❤#আশিকি❤
#Madness_Of_Love
#Writer_Sanjana_Fahmida_Shabnam
#Part_15
আমালঃ ইউ নো হোয়াট সানাহ আমার ড্যাড ওয়ার্ল্ড এর বেস্ট ফাদার। ( ড্রাইভ করতে করতে)
ছোট বেলা থেকেই আমি যা চেয়েছি যেই আবদার করেছি যেভাবেই হোক আমার সেই আবদার আমার ড্যাড পুরোন করেছে। যখন আমি তোমার কথা ড্যাড কে বলেছিলাম না ড্যাড তখনি আমাকে বলে দিয়েছেন আমালের লাইফ পার্টনার তুমিই হবে। ড্যাড তোমাকে দেখার জন্য এতোই কিউরিয়াস যে নিজের সব কাজ ফেলে তোমার সাথে দেখা করতে এসেছেন।
সানাহঃ তাও আমাল আ’ম ফিলিং নার্ভাস,,, প্রথম বার আঙ্কেলের সামনে কিভাবে কি করবো,,,
আমালঃ ডোন্ট প্যানিক সানাহ, আমার ড্যাড অনেক ফ্রেন্ডলি তুমি একবার উনার সাথে দেখা করলেই উনার ফ্যান হয়ে যাবে।
কথা বলতে বলতে আমাল আর সানাহ খান ভিলার সামনে চলে আসে। আমালের গাড়ি দেখতেই দারোয়ান গেইট খুলে দেয় আর ওরা ভিতরে প্রবেশ করে।
সানার অনেক নার্ভাস লাগছে কিন্তু আমালকে নিজের পাশে পেয়ে কিছুটা সাহস যোগাচ্ছে মনে।
ভিতরে ঢুকতেই একজন লোক দেখতে পেলো সানাহ। সোফায় বসে কিছু কাগজ চেক করছিলো লোকটি। লোকটি দেশের নামকরা হোটেল বিজনেস অর্গানাইজেশন এর মালিক আদহাম খান।
আমালঃ ড্যাডডডডড,,,,
আমালের কন্ঠ শুনে আদহাম দাঁড়িয়ে যায় আমাল দ্রুত গিয়ে আদহামকে জড়িয়ে ধরে।
আমালঃ আই মিস্ড ইউউউ সোও মাচ্ ড্যাড,,,
আদহামঃ আই মিস ইউ টু মাই সান্। তো কোথায় আমার প্রিন্সের চয়েজ করা প্রিন্সেস।
আমাল সানার দিকে ইশারা করে বলল,,,
আমালঃ হেয়ার ইজ শি,,, মাই প্রিন্সেস,,,
আদহাম সানার দিকে তাকাতেই সানাহ নার্ভাস কন্ঠেই বলল,,,
সানাহঃ আ আসসালামু আলায়কুম আঙ্কেল,,,
আদহামঃ ওযালাইকুম আসসালাম ডিয়ার,,
আদহাম সানার কাছে এগিয়ে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,,
আদহামঃ মাশাল্লাহ,, আমার ছেলের চয়েজ আছে দেখতে হবে। একদম পুতুলের মত মেয়ে খুঁজে এনেছে আমার জন্য।
সানাহ কিছুটা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলে।
আমাল এসে সানার পেছনে দাঁড়িয়ে বলল,,
আমালঃ ছেলে কার দেখতে হবে না। লুক ড্যাড আমাদের দেখতে একদম মেড ফর ইচ আদার লাগে না?
আদহামঃ হুম একদম পারফেক্ট পেয়ার তোমাদের দুজনের। আল্লাহ ব্লেস ইউউ,,
সানাহ আমার আমাল একটু পাগলাটে টাইপ কিন্তু তোমাকে বড্ড বেশী ভালোবাসে সামলে রেখো ওকে। কখনো দূরে সরিয়ে দিও না যতটুকু আমি ওকে চিনি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না ও। ওর হাত কখনো ছেড়ো না।
আমালঃ ওফফো ড্যাড আমার সানাহ আমাকে অনেক বেশী ভালোবাসে ও কখনো আমাকে ছাড়তে পারবে না রাইট সানাহ,,
সানাহ মাথা ঝাকিয়ে হ্যাঁ বলল,,,
সানাহঃ আই প্রমিস আঙ্কেল আপনার এই পাগলাটে ছেলের হাত আমি কখনো ছারবো না।
আদহামঃ আজকে রাতে আমাদের অফিসিয়াল সাক্সেসের জন্য একটা পার্টি থ্রো করা হয়েছে আমাল আর এই পার্টিতে তোমাদের দুজনের উপস্থিতি আশা করি আমি।
আমালঃ ইয়েস ড্যাড আমার মনে আছে,,, আমরা পৌঁছে যাবো।
আদহামঃ তাহলে আমি একটু অফিস থেকে আসি। সেখানের খোঁজ খবর নিয়ে দেখি সব ঠিকঠাক আছে কি না।
আমালঃ ওকেই বাই,,,
সানাহঃ বাই আঙ্কেল,,,
আদহামঃ নিজের খেয়াল রেখো তোমরা আসি,,,
আদহাম বেড়িয়ে যায়,,,, আমাল ফোন করতে করতে বলে,,,
আমালঃ জান আমি আবিদ কে কল করে ইনফর্ম করে দিচ্ছি আজকের পার্টির কথা,,
সানাহঃ ওকে,,
আমাল ফোন নাম্বার ডায়েল করতে করতে এক সাইডে চলে যায়।
সানাহ ঘুরে ঘুরে আশেপাশে দেখছে। সানাহ এই বাড়িতে অনেক বার এসেছে। এই বাড়ির প্রতিটা দেয়াল প্রতিটি কোনা ওর চেনা। ড্রইং রুমের বরাবর অনেক বড় ফ্রেম করে একটা ছবি টানানো। সেটাতে আমাল আর ওর ড্যাড দুই সাইডে আর আমালের মা মাঝে। আমাল তখন ক্লাস ফাইভে পড়ে তখন ওর মা একটা কার এক্সিডেন্টে মারা যায়। তখন থেকেই আমালকে ওর ড্যাড একা হাতে মানুষ করেছে। মায়ের কথা তত একটা মনে নেই আমালের ওর কাছে ওর ড্যাড ই ওর দুনিয়া।
ছবিটার দিকে তাকিয়ে আনমনে কিছু একটা ভাবছে সানাহ। আমাল এসেই ওকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলতে শুরু করে,,,
আমালঃ কিছু দিন পর তুমিও আমার ফ্যামিলির একজন হয়ে যাবে সানাহ। আমি জানো আমাদের বিয়ের ছবি বড় করে ফ্রেম করে আমাদের রুমে টানাবো।
আমালের কথায় সানাহ শুধু হালকা হাসলো।
আমালঃ চলো এখন,,, ( সানার হাত ধরে টেনে)
সানাহঃ কিন্তু কোথায়???
আমালঃ শপিং সানাহহ,,, আজকে রাতে পার্টির জন্য শপিং করতে হবে না।
আমাল সানাহকে নিয়ে শপিং মলে চলে গেল।
রাতে,,,,
পার্টিতে সবাই যার যার মতো করে ব্যস্ত। আবিদ আর আদহাম দাঁড়িয়ে কথা বলছে তাদের সাথে কয়েকজন বিজনেস ক্লাইন্ট ও আছে। বাকিরা যে যার মতো করে ব্যস্ত।
হঠাৎ দরজার দিকে চোখ যেতেই আবিদ বলে উঠে,,,
আবিদঃ আপনার প্রিন্স ও তার প্রিন্সেস চলে এসেছে আঙ্কেল,,,
আবিদের কথায় আদহাম সহ বাকিরাও তাকায় সেদিকে,,,
আমাল আর সানাহকে দেখে আদহাম মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। আদহাম সহ সবাইই আমাল সানাহকে দেখে মুগ্ধ। সবাই একটা কথাই ভাবছে দে আর মেড ফর ইচ্ আদার।
আমাল আকাশি রঙের শার্ট আর সাদা প্যান্ট আর ব্লেজার পরেছে। সানাহ আকাশি আর সাদা কম্বিনেশন এর গাউন পরেছে। একে অপরের সাথে ম্যাচিং করে রেডি হয়েছে তারা। আমালের হাতে সানার হাত আবদ্ধ।
আমাল সানার হাত ধরেই ভিতরে প্রবেশ করে,,, সবাই ই ওদের জুরির প্রশংসা করছে। করবেই তো আমালের পাশে সানাহকে একদম পারফেক্ট মানিয়েছে।
আবিদঃ এজন্যই তোদের দেরি হলো,,, বাব্বাহ পুরো রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট এর জুরি লাগছে,,,
আমালঃ একদম না,, আমাদের রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট এর সাথে কম্পের করবি না আবিদ,,, কারন রোমিও আর জুলিয়েট এর লাভ স্টোরি কখনো কম্প্লিট হয় নি তাদের লাভ স্টোরি পেইনফুল ছিল,,, কিন্তু আমাল আর সানাহর লাভ স্টোরি তো ইউনিক,, আমাদের লাভ স্টোরিতে পেইন নামক জিনিসটা আমি আসতে দিব না,,,
আবিদঃ এতো সুন্দর থট্ নিয়ে থাকিস কিভাবে,, সবাই রোমিও জুলিয়েট হতে চাস আর তুই??
আমালঃ সবার আর আমার মধ্যে পার্থক্য আছে,,, আমাল সবার থেকে ইউনিক তাই ওর লাভ স্টোরি ও সবচেয়ে ইউনিক হবে।
আবিদঃ তোর সাথে আমি কথায় কখনো পারবো না,,, আচ্ছা সানাহ তুমি কিভাবে ওকে হ্যান্ডেল করো এয়ার,,,
সানাহঃ জানি না,, ( হেসে)
সবাই কথা বলছে এই ফাঁকে হলে লাইট লো হয়ে যায়। আর সফ্ট মিউজিক বাজতে শুরু করে,,,
আবিদঃ তোদের ইউনিক লাভ স্টোরির জন্য ইউনিক সং,,,
“এই মন পরেছে আমার বড় দোটানায়
প্রেম বয়ে আনলো হঠাৎ দমকা হাওয়া,,, ”
আমালঃ মাই ফেভারেট সং,,, সানাহ কাম,,,
সানাহঃ আরেহহ আমাল সবাই আছে এখানে,,,
আমালঃ তো আমরা আমাদের মতো করে ডান্স করবো তাতে কার কি,,,
আমাল সানাহকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে ওর কোমর জড়িয়ে গানের লিরিক বলতে শুরু করে,,,
এই মন পরেছে আমার বড় দোটানায়
প্রেম বয়ে আনলো হঠাৎ দমকা হাওয়া,,,,
এই আশিকি আশিকি করল কি জাদু হায়
এই আশিকি আশিকি করল কি জাদু হায়য়
পুরতে বসেছি প্রেমে পুরতে বসেছি
কখনো আগে হয়নি এমন আমার সাথে।
সানাহ আমালের বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে ফেলে,,,,
“বুঝতে চেয়েছি তোকে খুঁজতে চেয়েছি
লিখা আছে সে সবির কারন আমার হাতে,,,
এই আশিকি আশিকি করল কি জাদু হায়য়
এই আশিকি আশিকি করল কি জাদু হায়য়
আজকে দুজনে চল বলতে শিখেনি
চোখে চোখে চলার ভাষা কি করে হয়।
আজকে জেনে নে এই স্বপ্ন মেনে নে
তুই যদি না চাশ তো এ সব আমারো নয়
এই আশিকি আশিকি করল কি জাদু হায়
এইন আশিকি আশিকি করল কি জাদু হায়য়।”
To be continued……