আলো আঁধার পর্ব-২৫ এবং শেষ পর্ব

0
2285

#আলো_আঁধার

পর্ব ঃ- ২৫ (শেষ পর্ব)
~আঁখি দেব তৃপ্তি

কফিশপে সামনাসামনি বসে আছে শ্রাবণ ও আলো। শ্রাবণ নিজের মনকে এখনো স্থির করতে পারছে না। তাই আলোকে কী বলবে তাও সঠিক বুঝতে পারছে না।

“কী হলো কিছু কী বলার নেই তোমার?”- আলো।

” আছে। ওসব বাদ দাও না আলো। আমি মাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করবো। ”

“মন থেকে চেষ্টা থাকলে এতোদিনে করে ফেলতে পারতে।”

“আমি তো বললাম রেজিস্ট্রি করে ফেলবো তাও তোমার আমাকে বিশ্বাস হচ্ছে না?”

“বিশ্বাস করতে তো ইচ্ছে হচ্ছে শ্রাবণ কিন্তু মনে কী যেন একটা থেকে যাচ্ছে।”

“আচ্ছা তাহলে চলো কালই রেজিস্ট্রি করে ফেলি।”

“এতো তাড়ার কিছু নেই আমার মনে হয় তোমার আরেকটু ভাবা উচিত, নিজের মনকে আরেকবার প্রশ্ন করা উচিত। ”

“আর কিছু ভাবাভাবির নেই আলো। ”

“এতোদিনে আমি যতটুকু তোমাকে চিনেছি শ্রাবণ আমার তাতে মনে হয় তুমি খুবই কম ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেল। তাই আবারো বলছি ভেবে দেখো ভাল করে। ”

“বললাম তো ভাবার কিছু নেই। আমি তোমাকে ভালবাসি।”

“ভালবাসার সংগা তোমার কাছে কী শ্রাবণ? ”

“এতোকিছু জানি না আমি তোমাকে ভাললাগে, ভালবাসি এটাই কথা।”

“আচ্ছা।”

“আচ্ছা, আজ শনিবার তাহলে আগামি বুধবার আমাদের রেজিস্ট্রি হচ্ছে। এবার একটু ইজি হও আলো। “- বলে আলোর হাতে হাত রাখলো শ্রাবণ। আলো ঠোঁটের কোণায় মৃদু হাসি এনে শ্রাবণের চোখের দিকে তাকালো কিন্তু সেখানে শুধুই অস্থিরতা দেখতে পেল আলো। ঠিক বুঝতে পারলো না শ্রাবণের চোখের ভাষা।

সব বন্ধুদের জানিয়ে দিল শ্রাবণ তার রেজিস্ট্রি এর কথা। প্রমি এটা ভেবে আফসোস করলো যে শ্রাবণ একটি কালো মেয়েকে বিয়ে করছে আর দিয়ার খারাপ লাগলো তার এতো কাছের বন্ধু ছিল শ্রাবণ, আলো আসার পর থেকে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছিল শ্রাবণ বিয়ের পর হয়তো আর মনেই রাখবে না। নিলয়ের মনে কোনো প্রকার কোনো চিন্তা নেই সে খুশিই হয়েছে খবরটা শুনে। আর অন্যদিকে কষ্টের সাগরে ভাসছে ঈশান। না পারছে কাউকে কিছু বলতে না সহ্য করতে। আলোর সাথে দেখা হওয়ার পর থেকেই ঈশানের জীবনটা কেমন পাল্টে গিয়েছিল। অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বলা, মজা করা, ঘুরাঘুরি কিছুই আর এখন তার ভালো লাগে না। তার উপর আলো তার সবচেয়ে কাছের বন্ধুর বউ হতে চলেছে এটা কীভাবে সহ্য করবে সে। আলোর ফটোসুটের সব ছবিগুলো ঈশান বের করে বড় একটি এ্যালবামের মধ্যে রেখেছিল। প্রায়দিনই রাতের বেলা বারান্দায় একা একা বসে ছবিগুলো উল্টে-পাল্টে দেখে সে।

বুধবার সকাল বেলা,
আলো ঘুম থেকে উঠে শাওয়ার নিল। তারপর চুলের পানি টায়েল দিয়ে মুছতে মুছতে আলমারির দিকে এগুলো। মাত্র তিনটি শাড়ি আছে তার। এই কয়েকদিন নানান প্রকার চিন্তা ভাবনায় কেটেছে তাই আলাদা করে শপিং করাও হয়ে উঠে নি। তাছাড়া হাতে বেশি টাকা পয়সাও ছিল না। কী আর করা যা আছে তাই পড়তে হবে এই ভেবে একটি শাড়ি হাতে নিল আলো। তারপর নিজের গায়ে জড়িয়ে দেখতে লাগলো কেমন লাগবে তাকে। এমন সময় হঠাৎ আলোর মা আলোর ঘরে প্রবেশ করলেন।

“কী রে কোথাও যাবি নাকি শাড়ি পড়ে? “- আলোর মা।

” হুম।”- কিছুটা ইতস্তত বোধ করে বললো আলো।

“এই দেখতো তোর নামে একটা প্যাকেট এসেছে।”- বলে একটি প্যাকেট আলোর দিকে এগিয়ে দিলেন ওর মা। তারপর তিনি চলে গেলেন।

আলো প্যাকেটটি খুলে অবাক হলো। অনেক সুন্দর একটি কাতান শাড়ি সাথে কিছু গহনা। নিশ্চয়ই শ্রাবণ পাঠিয়েছে। কিন্তু প্যাকেটে যে ফোন নাম্বার দেয়া তা শ্রাবণের নয়। যাই হোক এতো কিছু খুঁজতে গেল না আলো। খুশিতে মন ভরে গেল তার। শাড়িটির ভাঁজ খুলে গায়ে জড়িয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ালো সে।
মিষ্টি কালারের মধ্যে গোল্ডেন কাজ করা কাতানটিতে বেশ ভালোই লাগছে দেখতে নিজের কাছে।

সকাল ১১ টা,
রেজিস্ট্রি অফিসে বসে আছে আলো। ইতিমধ্যে ঈশান, নিলয়, দিয়া এসে উপস্থিত হয়েছে। এখন শুধু শ্রাবণ ও প্রমির অপেক্ষা। কে বরপক্ষ আর কে কনেপক্ষ হয়ে সাক্ষী থাকবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে নিলয় আর দিয়ার মধ্যে। ঈশান চুপচাপ এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে আর বার বার আলোর দিকে তাকিয়েই আবার চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

কিছুক্ষণ পর প্রমিও চলে এলো। প্রমি আসার পর পরিবেশ আরো জমজমাট হয়ে উঠলো। সবাই মেতে রইলো বিভিন্ন পরিকল্পনায়। এদিকে আলো একা একা চুপচাপ বসে আছে। কী যে একটা অনুভুতি হচ্ছে ওর নিজেই বুঝতে পারছে না। কিন্তু শ্রাবণ এতো দেরি করছে কেন!

প্রায় ১ ঘন্টা কেটে গেল শ্রাবণের কোনো খুঁজ নেই। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না তাকে। সবাই চিন্তায় পড়ে গেল। আলোর হাসি মাখা মুখে নেমে এলো আঁধারের ছায়া। ফোন ট্রাই করতে করতে অবশেষে শ্রাবণের বাসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ঈশান। সবাইকে অপেক্ষা করতে বলে ও বাইক নিয়ে শ্রাবণের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো।

শ্রাবণের বাসায় পৌঁছে আবাক হলো ঈশান। বাসার দরজায় বড় তালা ঝুলছে। শ্রাবণরা সবাই কোথায় গেল তাহলে! ঈশান পাশের বাসার দরজায় নক করলো। একজন ভদ্রমহিলা দরজা খুলতেই ঈশান জিজ্ঞেস করলো –

“আন্টি শ্রাবণরা সবাই কোথায় গেছে?”

“তুমি কে?”

“আমি ওর বন্ধু।”

“তুমি ওর বন্ধু আর জানো না আজ যে ওর বিয়ে।”

“কী?”

“ওরা সবাই শ্রাবণের বিয়ে উপলক্ষে ওদের গ্রামের বাড়িতে গেছে।”

কথাটা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো ঈশানের। কাউকে কিছু না জানিয়ে শ্রাবণ এরকম একটা কাজ করলো কীভাবে!

ঈশান ফিরে এলো রেজিস্ট্রি অফিসে। সবার মুখে চিন্তার ছাপ। ঈশান ঢুকতেই তাকে সবাই ঘিরে ধরলো কী হয়েছে তা জানার জন্য। ঈশান সবটা বলার পর সবাই একদম নিশ্চুপ হয়ে গেল। আলোর চারদিকটা কেমন ঘুরছে মনে হলো ওর কাছে। কিন্তু নিজেকে সামলে নিল সে। দ্রুত উঠে বেড়িয়ে পড়লো বাসার উদ্দেশ্যে। ঈশান, দিয়া, প্রমি, নিলয় সবাই পিছন থেকে ডাকলো আলোকে কিন্তু আলো একবারও থামলো না।

কয়েকদিন যাবত আলোর মা লক্ষ্য করছেন আলো ঠিকমতো খাচ্ছে না ঘুমাচ্ছে না কীরকম একটা হয়ে যাচ্ছে। কোনো প্রশ্ন করলে উত্তরও দেয় না। ঈশান, শ্রাবণ, প্রমি, দিয়া সবাই অনেক ফোন করেছে আলোকে পরে কিন্তু কোনো ফোনই রিসিভ করে নি সে। বাসায় পর্যন্ত দেখা করতে এসেছিল ওরা কিন্তু নিজের রুম থেকে বের হয়নি আলো। শ্রাবণের ভালবাসার জন্য ও কষ্টে মরে যাচ্ছে এমন কিছু নয়। ও নিজের অস্তিত্বের সাথে লড়াই করছে নিজে নিজেই। আশার পথে এগিয়ে চলা মনে হঠাৎ পড়া নিরাশার ছায়া থেকে মুক্তি পেতে চাইছে। কিন্তু সবকিছুই কঠিন হয়ে উঠছে ওর কাছে।

আরও কিছুদিন পর খানিকটা স্বাভাবিক হলো আলো। একদিন বিকেল বেলা আলোর মা তাকে বললেন ঃ-

“আলো একটু তৈরি হয়ে বসার ঘরে আয় একজন তোর সাথে আলাপ করতে এসেছেন।”

“কে?”

“আছেন একজন গেলেই দেখতে পাবি।”

“কিন্তু তৈরি হতে হবে কেন?”

“তোর যেভাবে ইচ্ছে সেভাবেই আয়।”

আলো যেভাবে ছিল সেভাবেই বসার ঘরে গেল। সেখানে খুব সুন্দর মধ্যবয়স্ক একজন ভদ্রমহিলা বসে আছেন। কে উনি? আলো তাকে চিনতে পারলো না। উনি আলোকে দেখে মৃদু হাসি দিয়ে বললেন -এসো মা’

“আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না?”-আলো।

” মনে করোআমি তোমার আরেক মা।”

“আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।”

“তোমার অনেক গুনের কথা শুনেছি। সামনাসামনি দেখে আরো ভালো লাগছে।”

“কোথায় শুনলেন।”

“শুনেছি কোথাও। আমার কোনো মেয়ে নেই মা। তুমি আমার ঘরে আমার মেয়ে হয়ে যাবে?”

“কী বলতে চাইছেন আপনি।”

“আমি তোমায় আমার ছেলের বউ করতে চাই।”

“কিন্তু আমি এখন বিয়ের জন্য প্রস্তুত নই।”

“মায়ের কাছে যেতে আবার প্রস্তুতি লাগে নাকি বোকা মেয়ে। দেখি হাতটা “- বলে ভদ্রমহিলা আলোর হাত ধরে ওর হাতে একটি স্বর্ণের আংটি পড়িয়ে দিলেন।
হঠাৎ এমন ঘটানায় ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল আলো। মহিলার কন্ঠে এতো মায়া যে কিছু বলতেও পারলো না সে।

ভদ্রমহিলা চলে যাবার পর আলো ওর নিজের মায়ের উপর রাগ দেখালো। আলোর মা ওকে অনেক বুঝালেন বিয়েতে রাজি হয়ে যাবার জন্য। আলো রাজি হলো না। অবশেষে তিনি খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিলেন। তখন আর আলোর কাছে কোনো উপায় রইলো না। ভদ্রমহিলার কথা-বার্তা খুব ভালোই লেগেছিল আলোর কিন্তু সে বিয়েতে জড়াতে চায় নি।

ঠিক হলো ঘরোয়া ভাবেই আলোর বিয়ে হবে। পরে একদিন ওর বরের বাড়ির লোক একটি রিসিভসনের আয়োজন করবেন।

নতুন বাড়িতে পা রাখতে গিয়ে বেশ অবাক হলো আলো। এতো বড় বাড়ি, গাড়ি সব কী এদের নিজেদের! তাহলে ওর মতো মেয়েকে বউ করে আনার কী কারণ থাকতে পারে? বরের মুখ পর্যন্ত দেখে নি এখনো আলো। রেজিস্ট্রি খাতায় সাইন করে দিয়েছিল কিছু না দেখে, না জেনেই। ভাগ্যকে ছেড়ে দিয়েছিল উপরওয়ালার হাতে।

আলোর শাশুড়ী ওকে একটি ঘরের সামনে এনে দিয়ে বললেন “ভেতরে যাও মা। আমার ছেলে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। ”

আলোর মনে এখন কীরকম একটা ভয় কাজ করতে শুরু করলো। কী অপেক্ষা করছে তার জন্য কে জানে। উনার ছেলে যদি তাকে অপছন্দ করে তাহলে। মনে অনেক সংশয় নিয়ে ঘরে প্রবেশ করলো আলো।

সারা ঘর বিভিন্ন রঙের ফুল দিয়ে সাজানো। ফ্লোরে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে বড় লাভ বানানো তার মধ্যে লিখা আলো। দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আরো অবাক হলো আলো। তার এক্সিবিশনের পেইন্টিংটা এ ঘরের দেয়ালে কীভাবে এলো! আরেকটু সামনে এগুতেই একটি টেবিলের উপর অনেকগুলো ক্যান্ডেল আর তারপাশে একটি বড় এ্যালবাম খুলে রাখা। সেখানে আলোর সেই ফটোসুটের ছবি। আলো কিছুতেই কিছু মেলাতে পারছে না। ঘরের লাইটিং টাও বেশ অবাক করা। অনেক কম আলো তবুও সবকিছু দেখা যাচ্ছে। রুমের সাথে বড় বারান্দা দেখা যাচ্ছে সেখানে কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে। কাঁপা কাঁপা পায়ে সেদিকে এগুলো আলো। বারান্দায় অনেক রকমের গাছ টবে সুন্দর করর সাজিয়ে রাখা। একপাশে বসার জায়গা। সেখানে একটি বই পড়ে আছে। অপরপাশে একটি ছেলে বাইরের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে এই ছেলে? যে আলোকে এতোটা ভালবাসে বলে মনে হচ্ছে। ছেলেটির কাছাকাছি গিয়ে দাড়ালো আলো। তারপর জিজ্ঞেস করলো ঃ- “কে আপনি? ”

ছেলেটি কোনো কথা না বলে আলোর দিকে ঘুরে তাকালো। আলো এ কী দেখছে! নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস হচ্ছে না তার।

“ঈশান আপনি এখানে!”- আলো।

“অন্যকাউকে আশা করেছিলে নাকি?”

“না মানে,,, এসব কী?”

“এসব কী বুঝতে পারছো না? বলতে হবে মুখে? এতোদিন শুধু শ্রাবণের জন্য বুকে পাথর চাপা দিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু সে তোমার সাথে খুব অন্যায় করলো। তোমার কষ্ট আমার সহ্য হচ্ছিল না। মাকে সব বললাম তারপরের সিদ্ধান্তগুলো মায়েরই নেয়া। আমার মা খুব ভালো আলো। কখনো আমাকে কোনো কষ্ট পেতে দেন না।”

আলো কী বলবে বুঝতে পারছে না। চোখ ভিজে এলো তার।

“চোখে জল কেন তোমার আলো। একদম চোখে জল আনবে না। আমি তোমাকে আর কখনো কাঁদতে দেবো না।”- বলে আলোর চোখের জল মুছে দিল ঈশান। তারপর আচমকাই জোরে জড়িয়ে ধরলো আলোকে। আর বললোঃ- ” ভালবাসি অনেক।”

জীবনের এই প্রাপ্তি অবিশ্বাস্য লাগছে আলোর কাছে। সেও হৃদয়ের সকল কষ্ট ভুলে জড়িয়ে ধরলো ঈশানকে।

৫ বছর পর,

লন্ডনের একটি পেইন্টিং এক্সিবিশনে একটি পেইন্টিং বেশ আলোচিত হচ্ছে। একটি পদ্মপাতার উপর ফুটফুটে একটি ছোট্ট মেয়ে শুয়ে শুয়ে হাসছে। মেয়েটির গায়ের রং কালো কিন্তু অপুর্ব সুন্দর লাগছে তাকে। রাজকন্যার মতো মেয়েটির সাজ আর পদ্মবিলটা মনে হচ্ছে যেন কোন এক রাজপ্রাসাদ। যেই পেইন্টিং এর দিকে তাকাচ্ছে চোখ ফেরাতে পারছে না।
হঠাৎ সেখানের কতৃপক্ষ একটি ঘোষণা করলো যে এই পেইন্টিং এর আর্টিস্ট আলো-আঁধার সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। সাথে সাথে সবাই ভিড় জমালো সেই আর্টিস্টকে দেখতে।

আলো ঈশান ও তার ২ বছরের ছোট্ট রাজকন্যা ইরার সাথে দাঁড়িয়ে আছে। পেইন্টিংটিতে ইরাকেই ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছিল আলো। চারিদিকে ঘিরে রেখেছে লোকজন তাকে, কেউ কথা বলতে চাইছে কেউ বা অটোগ্রাফ চাইছে। এতো বড় কিছু প্রাপ্তির আনন্দে চোখ ভিজে এলো তার। মনে মনে ভাবলো আসলে জীবন বড়ই অদ্ভুত! আমাদের কষ্ট দেয় আবার মনে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তিও জোগায়। একটু চেষ্টা করলেই অনেক বেশি কিছু উপহার দেয় আর আমরা সহজেই জীবনের কাছে পরাজিত হয়ে বসে থাকি!

-সমাপ্ত-

[ গল্পটির সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর আমার জন্য দোয়া/আর্শিবাদ করবেন। ধন্যবাদ 🥰]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে