#আমার_তুমি
#লেখিকাঃনওশিন_আদ্রিতা
#পার্টঃ২৭
,
,
,
,
,
ঈশান নিজের বাসায় এসে অস্বস্তিতে ভুগছে আজকে ১৯ বছর পরে নিজের বাড়িতে এসেছে। কেমন জানি লাগছে তার সব চেনা তবুও অচেনা লাগছে। রামিসা আইস্ক্রিম খাওয়ার জন্য নিচে নামতেই দেখে ঈশান সোফায় বসে আছে।চোখ মুখ কেমন যেনো একটা অস্বস্তি দেখে ভ্রু কুচকালো।ফ্রীজ থেকে আইস্ক্রীম এর বক্স আর চামচ নিয়ে সোফায় এসে বসলো।ঈশান রামিসাকে দেখে কিছুটা স্বস্তি পেলো
রামিসাঃকি হয়েছে মিস্টার বুড়ো
ঈশানঃহাটুর বয়সী মেয়ে এসেছে আমাকে বুড়ো বলতে
রামিসাঃ১৮ বছরের মেয়ে যদি আপনার হাটুর বয়সী হয় তাহলে তো আপনি বুড়োই(আইস্ক্রিম এর বাইট নিয়ে)
ঈশানঃতুই আর ১৮ এটা আমাকে বিশ্বাস করতে হবে
রামিসাঃবিশ্বাস করা না করা আপনার বিষয় ২০০৪ এ আমার জন্ম হিসাব করে নেন
ঈশানঃতোর জন্মদিন কবে
রামিসাঃএই তো ১২ জুলাই
ঈশানঃমানে আর ৩ দিন পরেই
রামিসাঃহুম (রামিসা ছোট করে উত্তর দিল)
ঈশানঃসবাইকে মিথ্যা কথা বলেছিলি কেন(রামিসার চামচ দিয়ে আইস্ক্রিম তুলে নিজের মুখে পুরে নেয়)
রামিসাঃএই আপনি আমার এঠো চামচ মুখে দিলেন কেন আমি রান্না ঘড় থেকে চামচ এনে দিতাম
ঈশানঃকেন আমার মুখের এটো চামচ দিয়ে খেতে সমস্যা
রামিসাঃআরে না না আমার সমস্যা হতে যাবে কেনো
ঈশানঃবুঝতেই পারছি আচ্ছা আর খাবোনা এবার বল সবাইকে মিথ্যা বলেছিলি কেন
রামিসাঃযদি আকাশ বা আরিয়ান ভাইয়াকে বলতাম আমি এমনি বাসায় যেতে যায় তাহলে তারা যেতে দিতোনা সেজন্য(ঈশানের মুখের সামনে চামচ ধরে।ঈশান মুচকি হেসে সেটা সাদরে খেয়ে নেয়)
ঈশানঃযাওয়ার কারন
রামিসাঃকাউকে বিরক্ত করতে চাচ্ছিলাম না তাই
ঈশানঃআমি কোনসময় বলেছিলাম
রামিসাঃআমার মনে হয়েছে
ঈশানঃথাপ্পড় চিনিস
রামিসাঃমেরে দেন সমস্যা নাই।(আইস্ক্রিম এর বাটি টা রেখে চলে যেতে নেয়)
রামিসা যেতে নিলেই হাতে টান পরে।বুকটা তার ধ্বক করে উঠে।অজানা অনুভূতিতে বুক টা দোল খাচ্ছে কিসের এই অনুভূতি কেন ঈশানের আশেপাশে ছোয়াই আসলে সে নতুন নতুন অনুভূতির সাথে পরিচিত হতে হয়।সব গুলো অনুভূতিতে কেন এতো প্রশান্তি মিশে থাকে।ভালোবাসা কি এমন ই আচ্ছা সে কি কোন দিন আদৌও ঈশানের মুখে #আমার_তুমি শুনতে পাবে। নাকি তার ভালোবাসা টাকে আবেগ ভেবে ঈশান সব সময় এভাবে এড়িয়ে যাবে।
ঈশানঃকই যাচ্ছিস বস এখানে কথা আছে
রামিসাঃকাজ আছে আমার
ঈশানঃরাত ১২ টার দিকে কোন মহান কাজ আছে আপনার
রামিসাঃঘু ঘুমাবো(গলার মাঝেই কেন জানি কথা গুলো আটকে আসছে)
ঈশানঃচুপচাপ এখানে বস
রামিসাঃআপনি কেন বুঝতে চাচ্ছেন না ঈশান ভাই আমি সহ্য করতে পারছিনা। এই সব নতুন নতুন অনুভূতির জোয়ার আমি আর সহ্য করতে পারছিনা বার বার মনে হচ্ছে এই অনুভূতির ঢেউ এ নিজেকে ডুবিয়ে নি কিন্তু সেটা যে অসম্ভব
ঈশান রামিসার হাত ধরে সোফার উপরে বসায় দেয়। সে নিজে রামিসার সামনে হাটু গেড়ে বসে পরে।রামিসার দুই হাত নিজের দুই হাত দিয়ে আকড়ে ধরে
ঈশানঃআমি যা বলবো একটু শুন।আমি বলছিনা আমাকে ভুলে যা বা আমাকে আকড়ে ধরে বসে থাক।আমি বুঝছি তুই আমাকে ভালোবাসিস তোর চোখে দেখেছি আমি
রামিসাঃতো কি আমার ভালোবাসা অনুভূতির কোন দাম আছে আদৌও আপনার কাছে(তাচ্ছিল্যে হেসে)
ঈশানঃঅনুভূতি কোন সময় সস্তা হয় বলো তো। সবার অনুভূতি সবার কাছেই দামী।
ঈশানের মুখে তুমি শব্দ টা শুনে রামিসার চোখ জোড়া ছলছল করে উঠে।কই এর আগে তো তুমি শব্দ টা এতো টা ভালো লাগেনি।
ঈশানঃতুমি যানো আমার অবস্থা তোমার কাছে কি কিছু লুকায় আছে বলো ত। তোমার এই কয়দিনের এক তরফা ভালোবাসা তাতেই যদি তোমাকে বলা হয় অন্য কাউকে ভালোবাসো পারবা উহু।তাহলে ভাবো ত আমার এতো বছরের ভালোবাসা আমি কি করে তাকে ভুলে অন্য কারো সাথে নিজের সংসার এর স্বপ্ন দেখি সে যে আমার স্বপ্ন বধূ ছিলো হ্যা এখন আমার ভাবি কিন্তু এক সময় তো আমার ভালোবাসা টা সে ই ছিলো আমার কল্পনাতেই হোক একটা ছোট্ট সংসার এর স্বপ্ন তোর তার সাথেই দেখেছিলাম
রামিসা মাথা নিচু করে নিজের চোখের অশ্রু বিসর্জন দিতে থাকে।ঈশান রামিসার কমোল হাতে নিজের ঠোঁট স্পর্শ করে সাথে সাথে সর্বাঙ্গ কেপে উঠে রামিসার।
রামিসাঃএকটা অন্যায় আবদার করতে বড্ড ইচ্ছা করছে
ঈশানঃপাগলী(রামিসা চোখের পানি মুছে দেয়)
ঈশান দাঁড়িয়ে রামিসাকে দাড় করায়ে নিজের হাত খুলে দেয়। রামিসা অবাক হয় ঈশান কি করে বুঝলো যে সে এটাই চায়তো।রামিসাকে দাঁড়ায় থাকতে দেখে নিজেই রামিসার হাত টেনে নিজের বুকে নিয়ে আসে। আলতো হাত রামিসার চুলের ভাজে আর পিঠে রাখে।রামিসাও নিজের মুখ ডুবায় দেয় ঈশানের প্রসস্থ বুকে।
ঈশানঃআমি আবার ভালোবাসতে চায় আবার কারো মায়ায় পড়তে চায়।একটু নিজের মতো গুছিয়ে নেও ধৈর্য ধরে কিন্তু আমি নওশিন কে ভুলতে পারবোনা প্রথম ভালোবাসা ভুলা যায়না
রামিসাঃচায় না আমি ভাবির জায়গা আমার জায়গা আমি নিজের জায়গা তৈরি করে নিবো
ঈশানঃপাগলীটা
_________
আরুঃহাউ রোমেন্টিক(উপর থেকে ঈশান আর রামিসাকে দেখে বলে)
আরু এতোক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে ঈশান আর রামিসাকে দেখছিলো।এদিকে পানি নিতে যেয়ে আরুর কোন খবর না পেয়ে সে আরুকে খুজতে এসে শুনে ফেলে আরুর বলা কথাটা। আপনা আপনি ভ্রু জোড়া কুচকে যায় তার।আরুর পিছন থেকে উকি মেরে দেখে আসলে সে কি দেখে কথাটা বললো
আরিয়ানঃকিসের জন্য কথাটা টা বললেন আপনি(বুকে হাত গুজে)
আরুঃআরে তুমি(ভয় পেয়ে)
আরিয়ানঃতো কে হবে আপনার প্রেমিক
আরুঃহায় এই জনমে আমার প্রেমিক আর জামাই দুইটাই তো তুমি অন্য কারো দিকে আর তাকানো হলো কবে (আরিয়ান এর গলা জড়ায় ধরে) কারো দিকে তাকালেই বেচারার যা অবস্থা হতো কপাল আমার আর নওশিনের দিকে তো ভয়ে কোন ছেলে তাকাতোই না (আফসোস এর সুরে)
আরিয়ানঃথাপ্পড়ায়ে গাল দুইটা এক করবো যদি ভুলেও অন্য কারো দিকে চোখ দিস আফসোস করা ছুটায় দিবো এক আছাড়ে
আরুঃতাই না গো এতো জ্বলে এতো ভালোবাসা আহাগো কোথায় রাখবো এতো ভালোবাসা বলোত(আরিয়ান এর গালে কিস করে)
আরিয়ানঃআমার মজা নেওয়া হচ্ছে তাই না দ্বারা তুই
আরিয়ান আরুর হাত দুই টা পিছনে নিয়ে রামিসার গলায় কামড় দিয়ে শুরু করে।আরু ছুটার জন্য হাত পা নড়াতে থাকে।আরিয়ান শেষ মেষ রেগে আরুকে কাধে তুলে নেয়।রুমে এসে বিছানায় ফেলে দেয়।প্রথম প্রথম আরিয়ান কামড় দিলেও পরে কামড় টা ঠোঁটের নরম ছোয়াই পরিবর্তন হতেই আরুর হাত ছুটাছুটি থেমে যায়।আরুর ছুটাছুটি থেমে যেতেই আরিয়ান আরুর হাত ছেড়ে দিয়ে আরুর কোমড়ে এক হাত দিয়ে উল্টায়ে আরুকে নিজের উপরে তুলে আরুর গলায় কিস করতে থাকে। আরিয়ান আর প্রতেক টা স্পর্শ আরুর বুকের মাঝে ঝড় তুলছে।
_____
সযত্নে নওশিনের হাতে চুরি পরায় দিচ্ছে আকাশ।চুড়ি পরানো শেষে নিজের ঠোঁট ছোয়াই নওশিনের নরম হাতে।নওশিন অভিমানে এখনো মুখ ফিরিয়ে রেখেছে
আকাশঃএতো অভিমান আমার মায়াবিতীর জানা ছিলোনা যে আমার
নওশিনঃনাহ অভিমান তো শুধু মিস্টার খারুশ এর ই আছে আমার আছে নাকি(মুখ ভেংচি দিয়ে)
আকাশঃইশ জানেমান এমন ভাবে ভেংগাও না গো সোজা বুকে এই সাইডে এসে লাগে(বুকের বাম পাশটাই ইশারা করে)
নওশিনঃহয়েছে ঢং শেষ ছাড়েন এবার ঘুমাবো
আকাশঃআজকে ঘুম হবেনা আজকে বাবুর মা কে আদর করবো
নওশিনঃএকদম কাছে আসবেন না বলে দিলাম
আকাশ বুঝি নওশিনের কথা শুনবে সে তো ব্যাস্ত নিজের ভালোবাসার সাগরে নওশিনকে ডুবাতে।।।।
চলবে!