু’চোখে প্রথমবার আমার জন্য অদ্ভুত এক প্রেমানুভূতি দেখেছিলাম! এরপর থেকে প্রতিটি পূর্ণিমা সন্ধ্যাই আমার জন্য স্পেশাল। মায়ের পরে আমার জীবনে শুধুমাত্র তোমারই অবস্থান। পার্থক্য শুধু এতেই, ‘মায়ের মৃত্যুর পূর্ণিমাতে আমি দু’চোখে ঘোর অমাবস্যা দেখেছিলাম! আর তোমার আগমনের সেই পূর্ণিমাতে আমি সত্যিকার অর্থে পূণিমার আলো খুঁজে পেয়েছিলাম!”

ঐথির হাত জোড়া মুঠো ভর্তি করে অনল সেই হাত জোড়া কপালে ঠেকিয়ে বলল,,

“অনল কথা দিচ্ছে ঐথি। অনলের জীবদ্দশায়, ঐথির জীবনে আর কখনও কোনো অমবস্যা নেমে আসবে না! প্রতিটি পূর্ণিমাই তার কাছে পূর্ণিমার আলোর মতো সুমিষ্ট হয়ে থাকবে, অমবস্যার ছিটেফোঁটা ও লাগবে না এতে।”

ঐথি হঠাৎ উদ্বিগ্ন গলায় বলল,,

“তুমি যে এক ভয়ঙ্কর খেলায় নেমেছ অনল! তোমার কি মনে হয় বলো তো? সেই ভয়ঙ্কর খেলায় আমরা আদৌতে পেরে উঠতে পারব?”

হেয় হাসিতে মেতে উঠল অনল। ঐথির হাত দু’খানা ছেড়ে মন্থর গলায় বলল,,

“মৃদুলের চাল আমি মৃদুলের দিকেই ফিরিয়ে দিব ঐথি! তুমি শুধু আমার প্ল্যান মাফিক চলতে থাক। দু’দিন পরেই মুখ্যম চালটা চালবে৷ ভিডিও তো তৈরিই আছে! প্রমাণের খাতিরে দরকার প্রয়োজনে ভিডিও শো করব! সব প্রমাণ আমাদের পক্ষেই ঐথি। তোমার বাবা-মা, মৃদুল এবং হাওলাদারের সর্বোচ্চ শাস্তি ঘোষণার পরই আমরা কানাডায় উড়াল দিব! কানাডাই হবে আমাদের সর্বশেষ এবং নতুন আশ্রয়স্থল! যেখানে আমরা আমাদের নব্য নতুন জীবন রচনা করব!”

মুহূর্তের মধ্যে ঐথিও হঠাৎ ক্রুর হাসিতে মেতে উঠল। বিদ্রুপাত্নক গলায় বলল,,

“মৃদুল তোমার বদনাম করতে চেয়েছিল তাই না? মৃদুল নিজেও জানে না, কার প্ররোচণায় পড়ে মৃদুল নিজেই নিজের বদনাম করতে চলেছে!”

ইতোমধ্যেই হঠাৎ কামরায় দ্বিতীয় কারো উপস্থিতি টের পেল ঐথি এবং অনল। নিয়াজ কামরার দরজায় দাঁড়িয়ে সন্দেহজনক দৃষ্টিতে ঐথি এবং অনলের দিকে চেয়ে আছে। বিরূপ গলায় হঠাৎ নিয়াজ তাদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বলল,,

“কি হলো? তোরা এভাবে হাসছিস কেন? আর এতক্ষণ রুমেই বা কি করছিস?”

সঙ্গে সঙ্গেই ঐথি এবং অনল তাদের হাসির রেখা মিলিয়ে নিল! মুখমন্ডলে অস্থিরতার ছাপ ফুটিয়ে অনল পাশ ফিরে ঐথির দিকে চেয়ে বলল,,

“এভাবে হাসবে সবসময়! ঠিক এভাবেই হাসবে। তুমি বুঝো না, না? তুমি মন খারাপ করে থাকলে বা অযথা কান্নাকাটি করলে আমার কতটা কষ্ট হয়? মনে হাজারো কষ্টের পাহাড় জমে থাকলেও তুমি ঠিক এভাবেই সবসময় আমার সামনে হাসি খুশি থাকবে ঐথি। মন খুলে হাসবে।”

ঐথি তাজ্জব বনে গেল। ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে অনলের দিকে চেয়ে রইল। গলা খাঁকিয়ে অনল নিয়াজের দিকে চেয়ে বলল,,

“বুঝাচ্ছিলাম তোর ভাবীকে! হাসানোর চেষ্টা করছিলাম তাকে। মেয়ে মানুষের গম্ভীর মুখ দেখতে ভালো লাগে বল? কেমন নিরাগ নিরাগ লাগে! তাদের যেন কিছুতেই বুঝানো যাবে না- ‘তাদের হাসিতেই পুরুষদের তৃপ্তিময়তার সুখ!”

নিয়াজকে প্রত্যত্তুর করার কোনো সুযোগ না দিয়েই অনল তাড়াহুড়ো করে নিয়াজের কাঁধে হাত রেখে কামরা থেকে প্রস্থান নিলো! পরমুহূর্তেই অনল বাঁকা হেসে পিছু ফিরে তাকাল! বিস্মিত ঐথিকে এক চোখ মেরে বলল,,

“এসো তাড়াতাড়ি!”

#চলবে….?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে