এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায় পর্ব-০৫

0
551

#এই_সুন্দর_স্বর্ণালী_সন্ধ্যায়
#পর্বসংখ্যা_০৫

পরদিন বেশ বেলা করেই ঘুম ভাঙলো চারুর। সাধারণত সে খুব ভোরেই ওঠে। ফজরের আজান কানে পড়া মাত্রই তার সজাগ মস্তিষ্ক শরীরকে জানিয়ে দেয়, ‘উঠতে হবে। নামাজ পড়তে হবে।’ কিন্তু আজ হঠাৎ নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে বেশ দেরি করেই নিদ্রাভঙ্গ হয়েছে। এর কারণ কি কাল রাতের সেই কান্নাকাটি না অন্য কিছু — চারু জানে না!

বাড়ি ভর্তি মেহমানে। গতকাল বিয়ের মূল আয়োজন ছিল। আজ বৌভাত। এ-বাড়ির সবাই ও-বাড়িতে যাবে দাওয়াতে। তারপর খেয়ে-দেয়ে বাড়ির মেয়ে আর মেয়ে জামাই নিয়ে ফিরে আসবে হাসিমুখে — যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই তো বাঙালিয়ানা প্রথা। নিচে আসতেই চারু দেখতে পেল, ইতোমধ্যেই বৌভাতে যাওয়ার তোড়-জোড় শুরু হয়ে গেছে। মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে কি কি নিয়ে যাবেন সে নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত আজমীর রাজা। ক্ষণে ক্ষণে চিৎকার দিয়ে বাড়ি মাথায় তুলছেন তিনি। চারু সন্তর্পণে বাবাকে পাশ কাটিয়ে রান্নাঘরের দিকে এগোলো।

তিন জা, দুই ননদ আর দু’জন কাজের মহিলা — বাড়ির কর্ত্রীস্থানীয় সবাই যেন রান্নাঘরে উপস্থিত। কেউ মাছ কুটছে, থালা-বাসন ধুচ্ছে, সবজি কাটছে, একেক জনের একেক কাজ। ঘরময় তাদের পদচারণা, কথাবার্তার উচ্চস্বর, হাসা-হাসিতে কলকলিয়ে উঠছে পরিবেশ। তার উপর চুলোয় কি একটা চড়িয়েছে, তেলের ছ্যাঁত ছ্যাঁত আওয়াজ। চারুকে দেখেই আমেনা বলে উঠলেন,
— “চারু? এই তোমার উঠার সময়? ঘড়িতে দেখো তো, কতো বেলায় উঠলে?”
ভর্ৎসনা নয়, ফুপুর মুখে অভিমানী সুর। চারু লজ্জায় নত শীর করে বললো,
— “দুঃখিত, ছোট ফুপু। উঠতে একটু দেরি হয়ে গেছে!”
ভাইঝির কথা শুনে হাসলেন আমেনা। প্রশ্রয় দিয়ে বললেন,
— “আচ্ছা, মা। সমস্যা নেই। হাতমুখ ধুয়েছ? নাশতা করবে না এখন?”
চারু ঘাড় নাড়িয়ে সায় দিলো। মেজ চাচী রুটি বেলছিলেন, ওর দিক প্রশ্ন ছুঁড়লেন,
— “কি খাবি, চারু? রুটি না পোলাও? পোলাও কিন্তু বাসি— আর রুটি খেলে গরম গরম ভেজে দিচ্ছি।”
— “আচ্ছা, দাও।”
মাথা নাড়ে মেয়েটা। মেজো চাচী তিনটে কাঁচা পরোটা বানিয়ে ওর মায়ের হাতে দেন। চমক সেগুলো ভাজবেন তখনই আহসান রাজাকে আসতে দেখা গেল এদিকটায়। তিনি সংবাদ দিলেন, খাবার ঘরে এখন দ্বিতীয় ব্যাচ চলছে; তৃতীয় ব্যাচের খাবার প্রস্তুত করত। কিছু ঘাটতিও হতে পারে! অতএব, রান্না-বান্না দ্রুত সারতে। অতিথিদের সামনে যেন খেলো হয়ে যেতে না হয়!
চমক ব্যতিব্যস্ত হাতে কোনোমতে পরোটাগুলো ভেজে, ডিম আর আলুভাজি সহযোগে মেয়ের হাতে দিলেন। চারু আর বাড়তি করে খাবার ঘরে যাওয়ার ঝক্কিতে গেল না। ফুপুদের একপাশে বসলো টুল টেনে নিয়ে বসলো। বড় ফুপুকে জিজ্ঞেস করলো,
— “তোমরা খেয়েছ, ফুপু?”
— “না রে, খাই নি। কখন খাবো? সকাল থেকে যে দৌড়াদৌড়ি—”
উত্তরটা শুনে বেশ অবাক হয়ে চারু বললো,
— “সে কি! এখনো খাওয়া হয় নি তোমাদের? একজনও খাও নি।”
ছোট চাচী কড়াইয়ে গতদিনের বেঁচে যাওয়া মাংস গরম করতে দিয়েছেন। খুন্তি দিয়ে সেটা নাড়তে নাড়তে ওর দিকে তাকালেন। শাড়ির আঁচলে কপালের ঘাম মুছে নিয়ে বললেন,
— “আর খাওয়া! কাজ করেই কূল পাচ্ছি না— তোর অতো হিসেব নিতে হবে না। তুই ঝটপট খেয়ে নে। একজন লোক অন্তত কমুক।”
এতোগুলো মানুষ না খাওয়া, অথচ চারু এখানে একা বসে গিলবে? কিছুতেই যেন মন মানলো না মেয়েটার। নরম হৃদয়ে খুব অশোভন লাগলো আচরণটা। একটু টুকরো রুটি ছিঁড়ে ভাজি লাগিয়ে দিলো বড় ফুপুর মুখে,
— “নাও নাও, হা করো।”
ফুপু প্রথমে মাথা নেড়ে অসম্মতি জানালেও চারুর জেদের কাছে পারলেন না। টুপ করে গিলে নিলেন খাবারটা। এরপর একে-একে সবাইকেই একটু একটু করে খাইয়ে দিলো চারু। চমকের কাছে নিতেই উনি কপট রাগ করলেন,
— “নিজের মুখেও একটু দাও। এতো মানুষ কেউই একেবারে না খেয়ে নেই। নাশতায় চা-বিস্কুট সবারই জুটেছে। তুমিই শুধু বাকি।”
— “সে হোক। তুমি খাও তো!”
হাসতে হাসতে আরেকটা রুটির অংশ ঠুসে দিলো মায়ের মুখে।

সকাল হতেই ডেকোরেটরের লোক চলে এসেছে। সাজানো প্যান্ডেল খুলছে তারা। আসাদ রাজা লনে দাড়িয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তদারকি করছেন সবকিছুর। কখনো শান্ত সুরে, নরম গলায় কথা বলছেন, আবার কখনো বা বেজায় চটে চেঁচিয়ে যাচ্ছেন। “এই এই, এটা করছ কেন? আহ্ হা। তোমরা কি কিছু বুঝতে পারো না? আরে — ওটা করতে নিষেধ করলাম না!” — ক্ষণে ক্ষণেই তার মুখ থেকে এ-জাতীয় বাক্য শোনা যাচ্ছে। তার হম্বি-তম্বিতে ওরা সবাই অস্থির! ফলে আরও বেশি ভুল হচ্ছে কাজে, আর আসাদকেও সমানতালে চিৎকার করতে হচ্ছে!

এককাপ চা হাতে বাইরে বেরিয়েছে চারু। চাচাকে রাগ করতে দেখে এগিয়ে এলো এদিকে। কাপে চুমুক দিয়ে মিষ্টি করে হেসে বললো,
— “কি হয়েছে, ছোট চাচা? এতো রাগ করছ কেন? তোমার হৈচৈ শুনে তো মনে হচ্ছে ডাকাত পড়েছে বাড়িতে! এতো রাগ করলে চলে?”
ভাতিজির স্নিগ্ধ হাসিটা চোখে পড়তেই একটু থামলেন আসাদ রাজা। তার বরাবরই শর্ট টেম্পার। অল্পতেই রেগে একাকার। তবে আশার কথা হলো, বাড়ির ছেলেমেয়েদের সঙ্গে তিনি চেঁচামেচি করেন না। রাগটাও তেমন দেখান না। তাই আজও তার তথাকথিত ‘হট’ মেজাজটাকে ক্ষণিকের জন্য দমিয়ে রাখতে হলো। খানিক হতাশামথিত কণ্ঠে বললেন,
— “রাগ না করে করবো কি, বল? এরা একেকটা যে গাধার গাধা! একটা কাজও পারে না। উপরন্তু চোর! ওদের চেয়ারের সাথে সাথে আমাদের চেয়ারও নিয়ে যাচ্ছে! আবার বলে না-কি ডেকোরেটরের দোকান খুলে বসেছে। কতোবড় জোচ্চোর বুঝতে পারছিস?—”
আবহাওয়া বেশ গরম। বিlস্ফোlরণ হতে দেরি নেই। চারু বুঝতে পেরে সাবধান হয়ে গেল। আসাদ রাজার উদ্দেশ্যে নরম গলায় বললো,
— “সেজন্যে এতো চেঁচাতে হবে নাকি? তোমার যে বিপি হাই, সে কথা মাথায় নেই? তুমি এক কাজ কর, এদিকে অন্য কাউকে দাও। কাব্য, কবির ভাই বা কাউকে। তুমি ওদিকে গিয়ে বিশ্রাম করো গে!”
ওনাকে ঠেলতে শুরু করলো। ওর কথা যেন গায়েই ফেলতে দিলেন না আসাদ রাজা। ক্ষেপাটে ভঙ্গিতে বললেন,
— “আরে, আমি না দেখলে তো সব সাফ হয়ে যাবে। কবির – কাব্যের কথা বলছিস? তোর ওই বলদ মার্কা ভাইগুলো কিছু পারে নাকি? দেখবি ওদের চোখের সামন দিয়ে পুরো বাকি ফাঁকা করে দিয়ে গেলেও এরা কিচ্ছু টের পাবে না। ওদের উপর ভরসা করে মlরবো? বড়ভাই কতো ভালোবেসে দায়িত্ব দিয়েছে—”
— “কিন্তু তাই বলে..”
ওকে কথা শেষ করতে দিলেন না। আবারো চিৎকার করতে করতে ছুটলেন প্যান্ডেলের দিকে। ওরা স্টেজ খোলার নাম করে বাড়ির টেবিলের উপরে চড়ে কেমন অসভ্যের মতো দাপাচ্ছে। গলা উঁচিয়ে তারস্বরে চেঁচালেন ফের,
— “আরে! তোমাদের টেবিল নেই? ওটা আমাদের বাড়ির— ভাঙবে তো!”
চারু কিছুক্ষণ হতাশ চোখে তাকিয়ে পা বাড়ালো।

সৌভিকদের এই বাড়িটা আকারে বেশ বড়। দোতলা ছিমছাম ধরনের সুন্দর বাড়ি। সামনে বিরাট লন। গার্ডেন সাইডে গাছের সংখ্যাও কম নয়। একান্নবর্তী পরিবারের জন্য আদর্শ। সৌভিকের দাদা আহাদ রাজার সঙ্গে পুরো বাড়িটা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখার পর উপলদ্ধিটা আসলো নিখিলের। বৃদ্ধ আহাদ রাজার চমৎকার বাসস্থান “অরুণা ম্যানশন”– সত্যিই মনোমুগ্ধকর!
বাগানের ভেতরে একটা কটেজের মতো করা। ছোট্ট ষড়ভুজ আকৃতির ঘর, উপরে টিনের চালার মতো করে মাটির টালি বিছানো। ভেতরে বসবার জায়গা আছে। বেতের চেয়ার সাজানো, মাঝখানে কাঠের টেবিল। দেয়াল নেই বিধায় অফুরন্ত বাতাসের কারখানা। পুরো বাড়ি ঘুরে এই জায়গাটাই সবচে’ পছন্দ হলো নিখিলের। আহাদ রাজার সঙ্গে এখানেই বসলো। একটু পরেই কাজের ছেলেটা চা দিয়ে গেল ওদের। আহাদ রাজা শুধালেন,
— “তারপর, দাদুভাই? বলো দেখি, আমার বাড়ি তোমার কেমন লাগলো?”
টেবিল থেকে নিজের কাপ তুলেছিল সবে। কাপে চুমুক দিয়ে হেসে জানালো,
— “সত্যি বলতে কি, ভীষণ সুন্দর! কি পরিপাটি, গোছালো বাড়ি আপনার! সবচে’ ভালো লেগেছে এই জায়গাটা। এতো বাতাস চারপাশে! আমি মুগ্ধ!”
নিজের দারুণ কৃতিত্বের কথা শুনে কে না ভালোবাসে? সবাই তো প্রশংসাই খোঁজে! তবে নিখিল ছেলেটার কথা নিছক সৌজন্যতা রক্ষায় নয়। ওর মুখের প্রশান্ত চেহারাই সেটা বলে দিলো অভিজ্ঞ আহাদ রাজাকে। তৃপ্তির হাসি হাসলেন বৃদ্ধ,
— “এই জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। আমার নাতি-নাতনিরা সবাই এই জায়গা পছন্দ করে। প্রতিদিন বিকেলে আড্ডা দেয়। হৈ-চৈ করে এখানে বসে। ওরাই ভালোবেসে এর নাম দিয়েছে “দখিন হাওয়া”! আমার বড় নাতনি চারু, ওরই বেশি শখ ছিল এই নাম নিয়ে!”
চারুর প্রসঙ্গ উঠতেই উত্তাল হলো বুকের ভেতরটা। চনমনিয়ে উঠলো সারা দেহমন। এখন বসন্ত নয়, শীতের আমেজ। তবুও ওই একটি নাম কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই যেন শরীরে বসন্ত বাতাস ছুঁয়ে দিলো। হৃদয়ে দোলা লাগিয়ে মানসপটে ভাসলো, সেই পবিত্র-স্নিগ্ধ মুখখানি। কি সুকোমল চাহনি, সরলা বালিকার ন্যায়! অজান্তেই ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে গেল,
— “অপূর্ব!”
আহাদ রাজা দাম্ভিক হাসলেন। নিজের সন্তান, নাতি-নাতনিদের গল্প বলতে তিনি ভীষণ ভালোবাসেন। ভালোবাসেন তার সুখী পরিবারটির গল্প বলতে!
কল্পনায় এঁকে চলা রূপসী নারীকে দেখতে বিভোর ছিল নিখিল। হঠাৎ চোখ মেলে তাকাতেই দেখতে পেল সেই মুখশ্রী! স্মৃতিপটের অতীন্দ্রিয় দেবীর আগমন ঘটলো কল্প থেকে মর্ত্যলোকে। আশেপাশে চোখ বুলাতে বুলাতে চারু আসছে এদিকেই কোথাও। হাতে চায়ের কাপ, চুমুক দিচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে। চারুকে দেখেই হাঁক ছাড়লেন আহাদ রাজা,
— “ও চারু? এদিকে আয় তো, ভাই!”
চট করে ফিরে তাকালো মেয়েটা। কটেজের ভেতরে বসা দাদুকে দেখতে পেয়ে প্রত্যুত্তর করলো,
— “আসছি, দাদু!”
নিখিল এক দৃষ্টিতে চেয়েই ছিল মেয়েটার দিকে। পরনের জামাটায় লালচে রঙের শেড। ওড়নাটা ধবধবে সাদার! ঘন কালো চুলে লম্বা বেণী থেকে আলুথালু কেশ বেরিয়ে। সেই গুচ্ছ গুচ্ছ এলোকেশ এসে কপালের দুপাশে দুলছে। চোখের চশমাটা নাকের ডগায় নামানো। কাচ ভেদ করে দৃশ্যমান হয়েছে ফোলা ফোলা নেত্র। চোখে চোখ পড়তেই নিখিলের হঠাৎ গতরাতের কথা মনে পড়লো। এতক্ষণ ও যেই স্মৃতিচারণ করছিল, বারে বারে মুগ্ধ হচ্ছিল, সেই উচ্ছ্বাসে ভাটা পড়লো। গতরাতের ক্রন্দনরত সেই ব্যাকুল নারীর সঙ্গে আজকের দিনের আলোয় দেখা এই নারীর কতো ফারাক! রাতের রহস্যময়ী আর দিনে স্নিগ্ধতার মায়ায় জড়ানো — আসলে সে কেমন? কেন সে রাতে কাঁদলো? তাও মাঝরাতে, একা ছাদে? কোন গভীর ব্যথায়? আচ্ছা, মেয়েটা যে একা একা কাঁদে; তা কি এরা কেউ জানে? জানে কি, ওই হাস্যোজ্বল মুখের পেছনের কষ্ট কি? চারুর মুখের দিকে অনিমেষ চেয়ে গভীর ভাবনায় নিমজ্জিত হলো নিখিল।
___

অনুর বৌভাত। অনুষ্ঠানে অরুণা ম্যানশনে সবাই এসেছে। বাড়ির মেয়ের বৌভাত, না আসলে হয়? সবাই সেজে-গুজে, হাসি হাসি মুখ করে চলে এসেছে। দুপুরের খাবারের দাওয়াত। তারপর নববর-বধূকে নিয়ে নিজেদের বাড়ি যাবে তারা।
বেশ কিছুক্ষণ হলো একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছে নিখিল। এতোক্ষণ সৌভিকের সঙ্গেই ছিল। কিন্তু হঠাৎ কে যেন এসে ডাকায় ওকে রেখে চলে গেছে ছেলেটা। অগত্যা অপরিচিত বাড়িটায় একা একা ঘুরতে হচ্ছে নিখিলকে। এতে অবশ্য ও বিরক্ত হচ্ছে না। বরং, অতি আগ্রহের সাথেই সে হেঁটে বেড়াচ্ছে। আর আনমনে খুঁজে বেড়াচ্ছে চারুকে। কি জানি কেন, গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে এই নামটি তার মাথা থেকে বেরোচ্ছেই না! কেমন আঠার মতো লেগে গেছে মাথার ভেতর। চুম্বকের মতো আকর্ষণ করছে সে। তাকে নিয়েই ওর যতো কল্পনা-জল্পনার আয়োজন চলছে! এর কারণ ঠিক প্রেম না অন্যকিছু, অনুভূতি বিশ্লেষণে অনভিজ্ঞ নিখিল নওশাদ তা জানে না!

চলবে___

#মৌরিন_আহমেদ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে