#এই_সুন্দর_স্বর্ণালী_সন্ধ্যায়
#পর্বসংখ্যা_০৮
[মুক্তমনাদের জন্য উন্মুক্ত]
রক্তিম সূর্যটা পশ্চিমে ডুবেছে অনেক্ষণ হলো। অন্তরীক্ষে লালাভ বর্ণের ছড়াছড়ি। দূরের ঘন বৃক্ষরাজি কৃষ্ণরূপ নিয়েছে। একটানা ঝিঁঝিঁ ডেকে যাচ্ছে কাছেই কোনো গাছে বসে। পুরোপুরি আলো হারায় নি, আবছা আঁধারি নিয়ে সন্ধ্যা নেমেছে ধরণীর বুকে। ধোঁয়া ওঠা কফির মগ নিয়ে বাগানে এলো চারুলতা। গতকাল রাতেই অর্ধেক বাড়ি ফাঁকা হয়ে গেছে। অভ্যাগত অতিথিরা অনেকেই চলে গেছেন কাল বৌভাত থেকে ফিরবার পর। বাকি যারা ছিলেন, তারাও আজ সকালেই গেছেন যার যার নিজস্ব ঠিকানায়। কয়েকদিনের হৈ-চৈয়ের পর তাই বাড়িটা আজ বেশ ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। কেমন অদ্ভুত শূন্যতা চারপাশে!
অন্ধকারে পথ হেঁটে ‘দখিন হাওয়া’র দিকটায় আসছিল চারু। হঠাৎ মনে হলো কে যেন ওখানে বসে। আওয়াজ আসছে। চমকে উঠে ‘কে?’ — প্রশ্ন করতে গিয়েও করলো না চারু। ঠোঁটের ডগায় আসা প্রশ্নটা বন্ধ করে, চুপ করে দাড়িয়ে রইলো অন্ধকারে। নিশ্চুপে শুনলো কোনো আগন্তুক গুনগুন করে সুর ভাজছেন। রবিঠাকুরের ভীষণ জনপ্রিয়, প্রেম-বিরহের করুণ সুরের গানটি এই গায়ক তার সম্মোহনী কণ্ঠে গাইছেন,
— “যদি আরও কাহে, তুমি ভালোবাসো
যদি আরও ফিরে, নাহি আসো
তবে তুমি যা চাও, তাই যেন হয়!
আমি যতোই দুঃখ পাই গো~”
বিকেল থেকে উদাস ছিল চারু। পুরনো স্মৃতিরা বারেবারে দোলা লাগাচ্ছিল মনে। বেরিয়ে আসতে চাইছিল বুকের ভেতর আবদ্ধ সিন্দুকটা ছেড়ে। যে সিন্দুকের অবস্থান তার গহীনে, তার তিক্ত অতীতের গল্প মুড়িয়ে!
অচেনা মানুষটির এই মর্মস্পর্শী করুণ সুর ওর দুঃখের ব্যথায় আগুন ধরিয়ে দিলো। হৃদয়ের দুয়ারে আঘাত হেনে স্মৃতিরা বেরোলো ঝুলি থেকে। একে-একে করে। সেই আড়াই বছর আগের কথা। সেই বিয়ের রাত। বাসর রাতে প্রথম দেখা, অচেনা পুরুষ মাহতাবের সঙ্গে। অন্তর্মুখী চারুর বিয়েটা পারিবারিক ভাবেই হয়। বিয়ের আগে তেমন দেখা-সাক্ষাৎ হয় নি। একবার শুধু মাহতাবের সঙ্গে কফি খেতে গিয়েছিল রেস্তোরাঁয়। তাও বিয়ের দিন চারেক আগে। আধ ঘণ্টার সেই সময়টুকুতে কতটুকুই বা চেনা-জানা হয়?
বিয়ের রাতে তাই স্বল্প পরিচিত পুরুষটির সামনে আড়ষ্টতার মর্মে মlরে যাচ্ছিল চারু। লজ্জিত আনত মুখ তুলে তাকানো হয় নি। আগে থেকে ভেবে রাখা একটা পরিকল্পনাও পূরণ হয় নি। কল্পনায় এঁকে রাখা কতো শত গল্প, কতো কি ভাবনা! সারা রাত গল্প হবে, লোকটাও যেন কেমন। মনের দেয়া নেয়ার আগেই শরীরের দেয়া-নেয়া হয়ে গেল। লজ্জায় চারু দ্বিমতটুকু করবার সুযোগ পায় নি। আট-দশটা দম্পতির মতো অতি সাধারণ নিয়মেই সংসার জীবনে প্রবেশ করলো চারু। স্বামী-শ্বশুরবাড়ি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো দ্রুতই!
মাহতাবদের পরিবারে সে বড় ছেলে। দাদার বংশে প্রথম নাতি। দাদা বেঁচে নেই, দাদিরও যাই-যাই করছেন। বড় সাধ নাতির সন্তান দেখে মlরবেন। অতএব, মাহতাবের বিয়েটা তড়িঘড়ি করেই দিয়েছে তার পরিবার। মাস খানেকের মধ্যেই শ্বশুরবাড়ির সবার ‘বাচ্চা নাও, বাচ্চা নাও’– শুনতে শুনতে বিষয়টা বুঝতে পারে চারু। একে স্বামী নামক লোকটার সঙ্গে তার তেমন বোঝাপড়া হয় নি। এখনো সেভাবে ভালোবাসাটাই হয়ে উঠে নি, তাতেই বাচ্চার দায়িত্ব? চারু সময় চাচ্ছিল। মাহতাব মানতে নারাজ। সেও দ্রুতই বাবা হওয়ার বাসনা করে। অপারগ চারুকে শেষ অবধি রাজি হতে হয়। কিন্তু মেনে নেওয়া আর মনে নেওয়া, এই দুইয়ের মধ্যে তফাৎ আছে। চারু মেনে নিয়েছিল, মনে নিতে তার সময় দরকার ছিল।
ক্রমাগত চেষ্টার পরও বারবার ব্যর্থ হয় ওরা। পরিবার চাপ দিতে থাকে। ভাইবোন সবাই বড় হয়ে যাওয়ায় বাড়িটা ওদের ফাঁকা ফাঁকা। বাচ্চা-কাচ্চা এলে তা পূর্ণ হবে যেন। তাই সবার মুখেই এক কথা — “একটা সন্তান চাই। একটা সন্তান চাই।” পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, সবারই ওই এক কথা। শুনতে শুনতে বিরক্ত হয় চারু। মাঝে মাঝে বিতৃষ্ণা আসে। সবাই এমন করে কেন? সময় হলে কি বাচ্চা হবে না? এতো জোর দেয়ার কি আছে? তারা তো চেষ্টা করছেই।
কিন্তু চেষ্টাটা সফলতার মুখ দেখে না। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তিনি একসময় সত্যতা জানান। “চারু ইজ অ্যান ইনফার্টেইল উম্যান। শি ক্যান নেভার বি অ্যা মাদার।” সাজানো সংসার ভাঙতে দেরি হয় নি আর। খুব দ্রুতই ডিভোর্সের মাধ্যমেই সম্পর্কের ইতি টানে মাহতাব!
নিজের বিয়েতেও চারুর ভূমিকা ছিল না, বিয়ে ভাঙাতেও তার ভূমিকা রইলো না। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ, পুরুষের কথাই গ্রহণ করলো। মাহতাব সব চুকাতে চাইলেই চুকে গেল সবকিছু! চারু ফিরলো তার নীড়ে। কপালে তালাকের তকমা লাগিয়ে!
একা দাড়িয়ে স্মৃতিচারণ করছিল চারু। গান থেমে গেছে কখন সে জানে না। চটকা ভাঙলো গায়কের দরাজ গলায়,
— “কে ওখানে?”
চকিতে ফিরে তাকালো মেয়েটা। অন্ধকারে অস্পষ্ট সব। ভেতরে কে বসে বোঝা যাচ্ছে না। আগন্তুক উঠে বাতি জ্বাললো। হলদে আলোয় আলোকিত হয়ে উঠতেই লোকটাকে দেখতে পেল চারু। নিখিল নওশাদ!
— “ও আপনি?”
উৎকণ্ঠিত অবস্থা স্তিমিত হয়ে এলো। নিখিল এগিয়ে এসে দরজায় দাড়িয়ে বললো,
— “আসুন না। বাইরে দাড়িয়ে কেন?”
স্বাগত জানানোর ভঙ্গিতে হাত বাড়িয়ে দেখালো। চারু এগোলো না। নড়লোও না একটু। উপচে পড়া কান্নাটাকে এক ঢোক গিলে রুদ্ধ করলো। কাষ্ঠ হেসে জানালো,
— “না থাক। আপনি গান গাইছেন, বিরক্ত না করি।”
— “শুনে ফেলেছেন বুঝি? ইসস, এই বাজে কণ্ঠটা নিয়ে যে কি করি। হুটহাট মুখ ফসকে সুর বেরিয়ে যায়! তাও যদি ভালো হতো—”
— “না। না। আপনার গানকে মোটেও খারাপ বলি নি। আমি বললাম–”
চারু প্রতিবাদ করবার চেষ্টা করে। প্রশ্রয় পেয়ে নিখিল হাসে,
— “খারাপ যদি না বলেন, তবে ভেতরে এসে বসুন না। ভয় নেই, জোর করে গান শোনাবো না। এমনই গল্প করবো। আসুন না, প্লিজ?”
গল্প করবার মানসিকতা তার নেই। ভঙ্গুর মন তার। কবেই ঝুরঝুর করে ভেঙে গেছে! হারিয়ে গেছে কতো সুর, কতো ছন্দ!
এতদিন ধরে একটু একটু করে সামলে নেয়া, শক্ত আবরণে নিজেকে মুড়িয়ে নেয়া — সবটাই বিফলে গেছে ক্ষনিকের তরে। ফিরে এসেছে পুরোনো, ব্যথিত চারুলতা। ফুলের মত কোমল, একটুতেই নুয়ে পড়া লতা।
কিন্তু লোকটা এতো করে অনুরোধ করছে, তাকে না বলাটাও কেমন ঠেকলো ওর কাছে। অগত্যা রাজী হলো,
— “আচ্ছা, আসছি।”
নিখিল সরে গিয়ে ভেতরে ঢুকবার স্থান করে দিলো। চারুকে বসবার ইঙ্গিত দিয়ে নিজে বসলো ওর বিপরীতে। চারু হাসলো একটু। নিতান্তই কথা খুঁজে না পেয়ে শুধালো,
— “আপনি কি নিয়মিত গান নাকি? প্রফেশনাল?”
নিখিল যেন লজ্জিত হয়ে তড়িঘড়ি করে বললো,
— “না-না। প্রফেশনাল নই। এই একটু-আধটু সাধ হলে মাঝে মাঝে। আসলে কথা পাগল মানুষ তো। বেশিক্ষণ চুপ করে থাকতে পারি না। সৌভিক নেই অনেক্ষণ হলো। এখানে এসে একা বসে আছি। ভাবলাম একটু গাই। এরমধ্যে আপনার কানে গিয়ে পৌঁছল ফাটা বাঁশের চ্যানচ্যানানি — হা হা হা।”
— “আপনি যেভাবে বলছেন অতটাও খারাপ নয়।”
বাধ সাধতেই নিখিলের চটপট জবাব,
— “বারবার ও-কথা বলবেন না। আমাকে আবার পেয়ে বসলে, আপনাকে ধরে জোর করে গান শুনাতে বসবো। তখন ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি অবস্থা হবে!”
ওর বলার ধরন দেখে আর চুপ করে থাকতে পারলো না চারু। নিমিষেই মন খারাপ ভুলে, হেসে ফেললো খিলখিল করে। সেই হাসির সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাসতে লাগলো নিখিলও!
সৌভিক সারাদিন বাড়ি ছিল না। বাড়ির একটা দরকারে গিয়েছিল শহরে। সারাটা দিন সেই কাজে কর্তন করে ও যখন ফিরলো তখন সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত। গেট দিয়ে ঢুকে লন পেরোবার সময় ওর হঠাৎ কানে বাজলো হাসির আওয়াজ। শব্দ আসছে বাগানের দিক থেকে। এই ঝিঁঝিঁ ডাকা নিঝুম রাতে ওখানে বসবে কে? কৌতুহলী হয়েই পা বাড়ালো সে। একটু দূরে যেতেই চোখে পড়লো দৃশ্যটা। না কোনো অশালীন কিছু নয়, তবে অপ্রত্যাশিত তো বটেই!
‘দখিন হাওয়া’য় নিখিল আর চারু মুখোমুখি বসে। দু’জনেই কি নিয়ে যেন হাসছে খুব। প্রফুল্ল সে হাসি, কানায় কানায় আনন্দ পূর্ণ। বহুদিন পর চারুকে এমন প্রাঞ্জল দেখে অবাক হলো সৌভিক। চারুর খুশিতে সে অবশ্যই খুশি হয়, কিন্তু নিখিল? নিখিল কেন হাসছে ওর সঙ্গে? হঠাৎ কী একটা গোপন ব্যথায় চিনচিন করে ওঠে ওর বুক। অব্যক্ত আক্রোশে ফুঁসে ওঠে মন। ক্রোধান্বিত হয়ে নীরবে প্রস্থান করে সে!
__
ঘর গোছাতে ব্যস্ত ছিল অনুলেখা। হঠাৎ পেছন থেকে কে যেন উদর ছুঁলো ওর। হিমশীতল ঠাণ্ডা দু’ হাতে ঘনিষ্ট ভাবে জড়িয়ে ধরতেই পিলে চমকে উঠলো। চেঁচানোর জন্য মুখ খুলতে নিলেই একটা আহ্লাদী সুর ভেসে এলো কানে,
— “কি করছে আমার বৌটা?”
বলা বাহুল্য, এ কার কণ্ঠ! অনু মিষ্টি করে হাসলো,
— “দেখছ না ঘর গোছাচ্ছি?”
— “ঘর তো গোছানোই আছে। তুমি বরং আমাকে গুছিয়ে দাও।”
একঝটকায় ওকে ঘুরিয়ে নিজের দিকে ফেরালো। একহাতে পিঠ জড়িয়ে, অন্য হাতে কোমড় চেপে মিশিয়ে নিলো নিজের সঙ্গে। চোখে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষা। ওর নেশালু সে চোখের দৃষ্টি দেখে, অনু ভুবন ভুলানো হাসি দিলো। ওর থুতনিতে একটা চিমটি দিয়ে বললো,
— “এটা কি সেই সময়? অসময়ে উল্টো-পাল্টা না বললেই নয়?”
— “না নয়। কারণ, বৌ আমার, সময়ও আমার। এখন আমি যা খুশি বলবো। যা কিছু করবো।”
বলেই নিজের কথার প্রমাণ দেখাতে মত্ত হলো। ঠেসে ধরে চুমু খেল ওর গালে-মুখে। অবাধ্য হলো হাতের বিচরণ। অনু দেয়াল ঘড়িতে তাকিয়ে ছটফটিয়ে উঠলো,
— “আহা, কি করছ মাহাদ? দরজা খোলা, এক্ষুনি কেউ এসে পড়বে। দেখে ফেললে কি ভাববে বলো তো?”
— “কেউ আসবে না। আর এসে দেখলেও বা কি। আমি আমার বৌয়ের সাথে কি করছি, না করছি তাতে কার কি? বরং নিজেই লজ্জা পেয়ে পালাবে!”
— “ইসস! তুমি কি নির্লজ্জ গো!”
বলেই ওকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো অনু। মাহাদ কিন্তু ছাড়লো না। বরং আষ্টেপিষ্টে আঁকড়ে ধরলো। কাঁধে নাক ঘষতে ঘষতে বললো,
— “হুম। একটু তো বটেই!”
কিছুটা সময় পার হলো এভাবেই। ছটফট করতে করতে একসময় হাল ছেড়ে দিলো অনু। মৃদু স্বরে জানতে চাইলো,
— “আচ্ছা, একটা কথা বলি?”
— “শুধু একটা? একশোটা বলো? আমি কিছু মনে করবো না। শতহোক, একটাই বৌ আমার!”
ওর দুষ্টুমিতে বিরক্ত হয়ে বললো,
— “আহ্ হা। শোনোই না!”
মাহাদ ওর নাক টিপে দিয়ে বললো,
— “আচ্ছা। বলোই না।”
অনু চুপ করে রয়। কিয়ৎক্ষণ পর হঠাৎ শুধায়,
— “তখন তুমি আপাকে কি বললে? আমি চলে আসবার পর?”
এ-প্রশ্নে অবাক হয় ছেলেটা,
— “কেন?”
— “আহ্ হা। বলো তো!”
জোর দেখায় খুব। মাহাদ একটু ভেবে জানায়,
— “তেমন কিছু না। তার বোনকে নিয়ে যাচ্ছি। তার কাছে একটু মত নিতে হবে না? তাই আর-কি!”
— “সেজন্যে আমাকে চলে যেতে বলবার কি ছিল? আর ওর কাছেই বা বলবার কি? ও কে?”
হুট করেই যেন রেগে ওঠে অনু। আগের চেয়ে কণ্ঠ বেশ উঁচু শোনায়। হাত ছেড়ে দিয়ে দূরত্বে দাড়ায় মাহাদের। আকস্মিক ওর এহেন আচরণে বেশ অবাক হয় মাহাদ,
— “তুমি তাতে রেগে যাচ্ছ কেন? আমি কি ভুল কিছু করেছি? সে তো তোমার বোন!”
— “হ্যাঁ। বোন। কিন্তু তাতে কি? বোন হয়েছে বলে আমার মাথা কিনে নিয়েছে? যে ওর কাছে পারমিশন নিতে হবে?”
দপ করে আগুন জ্বলে ওর মাথায়। বারুদের মত ফুঁসে ওঠে মেয়েটা। সহসা এই ক্রোধান্বিত অনুকে চিনতে পারে না মাহাদ। প্রবল বিস্ময়ে হতবিহ্বল চোখে চেয়ে রয়,
— “এভাবে বলছো কেন? কি হয়েছে তোমার?”
সে প্রশ্নের জবাব দেয় না অনু। প্রচন্ড রাগে জ্বলতে থাকে ওর শরীর। হিস্টিরিয়া রোগীর মতো কাঁপতে কাঁপতে নিজের মতো চেঁচিয়ে যায়,
— “সবাই ওর মধ্যে পেয়েছেটা কি? খেতে চারু, বসতে চারু, সবকিছুতে চারু, চারু আর চারু! সমস্যা কি সবার? কি এমন কলোজাদু করেছে ও? যে ওকে ছাড়া কেউ কিচ্ছু বোঝে না?”
চলবে___
#মৌরিন_আহমেদ