#এই_সাঝঁবেলাতে_তুমি_আমি🍁
পার্ট ৭
#সারা_মেহেক
🍀🍁
রাত প্রায় পৌনে ১১টা। ১০/১২জন মেয়ে ছাদে এসে ছাদের দরজাটা লাগিয়ে দেয়।এই ১০/১২জন মেয়ে এসেছে ব্যাচেলার্স পার্টির জন্য।
প্রথমে রুমে পার্টি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো,কিন্তু কোনো রুমই সম্পূর্ণ খালি ছিলো না। তাই শেষপর্যন্ত ছাদেই আসতে হলো।
ছাদে একটা বড় শামিয়ানা টানিয়ে নিয়েছে। আর কতোগুলো চেয়ার রেখেছে।
পার্টিতে ১০বছরের কমে কেউই নেই। মুসকানের দুই ভাবিও এসেছে পার্টিতে।
পার্টির জন্য সব খাবারদাবার সন্ধ্যার দিকেই এনে রেখেছিলো তারা।
সবার পরনে প্লাজু আর টিশার্ট অথবা শার্ট।মায়া আর শিলা (মুসকানের দুই ভাবি)এনেছে তাদের স্বামীর টিশার্ট।
প্রথমে সবাই ট্রুথ এন্ড ডেয়ার খেললো।এই খেলাটা মুসকান সবসময় বেশ ইনজয় করে।
প্রথমেই সুযোগ এলো সুমনার। সে চুজ করলো ট্রুথ।
মাহিরা তাকে প্রশ্ন করলো,
“আচ্ছা তোর ক্রাশ বা পছন্দের ছেলের নাম বল।”
এ প্রশ্ন শুনে সুমনা একদম চুপ হয়ে গেলো।যে হাসিটা মুখে ছিলো তাও মিয়িয়ে গেলো। এখন সে কি জবাব দিবে!!সবার সামনে আকাশের নাম নিবে কিভাবে??কি না কি মনে করবে সবাই। এখন তার মনে হচ্ছে ডেয়ার নেওয়াটাই বেটার ছিলো।
এখন কি জবাব দিবে মনে মনে ভাবছে। তার এ ভাবনাময় চেহারা দেখে মাহিরা জিজ্ঞাসা করলো,
“কি রে তোর পছন্দের মানুষ কি তার নাম বলতে মানা করেছে বুঝি??”
সুমনা খানিকটা হেসে বললো,
“আরে না, তেমন কিছু না। আচ্ছা আমার এ প্রশ্নের জবাব না দিলে কি খুব সমস্যা হবে??”
মাহিরা ভ্রু উঁচিয়ে বললো,
“অবশ্যই,তুই এখন মানা করলে এরপর সবাই এইটা ঐটা অজুহাত দিয়ে মানা করবে। এমন হলে গেমের মজাটাই থাকে না। ”
“আচ্ছা বলছি।
একজন আছে যাকে আমার খুব ভালো লাগে। মানুষটাই যে এমন, ভালো লাগারই কথা।তবে আনফরচুনেটলি আমি তার নাম বলতে পারবো না। কারন আমি এখনও জানি না যে সে আমাকে পছন্দ করে নাকি। যদি জানতাম তাহলে বলে দিতাম নামটা।”
সুমনার প্রথমের দিকে বলা কথাগুলো সবাই বেশ মনযোগ সহকারেই শুনছিলো। সবার মুখেই হাসি। কিন্তু পরের কথাগুলো শুনেই সবার মুখের হাসি চলে গেলো।
মাহিরা রেগে বললো,
“এটা কি হলো??তোকে নাম বলতে বলেছি আর তুই কি বললি??”
শিলা পাশের থেকে বললো,
“আরে রাখো মাহিরা। সুমনার পিছনেই সেই কখন থেকে পরে আছো। মানুষ তো আরো আছে তাইনা। বেচারিকে রক্ষা দাও।”
শিলার কথা শুনে সুমনা বেশ খুশি হলো কিন্তু মাহিরা না। কারন সে সুমনার মনের কথা জানার জন্য কবে থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে। আজকে সুযোগও হলো। কিন্তু শেষপর্যন্ত কিছুই হলো না।
এবার কাঁচের বোতলটা ঘুরতে ঘুরতে মায়ার দিকে গেলো।মায়া নিলো ডেয়ার।
মুসকান মায়াকে ডেয়ার দিলো,
“এখনই গিয়ে মামুন ভাইয়াকে একটা কিস্সি দিয়ে আসবা তুমি।”
এ কথা শুনে মায়া তো লজ্জায় লাল হয়ে গেলো।আর মুসকান সহ বাকি সবাই হাসতে লাগলো।
মায়া ধীর পায়ে হেঁটে নিজের রুমের দিকে গেলো।তার যাওয়ার এমব স্টাইল দেখে সবাই হেসে কুটি কুটি।
এদিকে মুসকানের হঠাৎ খুব পানির পিপাসা পেলো।আর ছাদে ঠাণ্ডা পানিও আনা হয়নি। তাই সে ভাবলো যতক্ষনে মায়া ডেয়ার কম্পলিট করে আসছে ততক্ষণে সুমনাকে নিয়ে নিচেগিয়ে পানি খেয়ে নিলেই তো হয়। আর পানি তো আনতেও হবে।তাই মুসকান সবাইকে বলে সুমনাকে নিয়ে পানি আনতে গেলো।
দুজন গল্প করতে করতে সিঁড়ি দিয়ে নামছে।সিঁড়ি দিয়ে নেমে রান্নাঘরের দিকে যাবে কিন্তু সামনে চোখ পরতেই থমকে যায় মুসকান। সাথে সুমনাও।কারন ডাইনিং এর চেয়ারে আফনান আর আকাশ বসে হাসি মজা করছে আর কফি খাচ্ছে।মুসকান দিশেহারা হয়ে পরে এসব দেখে। কারন এদের সমানে দিয়ে রান্নাঘরে যেতে হবে আর গায়ে নেই ওড়না।পার্টির জন্য ওড়না ছাদেই খুলে রেখেছে।আর নিচে কেউ নেই ভেবে সাথে ওড়নাও আনে নি। কি এক বিরক্তিকর আর ফালতু সিচুয়েচশনে আটকে গিয়েছে।ভাবলেই নিজেকে আচ্ছামতো পিটাইতে ইচ্ছা করে।
গল্প করতে করতে আফনানের হঠাৎ চোখ যায় মুসকানের উপর।মুসকান সেটা দেখে জোরে বলে উঠে,
“খবরদার এদিকে তাকাবেন না। তাকাইলে একদম ভর্তা বানায় ফেলবো।”
মুসকানের কথা শুনে আফনান সাথে সাথে চোখ নামিয়ে নেয়। এর মধ্যে মুসকান আর সুমনা দৌড় দিয়ে রান্নাঘরে চলে যায়।
রান্নাঘরে গিয়ে আড়াল থেকে মুসকান বলে,
“আপনারা দুইজন একটু ড্রইংরুমে যাবেন প্লিজ।।”
মুসকানের কথা শুনে আকাশ ভ্রু উচিয়ে বলে,
“কেনো??কি কারনে যাবো??”
মুসকান বিরক্তি নিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
“দরকার আছে বলেই বলছি। আমরা এখান থেকে গেলে তারপর আসবেন। এখন প্লিজ উঠুন এখান থেকে।”
মুসকানের কথা শুনে আকাশ আর আফনান ড্রইংরুমের সোফায় গিয়ে বসলো।
এদিকে এইটুকুর জন্য গলা শুকিয়ে এসেছে মুসকানের। তাই সে ঢকঢক করে পানি খেলো। সুমনাও পুরো দুই গ্লাস পানি খেলো। সে ভাবছে এই সিচুয়েশনে সে একা পরলে কি করতো। সে তো পুরাও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যেতো। মুসকান আছে বলে সামলে নিয়েছে।
পানি খাওয়া শেষ হলে দুজনে ৪বোতল পানি নিয়ে গেলো সাথে। যাওয়ার আগে রান্নাঘর দিয়ে একবার উঁকি দিয়ে নিলো মুসকান যে, আশেপাশের সব ঠিক আছে নাকি। ডাইনিং এ কাউকে না দেখে এক দৌড়ে সিড়ি দিয়ে উঠে যাচ্ছে সুমনা আর মুসকান।ড্রইং রুম দিয়েই য়ে তাদের যেতে হবে,আর আকাশ, আফনান যে সেখানে বসে আছে সে খেয়ালও নেই তাদের। মনে হচ্ছে শত্রু থেকে যতো তাড়াতাড়ি জান বাঁচানো যায়।
সুমনা আর মুসকানের এমন দৌড় দেখে আকাশ আর আফনান না হেসে পারে না।
ছাদে এসে সুমনা আর মুসকান দুজনি হাঁপাতে থাকে।মনে হয় কেবলই জেল থেকে পালিয়ে এসেছে।
দুজনকে এভাবে হাঁপাতে দেখে রুমা জিজ্ঞাসা করে,
“কি ব্যাপার এ অবস্থা কেনো??”
মুসকান জবাব দিলো,
“কিছু না তো। এমনিই। চলো খেলা শুরু করা যাক।”
খেলতে খেলতে এক পর্যায়ে বোতলটা মুসকানের দিকে ঘুরে।
অনেক ভেবেচিন্তে সে নিলো ডেয়ার। কারন ট্রুথ নিয়ে কি হবে কারন যা জানার তা সবাই জানে।
মুসকানকে ডেয়ার দিলো মায়া। কারন তাকে মুসকান ডেয়ার দিয়েছে।
মায়া কিছুক্ষন পর বললো,
“মুসকানের ডেয়ার হলে সে এখনিই গিয়ে আকাশ ভাইয়াকে প্রপোজ করবে।”
একথা শুনে মুসকানের মুখ একদম শুকনো হয়ে যায়।বুকটা ধক করে উঠে। সে ভাবেও নি যে এমন ধরনের ডেয়ার দিবে মায়া ভাবি তাকে।
আকাশকে প্রপোজ করার কথা শুনে সুমান নিশ্চুপ হয়ে যায়। সে ভাবছে মুসকানের এ ডেয়ারে যদি আকাশের মনে মুসকানের জন্য কোনো প্রকার অনুভুতি তৈরীহয় যায় তখন।তাই সে তৎক্ষণাৎ বললো,
“না,মুসকান এ ডেয়ার করবে না। ”
সুমনার এ কথা শুনে বাকি সবাই অবাক হলেও মুসকান স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।
সুৃমনার কথা শুনে মায়া বললো,
“এটা ঠিক না সুমনা। ডেয়ার যেহেতু নিয়েছে করতেই হবে। আর মুসকান তো আমাকে ডেয়ার দিলো আমি করলামও তো। সে ওকেও করতে হবে।”
সুমনা একটা ঢোক গিলে বললো,
“আরে আমি তা বলেনি।আমি বলেছি আকাশ ভাইয়ার সাথে এ ডেয়ার না করে আফনান ভাইয়ার সাথে করতে।”
সুমনার এ কথায় মুসকান চোখ বড় বড় করে ফেললো।কোথায় সে ভেবেছিলো সুমনা তাকে বাঁচাচ্ছে অথচ সে তো তাকে আরেক কুয়ায় ফেলে দিচ্ছে।
সুমনা আবারো বললো,
“দেখো, আকাশ ভাইয়া মুসকানের ফ্রেন্ড। সে প্রপোজ করলে হয়তো খুব অবাক হবে না। আর মুসকানও খুব ইজিলি এই ডেয়ারটা করে ফেলবে।কিন্তু আফনান ভাইয়াকে যদি ও প্রপোজ করে এটা মুসকানের জন্য একটু টাফ হবে। আর আফনান ভাইয়ার ফেস রিয়েকশনও হবে দেখার মতো।তাই আফনান ভাইয়াই বেস্ট।”
সুৃমনার কথায় সবাই একমত হলো। মায়া বললো,
“এটাই তো ভালো তাহলে।তো মিস মুসকান যাও আর নিজের ডেয়ার কম্পলিট করো। আর হ্যাঁ আফনান ভাইয়াকে বলা যাবে না যে এটা ডেয়ার। আর উনার নাম ধরে প্রপোজ করবে।”
সব শুনে মুসকানের মাথায় হাত। এরা তো তার ডেয়ারকে কে কঠিন থেকে কঠিনতর করে ফেলছে।এখন না চাইতেও ডেয়ার কম্পলিট করতে হবে।
মুসকান চোখ বন্ধ করে একটা শুকনো ঢোক গিলে উঠলো চেয়ার থেকে। প্রচন্ড ভয় করছে তার।কিন্তু বাইরে তা প্রকাশ করছে না। করলে সবাই সবসময় ভিতুর ডিম বলে ক্ষ্যাপাবে তাকে।
এখন সব কয়টাকে ধরে ছাদ থেকে ফেলে দিত ইচ্ছা করছে তার। এমন ডেয়ার দিবে জানলে জীবনেও ডেয়ার নিতো না সে।সব যে কোন জন্মের শত্রুতা বের করছে কে জানে।
চেয়ার থেকে উঠে নিজের ওড়নাটা গায়ে জড়িয়ে নিলো মুসকান।
কাঁপা কাঁপা পায়ে ছাদের সিঁড়ি বেয়ে নামছে সে।
সোজা নিচে চলে এলো। সবাই ভেবেছিলো আকাশের রুমে যাবে মুসকনা। কিন্তু নিচে নামলে কেনো??তাহলে আগে থেকেই সে জানতো যে আকাশ আফনান নিচে।
আকাশ আর আফনান খোশ গল্পে মেতেছে।দুজনেই গল্প করতে করতে থেকে থেকে হেসে উঠছে। সিঁড়ি দিয়ে ভয়ে ভয়ে নামছে মুসকান।নামার সময় তার চোখ সোজা যায় আফনানের হাসোজ্জ্বল চেহারার দিকে।সে একভাবে তাকিয়ে আছে। এর আগে এভাবে কোনো ছেলের হাসির দিকে তাকিয়ে থাকেনি সে। এ হাসিটা যেনো তাকে বশ করে ফেলেছে।সে আফনানের হাসির দিকে তাকিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামছে। ভয়টাও কেনো যেনো দূর হয়ে গিয়েছে।না,সে ভয়ের কথা ভুলেই গিয়েছে।আফনানের হাসির সময় যে বাম গালে টোল পরে এটা আজকে সে খেয়াল করলো। কই এর আগে তো দেখেনি সে।অবশ্য দেখবেই বা কি করে। এর আগে আফনানকে এভাবে হাসতে দেখেছে নাকি ভালো করে।
মুসকানের এ বিষয়টা বেশ খেয়াল করেছে সুমনা।মনে মনে সে বেশ খুশিও। কারন সে কিছুটা হলেও নিশ্চিত হতে পেরেছে যে মুসকানের মনে আকাশের প্রতি কোনো ফিলিংস নেই।
হাঁটতে হাঁটতে একসময় সোফার সামনে দাঁড়ীয়ে পরে মুসকান।মুসকানকে হঠাৎ দেখে আফনান আর আকাশ হাসি বন্ধ করে দেয়। আফনানের হাসি বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে মুসকান যেনো বাস্তবে ফিরে আসে।আফনানের হাসি যেনো মুসকানকে বশীভূত করে ফেলেছিলো।মুসকান নিজেই ভেবে পাচ্ছে না এমন হলো কেনো??আর কিভাবে??এ বিষয়টা কেউ খেয়াল করেছে কি না কে জানে। যদি কেউ খেয়াল করে তাহলে সে শেষ। লজ্জায় ফেস করতে পারবে না কারোর সাথে।
নিজের ভাবনাতেই বিভোর মুসকান। আকাশ মুসকানকে দেখে সোফা থেকে উঠে সামনে রাখা টি টেবিল পাশ কাটিয়ে মুসকানের পাশে এসে দাঁড়ালো।মুসকানকে একবার ডাকলোও কিন্তু মুসকানের কানে হয়তো যায়নি তা।
তাই আকাশ আর না ডেকে মুসকানের চোখে সামনে একটা তুড়ি বাজায়।শব্দ শুনে মুসকান নিজের ভাবনার জগৎ থেকে ফিরে আসে।
আকাশ মুসকানকে দেখে বলে,
“কি ব্যাপার এখানে কেনো??আর তখন চলে গিয়েছিলে কেনো??”
আকাশের “এখানে কেনো”কথাটা শুনে মুসকানের আবার ভয় লাগা শুরু হয়ে যায়। এতোক্ষন কি সুন্দর ভয়টা ছিলো না।
কিন্তু এখন আবার ভয় লাগছে তার। বুকের ঢিপঢিপানি টা আবারো শুরু হয়ে গিয়েছে।
মুসকানের কোনো জবাব না পেয়ে আকাশ আবারো একই প্রশ্ন করলো।এবার মুসকান কোনো জবাব না দিয়ে চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস টেনে নেয়। হয়তো এভাবে একটু সাহস জুটবে।
সোফায় বসে কফি খেতে খেতে মুসকানের সব কর্মকান্ড গভীরভাবে লক্ষ করছে আফনান। মুসকানের এমন বিহেভিয়ার এর কিছুই মাথা ঢুকছে না তার।
মুসকান গভীর একটা শ্বাস নিয়ে চোখ খুলে আফনানের দিকে চেয়ে বললো,
“আমি আপনাকে কিছু বলতে যাই।”
মুসকানের কথা শুনে আকাশ গিয়ে আবার সোফায় বসলো আর আফনান বললো,
“হুম বলো কি কথা।”
মুসকান একটা ঢোক গিলে বললো,
“আফনান,আই লাভ ইউ।”
বলে আর একমূহুর্ত দেরী না করে ভোঁদৌড় দিলো মুসকান।
মুসকানের মুখে এই প্রথম নিজের নাম শুনে তো অবাক হলোই।আর বাকি কথা শুনে যেনো টাশকি খেলো আফনান। মুখে থাকা কফি ফুস করে সামনে ফেলে দিলো আফনান।
পুরো মাথা যেনো ভোঁ করে ঘুরে এলো তার। এসব কি শুনলো সে!!!মুসকান তাকে আই লাভ ইউ বলেছে!!কিভাবে কি পসিবল??কি করে পারে এটা হতে??মুসকান নিজে থেকে প্রপোজ করেছে!!তার মানে মুসকানের মনে তার জন্য অনুভুতি আছে।মুসকানের মনে তার জন্য ভালোবাসা আছে!!নানাকিছু মাথায় ঘুরছে তার।
আকাশও মুসকানের এমন প্রপোজাল দেখে অবাক না হয়ে পারে না আকাশ।সে আফনানের কাঁধ ধরে হালকা ঝাঁকি দিয়ে বলে,
“দোস্ত এটা কি হলো?কি শুনলাম আমি??আমার কানকে তো বিশ্বাসই করাতে পারছি না।”
আফনান মুসকানের কথা ভাবতে ভাবতে বলে,
“আমি নিজেও বুঝি নি কিছুই।”
“দোস্ত এ কথার মানে তো এটাই বুঝায় যে মুসকান তোকে ভালোবাসে।”
“ও আমাকে ভালোবাসবে এটা যেনো বিশ্বাসই হতে চাচ্ছে না আমার।”
“কিন্তু এসবের মানে তো এটাই বুঝায়।”
“হুম।”
আফনান বাঁকা হেসে আবারো বলে,
“যাই বলিস না দোস্ত আমি কিন্তু খুব খুশি।”
আকাশ ভ্রু উঁচিয়ে বলে,
“তুই খুশি কেনো??তোর মনেও কিছু আছে নাকি??”
আফনান মুচকি হেসে বলে,
“হয়তো আছে।”
আকাশ এটা শুনে আফনানের পিঠে জোরে একটা চাপড় দিয়ে বলে,
“তলে তলে এতো কিছু হয়ে গেলো আর আমি কিছুই জানলাম না।।দোস্ত তুই তো সেই ফাস্ট।”
আফনান আর কিছু না বলে হাসতে থাকে।
এদিকে ছাদে উঠার সময় মুসকান দেখে সবাই সিঁড়ি কাছে দাঁড়ীয়ে আছে।অর্থাৎ সবাই উঁকি দিয়ে সব দেখছিলো এতোক্ষন!!
মুসকান খেয়াল করে দেখলো সবার মুখেই একটা চাপা হাসি। সবার মুখে এ হাসি দেকে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো মুসকান।
#চলবে