আমিরাহ্ পর্ব-৮+৯+১০

0
810

#আমিরাহ্

৮,

রাত অনেক হলেও আল আবাদিদের আঙিনা আলোয় আলোকিত হয়ে আছে। রাজকীয় গাড়ির জানালা দিয়ে আমিরাহ্ দেখছে প্রাসাদতূল্য ভবনগুলো। বিশাল জায়গা জুড়ে বাড়ির কম্পাউন্ড। চারপাশে লাগানো সোডিয়াম আলোয় চারিদিক আলোকিত। পাশাপাশি বিশালাকার দুটো রাজকীয় বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। পাশেই আরও নির্মানকাজ চলছে। আমিরাহ্ এর জন্য বরাদ্দকৃত ইন্দোনেশিয়ান খাস দাসী নুঙের কাছ থেকে আমিরাহ্ জেনেছে বিশাল ভবন দুইটি আব্বাস আল আবাদির বড়ো দুই বেগমের। পাশেই আমিরাহ্ এর জন্য একইরকম আলাদা একটা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।

আমিরাহ্ এর বাবার মতো আব্বাস আল আবাদি একইঘরে তার সব বেগমদের রাখেননি। তিনি তার বেগমদের জন্য আলাদা আলাদা বাড়ির ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিটি বাড়ির প্রধান সেই বাড়ির মালকিন, তিনি সেখানের রানি। যার যার সংসার তারা নিজের ইচ্ছামতো পরিচালনা করেন। আব্বাস আল আবাদি সংসারে কখনোই স্ত্রীদের উপর হস্তক্ষেপ করেন না। যদি কখনো তারা ভুল কোনও সিদ্ধান্ত নেন তখনই শুধু তাদের শুধরে দেন।

গাড়িতে আসতে আসতে নুঙের কাছে আমিরাহ্ আরও জেনেছে বড়ো বেগম খুবই দয়ালু মহিলা। তেমনি তার সন্তান আহমাদ এবং আহমাদের ছোটো বোন আয়শাও খুবই ভালো মানুষ। অপরদিকে মেজ বেগম বেশ অহংকারি নারী। ঠিক মায়ের মতোই তার বড়ো দুই মেয়ে এবং ছেলে মেহমুদ। বড়ো বেগমের বিয়ের পর দুই বছরেও সন্তান না হলে আব্বাস আল আবাদি পরিবারের চাপে দ্বিতীয় নিকাহ্ করেন। সেখানে দুই মেয়ে এবং ছেলে মেহমুদের জন্মেরও অনেক পরে বড়ো বেগমের কোলে আহমাদ এবং আয়শার জন্ম হয়। পরিবারের প্রথম সন্তান এবং প্রথম উত্তরাধিকারির জন্ম দিতে পারার কারণেই সম্ভবত মেজ বেগমের এত দেমাগ।

নুঙের কথা শুনতে শুনতে আমিরাহ্ আপাতত তার বিষাদ ভুলে গেছে। তার মনে হচ্ছে সে যেন কোনও রুপকথার গল্প শুনতে বসেছে- যেখানে আছে পাটরানি, সুয়োরানি এবং দুয়োরানি। বাড়ি থেকে আসার সময় আমিরাহ্ এক ফোঁটা চোখের জল ফেলেনি। শুধু সাফাকে বেশ কিছুক্ষণ বুকের সাথে চেপে রেখেছিল। সালমা অবশ্য সবচেয়ে বেশি কেঁদেছে, আমিরাহ্ এর নিজের মায়ের চেয়েও বেশি। এতকাল আমিরাহ্ই ছিল সালমার একমাত্র স্বস্তির জায়গা। আজ তার চলে যাওয়াটা সালমার জন্য আসলেই অনেক বেদনাদায়ক ছিল।

ফেরার পথে আব্বাস আল আবাদি বরপক্ষ পুরুষদের সাথে রওয়ানা হয়েছেন। বরপক্ষ নারীরা সব একসাথে। আমিরাহ্ এর মার্সিডিজে শুধু সে আর নুঙ। এটা অবশ্য একদিকে আমিরাহ্ এর জন্য ভালো হয়েছে। এই কয়দিন সে একটা ঘোরের মধ্যে ছিল। নতুন জীবনের পথে পা বাড়িয়ে তার সেই ঘোর কেটে গেছে। এটুকু একান্ত সময় তাই নিজেকে গুছিয়ে নিতে খুব কাজে লেগেছে। সেই সাথে নুঙের মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পেরেছে। বুদ্ধিমতি আমিরাহ্ বুঝে নিয়েছে এই নতুন পরিবারে, নতুন পরিবেশে তাকে কার সাথে কেমন আচরণ করতে হবে।

গাড়ি গেট থেকে ঢুকে একদম সামনের ভবনে থামল। এটা বড়ো বেগমের বাড়ি। যতদিন আমিরাহ্ এর জন্য বাড়ি তৈরি না হচ্ছে ততদিন সে এবাড়িতে থাকবে। একটা কথা মনে পড়তে আমিরাহ্ এর ঠোঁটের কোণে বিদ্রুপের হাসি দেখা দিল। সে যে বাড়িতে থাকবে সেই বাড়িতেই সে এতকাল থাকবে বলে স্বপ্ন বুনেছে। তবে তখন তার পরিচয় হতো বাড়ির ছোটো পুত্রবধু আর এখন তার পরিচয় বাড়ির ছোটো মালকিন। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস!

বিয়ের এই আয়োজনে আমিরাহ্ আহমাদের আর কোনো ছায়াও দেখতে পায়নি। এমনকি কন্ঠস্বরও শুনতে পায়নি। যেন সে কোথাও কোনোকালে ছিল না। এ বিয়েতে আহমাদের কেমন লাগছে আমিরাহ্ এর খুব জানতে ইচ্ছা করছে।

নিজেকেই শাসন করল আমিরাহ্। আহমাদকে নিয়ে এসব ভাবনা মনে স্থান দেওয়াটাও এখন তার জন্য পাপ। কিন্তু পাপী মন বারবার পাপের পথে চলতে চায়। সুগঠিত মনের মানুষ পাপের ঘোড়ায় লাগাম পরায়। আর যারা তা পারে না তারা পাপসাগরে ভেসে যায়। আমিরাহ্ ভেসে যেতে চায় না, সে শক্তহাতে জীবনের হাল ধরতে চায়।

গাড়ি থেমে গেলে শোফার গাড়ির দরজা খুলে সরে দাঁড়াল। বড়ো করে দম নিয়ে আমিরাহ্ গাড়ির বাইরে পা রাখল।

চলবে…
#আমিরাহ্

৯,

বাইরের মতো ঘরের ভিতরেও রাজকীয় জৌলুস বিদ্যমান। চারিদিকে রাজকীয় সব আসবাবপত্র, ঝাড়বাতি, শোপিস। আমিরাহ্ যা দেখছে তাতেই বিস্মিত হচ্ছে। বড়ো বেগম হাসিমুখে এগিয়ে এসে আমিরাহ্কে জড়িয়ে ধরলেন

– এসো বোন, আজ থেকে তুমি আমার ছোটো বোন।

আমিরাহ্ তার বুকের মাঝে কেমন এক প্রশান্তি অনুভব করল। মহিলার গায়ে কেমন এক মা মা গন্ধ। হঠাৎই আমিরাহ্ র মনে হলো ইনিই আহমাদের মা। ভাবতেই কেমন এক অস্বস্তি বোধ করল। তাকে ছেড়ে দিয়ে সে সোজা হয়ে দাঁড়াল। বড়ো বেগম আমিরাহ্ এর চিবুক ধরে মুখটা উঁচু করলেন।

– মাশা আল্লাহ্! তুমি তো দেখতে একদম জান্নাতের হূরদের মতো। যদিও আমি হূর দেখিনি। তবুও তোমাকে দেখে আমার হূর বলেই মনে হচ্ছে।

এই কথার জবাবে আমিরাহ্ কী কিছু বলবে নাকী চুপ করে থাকবে তা বুঝতে পারল না। অতএব মুচকি হেসে চুপ থাকাটাই ঠিক হবে বলে মনে করল।

– রাত অনেক হয়েছে বলে যে যার মতো ঘুমাতে চলে গেছে। মেজ বেগমের মাথাব্যথা বলে সেও ঘুমিয়ে পড়েছে। একারণে তোমাকে দেখতে আসতে পারেনি। কাল সকাল হলেই ছেলেমেয়েসহ চলে আসবে। তুমি তাই যাও, তাড়াতাড়ি সব বদলে নিয়ে আরাম করো। নুঙ, তুমি ছোটো বেগমকে সাহায্য করো।

এরপর তিনি একটু থেমে বড়ো একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন,

— তুমি বিশ্রাম করো, কিছুক্ষণের মধ্যেই আব্বাস তোমার ঘরে পৌঁছে যাবে।

আমিরাহ্ তার চোখের দিকে তাকাল। সেখালে জলের চিকিমিকি আমিরাহ্ এর দৃষ্টি এড়াল না। নিজের ভালোবাসার মানুষকে অন্যের ঘরে পাঠাতে কেমন লাগে আমিরাহ্ র তা জানা নেই। আহমাদকে হারিয়ে তার যেমন অনুভূতি হচ্ছে বড়ো বেগম তার স্বামীকে আমিরাহ্ এর ঘরে পাঠাতে কী একই রকম চাপা কষ্ট অনুভব করছেন? কোথাও না কোথাও আমিরাহ্ এবং বড়ো বেগম দুজনেই কী একই ধরণের ব্যথা অনুভব করছে না?

প্রিয় জিনিসের ভাগ অন্যকে দেওয়া যায়। মা, বাবা, ভাই, বোন, সন্তান, বন্ধু– এরা প্রিয় মানুষ হলেও তাদেরকেও অন্যের সাথে ভাগ করে নেওয়া যায়। কিন্তু ভালোবাসার একান্ত মানুষটা এমনই একজন যাকে আর কারও সাথে ভাগাভাগি করাটা মেনে নেওয়া যায় না। অনেক মেয়েদের বিশেষ করে আরব নারীদের সেই কষ্টের ভিতর দিয়ে যেতে হয়। ভাগ্যকে মেনে নিতেই হয়। কিন্তু মন কি তা মেনে নিতে পারে? যেমন মেজ বেগম মাথাব্যথার অযুহাতে আজ দরজায় খিল দিয়েছেন, কীসে তার মাথাব্যথা আমিরাহ্ তা জানে। বড়ো বেগমের দীর্ঘশ্বাসের কারণও সে জানে। কিন্তু সে নিজেই যে বুকভরা দীর্ঘশ্বাস বয়ে বেড়াচ্ছে। অন্যের দীর্ঘশ্বাস হয়ে চলে ফিরে বেড়াচ্ছে বলে মনে মনে দুঃখ পেলেও তার আর কিছুই করার নেই।

***
সাজ-পোশাক ছাড়তেই আব্বাস আল আবাদি রুমে প্রবেশ করলেন। তাকে দেখেই নুঙ রুম ছেড়ে চলে গেল। আমিরাহ্ ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপতে লাগল। তার কাঁপন বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছিল কিনা তা আমিরাহ্ র জানা নেই তবে আব্বাস আল আবাদি গমগমে কন্ঠে বললেন,

– আমাকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমি তোমার স্বামী। আজ থেকে তোমার সব ভয় দূর করার দায়িত্ব আমার।

তার কথায় এবং কন্ঠে আমিরাহ্ অনেকটা ভরসা পেল। প্রথমবারের মতো সে তার স্বামীর মুখের দিকে তাকাল। মাত্র এক পলক। তারপরেই চোখ বন্ধ করে ফেলল। এ যে হুবহু সেই মুখটার পরিণত রুপ যাকে সেই কৈশোরের শুরু থেকেই আমিরাহ্ ভালোবেসে এসেছে। এখানেও ভাগ্য নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিল। কী এমন ক্ষতি হতো যদি আহমাদ হুবহু তার বাবার মতো দেখতে না হয়ে তার মায়ের মতো হতো? এখন যতবার আমিরাহ্ তার স্বামীকে দেখবে ততবার তার মনে আরেকজনের ছায়া ভেসে উঠবে। যতই তাকে ভুলতে চাইবে ততই তাকে আরও বেশি করে মনে পড়বে। কী এক বিশ্রিরকমের সম্পর্কের জালে সে আজ জড়িয়ে গেছে। কাউকে বলতেও পারছে না, আবার সহ্য করতেও পারছে না। না চাইলেও তাকে এই জালে জড়িয়ে থেকেই বাঁচতে হবে বাকীটা জীবন।

১০,

ভাগ্যিস আব্বাস আল আবাদি আমিরাহ্ এর মনের কথা পড়তে পারছেন না। তিনি ভাবছেন আমিরাহ্ হয়তো ভয় এবং লজ্জায় মাথানত করে বসে আছে।

– তুমি যে এতটা বাচ্চা মেয়ে আমি তা বুঝতে পারিনি। তোমার বাবা খুব আক্ষেপ করে বলেছিলেন যে তিনি তার বিবাহযোগ্যা কন্যাকে দেনার কারণে বিয়ে দিতে পারছেন না। তা শুনে আমি ভেবেছিলাম তোমার বুঝি বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে। যখন তোমার আসল বয়স জানতে পেরেছি তখন আর এ সিদ্ধান্ত বদলানোর আর কোনো সুযোগ আমার ছিল না। তাছাড়া তোমার বাবাকে দেওয়া ওয়াদা ভঙ্গ করাও আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি।

তোমার নিশ্চয়ই তোমার নিকাহ্, স্বামী এসব নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। আমার কারণে সেসব নষ্ট হলো। যদি সম্ভব হয় আমাকে মাফ করে দিও। যদি তোমার কোনো ইচ্ছা থাকে আর তাতে যদি শরিআহ্ মোতাবেক কোনও নিষেধাজ্ঞা না থাকে তাহলে আমাকে জানাবে। আমি তোমার সব ইচ্ছা যতদূর সম্ভব পূরণ করতে চেষ্টা করব।

আব্বাস আল আবাদির কথাগুলো আমিরাহ্ এর খুব ভালো লাগল। এতদিন যে সবার কাছে তার প্রশংসা শুনে এসেছে এতদিনে সেসব সত্যি মনে হচ্ছে। আমিরাহ্ নিচু কিন্তু স্পষ্টস্বরে বলল,

– আপনি আমার স্বামী হয়ে আমার কাছে মাফ চেয়ে আমাকে গুনাহগার কেন করছেন? আপনি তো অনেক পূণ্যের কাজ করেছেন। একদিকে কন্যাদায়গ্রস্ত বাবাকে কন্যাদায় থেকে উদ্ধার করেছেন অপরদিকে একজন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে ঋণের বোঝা থেকে বাঁচিয়েছেন। নিজে পূণ্য কামাই করে এখন মাফ চেয়ে আমাকে পাপী বানাচ্ছেন এটা কেমন কথা?

আমিরাহ্ এর কথায় আব্বাস হাসলেন। তার বাম গালেও ঠিক আহমাদের মতো একটা টোল পড়ল। যদিও সেটা তার কাঁচাপাকা ঘন চাপ দাড়ির আড়ালে খানিকটা হারিয়ে গেল তবুও আমিরাহ্ চোখ সরিয়ে নিল। আব্বাস সুপুরুষ। এই ষাট বছর বয়সেও তিনি বেশ শক্ত-সমর্থ পুরুষ। বয়সকালে তিনিও আহমাদের মতোই সুদর্শন ছিলেন। তবে তার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো তার ভরাট কন্ঠস্বর এবং অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। এই একটু সময়েই আমিরাহ্ তার ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হলো। এ মুগ্ধতা অন্যরকম, কেমন এক শ্রদ্ধা জাগানিয়া মুগ্ধতা।

– আমিরাহ্, তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে তুমি বেশ বিচক্ষণ মেয়ে। তুমি আমার কাছে আজ কিছু একটা উপহার চাও। তোমার চাওয়া আমার সাধ্যের মধ্যে থাকলে আমি তা পূরণ করব ইনশাআল্লাহ।

– আমি পড়াশোনা করতে চাই।

আব্বাস হাসলেন,

– তোমার কাছ থেকে এরকম কিছুই আমি আশা করেছিলাম। ঠিক আছে কাল থেকেই তোমাকে বাসায় এসে তালিম দেবে এমন শিক্ষিকার খোঁজ করব। আর শোনো, যতদিন তোমার নিজের বাড়িটা প্রস্তুত না হচ্ছে তুমি এই ঘরেই নিজের মতো করে থাকো। নুঙ সবসময়ই তোমার সাথে থাকবে। যতদিন তুমি মন থেকে তৈরি না হবে, আমি তোমাকে বিব্রত করব না। আমি অন্য ঘরে থাকব। তবে চাইলে তুমি আমার পোশাক গোছানো, আমার জন্য টুকটাক খাবার প্রস্তুত করতে পারো, আমার সাথে গল্পও করতে পারো আবার ঘুরতে গিয়ে সঙ্গও দিতে পারো। এটুকু নিশ্চয়ই করতে পারবে?

আমিরাহ্ তার মুখের দিকে তাকাল। তার ঠোঁটে প্রশ্রয়ের হাসি। এখন আমিরাহ্ র নিজেকে সাফার মতো বাচ্চা মেয়ে মনে হচ্ছে। সাফার দিকে তাকিয়ে সে নিজে যেভাবে হাসে, আব্বাস তার দিকে তাকিয়ে সেভাবেই হাসছেন। আমিরাহ্ এর মনের মেঘ অনেকটাই কেটে গেল। এই প্রথমবার আব্বাসের মাঝে অন্য কারো ছায়া সে দেখতে পেল না। আমিরাহ্ এতদিন পরে হৃদয়ের গভীর থেকে হেসে বলল,

– ইনশাআল্লাহ অবশ্যই পারব।

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে