আমার বিষাদীনি পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব

0
426

#আমার_বিষাদীনি
#উম্মে_হাফসা
#পর্ব_১৭ শেষ

দুই বছর পর,,

আজ আমার আর রাদিফ ভাইয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে। অনেক মান অভিমানের পর আজ অবশেষে দুজন এক হতে যাচ্ছি। ভালোবাসার সার্থকতাই বোধহয় এখানে, আপনার মানুষটার সাথে অনেক রাগ হবে, অভিমান হবে, তার প্রতি অনেক অভিযোগ থাকবে কিন্তু ভালোবাসার মানুষটাকে ছেড়ে যাওয়া যাবে না। এই জায়গা থেকে আমাদের ভালোবাসা টাও সার্থকতা পেল। রাদিফ ভাইয়ের প্রতি আমার রাগ, অভিমান এরপর দূরত্ব,, অবশেষে দুজন একসাথে।

বড় মা এসে বললো,,
“এখনো সাজ শেষ হয় নি ওদিকে সবাই তুবাকে দেখতে চাচ্ছে। আমি এইজন্যই বলেছিলাম পার্লারের লোকদের আরো আগে পাঠাতে। ”

“আচ্ছা হয়ে গেছে মোটামুটি সাজা। তুমি ওদের কে একটু অপেক্ষা করতে বলো” বলে সাবা আপু তার মেয়ে আয়রা কে নিয়ে বাইরে গেলো।
আয়রা সাবা আপু আর ইরহাম ভাইয়ের এক বছরের মেয়ে। সাবা আপু আর ইরহাম ভাইয়ের রিলেশনের কথা দুই পরিবার কে জানানোর আগেই একদিন হুট করে ছোট ফুফি জেঠু মনির কাছে বললো,,

“ভাইজান, আমি আমার সাবা মেয়েটাকে আমার ঘরের মেয়ে করে নিতে চাই। আমি আগে থেকেই আমার ইরহাম এর জন্য সাবা কে পছন্দ করে রাখছি। এখন তো আমার ইরহাম ভার্সিটির প্রফেসর হিসেবে জয়েন দিছে। তাই আমি চাচ্ছি ইরহামের সাথে সাবা র বিয়ে দিতে। যদি আপনারা সবাই রাজি…”

“এটা তো খুশির খবর। সাবা যেমন আমাদের মেয়ে। ইরহাম ও আমাদের ছেলে। যথেষ্ট ভদ্র একটা ছেলে। আমার কোনো আপত্তি নেই। এখন বাকিটা আমি সাবার মা বাবার উপর ছেড়ে দিলাম”

কথাবার্তার দশ দিনের মাথায় সাবা আপু আর ইরহাম ভাইয়ের বিয়ে হয়েছিলো।

আমাকে সাজিয়ে দেওয়া হলে নিচে নিয়ে গেলো রাহা আপু এসে। স্টেজে আগে থেকেই রাদিফ ভাই ছিলো। আমাকে বসিয়ে দেওয়া হলো রাদিফ ভাইয়ের পাশে। একে একে সবাই দেখে যাচ্ছে,, কথা বলে যাচ্ছে আমাদের সাথে। রাদিফ ভাই আমাকে চুপিচুপি বললো,,

“এত সাজার কি আছে!! আমার বউ এমনিতেই সুন্দর। সেটা লোকজন কে ডেকে দেখানোর কি আছে,,বুঝলাম না!!” বলে রাদিফ ভাই অন্য দিকে চাইলো।

“আমি কিছু বললাম না। শুধু একটা হাসি দিলাম। কারণ অভিযোগ শেষ হলেও ওনার প্রতি আমার অভিমান গুলো বোধহয় এখনো শেষ হয় নি”।

__________________

রাদিফ ভাইয়ের বড় মামি আমার সাথে কথা বলছেন না। উনি আমাকে উপেক্ষা করছেন। আমি জানি উনি কেন এমন করছেন আমার সাথে। ওনার মেয়ে সিনথিয়ার জন্য। কিন্তু আমার সাথে এমন করে লাভ কি!! ওনার মেয়ে সিনথিয়া তার প্রাপ্য শাস্তিটুকু পেয়েছে।

কিন্তু আমি যে কষ্ট পেয়েছি সেটা। দিনের পর দিন যে মানসিক অশান্তি তে ভুগেছি। হতাশারা যখন আমাকে ঘিরে ধরেছে তখন! সেই সময় গুলো তো আমার জীবনের সবচেয়ে বিষাদময় স্মৃতি। আমার তো যেন এখনো চোখের সামনে সেই সময়গুলো ভাসছে।

দুই বছর আগে,,

সেইদিন যখন রাদিফ ভাই রাগ করে ছোট ফুফিদের বাসা থেকে চলে আসলো পরে বড় মা আমাকে নিয়ে জিজ্ঞেস করলো,,

” কি হয়েছে রে তুবা?? রাদিফ অমন রাগ করে বেরিয়ে গেলো কেন?? তোদের মধ্যে কিছু হয়েছে??”

“না বড় মা, কি হবে। আমি জানিনা রাদিফ ভাই অমন রেগে বেরিয়ে গেলেন কেন।” বলে আমি ছোট ফুফি ডাকলো যে সেদিকে গেলাম।

এরপর আমাদের বাসায় ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। এর মধ্যেই রাদিফ ভাই কে অসংখ্য বার বড় মা ফোন দেন। কিন্তু উনি ফোন সুইচড অফ করে রাখেন। রাদিফ ভাই এর রুমের দরজা বন্ধ। তারমানে উনি রুমে আছেন। বড় মা কয়েকবার নক করেছেন কিন্তু উনি দরজা খুলেন নি। বড় মা বুঝলেন হয়তো ঘুমিয়ে গেছে। কিন্তু আমি কিছু বললাম না। সোজা নিজের রুমে চলে গেলাম। গিয়ে ফ্রেস হয়ে পড়তে বসলাম। কিন্তু পড়ায় কোনো মন বসছেই না।
ওদিকে সিনথিয়া আপু যেন রাদিফ ভাই এর জন্য পাগল হয়ে গেছেন। বার বার নক করছে রাদিফ ভাই এর রুমে। যেন উনি আমার স্বামী না ওনার নিজের স্বামী।

এদিকে রাদিফের রুমে চারপাশে জিনিসপত্র পত্রের ভাংচুর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। ও নিজেও তুবার এইসব অস্বাভাবিক আচরণের মানে বুঝছে না। কালকে তুবা ঠিক ছিলো। আজকে ওর কি হয়ে গেলো। সিনথিয়া কে আজ উচিত শিক্ষা দিতেই হবে। তার আগে তুবার সাথে কথা বলতে হবে। রাদিফ হুট করে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়।

ও সোজা উদ্ভ্রান্তের মতো তুবার রুমে গেলো।
আমি যখন পড়ছি দেখলাম রাদিফ ভাই এসে আমার টেবিলের পাশে দাড়ালো। এরপর আমার একহাত টেনে আমাকে উঠিয়ে জিজ্ঞেস করলো,,

“তুই কি আমাকে পাগল পেয়েছিস??আমাকে যখন যেভাবে পারবি ঐভাবে ব্যবহার করবি। যখন মন চাইবে তখন ভালোবাসবি যখন মন চাইবে তখন ইগনোর করবি। আমাকে তুই পেয়েছিস টা কি। আমি বলে তোর এইসব ন্যা*কামি সহ্য করছি,, অন্য কেউ হলে তো,,,”বলে রেগে উনি চেয়ারে লাথি মারেন।

রাদিফ ভাইয়ের এইভাব হঠাৎ টেনে উঠানোয় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা পেয়েছি। হাত চেপে ধরে রাখায় যেন আঙুল গুলোর চাপ হাতের মধ্যে ঢেবে আছে। তারউপর ওনার এইসব বাজে ব্যবহার।
আমার মনের মধ্যে যেন কেউ চুরি চালালো। একটা তরতাজা প্রাণীর মধ্যে যেমন চুরি ঢুকালে র*ক্তের বন্যা বয় তেমন যেন আমার হৃদয় থেকে র*ক্ত বইছে। রাদিফ ভাই যে আমার সাথে এমন বাজে ব্যবহার করতে পারে আমার কল্পনার বাইরে ছিলো।

আমার দুচোখ বেয়ে শুধু পানি পড়ছে। আমি যেন কথা বলতে পারছি না!! আমি কথা বলছিনা দেখে উনি আবারো চিৎকার করে বলে,,

” কি হয়েছে কথা বলছিস না কেন!! আমাকে এখন আর ভালো লাগছে না,, তাই না?? আমি কি এতই খারাপ। আনাস, ইরহাম, তমাল সবার সাথে কথা বলা যায় একমাত্র আমার সাথে কথা বলা যায় না। সিনথিয়া ঠিকই বলে,, আমাকে এখন আর তোর ভালো লাগে না”

রাদিফ ভাই যেন আজকে কি বলছে না বলছে উনি নিজেও বুঝতে পারছেন না। রাদিফ ভাইয়ের এইসব বাজে কথাগুলা যেন আমি নিতে পারছিনা। আমি শুধু শান্ত স্বরে একটা কথাই বললাম,,

“আমাকে নিয়ে যখন এতই অভিযোগ তাহলে সিনথিয়া আপুকেই বিয়ে করে নিলেই পারতেন”।

রাদিফ ভাইয়ের চিৎকার শুনে নিচ থেকে বড় মা, আম্মু, মেজো মা চলে আসলো। আমি আম্মুকে বললাম,,

” প্লিজ আম্মু, লোকটা কে বলো আমার সামনে থেকে যেন চলে যায়”

____________________রাত দশ’টা

আমি সবাই ডিনার করার আগে খেয়ে রুমে চলে এসেছি। নিচে গিয়ে আম্মুকে বললাম,,

“আম্মু খেতে দাও খিদে পেয়েছে”
যেন সবকিছু স্বাভাবিক। আমি আমার কষ্ট কাওকে দেখাতে চাই না। তাদেরকে বুঝাতে চাই যে আমি সব কিছু ভুলে গেছি। তাদের ছেলের ব্যবহার এ আমি কিছু মনে করিনি।
খেয়ে আমি রুমে চলে এসেছি। এসেই শুয়ে পড়েছি একটা ঘুমের ঔষধ খেয়ে।

সবাই খাবার টেবিলে বসে চুপচাপ খাচ্ছে। শুধু তুবা বাদে। তুবার কথা ওর জেঠু মনি জিজ্ঞেস করলে তুবার আম্মু বলে যে,, ওর নাকি খিদে পেয়েছে তাই খেয়ে নিয়েছে। ওর মা কিন্তু ঠিকই বুঝেছিতুবা ঠিক নেই। সবার চোখ ফাকি দিলেও মায়ের চোখ কি আর ফাঁকি দেওয়া যায়।তাই ওর মা ঠিক করেছে খাবার খেয়ে একবার তুবার রুমে গিয়ে ওর সাথে কথা বলে আসবে।

নীরবতা ভেঙে রাদিফ বলে,,

“বাবা, আমি আজকে চলে যাবো। ভোর চার’টায় আমার ফ্লাইট। দুই ঘন্টা পর আমি বের হয়ে যাবো। এইবার প্লিজ কেউ জানতে চেওনা কেন আজকেই চলে যাচ্ছি!! আমার আর্জেন্ট দরকার পড়ে গেছে তাই চলে যাচ্ছি” বলে ও খাবার শেষ করে উঠে যায়।

খাবার টেবিলে সবাই তো অবাক!! কেউ না বুঝলেও বাড়ির মেয়েরা বুঝেছে কেন রাদিফ চলে যাচ্ছে। সিনথিয়া তো মনে মনে বেশ খুশি। যাহোক ওদের দুজন কে আলাদা করতে পেরেছে। সিনথিয়া রাদিফের পিছন পিছন উঠে গিয়ে ওর রুমে গিয়ে রাদিফ বলতেই

ঠাসস,,করে একটা চড় পড়ে সিনথিয়ার গালে। রাদিফ চিৎকার করে বলে,,

“ফারদার তুই আমার সামনে আর আসবি না। তোকে যদি আর আমার ত্রিসীমানায় দেখি তো তোর এক দিন কি আমার এক দিন,,মাইন্ড ইট”।

রাত আড়াইটা,,

রাদিফের মা কান্না করছে ওকে ধরে। রাদিফ এখন চলে যাচ্ছে। ড্রয়িংরুমে বাড়ির বড়রা সবাই উপস্থিত ছোটরা বাদে। ছোটরা ঘুমোচ্ছে। তুবা কে একবার ওর মেজো আম্মু গিয়ে ডেকে এসেছে কিন্তু ও ঘুম কারণ ও যে ঘুমের ওষুধ খেয়েছে কেউ তো জানেনা। যদিও সবাই কম বেশি জানে ও জাগনা থাকলেও আসতো না।

রাদিফ গাড়িতে উঠে চিন্তা করছে তুবার কথা। ও কতটা পাষাণ ও একবারও রাদিফ কে আটকালো না। বেশি ভালোবেসেছে বলেই ও এমন করলো!!

এদিকে তুবা সকালে ঘুম থেকে উঠে সকাল দশ’টায়। ও ভেবেছে ওকে আর কেউ ডাকেনি। কিন্তু ও তো জানেনা ওকে কতবার ওর মা আর রিজবি এসে ডেকে গেছে। নিচে গিয়ে দেখে বাড়ির পরিবেশ একেবারে ঠান্ডা। পরে জানতে পারে রাদিফ ভোররাতে চলে গেছে। এই খবর শুনে যেন রাদিফের প্রতি তুবার রাগ, অভিমান, অভিযোগ আরো বেড়ে গেলো।

এরপর থেকে যেন আমার আমির মধ্যে অন্য আমি কে খুজে পেলাম। নিজের সেই আমিটা কে যেন হারিয়ে ফেললাম।

__________________দুই বছর পর

রাদিফ ভাই আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে। বিরস মুখে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম রাত আড়াইটা এখন। এই সময় রাদিফ ভাইয়ের আগমন যেন দিবাস্বপ্নের মতো। উনি আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে যেন ছাড়লেই আমি কোথাও হারিয়ে যাবো। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি উনি কান্না করছে। ঐদিন যাওয়ার পর থেকে উনি বহুবার চেষ্টা করেছে আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য।কিন্তু আমি নিজ থেকে অনিচ্ছা দেখিয়েছি। কিন্তু এইভাবে হুট করে এসে যে আমাকে চমকে দেবে এটা যেন অবিশ্বাস্য!!

এরপর অবশেষে অনেক অভিমান অভিযোগের পর আজকে আমাদের বিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্পন্ন হলো কিছুক্ষণ আগে। আমি ঘোমটা দিয়ে বসে আছি,,রাদিফ ভাইয়ের জন্য অপেক্ষায় আছি। বুকের মধ্যে ধুকধুক করছে। যেন রাদিফ ভাই আমার জন্য নতুন। আচ্ছা রাদিফ ভাই কি সত্যিই আমাকে এতটা ভালোবাসে?? আমাকে ভালোবাসেই বলেই কি আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে বলেই কি সিনথিয়া আপুকে উনি কিডন্যাপড করেছিলো!! টর্চার করেছিলো!! এরপর সিনথিয়া আপু কে তার ক্রাইম এর জন্য জেলে পাঠানো টাও কি রাদিফ ভাই এর চক্রান্ত ছিলো!!

এত ভাবাভাবির মধ্যে দরজা বন্ধ করার আওয়াজ পেলাম। আমি নেমে রাদিফ ভাই কে সালাম করলাম। রাদিফ ভাই আমাকে টেনে নিয়ে বুকে নিলেন। বললেন,,

“ফ্রেস হয়ে এসো তুমি। আমি ফ্রেস হবো।”

আমি ফ্রেস হয়ে গোলাপি কালারের একটা শাড়ি পড়ে বের হলাম। রাদিফ ভাই আমাকে বারান্দা থেকে ডাকলেন।আমি যেতেই আমাকে উনি টেনে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলেন। ফিসফিস করে বললেন,,

“আমাকে তুমি ক্ষমা করেছে তো বউ?? আমি তোমার কাছে সব কিছু জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। আমার এই বউ টা কি আমাকে ক্ষমা করেছে??” বলেই উনি আমাকে আরো টাইট করে জড়িয়ে ধরলেন।

“আমার এই সুদর্শন জামাই টা জেনে রাখুক তাকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি”

রাদিফ ভাই উনার ঠোঁট দিয়ে আমার ঘাড়ে চুমু খাচ্ছেন। উনি ঘাড়ে মুখ রেখে জিজ্ঞেস করলেন,,
“মে আই???”

তুবা সম্মতি দিতেই রাদিফ ওকে কোলে নিয়ে রুমের দিকে এগিয়ে গেলো। ওরা দুজন যেন হারিয়ে গেলো ভালোবাসার অতল ঢেউয়ে। অনেক অভিমান এর পর দুটো প্রাণ এক হলো।

___________________এক বছর পর

রাদিফ ওটির সামনে পায়চারি করছে। ভেতর থেকে ভেসে আসবে তাদের মেয়ের কান্নার স্বর এই আশায়। ঠিকি কিছুক্ষণ পরে ভেসে আসলো তাদের মেয়ের কান্না। নার্স এসে তুবার জেঠু মনির কোলে দিলো। রাদিফ তুবার কথা জিজ্ঞেস করতেই নার্স জানালো তুবা ঠিক আছে।

কেবিনে দেওয়ার পর রাদিফ ভেতরে যায় তুবার কাছে। ওর একহাত ধরে ওর কপালে একটা চুমু খেলো।

“তুমি আমার জীবনের একটা অন্যরকম প্রাপ্তি। আমার সুখপাখি,,যার সংস্পর্শে আমি নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হই। তোমাকে ভালোবেসে প্রতিটা মুহুর্ত যেন ভালোবাসাময় বিষাদে কেটেছে। আর তুমি হচ্ছো আমার এই সুখময় জীবনের বিষাদীনী,,
” আমার বিষাদীনি”।

[সমাপ্ত]।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে