#আড়ালে_ভালোবাসি
#পর্ব_৮
#নন্দিনি_চৌধুরী
আজকে স্নেহার জন্মদিন।আজকের দিনে সে ১৮ বছর বয়সে পা রেখেছে।আরাফ আজকে স্নেহার জন্য দুইটা সারপ্রাইজ তৈরি করে রেখেছে।আরাফের বাগান বাড়িতেই আজকে স্নেহার জন্মদিন পালন করবে সবাই।তাই সেখানেই সব গোজগাজ হচ্ছে।
স্নেহা বেলকনিতে বসে আছে আর গতকালকের কথা ভাবছে।
গতকাল,,,,,
স্নেহা রুমে বসে আছে। সে আরাফেএ প্রতি খুব রেগে, আছে কারন আর কিছুক্ষনপর তার জন্মদিন। অথচ আরাফের কোনো খবর নেই। সেতো তার প্রথম উইশটা আরাফের থেকে পেতে চায়।স্নেহা রুমে বসে পাইচারি করছে আর আরাফের গুষ্টির তুষ্টি উদ্ধার করছে।এরকম করতে করতে হঠ্যাৎ ঘরের লাইটগুলো অফ হয়ে গেলো।
স্নেহা;যাহ্ বাবা এটা কি হলো! এই অসময় লোডশেডিং দূর ভাল্লাগেনা।
স্নেহা ফোনের ফ্লাস জালিয়ে বাহিরে বেরোনোর জন্য পা রাখতেই কেউ ওর চোখে কাপড় বেধে দেয়। স্নেহা এরকম আচমকা ঘটনায় ভয় পেয়ে যায়। ভয়ে সে যেইনা চিৎকার করতে যাবে সেই অপর মানুষটা ওর মুখ আটকে ধরে।আর ফিসফিসিয়ে বলে,
“হুস একদম চুপ কোনো চিৎকার না”।
স্নেহা ভয়ে কোনো কথা বলতে পারছেনা। সে ভাবছে এটা কি চোর নাকি ডাকাত না কিডনাপ্যার।
স্নেহাকে কোলে করে সেই লোকটা ছাদে নিয়ে গেলো। তারপর তাকে নামিয়ে দিলো ছাদে। তারপর আস্তে করে চোখের বাঁধন খুলে দিলেই স্নেহা তাকিয়ে দেখে আরাফ দাঁড়ানো তার সামনে।আরফকে দেখে স্নেহার রাগ লেগে যায়। সে অভিমান করে চলে যেতে নিলে। আরাফ তাকে আটকে দেয় আর বলে,
আরাফ:উম কোথাও যাওয়া যাবেনা এখন ম্যাডাম।
স্নেহা:ছাড়ো আমাকে আমার তোমার সাথে কথা নেই।
আরাফ:আচ্ছা কথা বলতে হবেনা তুমি একটু সামনে তাকাও।
স্নেহা আরাফের কথা মত সামনে তাকালেই সাথে সাথে লাইট গুলো জ্বলে উঠে। স্নেহা অবাক চোখে তাকিয়ে আছে কারন, পুরা ছাদ খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করা। ছাদের সব জায়গায় বেলুন লাইট লাগানো। স্নেহার পায়ের নিচে একটা লাল কার্পেট তার উপর অসংখ্য গোলাপ ফুলের পাপড়ি। স্মেহার কিছুটা সামনে একটা টেবিলে কেক রাখা। আরাফ এভার স্নেহার কানে কানে বল্লো,
আরাফ:এভার উপরে একটু তাকাও।
স্নেহা আরাফের কথায় উপরে তাকিয়ে দেখে আকাশে হ্যাপি বার্থডে স্নেহা লেখা উঠেছে।
স্মেহার চোখ আনন্দে ভোরে ওঠে সে সজ্ঞে সজ্ঞে আরাফকে জরিয়ে ধরে বলে,,
স্নেহা:থ্যাংকিউ থ্যাংকিউ সো মাচ্।আমাকে এত সুন্দর জন্মদিনের উইশ করার জন্য।
আরাফ স্মেহাকে জরিয়ে ধরে বলে,
আরাফ:পছন্দ হয়েছে?
স্নেহা:অনেকককককককককককক।
আরাফ:হাহা্হা আচ্ছা চলো এভার কেক কাটো।
তারপর স্নেহা কেক কাটে আরাফ স্নেহাকে আগে খাওয়ায় তারপর স্নেহা আরাফকে।
স্নেহা:সবঠিক আছে কিন্তু তুমি আজ সারাদিন কই ছিলে? আমাকে আজকে কলেজ থেকে নিতেও যাওনি।😤
আরাফ:তোমার জন্য সারপ্রাইজ প্ল্যানিং করছিলাম পাখিটা আমার। থাক রাগ করেনা বাবুটা।
স্নেহা:হু রাগ করবোনা যদি একটা কাজ করো তাহলে।
আরাফ:কি কাজ?
স্নেহা:আমার জন্য একটা গান গাও।আর বলাএ চেষ্টাও করোনা তুমি গান পারোনা। আমি সেঝ আম্মুর থেকে শুনেছি তোমার গানের গোলা খুন ভালো। নেও তাড়াতাড়ি শুনাও।
আরাফ:যো হুকুম মহারাণী
আরাফ নিচে গিয়ে গিটার নিয়ে আসলো
তারপর স্নেহাকে দোলনায় বসিয়ে আরাফ আরাফ টেবিলটা এনে ওর উপরে বসে গান ধরলো,,
“তুমি কি আমার হাসি মুখের আবার কারন হবে(2x)
“তুমি কি আমার শত ভুলের আবার বারন হবে(2x)
“দেবোনা জল আসতে চোখে কোনোদিন ও আর(2x)
“আর একটিবার দাও যদি জল মুছার অধিকার”(2X)
“তুমি কি আমার হাসি মুখের আবার কারণ হবে”
“তুমি কি আমার শতভুলের আবার কারণ হবে”
“আমি তোমার নতুন ভোরের সূর্য হতে চাই (2x)
“আমি আবার তোমার আশার প্রদিপ হতে চাই(2x)
“দেবোনা জল আস্তে চোখে কোনোদিন ও আর(2x)
“আর একটিবার দাও যদি জল মোছার অধিকার(2x)
“মুছে ফেলো অভিমানের দাগটি তুমি এভার(2x)
“হাসির আলোয় আমায় করো আলোকিত আবার(2x)
“দেবোনা জল আসতে চোখে কোনোদিন ও আর(2x)
“আর একটিবার দাও যদি জল মোছার অধিকার(2x)
“তুমি কি আমার হাসি মুখের আবার কারন হবে
“তুমি কি আমার শত ভুলের আবার বারন হবে
“দেবোনা জল আসতে চোখে কোনোদিন ও আর
“আর একটিবার দাও যদি জল মুছার অধিকার”
গান শেষে হতেই আরাফ তাকিয়ে দেখে স্নেহা মুগ্ধ নয়নে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।আরাফ স্নেহার সামনে এসে ঝুকে বোলে,
আরাফ:কি মেডাম খুশি?
স্নেহা কিছুনা বলে উঠে ওকে জরিয়ে ধরে বলে,
স্নেহা:খুব খুশি।ভালোবাসি আরাফ খুব ভালোবাসি।
আরাফ স্নেহার কপালে চুমু দিয়ে বলে,
“ভালোবাসি”
বর্তমানে,,,
স্নেহা সোফায় বসে আছে। খুব মন খারাপ লাগছে ওর। বাসায় কেউ ওকে এখনো উইশ করলোনা। সবাই কি ভুলে গেলো নাকি।
স্নেহা মন খারাপ করে বসে আছে। এমন সময় স্নেহার ফোনে একটা কল এলো আরাফের।
আরাফ:হ্যালো স্নেহা
স্নেহা:হুম বলো।
আরাফ:শুনো বিকেলে তুমি আমার বাগান বাসায় এসোতো একটা কাজ আছে।
স্নেহা:আচ্ছা তবে কি কাজ?
আরাফ:আসলেই দেখবা এখন রাখি।
স্নেহা ফোন রেখে ভাবছে কি কাজে আরাফ তাকে ডাকছে।
বিকালে আরাফের কথা মতো স্নেহা ওর বাগান বাসায় গেলো আরাফ স্নেহার ফোনে ঠিকানা ম্যাসেজ করে দিয়েছিলো।স্নেহা বাসার সামনে আসলে দেখে আরাফ গেটে দাঁড়ানো।স্নেহা আরাফের দিকে এগিয়ে গেলে আরাফ ওর দুই চোখে আবার কাপড় বেধে দেয়।
স্নেহা:আরে আরে কি করছো আবার?
আরাফ:চুপ এত কথা বলো কেনো যা করছি দেখবাই চোলো হাটো।
আরাফ স্নেহাকে নিয়ে একটা রুমে আসে।এসে স্নেহার চোখ থেকে কাপড় খুলে দেয়।স্নেহা ভালো করে চারিপাশে তাকিয়ে দেখে বেশ বড় রুমটা আর অনেক সুন্দর করে গুছানো।
আরাফ কাভার্ড থেকে একটা শপিং ব্যাগ এনে স্নেহার হাতে দেয় আর বল,
আরাফ:এই নেও এই ব্যাগটা ধরো এখানে তোমার সব সাজগোজের জিনিস দেওয়া। তুমি রেডি হয়ে বসো সন্ধ্যায় আমি তোমাকে নিচে নিবো।
আরাফ কথাটা বলেই রুম থেকে চলে গেলো।
স্নেহা বেকুবের মতো হয়ে গেলো আরাফের কথা শুনে।তাও ব্যাগটা খুলে দেখে সেখানে একটা কালো রং এর গাউন সাথে কিছু হালকা জুয়েলারি। স্নেহা সেগুলা নিয়ে রেডি হতে চলে গেলো।
রেডি হতে হতে ৬টা বেজে গেলো।একটু পর আরাফ রুমে এসে তো পুরাই সকড।স্নেহাকে এই ব্লাক গাউনে অনেক সুন্দর লাগছে।আরাফকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে স্নেহা ওর সামনে এসে তুড়ি বাজিয়ে বলে,
স্নেহা:এভাবে তাকিয়েই থাকবে নাকি কিছু বলবে😑?
আরাফ:হ, হ্যা,চলো নিচে ওহ তার আগে দাঁড়াও আগে চোখ বেধে দিয়ে নেই।
স্নেহা:আবার?
আরাফ:আর একটু প্লিজ
স্নেহা:হু
তারপর আরাফ স্নেহার চোখ আবার বেধে নিচে নিয়ে গেলো নিচে এসে স্নেহার চোখেএ বাধন খোলার সাথে সাথে সবাই এক সাথে বলে উঠে,
“HAPPY BRITHDAY SNEHA”
সবাইকে এখানে দেখে অবাক হয়ে যায়। স্নেহা সে ভাবতেও পারেনি সবাই তাকে এভাবে সারপ্রাইজ দেবে। স্নেহা সবাই কে দেখে অনেক খুশি হয়।স্নেহার বাবা ওর কাছে এসে ওর কপালে চুমু দিয়ে বলে,
বাবা:আমার মেয়েটা কত বড় হয়ে গেলো সুখি হো মা সব সময় ভালো থাক।
স্নেহার বাবা স্নেহার হাতে একটা বক্স দিয়ে বললেন,
বাবা:এখানে তোর জন্য রাখা তোর মায়ের সব গহনা আছে সাথে কোন ব্যাংকে কি আছে তার সব ডিটেইলস আছে।এখন এগুলা তুই নিজ দায়িত্যে বুজে নে।এখন এগুলোর থেকে আমার ছুটি।
স্নেহা:বাবা এগুলা তোমার কাছেই থাকুক না আমাকে কেন দিচ্ছো।
বাবা:না মা এগুলা তোর তাই এখন থেকে তোর কাছেই রাখ।
সবাই মিলে বেশ কিছুক্ষন আনন্দ করার কিছুক্ষন পরেই সেখানে আকাশ আসলো।আকাশকে মূলত আরাফই জোর করে নিয়ে আসছে নাহলে আকাশের এখানে আশার কোনো ইচ্ছাই ছিলোনা।
সবাইকে একসাথে জোরো করে এভাএ আরাফ বলতে শুরু করলো,,,
আজকে এই জন্মদিনে আমি স্নেহার জন্য একটা বিষেশ উপহার তৈরি করে রেখেছি।
এভার ওকে সেটা দেবার পালা।
তোমরা সবাই জানো গত ছয় মাস আগে স্নেহা আর আকাশের এংগেজমেন্ট এর দিন আকাশ স্নেহার কিছু পিক আর ভিডিও পেয়েছিলো। যার প্রেক্ষাপটে আকাশ স্নেহাকে ছেড়ে দিয়ে মিতুকে বিয়ে করছে।
সেদিন আকাশ একভার ও সত্যি কি মিথ্যা যাছাই করেনি। আজ আমি তোমাদের কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা তা জানাবো।
আরাফ কাউকে কল করে ভিতরে আসতে বলে।কিছুক্ষনের ভিতরেই সেখানে আবির আএ নুয়াজ আসলো।
কেউ বুজতে পারছেনা যে আরাফ কি করতে চলেছে।আকাশ নিজেও বুজতে পারছেনা কি হতে যাচ্ছে।
আরাফ আবার বলা শুরু করলো,,
এই হচ্ছে আমার বন্ধু আবির।একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার।আমি যখন স্নেহার ওই পিক গুলো আর ভিডিওটা হাতে পাই তখন আমি ওর সাথে কন্টাক্ট করি। ওকে বলি এর সত্যতা যাছাউ করতে। ও আমার থেকে তিনদিন সময় নেয়। তিনদিন পর আমাকে আসল সত্যটা হাতে দেয়। আমি চাইলে তোমাদের সেটা দেখাতে পারতাম কিন্তু আমি চেয়েছিলাম আসল কাল্পিটকে বের করতে।তাই আমি সব খোজ খবর নেওয়া শুরু করলাম।
জাফর হাসান:আরাফ অই পিক গুলা ফেক?
আরাফ:জি বড় আব্বুর এক্ষুনি তোমাদের দেখাচ্ছি আসল সত্যটা।
আরাফ আবিরকে ইশারা করলে আবির আরাফদের বড় প্রজেক্টরটাতে দেখানো শুরু করে।
আবির:এই যে ছবি গুলো আপনারা এখন দেখছেন এগুলা হলো সেই ছবি যেটা আপনারা হাতে পেয়েছিলেন। যেখানে স্নেহাকে দেখা যাচ্ছে একটা ছেলের সাথে।আর এখন আপনারা যেই ছবিটা দেখবেন সেটা হচ্ছে এই ছবিটার আসল কপি।
সবাই স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে অবাক।আসলেই স্নেহার জায়গায় অন্য একটা মেয়ে আর সেই ছেলেটাই।কিন্তু শুধু স্নেহার জায়গায় অন্য মেয়ে।
আবির:এই যেই ছবিটা এখন আপনারা দেখছেন সেইটাই হলো আসল।এই মেয়েটার মুখটা সরিয়ে কেউ এডিট করে স্নেহার ছবি অখানে বসিয়েছে।আর এই ভিডিওটাতেও সেই সেম মেয়েটাই আছে কেউ ইচ্ছা করেই এর মুখটা ব্লুয়ার করে দিয়েছিলো।যাতে করে যেই ওই কাজটা করেছে সে বিলিভ করাতে পারে আকাশকে যে ভিডিওতে থাকা মেয়েটাও স্নেহাই।
ইকবাল:এই সব করার কারন কি আর এই ছেলেই বা কে ওর সাথে স্নেহার শত্রুতা কি ছিলো?
আকাশ এত্তক্ষন এসব দেখে হতভম্ব হয়ে গেছে সে কি বড় ভুল করে ফেল্লো এটা?
আরাফ:উহুম মেঝ আব্বু এই ছেলের স্নেহার সাথে কিছুই নেই সেতো এগুলা করেছে টাকার বিনিময় এক্ষনি জানবে একটু দাঁড়াও।
আরাফ আবার কাউকে কল দিলো।
এবার পুলিশের সাথে করে সেই ছেলেটাকে আনা হলো যার ছবি সবাই দেখেছে।
জাফর:এই ছেলেকে তো উচির সাজা দেওয়া উচিত। আমাদের বাড়ির মেয়ের সাথে এমন করার সাহস পায় কি করে?
আরাফ এভার ছেলেটার কাছে এগিয়ে এসে সবার দিকে তাকিয়ে বল্লো,
আরাফ:এর নাম হচ্ছে রাহাত।রাহাত আকাশদের ভার্সিটিতে পরে।একটা প্লেবয় ও বিভিন্ন মেয়েদের সাথে রিলেশন করে তাদের সাথে ফিজিকাল হয়ে সেই ভিডিও ধারন করে মেয়েদের ব্লাকমেইল করে।কেউ একজন ওর থেকেই একটা ভিডিও নেয় আর কিছু ছবি বিনিময় ওকে টাকা দেয় টাকার লোভে ও দিয়ে দেয় সেগুলা।এরপর পালিয়ে যায় শহর ছেড়ে।আমি যখন এই আসল ছবি গুলা হাতে পাই তখন আকাশের ভার্সিটিতে খোজ লাগাই।আমার মনেই হচ্ছিলো এই ছেলেটা আকাশের ক্লাসের কেউ হবে।কারন ওর বায়ো ডাটা যখন বের করি তখন আকাশের ভার্সিটির নাম দেওয়া ছিলো ওর ফাইলে।আমি ভার্সিটিতে খোজ নিয়ে ওর ব্যাপারে জানলাম।এরপর আমার এক পুলিশ বন্ধুকে এই বিষয়ে ইনফ্রম করলাম।তখন ও ওর তালাস শুরু করে অবষেশে ওকে রাজশাহী থেকে উদ্ধার করে।
আরাফ এভার রাহাত এর দিকে তাকিয়ে বলে,
আরাফ:কি রাহাত ভাই আমি কি ঠিক বললাম।
রাহাত মাথা ঝাকালো।
স্নেহার এত পরিমান রাগ হচ্ছে সে রাহাতের সামনে এসে পায়ের জুতা খুলে ইচ্ছা মত মারতে লাগলো আর বলতে লাগলো,
স্নেহা:তোদের মতো ছেলের জন্য আজ আমাদের মেয়েদের এই অবস্থা।তোরা একটা মেয়ের সরল মনের সাথে খেলা করিস।একটা মেয়ের ভালোবাসা বিশ্বাস নিয়ে মজা করিস।একটা মেয়েকে ভালোবাসার জালে ফেলে তার সাথে ফিজিক্যাল হয়ে তারপর তাকে ছেড়ে দেস।আজ আমার ছবি দিয়ে এসব করছিস। না জানি এই ছবি ভিডিওগুলা যেই মেয়েটার তার কি অবস্থা।
স্নেহাকে আরাফ অনেক কস্টে থামায় নাহলে আজকে তো রাহাতকে সে মেরেই ফেলবে।
ইমরাম:কিন্তু এর মূলে কে আছে আরাফ।কে এই কাজটা করছে?
আরাফ :বলছি ছোট কাকা সব বলছি।
আকাশ একদম পাথরের মূর্তির মতো হয়ে গেছে।সব কেমন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে তার। সে কত বড় ভুল করে ফেল্লো।
স্নেহাকে রেখে আরাফ এভার নুয়াজের কাছে গিয়ে ওর দুকাধে হাত দিয়ে বল্লো,
আরাফ:আচ্ছা নুয়াজ বলোতো।একজন কাছের বন্ধু যদি তার কাছের বন্ধুর পিঠ পিছে ছুড়ি মারে তবে কেমন লাগে?
নুয়াজ আরাফের কথায় ঘামতে লাগলো কাপাকাপা গলায় বল্লো,
নুয়াজ:ম.মানে ভাইয়া বুজলাম না।
আরাফ:অহ দেখছো আমিও না আসলেইতো তুমি কেম্নে বুজবা। কিন্তু তুমি এতো ঘামছ কেন নুয়াজ এসি চলছে তাও ঘামছো কারন কি বলতো?
নুয়াজ :না এম্নেই, এম্নেই ঘামছি।
আরাফ:কেন করলে এমন নুয়াজ?
#চলবে