একটা পরীর গল্প পর্ব-০৪

0
1996

#একটা_পরীর_গল্প
#সাদিয়া_আহমেদ_রোজ
#পর্ব_০৪

আযানের শব্দ কানে যেতেই আবদ্ধ নয়নযুগল মেলতে শুরু করলাম। পাশে অভীক ভাইয়া ঘুমে বিভোর। আমি উঠে ওযু করে ঘরে আসতেই দেখলাম উনি বিছানায় উঠে বসে আছেন। আমাকে দেখে উনি কপাল ঘুচালেন। ওনার এমন কাজে আমি অপ্রস্তুত হয়ে যাই। উনি দাঁতে দাঁত চেপে বললেন।

– ” নামায কি তুই একাই পড়িস? আমরা পড়ি না? আমাদের ডাকার প্রয়োজন বোধ হয় না তোর? ”

আমি সামান্য এগিয়ে গিয়ে ওনার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালাম। ওনার মাঝেও হুট করে এক শীতল হাওয়া বয়ে গিয়েছে মনে হচ্ছে। খোঁচা মেরে কথা বললেও ওনার বলা কথার মাঝে একটা শীতল প্রণয় বিরাজ করছে। উনি একেবারে স্বাভাবিকভাবে কথা বলছেন। আমাকে এভাবে তাকাতে দেখে উনি নিজেও আমার দৃষ্টি অনুকরণ করে তাকালেন। আমি চোখ সড়িয়ে নেই। উনি উঠে চলে যান। আমি জায়নামায বিছিয়ে নামাযের জন্য দাড়াই। নামায শেষে পাশে তাকাতেই দেখি উনি সিজদা দিচ্ছেন। আমি যথাস্থানে জায়নামায গুছিয়ে রেখে খাটে এসে বসলাম। দীপ্তি এসেছে ঘরে, সাথে অনা।

– ” এই আপু চল ঘুরতে যাবি না? ”

আমি অবাক হয়ে দীপ্তির দিকে তাকালাম। সবে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে কোথায় ঘুরতে যাবো? অনা আবার বলে ওঠে।

– ” ভাইয়া তো বললো গ্রামের সূর্যোদয় দেখবে। তাই আমরাও তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলাম। তোরা কি যাবি না? ”

আমি কিছু বলার আগেই উনি বলে উঠলেন।
– ” তোমরা তৈরি হয়ে, বের হও। আমরা আসছি। ”

ওরা, তার কথা শুনেই বের হয়ে গেলো ঘর থেকে। আমি রাগে দাঁতে দাঁত চেপে বসে আছি। সবার সাথে কি সুন্দর ব্যবহার করেন আর আমার সাথে? উনি ওনার ব্যাগ থেকে একটা টিশার্ট আর জিন্স বের করলেন। আমি বাইরে চলে আসলাম।। যদিও উনি আমাকে বাইরে যেতে বলেন নি তবুও, ঘরে থেকে গেলে হাজারটা কথা শোনাতেন।কি দরকার সকাল সকাল কটুকথা শোনার। উঠানটা শুষ্ক হয়ে আছে। আমাদের উঠানে মাটির থেকে বালির অংশই বেশি যার কারনে এই হাল। সবাই জড়ো হয়ে দাড়ালো। আমি চৌকিতে বসে বসে গণনা করছি ঠিক কতজন ঘুরতে যাবো। ইতোমধ্যে ১৩জন এসে দাড়িয়েছে, আমরা সহ ১৫জন। অভীক ভাইয়া ঘর থেকে বেড়িয়ে সোজা ওদের কাছে চলে গেলেন। কাধে ওনার গিটারটা ঝুলছে। আমি বেকুবের মতো বসে রইলাম। সবাই বেড়িয়ে পড়লো ধানক্ষেত দেখার উদ্দেশ্যে। কারোর খেয়ালই নেই যে আমি এখনও আসিনি ওদের মাঝে। রাগের চোটে আমি ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম। এতক্ষন ওনার জন্য বসে রইলাম আর উনি কিনা আমাকে রেখেই চলে গেলেন। বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছি মাত্র। এরমধ্যেই দরজায় কড়াঘাতের শব্দ শুনতে পাই। দরজা খুলতেই দেখি ভাইয়া অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।

– ” ঘরে কি করছিস? তোকে কি রোম কার্ড দিয়ে আমন্ত্রণ করতে হবে? আর চুলের এ হাল কেন? বস্তিদের মতো ঘুরছিস। যা চুল বেধে আয় ”

আমি মৃদুস্বরে জবাব দিলাম।
– ” আমি যাবো না ভাইয়া। আপনারা যান। ”

– ” ঠাটিয়ে দেবো এক চড়। তোর কোন আমলের ভাইয়া আমি? তোর গুষ্টির কেউ? দিনে চৌদ্দবার ভাইয়া ডাকিস। তোর মতো বস্তিটাইপের বোনের দরকার নেই আমার। তাছাড়া তোর আব্বু আর আমার আব্বু খুব ভালো বন্ধু সে’খাতিরে তোকে সহ্য করছি নাহলে তোর মতো মেয়ে আমার বাড়ির চারপাশেও ঘুরঘুর করার সাহস পায় না। বুঝেছিস? ”

আমি কিঞ্চিত বিরক্ত হলাম ওনার কথা শুনে। এই এক কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেলো। এই লোকটাও একটু ক্লান্ত হয়না। আমি চুলের খোপা খুলে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে লাগলাম। কোমর ছাপিয়ে চুল হওয়ায় ঠিকভাবে আচড়াতেও পারছি না। হাত পৌছাচ্ছে না। অভীক দ্রুত এসে আমার হাত থেকে চিরুনি ছিনিয়ে নিলো। নিজেই আমার চুল আচড়ে দিয়ে বললো।

– ” কচ্ছপের গতিতে চললে একেবারে দুপুরে গিয়ে পৌছাতে হবে ওদের মিছিলে। তাড়াতাড়ি কর। ”

আমি আয়নার ওনার মুখমন্ডল দেখতে ব্যস্ত। ওনার রেশম-কোমল চুলগুলো মাথার তালে দুলছে। কয়েকটা চুল চোখের ওপর এসে পড়ছে। উনি ঠোটের ভাজে চিরুনি চেপে ধরে আমার চুলে বিনুনি গাঁথতে শুরু করেন।

– ” নে এবার চল। ”

উনি আগে আগে হাটছেন আর আমি ওনাকে অনুসরণ করছি। একটা কথা আজ অবধি কাউকে বলা হয়নি যে আমি ওনাকে পছন্দ করি, পছন্দ ঠিক নয়। ভালোবাসি ওনাকে। আগে নিজেও বুঝতাম না ভাবতাম তার চেহারা সুন্দর বলে পছন্দ করি কিন্তু দুবছর আগে বুঝতে পারি এটা আবেগ, আর এখন বুঝি ভালোবাসা। কিছু করার নেই আমার কিশরীমন এখন পুরোটাই অভীকে আবদ্ধ। চোখ দুটো তার চোখে নিবদ্ধ। ভেবে নিরবে দীর্ঘশ্বাস ফেলি আমি। উনি দিব্বি সবার সাথে খোশগল্প করতে করতে হেটে যাচ্ছেন। ওনাকে পেয়ে সবাই বেমালুম আমার কথা ভুলে গিয়েছে। আমিও যে ওদের সাথে আছি সেটা কারোর নজরেই নেই। সবাই মিলে স্কুলের সিড়ির কাছে এসে দাড়ালো। আমিও পিছু পিছু যাই। সবাই ওনাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করছে, যেমন কোন কলেজে পড়েন, কিভাবে গানের রেকর্ডিং হয়, ওনাদের বাড়ি কেমন, ওনার কেমন মেয়ে পছন্দ। এই প্রশ্নটা করা মাত্র উনি রুক্ষ কন্ঠে বলেন।

– ” তোমাদের বোনের মতো যারা আছে তারা বাদে যে কোনো মেয়েই আমার পছন্দের তালিকায় জায়গা পাবে। ”

আমি ফোস করে উঠি ওনার কথায়। আগে শুধু ঘরে বদনাম করতো, অপমান করতো, এখন বাইরেও শুরু করেছেন। খচ্চর ব্যাটা। আমি সিড়ি বেয়ে কিছুটা উপরে উঠে দাড়াই। সূর্য দিগন্তে তার শুভ্র কোমল কিরণ ছড়িয়ে দিচ্ছে। অভীকের মুখের একপাশে শুভ্র কিরণ পড়তেই উনি চট করে চোখ বুজে নিলেন। মুহূর্তেই আমার ঠোটে ফুটে উঠলো এক চিলতে হাসি। উনি চোখ পিটপিট করে তাকালেন। সামনের রাস্তা দিয়ে গরুর গাড়িতে করে কাটা ধানের আঁটি নিয়ে যাচ্ছে কৃষক। রোদের কোমল কিরণে চিকচিক করছে ধানের প্রতিটা শস্য। দূরে খালের পানিতে ঝাঁক ঝাঁক হাসের দল ভেসে বেড়াচ্ছে। বাচ্চারা সিপারাহাতে মসজিদের উদ্দেশ্যে হেটে যাচ্ছে। রোদের আলো পানিতে ঝলমল করছে। উনি গিটারের সুর তুললেন। দীপ্তি গলা ছেড়ে গাইতে আরম্ভ করলো

– ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে
আমার নামটি লিখো তোমার মনেরও মন্দিরে…..

গান শেষে উনি দীপ্তির প্রশংসা করে আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বললেন।

– ” তাও তো ভালো দীপ্তি, তুমি গান পারো। আর তোমার যে বোন আছে না? দুনিয়ার কোনো কাজই পারে না। পারে শুধু গিলতে, ঘুমাতে আর ড্যাংড্যাং করে ঘুরতে। ”

দীপ্তি হেসে বলে।
– ” আরে না ভাইয়া। আপু আগে অনেক সুন্দর গান গাইতো। স্কুলে তো প্রতিবার গানের প্রতিযোগিতায় আপুই প্রথম হতো। ”

অভীক বিদ্রুপ করে বললো।
– ” আচ্ছা তাই নাকি? তো বলো তোমার আপুকে তার কাকের গলা থেকে একটু ফাটা বাঁশের আওয়াজ বের করতে। আমরাও দেখি সে কেমন গায়িকা। ”

আমি সজোরে ‘না’ বলে উঠলাম। সবাই কৌতুহলী দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে আছে। আমার কপাল বেয়ে ঘামের বিন্দু গড়িয়ে পড়ছে সন্তর্পণে। পা দুটো থরথর করে কাঁপছে। বুঝতে পারলাম শুধু পা নয় আমার সর্বাঙ্গ কাঁপছে। আমি দ্রুততার সাথে সিড়ি বেয়ে নেমে যেতে লাগলাম। হঠাৎ আমার ওরনার এক কোনা সিড়ির পাশের ইটের টুকরোয় লেগে আটকে যায়। পেছনে টান অনুভব করে আমিও পেছনে তাকাই আর ভুলবশত সিড়ির ওপর পা না পড়ে পিছলে পড়ে যেতে থাকি নিচের দিকে। অভীক আমাকে পড়ে যেতে দেখে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে এগিয়ে এসে আমার কোমর জড়িয়ে ধরে। তবুও আমার মাথা রেলিং এর ওপর গিয়ে গড়ে। ব্যাথার চোখের সামনেটা অন্ধকার হয়ে আসে। অভীকের অস্ফুট কাতর কন্ঠ ভেসে আসে আমার কানে।

– ” পরী! এই পরী কি হলো তোর? পরী। ”

ঘুম ভাঙতেই দেখলাম অভীক আমার পাশে উদ্বিগ্ন চেহারা নিয়ে বসে আছে। ঘরে আর কেউ নেই। আমি অসুস্থ অথচ কেউ আসলো না? আর ইনি বসে আসেন। ব্যাপারটা দেখে একটা লোককথা মনে পড়ে গেলো, ‘মা’য়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি ‘। আমাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে উনি ধমকের সুরে বললেন।

– ” তোকে নিয়ে দেখছি কোথাও যাওয়াও মুশকিল। যেখানে সেখানে মুখ থুবড়ে পড়িস। এতো যে নাক দিয়ে মুখ দিয়ে গিলিস সব যায় কোথায়? তোর পেছনে তো আংকেলদের সব খাবারও ওয়েস্ট হচ্ছে। ”

ওনার এমন কথা শুনে আমি বিষ্ময়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। একজন অসুস্থ মানুষকেও যে এভাবে খোঁটা দিতে পারে কেউ, সেটা এই ব্যক্তিকে না দেখলে হয়তো জানতেই পারতাম না। না যথেষ্ট হয়েছে। আর সহ্য করবো না খাঁটাশ ব্যাটার এমন অত্যাচার। কিন্তু আমার অতীত? সেটা কিভাবে জানাবো ওনাকে? আমাকে অন্যমনস্ক দেখে উনি নির্লিপ্ত কন্ঠে বলে উঠলেন।

– ” আজ বিকালে আমরা দাদুবাড়ি যাবো। খেয়ে এখন থেকেই রেডি হতে শুরু কর। তোর তো আবার সাজতে গুজতে তিনদিন লেগে যায়। আমাদের হাতে ওতো সময় নেই। আর হ্যা এই যে ঔষধ এটা খেয়ে নে মাথাব্যথা কমে যাবে। ”

আমি আশ্চর্য হয়ে তাকালাম ওনার দিকে। উনি ভ্রু কুচকে তাকান আমার চাহুনিতে।

– ” দয়া করে দাদুবাড়ি গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়িস না। আমার মান সম্মান আর ডুবাস না। এটা জলদি খা, আর রেডি হয়ে নে। তোর জন্য আর ঝামেলায় পড়তে রাজি নই আমি। ”

আমি উদাসিন কন্ঠে বললাম।
– ” আমি যাবো না। আপনারা যান। ”

উনি চোয়াল শক্ত করে বললেন।
– ” তোর কাছে কি আমি কোনো মতামত জানতে চেয়েছি ? আমি শুধু জানিয়ে গেলাম বিকেলের মধ্যে রেডি থাকবি। নাহলে এমন মার মারবো না, মেরে চেহারার ম্যাপ বদলে দিবো। ”

আমি সটান দাড়িয়ে গেলাম।এই লোকটাকে বিশ্বাস নেই। সত্যি সত্যি মেরে বসতে পারে। আগে তো কম মারেনি। দজ্জাল কোথাকার। উনি বাইরে গিয়ে আবার ফেরত আসলেন। হাতে একটা প্যাকেট। আমি সন্তর্পণে প্যাকেটটা দেখার চেষ্টা করতে থাকলাম। উনি ফট করে বলে উঠলেন।

– ” এই শাড়িটা তোর জন্য। এটা পড়ে যাবি আমার সাথে। বস্তিদের মতো আসলে বড় রাস্তার পাশে যে কুয়ো আছে সেখানে ফেলে দিয়ে আসবো তোকে। জলদি তৈরি হ। ”

কথাটা বলেই চলে গেলেন উনি। আমি ঠায় দাড়িয়ে রইলাম। আমি কি এতোটাই খারাপ? এতোটা অপমানের, অসম্মানের যোগ্য? আমাকে কি সত্যিই ভালোবাসা যায় না? মাঝে মাঝে মনের ভেতর যে ভালোবাসা টোকা দেয় তাকে কেন সাদরে গ্রহণ করতে পারছি না? কেন বারবার তাকে দূরে ঠেলে দিতে হচ্ছে?

বিকালে ওনাদের সাথে আমি দাদুবাড়ি আসি। দীপ্তিও আমার সাথে এসেছে। মিষ্টি আমার ননদ। সে আমাকে আমার ঘর দেখিয়ে দিয়ে ছুটে চলে গেলো ছাদে। বাড়ির সবাই এসে আমাকে দেখছেন আর উপহার দিচ্ছেন। অভীক তার ভাইবোনদের সঙ্গে দাড়িয়ে আছে দূরে। আমি ঘরে এসে উপহারগুলো খাটের ওপর রাখি। মাথা থেকে ঘোমটা খুলে ফেলি। আমার শাশুড়ি আম্মু এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে হাতে একজোড়া রুলি পড়িয়ে দিলেন।

– ” অভীক তোমাকে খুব বিরক্ত করছে নাকি? ওর কথায় কষ্ট পেও না। জানো তো ও কেমন। একটু সময় যেতে দাও। দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে। ”

আমি মাথা নেড়ে “হ্যাঁ” বললাম। উনি আমার মুখশ্রী দুহাতে ধরে কপালে চুঁমু খেলেন। মৃদুস্বরে বললেন।

– ” খুব মিষ্টি মেয়ে তুমি। একদম মন খারাপ করবে না। কিছু লাগলে আমাকে কিংবা অভীকের বাবাকে বলবে। অভীক তো বরাবরই ছন্নছাড়া। ও কখন কি করে নিজেও বোঝে না। ”

– ” আপনি চিন্তা করবেন না। আমার কিছু প্রয়োজন হলে আমি আপনাকেই বলবো। ”

– ” এ্যাই মেয়ে আপনি কি হ্যা? অভীক মিষ্টির মতো তুমি করে ডাকবে। ”

– ” তাহলে ওনাদের মতো আমাকে তুই করে ডাকুন। আমাকে কেন তুমি বলছেন? ”

আমার কথায় তিনি মৃদু হাসলেন।
– ” পাগলি মেয়ে। ছাদে যা। অভীকসহ সবাই আছে ওখানে। ”

– ” আচ্ছা। ”

ছাদে গিয়ে দেখি সবাই খেজুরপাতার মাদুর বিছিয়ে গল্পে মজে আছে। সবার মাঝে বসে আছে অভীক। মিষ্টি উত্তেজিত হয়ে অভীকের হাত ধরে লাফাচ্ছে আর বলছে।

– ” ভাইয়া ওই গল্পটা বলো। ওটা তো বলছোই না। শুধু নাম জানিয়ে রেখেছো। তুমি বলেছিলে এরপর যেদিন গ্রামে আসবো সেদিন ভরা আসরে গল্পটা বলবে। আজ তো এসেছি। এখন বলো না গল্পটা। আমরা সবাই শুনতে চাই সেই #একটা_পরীর_গল্প ”

চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে