আমি দূর হতে তোমারে দেখেছি পর্ব-০৪

0
1302

#আমি_দূর_হতে_তোমারে_দেখেছি
#তানিয়া_মাহি(নীরু)
#পর্ব_০৪

” মামা কাম তো হয়ে গেছে। আব্বার শ*ত্রুর মেয়ে বর্তমানে ইহান শেখ-এর স্ত্রী নিজে পায়ে হেটে আমার কাছে চলে আসছে। সেদিন সম্মান ডুবাইতে পারিনি তো কী হইছে আজ সব হবে। রাহাত আর নায়েককে ডাক দে। চারজন মিলে আজ মাস্তি করব, রুমটা ঠিক কর আইতাছি।”

কল রেখে রায়ার কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পিছনে ফিরতেই রায়াকে দেখে চমকে যায় শাওন। সাথে সাথে চোখ বড় বড় হয়ে যায় তার। রায়ার মুখে একসাথে ভয়, নিন্দা, তীব্র ঘৃণা পরিলক্ষিত।

শাওন শুকনো ঢোক গিলে বলে, ” রা রায়া তু তুমি এখানে?”

রায়া নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে রাগে একটা সশব্দে চড় লাগিয়ে দেয় শাওনকে। শাওন গালে হাত দিয়ে দাঁতে দাঁত ঠকতে থাকে। হাত ধরে টেনে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যেয়ে বলে, ” তোর সাহস তো কম না, তুই আমাকে চড় মারলি? এই শাওনকে চড় মারলি? জীবনের ভয় নেই তোর?”

রায়া টান দিয়ে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলে, ” ভালোবাসার নামে এই নোংরা খেলা খেলতে বুক কাঁপলো না তোর? তুই আমাকে রে*প করার চিন্তা করছিস! রাজ*নৈতিক শ*ত্রুতার জন্য তুই আমার ইমোশোন নিয়ে খেললি? আর তোর জন্য আমি কি না রুমে বসে দমবন্ধ করা কান্না কাঁদছিলাম!”

শাওন সাথে সাথে পকেট থেকে রুমাল বের করে কোন ভাবে রায়ার মুখটা বেধে নেয়। একহাত দিয়ে শক্ত করে রায়ার দুইহাত মুঠবন্দি করে ধরে কোন একজনকে কল দিয়ে তাড়াতাড়ি সেখানে আসতে বলে। রায়া নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। চোখ দিয়ে তার অনবরত বারি ঝরছে৷ ভালোবাসার মানুষের এমন কুৎসিত,বিকৃতরূপ দেখতে হবে এটা সে কখনো কল্পনাও করতে পারে নি।

হঠাৎ পায়ে হাটুর নিচে কেউ পিছন থেকে লা**থি দিতেই আঘা*ত লেগে টাল সামলাতে না পেরে মাটিতে পড়ে যায় শাওন। পিছন ফিরে তাকায় সে। রায়া কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখের বারিধারা থামে নি এখনো। রায়ার মুখের বাধন নিজেই খুলে নেয়। দৌঁড়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটাকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা রেখে বলে ওঠে, ” ইহান!”

ইহানের পিছে কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে। হাতে তাদের লা*ঠিসোঁটা, সাত আটজনের মধ্যে কারও হাতশূন্য নেই। সবার মুখেই রাগের ছটা।
ইহান রায়াকে বুকের বামপাশে বামহাত দিয়ে জড়িয়ে নিয়ে শাওনের দিকে এগিয়ে যায়। শাওন উঠবে এমন সময় আরেকবার জোরে লা**থি দিয়ে ফেলে দেয়। হাতের ওপর পা দিয়ে ডলতে থাকে আর বলতে থাকে, ” বউ হয় ‘ও’ আমার। ওর শরীরে হাত দেওয়ার তুই কে? ‘ও’ আমার বউ, মা*রলেও আমিই আমিই মা*র*ব আর আদর করলেও আমিই করব। আমি ছাড়া অন্যকেউ ওর গায়ে ফুলের টোকা দিলেও হাত ভেঙে ফেলব। ওর ওপর সব অধিকার শুধু আমার। কানে ভালো করে ঢুকিয়ে নে কথাটা ‘ও’ আমার বউ হয়। ”

নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে বেধড়ক মা*রধর করতে থাকে। পিছনে থাকা ছেলেগুলো শাওনকে মা*রতে এগিয়ে আসতে চাইলে ইহান তাদের থামিয়ে দিয়ে বলে, ” ও’কে তো আমিই দেখে নিচ্ছি। আমার বউয়ের গায়ে হাত দিয়েছে। ও’র হাত আমি ভেঙে গুড়িয়ে দেব। শা*লা কু*ত্তা*রবাচ্চা আমার বউকে ও স্পর্শ করেছে। ”
কিছুক্ষণের মধ্যে শাওনের তিনজন বন্ধু গাড়ি নিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় এসে মা*রপিট দেখে প্রথমে চলে যেতে চায় তারপর সিদ্ধান্ত নেয় এবারের মতো ইহান শেখ-এর কাছে ক্ষমা চেয়ে শাওনকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ, তিনজন গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে যেয়ে ইহানকে ধরে থামায়। সবাই শাওনের হয়ে ক্ষমা চায়। দুজন মিলে শাওনকে মাটি থেকে টেনে তুলে দাঁড় করিয়ে দেয়। একজন বারবার শাওনের হয়ে ক্ষমা চেয়ে যাচ্ছে।

ইহান বলে ওঠে,” তোদেরও খুব ভালো করে চেনা আছে। কু*ত্তা*র সাথে থেকে থেকে তার মতই ঘেউঘেউ করে যাচ্ছিস। আমার বউয়ের দিকে যদি আর একবার কাউকে নজর তুলে তাকাতে দেখি চোখ একদম তুলে নেব মাথায় রাখিস। আমার জিনিস মানে সেটা শুধু আমারই৷ এখানে আমি অন্যকাউকে একচুল পরিমাণ ও বরদাস্ত করব না। ফারদার যদি আমার এলাকার ত্রিসীমানায় তোদের কাউকে দেখেছি সেদিনই তোদের শেষ দিন হবে মনে রাখিস।”

ইহান একজনকে ডেকে পুলিশকে কল করতে বলে রায়াকে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়।
___

রায়া আর ইহানের বাড়ি ফিরতে ফিরতে দশটা পার হয়ে যায়। গাড়িতে দুজন দুজনের সাথে একটা কথাও বলেনি। সারা রাস্তা রায়া চোখের পানি ফেলেছে। পৃথিবীর কোন মানুষই নিজেকে, নিজের পছন্দ বা সিদ্ধান্তকে ভুল হিসেবে কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। সারা পৃথিবীর মানুষ যখন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তখন খুব দেরি হয়ে যায়। নিজেকে শুধরে নিতে নিতে কিছু সম্পর্ক স্বকীয়তা হারায়। বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামলে রায়া গাড়ি থেকে নেমে পাশেই দাঁড়ায়। নিহান গাড়ি রাখায় জায়গায় গাড়ি ঠিক করে রেখে এসে দেখে রায়া যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে।

ইহান গেইটের ভেতরে ঢুকবে এমন সময় রায়াকে উদ্দেশ্য বলে ওঠে,” আমি আগেই এশাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। ওকে বলেছি আমি তোকে নিয়ে দেরিতে ফিরব। ওভাবেই বাড়িতে বলেছে। এবার তুই স্বাভাবিক হয়ে বাড়িতে ঢুকলেই আর কোন সমস্যা হবে না। ”

দুজন একসাথেই বাড়িতে প্রবেশ করে। ইহান নিজের জন্য বরাদ্দকৃত রুমের দরজা হাট করে খুলে আবার দরজা আটকে দেয়। রায়া সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আর কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে নিজেও নিজের রুমের দিকে অগ্রসর হয়। রাতে আর কারো সাথে দেখা হয়না তার।

রায়ার ঘুম থেকে উঠতে উঠতে এগারোটা বেজে যায়। সারারাত ঘুমোতে পারেনি সে। সমস্ত দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট যেন বুকে চেপে বসেছিল তার। বিছানাতে শুয়ে শুয়ে এপাশ ওপাশ করেছে সারারাত। কখনো বা রুমেই পায়চারি করেছে বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে দুঃখবিলাস করেছে।

ফ্রেশ হয়ে নাশতা করে নিজের রুমে ফিরে আসবে এমন সময় ইরিনা বেগম রায়াকে নিজের রুমে ডাকেন। রায়া ইরিনা বেগমের পিছে পিছে রুমে প্রবেশ করেন। দুজনই গিয়ে সোফায় বসে।

ইরিনা বেগম ঠান্ডা মেজাজে বলতে শুরু করলেন, ” আমার ছেলে আমার সাথে সবকথা শেয়ার করে। যেহেতু আমার কম বয়সে বিয়ে হয়েছিল তাই সব মিলিয়ে আমি আমার ছেলের চেয়ে ষোলো বছরের বড়। বয়সের বেশি পার্থক্য না থাকায় আমি আমার ছেলের সাথে খুব ভালোভাবে মিশতে পেরেছি। এই যে তোর বড়বাবা মা*রা যাওয়ার পর কিন্তু আমি একা আমার ছেলে-মেয়েকে মানুষ করছি। আল্লাহ যদি আমাদের ওপর রহমত না রাখতেন এটা সম্ভব হতো না। ইহান যে তোকে পছন্দ করে এটা আমি অনেক আগে থেকেই জানি। ইহান বাহিরে পড়তে যাওয়ার সময় নিজে তোর বাবার কাছে তোকে চেয়ে গিয়েছিল। শোন মা সংসার জীবনে ভালো থাকার জন্য ভালোবেসে বিয়ে করা জরুরি না বিয়ের পর পুরুষ আর নারী একে অপরকে ভালোবাসা জরুরি। নারীর মায়া বেশি। একসাথে থাকতে থাকতে পুরুষের মায়ায় খুব তাড়াতাড়ি জড়িয়ে যায়। আমার ছেলেকে ভালো না বেসে থাকা যায় না। আমার ছেলে তোকে প্রচন্ড ভালোবাসে। যে ছেলে বাড়িতে তিনবেলা ওই টেবিলটায় বসে সবার সাথে বসে নাশতা করে সেই ছেলে আজ কয়দিন হয়ে গেল বাড়িতেই থাকছে না। তোদের মাঝে কী হয়েছে জানি না শুধু বলব যা হয়েছে ভুলে যা আর সবকিছু ঠিক করে নে। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় তোর ব্যাপারে যে কিছুই জানি না তেমন না। ওসব নিয়ে শাশুড়ী হয়ে কথা বলতে চাই না। আর ওই ছেলে…..”

ইরিনা বেগমকে থামিয়ে দিয়ে রায়া বলে ওঠে, ” বড়মা প্লিজ, আমি বাহিরের কোন ছেলের কথা আর শুনতে চাই না। ”

রায়ার এই ছোট্টো কথায় ইরিনা বেগমের মুখে হাসির রেখা দেখা দেয়। তিনি রায়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেন, ” দোয়া করি সুখী হও।”

রায়া মাথানিচু করে নিম্নস্বরে বলে, ” বড়মা, আপনার ছেলেকে তো দেখছি না উনি কোথায়?”
” বাড়িতে নেই৷ তোর ওপর অভিমান হয়েছে তার। তার নাকি একটু একাকিত্ব প্রয়োজন৷ তাই সে নিজেই সাতদিনের প্যাকেজে সাজে রওয়ানা দিয়েছে। ”

রায়া যেন আকাশ থেকে পড়ে। বিয়ের পর ছেলে মানুষ হানিমুনে এখানে ওখানে যায় আর ইহান কি না একা সময় কাটাতে ওতদূর গিয়েছে!

রায়াকে চুপ থাকতে দেখে ইরিনা বেগম বলে ওঠেন, ” আমাকে বলে গেছে তোকে দেখে রাখতে। তুই যেন বাহিরে বের না হোস। ”
” আমার এমনিতেও বাহিরে কোন দরকার নেই। আমার বাবা-মাও তো আমার কোন খোঁজ খবর নেয় না। আমার কেউ নেই, কোথাও যাওয়ারও নেই।”
” পাগলী মেয়ে একটা। তোর সব আছে, সবাই আছে। সবচেয়ে বড় কথা আমার ছেলের তো একটা স্বামী আছে তোর। ”

দুজনের মাঝে আরও বেশ কিছুক্ষণ কথা চলে৷ ইরিনা বেগমের প্রতিটা কথা যেন মনে দাগ কাটতে থাকে রায়ার। নিজে যে কত বড় ভুল করে বসে আছে সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে থাকে। মন খারাপ লাগছে ইহানের কথা ভেবে,প্রচন্ড রাগ লাগছে নিজের প্রতি।

সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে বারান্দায় বসে ইহানকে কল দিয়েই যাচ্ছে রায়া। বিকেলে এশাকে দিয়ে রায়ার ফোন আর চার্জারটা আনিয়ে নিয়েছিলেন ইরিনা বেগম। ছেলে আর ছেলের বউয়ের সংসারটা ঠিক করতে তিনি ভীষণ কর্মঠ। সন্ধ্যা থেকে ত্রিশবারের বেশি কল করা হয়েছে রায়ার কিন্তু ইহান ফোন তোলেনি। রায়ার ভীষণ মন খারাপ হচ্ছে। ইরিনা বেগমের কথাটা বারবার কানে বাজছে- সংসার জীবনে ভালো থাকতে হলে ভালোবেসে বিয়ে করা জরুরি না, বিয়ের পর সঙ্গীকে ভালোবাসা জরুরি।” রায়া তার জীবনের কালো অধ্যায়ের সমস্তটা ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। সাথের মানুষটা এগিয়ে এলে হয়তো সব নতুন করে শুরু করা সম্ভব হতো।
ইরিনা বেগম রাতের খাবারের জন্য ডাকতে এসে রায়াকে রুমে না পেয়ে বারান্দায় এসে দেখে রায়া ফোনটা পাশে রেখে বাহিরে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবছে৷ ইরিনা বেগম কাধে হাত রাখতেই চমকে ওঠে রায়া।

পিছনে তাকিয়ে ইরিনা বেগমকে দেখে মলিন একটা হাসি দিয়ে বলে, ” হ্যাঁ বড়মা বলেন।”
” কত বাজে দেখেছিস? খেতে হবে না? খেতে আয়।”
” আমার খেতে ইচ্ছে করছে না বড়মা।”
” উহু এসব আমি একদম শুনব না। আমি ভাত বাড়ছি গিয়ে তুই এখনই আসবি। একদম দেরি করবি না। আর কালকে বাড়ি যাবি, বাবা রাগ করে আছে তুই ভুল করেছিলি তাই। সব ঠিকঠাক করে নিতে হবে তো তাই না?”

রায়া মাথা ঝাঁকায়। ইরিনা বেগম কিছু একটা ভেবে বলেন,” একটা কথা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আমার ছেলের মতো আর একটাও পাবি না। তুই শুধু এখন একটু পরিশ্রম করে ও’কে নিজের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আয়। একটা মেয়ে চাইলে পুরুষকে যাযাবর বানাতেও পারে আবার সংসারী পুরুষও বানাতে পারে। তুই আমার ছেলেকে তোর সুখের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করে নে।”

ইরিনা বেগম কথা শেষ করে চলে যান। রায়া আরেকবার কল দিয়েই খেতে যাওয়ার কথা ভাবে। রায়া ফোন কানে ধরে গ্রিলের রঙ তুলতে থাকে চিমটি দিয়ে। ফোন রিসিভ হতেই চোখ খিঁচে বন্ধ করে নেয় রায়া৷

ওপাশে লোকটার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে রায়া নিজেই বলে, ” কোথায় আপনি?”
ওপাশ থেকে উলটো জবাব আসে, ” কেন, কী হয়েছে?”
” প্রশ্নের জবাবে উত্তর দিতে হয়। উলটো প্রশ্ন করছেন কেন, বিদেশীরা কি আপনাকে এটা শিখিয়েছে?”
” ফোন করেছিস কেন সেটা বল।”
” বাসায় আসেন।”
” না, আমি সাজেক যাচ্ছি।”
” আপনি কোথাও যাচ্ছেন না।”
” বললাম তো যাচ্ছি, তুই আমার থেকে বেশি জানিস নাকি?”
” আপনি নিয়ন ভাইয়ার সাথে উনার বাড়িতেই আছেন আমি জানি।”
“আমি কাছে থাকলে তো তোর সমস্যা। এক্স বয়ফ্রেন্ডের জন্য সারাক্ষণ মনটা পু*ড়ে ছাই হয়ে যায় তোর। দূরেই তো আছি, ভালো থাকার কথা।”
” বাসায় আসেন চুমু খাব।”
” থাপ্প*ড় খাবি বে*য়াদব মেয়ে।”
” আপনার মতো ওষ্ঠতে ওষ্ঠ মিলিয়ে যে চুম্বন করা ওটা দিব, বাসায় আসেন।”
” টসটসে গালে পুরুষ মানুষের শক্ত হাতে যে থাপ্পড় দেওয়া সেটা দেব একদম। ”
” আসবেন না বাসায়?”
” না, ফোন রাখ।”

ইহান ফোন কেটে দিলে রায়া দাঁতে দাঁত চেপে চিৎকার দিয়ে বলে ওঠে, ” শাশুড়িআম্মা আপনার ছেলে বাসায় আসুক আগে তারপর বুঝিয়ে দেব কত মরিচে কত ঝাল।”

#চলবে……

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে