#আহানের_শ্যামবতী
#পর্বঃ১
#Sam Ira
গাড়ীর ভিতর থেকে বোরকা পরিধান করা একটা মেয়েকে দেখে ক্রাস নামের বাস খেলো আহান😍।
আহান এর পাশে বসে আছে তার বন্ধু ইহান। আহান মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বুকের বা পাশে❤ হাত দিয়ে বসে আছে।
আহান এরকম অবস্থা দেখে ইহানও গাড়ীর বাহিরে তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ে বোরকা পরা স্কুটিতে বসে আছে, মুখে একটা ললিপপ, চোখে সানগ্লাস। মেয়েটাকে দেখে চিনতে অসুবিধা হয়নি ইহানের।
ইহানের ছোট বোন ইতি ছিলো মেয়েটা, কিন্তু এখন তো ইতি স্কুল থাকার কথা🙄, সেটা নিয়ে ভাবতে লাগলো ইহান–
এর মধ্যেই সবুজ লাইট জলে উঠলো, মুহূর্তের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেলো আহানের শ্যামবতী।
আহান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ইহানের দিকে তাকাতেই দেখে ইহান কিছু একটা ভাবতেছে।
আহান ইহানের মাথায় একটা টোকা দিয়ে জিজ্ঞাস করলো – ” কি হইছে, ইহান
কোনো সমস্যা??
ইহান মাথা নারিয়ে কিছু না বুঝালো।
ইহান একটু রসিকতার সাথে 😁ভ্রু উচুঁ করে আহানকে বললো –
” কি দোস্ত, দেশে আসতে না আসতে এইসব শুরু করে দিয়েছিস😉??
ইহান এর কথা শুনে আহান রেগে বললো
“কেনো? আমেরিকা তে কোনো মেয়ের দিকে তাকাইছিলাম নাকী??
ইহান বললো –
” না, আমি কি করে জানবো, আমি তো আর তোকে পাহারা দেই নাই।
“শুন, আমি মেয়ে মানুষ থেকে সবসময় দূরে দূরে ছিলাম। কিন্তু এখন আর মনে হয় থাকা যাবে না
ইহান একটু রসিকতার সাথে বললো –
” কেনো? এতো মেয়ে থাকতে তুই শেষ পর্যন্ত একটা বাচ্চা মেয়ের প্রেমে পরলি😆??
আহান একটু মুচকি হেসে মোবাইলে মনোযোগ দিলো। আহানের হাসিতেই সব প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেলো ইহান।
[ পরিচয় – আরমান হোসেন এবং আমেনা বেগম এর একমাত্র ছেলে আহান। বাহির থেকে ডাক্তারি পরালেখা শেষ করে আসছে। তাকে আনতে বিমানবন্দর গিয়েছিল তার বন্ধু ইহান। আরমান হোসেন একজন ডাক্তার, আমেনা বেগম গৃহিণী।
মোবারক আহমেদ ও রানি হোসেন এর ২ জন ছেলে-মেয়ে। ইহান ডাক্তারি পড়া শেষ করে এখন একটা হসপিটালে বসে, আর ইতি ১০ম শ্রেণিতে পড়ে। ]
আহান বাসায় আসার পর তার বাবা মায়ের সাথে কথা বলা শেষ করে রুমে চট্লে আসলো, ইহান কেনো তাড়াতাড়ি বাসায় চলে গেলো সেটা জানতে কল দিলো –
ইহান কল রিসিভ করেই ব্যস্ত কন্ঠে বললো
” কি বলার তাড়াতাড়ি বল দোস্ত
বাসায় একা থাকতে ভালো লাগে না তাই আহান ভাবলো ইহানের বাসায় গেলো হতো, ইহানের পরিবার আগে কুমিল্লা ছিলো,তাই আহান কাউকে চিনে না।
“তোদের বাসার ঠিকানা দে
ইহানও কোনো কিছু না ভেবে ঠিকানা দিয়ে দিলো
আহানকে বাসায় দিয়ে ইহান তাড়াতাড়ি বাসায় চলে গেছে। ইতি ক্লাস না করে কেনো চলে আসছে সেটা নিয়ে ইহান টেনশনে আছে।
ইতির হঠাৎ পিরিয়ড শুরু হলো আর অনেক পেটে ব্যথা তাই ক্লাস না করে বাসায় চলে আসছে। বাসায় আসার পর একটু বিশ্রাম নিয়ে গোসল করার জন্য বাথরুমে ডুকছে তখনি ইহান ইতিকে ডাকছিলো। দরজা খুলছে না দেখে ইহান বুঝলো নিশ্চয় ইতি ব্যস্ত আছে।
ইতির আব্বু আম্মু দুইজনেই একটা কলেজে জব করে, তাই এখন বাসায় কেউ নেই। ইহান বোনের জন্য খচুরি, মাংস গরম করে শসা,লেবু কেটে রেডি করতেছে।
আহান ঠিকানা অনুযায়ী বাসার সামনে এসে দেখলো দরজা একটু ফাকা আছে, তাই ভিতরে ঢুকে গেলো। রান্নাঘর থেকে কাটাকুটির আওয়াজ আসতেছে তাই আহান ভাবছে হয়তো ইহানের আম্মু।
আহান দেখলো একটা রুমের দরজার সামনে ওনেক বড়ো একটা পুতুলের ছবি দেওয়া আছে।
দরজা খুলতেই দেখলো —-
চলবে।