#উজানের_ঢেউ (১১)
কলমে✍️ #রেহানা_পুতুল
মুহূর্তেই আমার হাসিহাসি মুখে ভর করলো প্রগাঢ় নৈঃশব্দ্যতা ও বেদনার স্তুপ।
কেন বুকের ভিতরে এমন পাক খাচ্ছে আমি যেন বুঝেও বুঝি না। আমার মুখ দিয়ে কোন শব্দই উৎসারিত হচ্ছে না। শব্দরা এসে ঘাপটি মেরে বসে আছে গলার মাঝে। একটা হিসেব মেলাতে খুউব কষ্ট হচ্ছে। আমার মৌনতা টের পেয়ে ওপাশ হতে আবারো ভেসে এলো মাহমুদ ভাইয়ের গম্ভীর ডাক।
” এই পানকৌড়ি? চুপ হয়ে গেলি যে?এনি প্রবলেম? ”
নিজেকে একটু সামলে নিলাম। বললাম,
” মাহমুদ ভাই আমি তো ভেবেছি, আপনি আমার পার্লারের কথা শুনেই অভিনন্দন জানিয়েছেন। ”
তিনি এবার উজ্জ্বল হাসি দিলেন। উৎসুক চমকিত কন্ঠে বললেন ,
” ওরেব্বাস! আমার পানকৌড়ি দেখি অলরাউন্ডার হয়ে যাচ্ছে। এটা তো জানতাম না। ডিটেইলস শুনি তো?”
আমি উনাকে এ টু জেড সবই জানালাম। এবং পারলে যেনো মিলাদে উপস্থিত থাকে, অনুরোধ করে বললাম। উনি বলল,
” মিলাদে না থাকতে পারলেও তোর বিয়েতে থাকবো প্রমিজ।”
” আমার বিয়ে ঠিক হওয়াতে আপনি খুব হ্যাপি তাইনা?”
মাহমুদ ভাই ওপাশে থম মেরে রইলেন। একটু পরে বললেন,
” কাকা ঠিক করেছে। তুই রাজী হলি। হ্যাপি না হয়ে উপায় কি?”
” উপায় থাকলে কি করতেন? ”
” যা করণীয় আমার। সবই করতাম। কানাকড়িও বাকি রাখতাম না।”
“আমি রাজি বিয়েতে। কে বলল আপনাকে?”
” কাকা কি তোর মত না নিয়েই পাত্র ঠিক করলো?”
” আমার মত নেওয়া পর্যন্ত এখনো যায়নি। সূচনাতেই আছে বিষয়টা। আর ধারণা করে সব বলা ঠিক নয় মাহমুদ ভাই।”
অভিমান করে ফোন লাইট কেটে দিলাম তড়িতেই। বিলম্ব না করে তখনই মাহমুদ ভাই বারবার ফোন দিচ্ছে। আমি রিসিভ না করেই মোবাইলের সুইচড অফ করে দিলাম।
👉 #রেহানা_পুতুল পেইজে 👉 like ও Follow দিতে কি সমস্যা আমি বুঝিনা। অথচ শতশত জন গল্প পড়েন।
ফোন অন করার পর দেখলাম মাহমুদ ভাই আর কোন ফোন দিলনা। কোনভাবেই যোগাযোগ করছে না।
দিন ফুরালো। নতুন মাসের আগমনী বার্তা শুরু হলো। নিজেকে আত্মমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুখ স্বপ্নে আমি বিভোর। পার্লারে মিলাদ পড়ানো হলো পরিবারের সবার সরব উপস্থিতিতে। কিছু নিকটজনও ছিলো আমাদের। আঞ্জুমানও ছিলো তার স্বামীসহ। মিষ্টি বিতরণ করা হলো। সবকিছু সুন্দরভাবে ভাবগাম্ভীর্যের সাথে সম্পন্ন হলো আমার বাবার তদারকিতেই।
পার্লারের নিউ বিউটিশিয়ান সাংমাও ছিলো। সাংমার সাথে পরিচিত হলাম। উচ্চবংশীয় রাখাইন মেয়ে সাংমা। টেনে টেনে বাংলা বলে। উপভোগ করলাম তার বাংলা বলার ধরন দেখে।
দেখতে দেখতে মাস চলে গেলো। পার্লার নিয়মানু্যায়ী চলছে। বলা যায় খরগোশ গতিতে। জনপ্রিয় পার্লারগুলো ফেলে নতুন এটায় কাষ্টমার না আসা বা কম আসাই যুক্তিসঙ্গত। কেউ কেউ পার্লারের কাঁচের দরজা ঠেলে ঢুঁ মেরে চলে যায়। তখন সাংমা বিরক্তি নিয়ে আমার দিকে চায়। আমি হাস্যোজ্জ্বল মুখে সাংমাকে আস্বস্ত করি। বলি,
” যতটুকু কাজ করবে পুরো ডেডিকেশান নিয়েই করবে। দেখবে নাম ছড়িয়ে যাবে জনেজনে। তখন সময় তোমাকে কত কাষ্টমার উপহার দিবে। জিরোবার অবকাশটুকুও পাবে না। এটাই সিস্টেম। এটাই নিয়ম। ”
সাংমা মুগ্ধ চোখে আমার দিকে চেয়ে রয়। বেদবাক্যের মতো মনোযোগী শ্রোতা হয়ে শুনে নেয় আমার বলা কথাগুলো।
হাতেগোনা কাষ্টমার নিয়ে আমার মাঝে উৎকন্ঠা কাজ করছে না একটুও। কারণ বাবা বলছে,
ক্ষুদ্র কিংবা বৃহৎ হোক যে-কোন ব্যবসায় প্রথম ছয়মাস লাভের আসা করাটাই বোকামী। বরং লস হতে পারে এটাই হাসিমুখে মেনে নিতে হবে।
প্রতিদিন নাস্তা খেয়ে রাজনকে নিয়ে পার্লারে চলে যাই। একবারে সন্ধ্যায় ফিরি। মাঝে মাঝে শুক্রবার কলেজ বন্ধ থাকে বলে রাবু সেদিন আসে।
রোজ দু একবার ‘ অঙ্গসাজ’ এ আমাকে সঙ্গ দিয়ে যায় আঞ্জুমান। আঞ্জুমানের সাথে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। স্কুল কলেজে অতটা ছিলনা। সে একটু চাপা স্বভাবের মেয়ে ছিলো। পড়াশোনায় ভালো ছিলনা বলে সবসময় লাস্ট বেঞ্চ ছিলো তার প্রিয়।
জীবনে পথচলায় কখন কাকে কোন কাজে লাগে,কার সাথে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হবে। এই ভবিষ্যৎদ্বানী মনিষীগণও বলতে পারবে না।
একদিন বাবা, মা, রাবু, নয়ন আমার রুমে এলো। আমি জিজ্ঞাসু চোখে চাইলাম তাদের দিকে।
মা বললেন,
” তুই বললি সেই পাত্রের সাথে দেখা করবি। কই কিছু তো জানালি না আমাদের। আমরাও ইদ্দতের সময়কাল শেষ হয়নি বলে তোকে ঘাটালাম না। ”
” মা, ঠিক এই সময়টা শেষ হওয়ার জন্যই আমিও অপেক্ষা করছি। আর পার্লারটাও গুছিয়ে নিলাম এই ভিতরে।ব্যাস।”
পাশ থেকে বাবা আন্তরিক কন্ঠে বলে উঠলো,
” এখন তো ইদ্দতের তিনমাস শেষ হয়েছে। চার মাস চলছে। তাহলে আসছে শুক্রবারে দেখা কর সেই ছেলের সাথে। ফোনে কথা বলে নিবি আগে? নাকি বলিস?”
” বাবা সেদিন দেখা করার আগেই নাম্বার দিও। এখন লাগবেনা। দেখা করেই যা বলার বলব। আলাদা করে ফোনে কিছু বলা অনাবশ্যক মনে করি আমি।”
” ঠিকাছে মা। যা ভালো মনে করিস।”
” আপা তুই একা যাবি। আমিও আসব তোর সাথে? ”
” নাহ। লাগবে না। আমি একাই মিট করব তার সাথে।”
” বাবা উনিতো চট্রগ্রাম থেকেই আসবে। তুমি উনাকে বলে দিও চৌরাস্তা ‘ আয়োজন’ রেস্টুরেন্টেই আমি থাকব। যেহেতু একই জেলার। আশাকরি সে ভালো করেই এসব চিনে।”
তারা আমার সামনে থেকে চলে গেলো। আমার খুব অস্বস্তি লাগছে। একা একজন মেয়ে হয়ে আননোন একজন পুরুষের সাথে দেখা করবো। কিন্তু এছাড়া উপায় নেই। কাউকেই পাশে রাখা যাবেনা। আমি তাকে এমনভাবে কিছু কথা বলব,যেনো সে নিজ থেকেই বিয়ে ভেঙ্গে দেয় কিছু একটা বলে।
কথায় আছে ‘ যাকে একবার কুমিরে কামড়ায়,সে ঢেঁকি দেখলেও ভয় পায়।’
তাই মন সায় দিচ্ছেনা অন্যকারো সাথে গাঁটছড়া বাঁধার। লাইফে অচেনা,অজানা কাউকে সঙ্গী করবো, এই সাহস আমার মাঝে বিলীন। বরং পুরুষকে নিয়ে ভয়,অবিশ্বাস, দ্বিধা, অনাগ্রহ, দুর্ভাবনা এসব আমাকে আকঁড়ে থাকে সবসময়। কি কথা বলব তাও মনস্থির করে নিয়েছি।
ঘটনাটি তার একদিন পরের। সময়টা সাঁঝক্ষণ ফুরিয়ে যাবার পর। আমি রাজনকে নিয়ে ঘরে পা রাখলাম মাত্র। আমার জেঠাতো বোন আসমা হন্তদন্ত পায়ে ছুটে এলো আমাদের ঘরে। আমরা সবাই বুভুক্ষুর ন্যায় হা হয়ে চেয়ে আছি আসমার মুখচ্ছবির দিকে।
” চাচী,রত্না বু খবর পাইছো?”
” না কিসের খবর?”
অবাক কন্ঠে বলল মা।
” রাজনের আব্বু গতকাল নাকি এক্সিডেন্ট করছে মারাত্মকভাবে। ঢাকা সায়েদাবাদে। রাস্তা পার হতে গিয়ে। পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি নাকি এখন। শুনলাম আজ এক পায়ের হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলেছে ডাক্তাররা।”
” তুই এতখবর কিভাবে জানিস?”
মা জানতে চাইলো চোখ কপালে তুলে।
আমি স্ট্যাচু হয়ে একপাশে দাঁড়িয়ে রইলাম। কারো নির্মম পরিণতি শোনার অধীর অপেক্ষায়। রাবু বসা থেকে তড়াক করে লাফিয়ে উঠলো। বলল,
“মারহাবা। এইতো বিধির খেলা।”
মা রাবুকে হালকা ধমক দিলো। আসমা বিপুল আক্ষেপের সুরে বলল,
” আমি রত্না বুর শশুর বাড়ির মায়ার থেকে শুনলাম। আমি মায়া, শিরিন একই কলেজে ডিগ্রীতে পড়ি। শিরিনের সাথে মায়ার বন্ধুত্ব ছোটবেলা থেকেই। যেহেতু তার খালার বাড়ির মেয়ে। সেই সুবাদেই তো সই পাতলো দুজনে। আশরাফুল ভাই জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেলো চাচী। কোন কাজকর্মই নাকি আর করে খেতে পারবে না।”
রাবু চনচন গলায় বলে ফেলল,
” এই আসমা আপা। কে বলছে পারবে না। বসে বসে ভিক্ষা করতে পারবে। টিভিতে দেখনা,ঢাকা শহরে ভিক্ষুকদের ইনকাম ফাটাফাটি। টাকা জমিয়ে নদীর ওপারে খোলামুড়াতে জায়গাও কিনতে পারে তারা।”
মা গরম চোখে রাবুর দিকে চাইলেন। বললেন,
“কোন মানুষকে নিয়ে এমন উপহাস করা ঠিক নয়। বুঝলি। ত্যাঁদড় মেয়ে কোথাকার। আজ যদি তোর বোন তার ঘরে থাকতো? তখন কি এসব বলতে পারতি?”
” ইসসরে! আমার বোন তার ঘরে থাকলে এমন হতইনা। সে ঢাকা কেনো যেতো? সেতো গ্রামে থাকা শেষ হলে আবার বিদেশ চলে যেতো। সব আল্লাহর ইশারা। বুঝছো আম্মা।”
আসমা চলে গেলো। আমার মাথা কেমন ঝিম মেরে আছে। মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষে কোষে অজস্র পোকারা কিলবিল করছে। এমন অসহ্য লাগছে কেন বুঝিনা। হৃদয়ের গভীর হতে কেবল একটা লম্বা দীর্ঘস্বাস বেরিয়ে এলো। মা রাজনকে কোলে নিলো। আমি ফ্রেস হয়ে পোশাক চেঞ্জ করলাম। নিজের অজান্তেই মাহমুদ ভাইয়ের কথা মনে হলো। চাইলেই আমি মেসেজ দিতে পারি। কিন্তু আমি দিবনা। এতে আমার দূর্বলতা প্রকাশ পাবে। উনি থাকতে পারলে আমি কেন পারব না। আমিতো উনাকে ভালোবাসিনি। স্বপ্নের বালুচরে ঘর বাঁধিনি। ভেবে ভেবে বিনিদ্র রজনী কাটাইনি। হুহ!
চট করেই শিরিনের কথা মনে হলো। আমার সাথেই শিরিনের খুব ভাব ছিলো। মানুষকে আপন করার আশ্চর্য ক্ষমতা রাখে এই মেয়েটা। কি যে হবে এখন তার। অথচ কত ধনী ঘরের মেয়ে। দিন না গড়াতেই জীবন তাকে নিংড়িয়ে দিলো। পিষে ফেলল শিল পাটার মসলার মতো। উহু!
শিরিনকে কৌতুক করে একদিন বললাম,
” আপনি মাদ্রাসা থেকে ইন্টার পাস করেছেন। মানে আলিম পাশ। এখন পড়তেছেন ফাজিল এ। মানে বি.এ। ভুলেও ফুলহাতা, থ্রি কোয়াটার হাতা ছাড়া শট হাতার কামিজ পরেন না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। মাথা থেকে কখনো ওড়না পড়েনা। নড়েনা। এককথায় বলতে গেলে অতিরিক্ত শালীন ও ধর্মীয়রীতি মেনে চলা একজন মেয়ে। যে কোন ছেলের সাথে হুট করে কথা বলেন না। সামনে আসেন না। এসবই অত্যন্ত সুন্দর শিরিন আপা। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো বিয়ের আগে কোনো ছেলের সাথে রিলেশনে জড়ানো তো আমাদের ইসলামে নিষিদ্ধ। গর্হিত। তাহলে লোকচক্ষুর অন্তরালে চুটিয়ে প্রেম করা কি আপনার সাজে বা মানায়?”
শিরিন সেদিন আমার গাল টিপে মুচকি হেসে বলল,
” ক্ষুধায় মানে না বাসি পঁচা ভাত। প্রেমে মানে না জাত বেজাত। অনুভূতি, আবেগের কাছে মোরালিটি তুচ্ছ। হার মানে। বুঝলে রঙিলা বধু।”
আমি আর কিছুই বলতে পারলাম না শিরিনের এমন লজিক শুনে।
আজ শুক্রবার। যেহেতু পাত্রকে মানা করে দিবো। তাই অতিরিক্ত পরিপাটি সাজলাম না। পার্লারে যেমন আসি নিত্যদিন। তেমন হালকা সাজেই আসলাম। ফোন দিলাম না তাকে। মেসেজে জানিয়ে দিলাম সময়টা। আর চেনার সুবিধার জন্য দুজন দুজনের পোশাকের কালার টা জেনে নিলাম। তাও লিখার ভাষায়। কিছুটা নারভাসনেস কাজ করছে মনের ভিতর। এই প্রথম লাইফে কারো সাথে এভাবে মিট করতে এলাম। অস্বস্তিও লাগছে বেশ। বুকে ফুঁ দিয়ে নিলাম দোয়া দুরুজ পড়ে। রেস্টুরেন্টের ভিতরে প্রবেশ করলাম। আগেও একবার এসেছি এখানে। এক ভাই ভাবির সাথে।
আমার চোখে মেরুন রঙের সানগ্লাস। বেশী রোদে বা সুপারশপে যেতে এই সানগ্লাস আগে ইউজ করতাম। আমি সানগ্লাসের ভিতর দিয়ে চারদিকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে নিলাম। কিন্তু সেই নিদিষ্ট কালারের শার্ট পরা কাউকেই দেখতে পেলাম না। তবে কর্ণারের গোল টেবিলটাতে দেখলাম একজন সুদর্শন ছেলে বসা। একপাশ থেকে দেখা যাচ্ছে তাকে। কালো চেকের টির্শাট। চোখে সানগ্লাস। হাতে দামী ঘড়ি জ্বলজ্বল করছে। পরনে ব্রাউন কালারের জিন্স। পায়ে সুন্দর ক্যাডস পরা। তার সামনে একগুচ্ছ ফুলের তোড়া। দেখতে ভালোলাগার মতো। একপাশে ঘুরে সে মোবাইলে কথা বলছে। তাই মুখ দেখতে পেলাম না। কন্ঠ ও শুনতে পেলাম না।
আমি তার পাশের টেবিলে গিয়ে বসলাম। হয়তো পাত্র জ্যামে পড়েছে। যেহেতু দূর হতে আসবে। এই ভেবে অপেক্ষা করতে লাগলাম। মোবাইল হাতে নিয়ে তাকে এবার ফোন দিলাম মেসেজ না দিয়ে। পাশের টেবিলে তাকাতেই দেখি সেই ছেলে নেই। হয়তো বেরিয়ে গিয়েছে।
ফোন রিসিভ হলো না। আমি হতাশ ও বিরক্ত হলাম বাবার উপরে। এভাবে একা একজন মেয়েমানুষ কতক্ষণ অপেক্ষা করতে পারে। উঠে দাঁড়ালাম। ব্যাগ হাতে নিলাম। চলে যাবার উদ্যত নিতেই আমার সামনে ধুমকেতুর মতো উপস্থিত হয়ে গেলো বাবার সেই কাঙ্ক্ষিত পাত্র।
চলবে.. ১১