#আমি_শুধুই_তোমার?
#পর্বঃ২৩
#Arshi_Ayat
ইনান ইনশিরার দিকে তাকিয়ে রাগে দাত কটমটিয়ে একটা মিষ্টি মুখে দিলো।আর ইনশিরা ইনানকে দেখে খুব মজা পাচ্ছে আর মনে মনে বলছে খা খা আরো খা।আর ইনান মনে মনে বলছে বাবু যতো পারো হাসো একবার রুমে চলো তারপর তোমাকে বোঝাচ্ছি।ইনান কোনোমতে দুইটা মিষ্টি খেয়ে শ্বাশুড়ি মা কে বলল
“আন্টি আর খেতে ইচ্ছে করছে না।”
“সে কি মাত্র তো দুটো খেলে আরো খেতে হবে।আর আমাকে আন্টি বলছো কেনো?মা বলো।”
“আচ্ছা মা পরে আবার খাবো এখন যাই প্লিজ।”
ইনশিরার বাবা ইনানের কথা শুনে বলল
“যাতো মা ওকে নিয়ে ঘরে যা।ছেলেটাকে টায়ার্ড দেখাচ্ছে।”
বাবার কথা শুনে ইনশিরা ভয়ে ঢোক গিলল তারপর ইনানের দিকে তাকাতেই দেখলো ও শয়তানি হাসি দিচ্ছে।ইনশিরা মনে মনে বলল আল্লাহ বাচাও প্লিজ!!এখন ঘরে গেলেই তো আমার খবর করবে তখন যে কেনো ওকে ফাসাতে গেলাম।ধূর!!কিছু একটা বুদ্ধি বের করতে হবে।চট করে ইনশিরার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো ও ওর মাকে হুট করে জড়িয়ে ধরে বলল
“মা আজকে তোমার সাথে ঘুমাবো।অনেকদিন ঘুমাই না তো।তাছাড়া আমার তো বিয়ে হয়ে গেছে এরপর তো তোমার সাথে আর ঘুমানো হবে না।”
মেয়ের ইমোশনাল কথা শুনে ইনশিরার মা বলল
“আচ্ছা তুই তাহলে আজ আমার সাথেই ঘুমা।”
ইনশিরার মায়ের কথা শুনে ইনানের মুখটা কালো হয়ে গেলো।ইনশিরার বাবা বোধ হয় ইনানের কষ্টটা বুঝতে পেরেছে তাই ইনশিরার বাবা বলল
“ইনশু মা তুই আজ জামাইর সাথে ঘুমা আমার তোর মায়ের সাথে কথা আছে কিছু তোর বিয়ের অনুষ্ঠানের ব্যাপারে।”
ইনশিরা কপাল কুচকে বলতে নিলো
“কিন্তু বাবা….”
ওর বাবা আর কিছু বলতে দিলো না তার আগেই বলল
“যা ওকে নিয়ে যা।”
ইনশিরা মুখটা গোমড়া করে ইনানকে নিয়ে ওর ঘরে গেলো।ঘরে যেতেই ইনান ইনশিরাকে নিজের সাথে মিশিয়ে ফেললো তারপর ওর কপালে কপাল ঠেকিয়ে বলল
“ওহো!!পালানোর কি শখ!!”
“ধূর!! ছাড় না।”
“নো বেবি নো ছাড়াছাড়ি।এখন বল আমি কোন মিষ্টি চাইছিলাম আর তুই আমাকে কোনটা দিলি।”
“আমি যেটা বুঝছি ওইটাই দিছি।”
“ওহ!!তাই নাকি?তাহলে তো তোকে বোঝাতে হয় আমি কোনটা চাইছি।”
ইনান চট করে ইনশিরার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিলো।প্রায় পাঁচ মিনিট পর ওর ঠোট ছেড়ে দিলো।তারপর ইনান মিটমিটিয়ে হেসে বলল
“এবার বুঝলি?”
ইনশিরা মুখ ভেংচি দিয়ে বিছানায় বসে পড়লো ইনানও পাশে বসলো তারপর ওর হাত ধরে বলল
“জানিস এতো সহজে সব কিছু হয়ে যাবে আমি বুঝতে ও পারি নি।”
“হ্যাঁ আমি ভেবেছিলাম ওরা আমাদের বাড়িতেই ঢুকতে দেবে না।”
“বাবা মা এমনই সন্তানকে কখনোই দূরে ঠেলে দিতে পারে না।তা সে যতো বড়ো অন্যায়ই করুক না কেনো।”
“হুম।আচ্ছা শোন আদ্রি আয়াশ ওদেরকে তো জানানো উচিত।”
“হ্যাঁ ঠিক বলেছিস আগে আদ্রিকে বলি তারপর আয়াশকে বলবো।”
“ওকে কল দে।”
আদ্রিকে কল দিতেই আদ্রি রিসিভ করলো আর বলল
“কি রে কি অবস্থা। ওইদিকে ওরা কি মেনেছে?”
“আরে মেনে একবারে সানাই বাজিয়ে দিয়েছে।”
“মানে?”
ইনান আদ্রিকে সব বলল।সব শুনে আদ্রি হাসির দমকে পাঁচ মিনিট কথাই বলতে পারে নি।তারপর মন খারাপ করে বলল
“হ্যাঁ নিজেরা তো চুপচাপ বিয়ে করে নিলি।এখন তোদের বিয়ের দাওয়াত কিভাবে খাবো?
” আরে টেনশন করিস না।ফাইনাল এক্সামের পর অনুষ্ঠান হবে।”
“ও তাই বল।আমি তো ভেবেছিলাম আমাদের আর দাওয়াত খাওয়া হলো না।”
“আচ্ছা শোন আয়াশ কি তোর সাথে কথা বলেছে?”
“না রে।”
“ছেলেটাকে কষ্ট দিস না।ও তোকে খুব ভালোবাসে।”
“আচ্ছা অনেক রাত হয়েছে এখন ঘুমা।রাখছি।”
এই বলে আদ্রি ফোন রেখে দিলো।তারপর ইনান আায়াশকেও জানালো।
পরেরদিন……
ইনান,ইনশিরা আর আদ্রি ক্যান্টিনে বসে আড্ডা দিচ্ছে।একটু পর আায়াশও এলো।
আয়াশ এসেই বলল
“দোস্তরা শোন আমি বিয়ে করছি।”
তিনজনই চিল্লয়ে বলল
“মানে?”
“হ্যাঁ।আমার খালাতো বোন মুনকে। মা চায় আমি ওকে বিয়ে করি।আর ওর বাবারও ইচ্ছে।খালু অসুস্থ তাই বিয়েটা তাড়াতাড়ি হচ্ছে।কালকের পরেরদিনই বিয়ে।”
“তোর মা চায় সেই জন্য তুই ওকে বিয়ে করবি?তুই না আদ্রিকে ভালোবাসিস।”(ইনান)
“হুম কিন্তু ও তো বাসে না।তাই মায়ের কথা মেনে নেওয়াটাই ভালো।”
আদ্রি চুপ করে বসে আছে।কেনো যেনো আয়াশের বিয়ের কথা শুনে ওর প্রচন্ড খারাপ লাগছে।আায়শ যেতে যেতে বলল
“আজ বিকেলে তোরা আমার বাসায় আসিস ওর সাথে আলাপ করিয়ে দেবো।”
তারপর আয়াশ চলে গেলো।আয়াশ যেতেই ইনশিরা আদ্রির হাত ধরে বলল
“আদ্রি তুই ভুল করছিস।আমি জানি তুই ওকে ভালোবাসিস কিন্তুু বুঝতে পারছিস না।”
“যা করবি ভেবে করবি পরে যেনো এমন না হয় তোকে পস্তাতে হয়।”
ইনশিরা আর ইনান উঠে ক্লাসে গেলো।আদ্রির কিছুই ভাল্লাগছে না।
বিকেলে….
আদ্রির অনিচ্ছা স্বত্বেও ও আয়াশের বাসায় গেলো।ইনশিরা আর ইনান আগেই এসেছে।আদ্রি আয়াশের ঘরে ঢুকতেই দেখলো…….
চলবে…..