আমার তুমি পর্ব-২৬

0
1719

#আমার_তুমি
#লেখিকাঃনওশিন_আদ্রিতা
#পার্টঃ২৬
,
,
,
,
,
নওশিন তাকায়ে দেখে রাহি দাঁড়িয়ে আছে।রাহি নওশিন কে আকাশের রুমে দেখে অবাক হয়। সাথে রাগ ও উঠে প্রচন্ড কেন কেউ তার আকাশের রুমে প্রবেশ করবে।

রাহিঃএই মেয়ে তুমি আকাশের রুমে কি করছো জানো না আকাশ নিজের রুমে কাউকে এলাউ করে না এমন কি বড় আম্মু(নিলিমা)কেও না

নওশিনঃএটা আমার ও রুম আমি তো এখানেই থাকবো না তো কই থাকবো(চোখ ছোট ছোট করে)
রাহিঃকে বলেছে এটা তোমার রুম হ্যা তুমি রামিসার রুমে থাকবা বের হও বলছি
নওশিনঃআমি আমার বর এর রুম রেখে ননোদিনীর রুমে কেন থাকতে যাবো(অবাক হয়ে)
রাহিঃবর ননোদিনী কি বলছো এগুলো
নওশিনঃবর মানে হাসবেন্ড ননোদিনী মানে সিস্টার ইন লো
রাহিঃবাংলা আমিও পারি ইউ ফুল(রেগে)
নওশিনঃতাহলে জিজ্ঞেস করেন কেন কি বলি, (বিরক্ত নিয়ে)
রাহিঃএই মেয়ে তুমি কিন্তু তোমার লিমিট ক্রোশ করছো
নওশিনঃআমার নাম নওশিন ছোয়া আকাশ চৌধুরী। আমাকে নওশিন বা ছোয়া বলতে পারো ভাবি বললে বেশি বেটার হয় কারন আকাশ আপনার বড়।
রাহিঃতুমি মজা করছো না

নওশিন কিছু বলতে যাবে তার আগেই ওয়াসরুমের দরজা খুলার আওয়াজ হয়। নওশিন দ্রুত ওয়াসরুমের কাছে যেয়ে গেট লোক করে দেয়

আকাশঃসুইটহার্ট ওপেন দা ডোর এমনিতে কিন্তু রেগে আছি এবার কিন্তু বের হয়ে থাপ্পড় দিবো

নওশিনঃদিয়েন। (লাগেজ থেকে টি-শার্ট আর টাউজার বের করে ওয়াসরুমের দরজা হালকা খুলে সেগুলো আকাশের হাতে ধরায় দিয়ে পুনরায় দরজা বন্ধ করে দেয়।)

আকাশ তো রেগে আগুন
আকাশঃএই মেয়েটা কি শুরু করেছে টা কি তখন আমার পাশে বসতে সমস্যা ছিলো আর এখন আমাকে জামা ধরায় দিচ্ছে বের হয় আজকে এর একদিন কি আমার যতোদিন লাগে(রাগে গজ গজ করতে করতে)

রাহি এতোক্ষন সব কিছুই দেখছিলো। আকাশ কে জামা দেওয়ার কারনটাও তার বুঝতে বাকি নেই।আকাশের বলা সুইটহার্ট ডাকটা কানে বিধছে তার প্রচন্ড।কান্না পাচ্ছে।রাহি আর সেখানে দ্বারালো না দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো

রাহিঃআমি তো তোমাকে ভালোবাসি আকাশ সেটা তুমি ছোট বেলা থেকেই জানতে তাহলে কেনো আমার ভালোবাসা পূর্ণতা পেলোনা কেনো তুমি আমার হলেনা। (আকাশের ছবির সামনে হাটু মুরে বসে কান্না করতে থাকে)

আকাশ ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে নওশিনের সাথে কোন কথা না বলে বের হয়ে যেতে নিলে নওশিন আকাশের হাত ধরে নেয়

আকাশঃহাত ছাড়ো
নওশিনঃছাড়ার জন্য থোরি না ধরেছি
আকাশঃহাত ছাড়তে বলেছি(রেগে চিৎকার করে)
নওশিনঃইশ এতো রেগে আছেন কেন হুম। রাহি আপু এসেছিলো তাই আপনাকে জামা দিয়েছিলাম
আকাশঃরাহি কেনো।কিছু বলেছে(ভ্রু কুচকে)
নওশিনঃউহু কিছুনা। চলেন না ঘুরতে যায়।
আকাশঃদূরে সরে দাড়াও
নওশিনঃআরে সরি না এমন করেন কেন

আকাশ কিছু না বলে বেরিয়ে যায়। নওশিন এর বুঝতে বাকি নেই জনাব ক্ষেপেছেন। নওশিনের মাথায় হঠাৎ বুদ্ধি আসে।সে মুচকি হেসে নিচে চলে যায়।

আজ অনেক দিন পরে আকাশ ঈশান আর আরিয়ান ঘুরতে বের হয়েছে।। ৩ জন মিলে অনেক দিন পরে মন খুলে আড্ডা দেয়। ৩ জনের ই আজকে আহান এর কথা মনে পরছে।রাত হয়ে যায় সবার বাড়ি ফিরতে ফিরতে।৩ এসে দেখেই সবাই খাবার টেবিলে।আকাশ ডাইনিং টেবিলের কাছে আসতেই সবাইকে চোখে পড়লেও নওশিন কে না দেখে ভ্রু কুচকে ফেলে।

আকাশঃনওশিন কই মামনি
নিলিমাঃছোয়া মা কে ডাকলাম কিন্তু ওর নাকি মাথা ব্যাথা করছে তাই সে ঘুমাচ্ছে।পরে খাবে বললো তাই আমিও আর কিছু বলিনি ভাবলাম তুই আসলে তুই সাথে নিয়ে খেয়ে নিবি
আকাশঃহুম প্লেট বারো দুইজনের

আকাশ দুইটা প্লেট নিয়ে রুমের সামনে এসে টোকা দিতেই রুম খুলে যায়।আকাশ রুমে ঢুকে দেখে রুমে মোমবাতির মৃদু আলো জ্বলছে।আকাশ অবাক হয়ে যায় সে বুঝে পায়না মেয়েটার মাথায় চলছে টা কি আকাশ প্লেট পাশের টি টেবিলে রাখে।

আকাশ রুমে ঢুকে লাইটের সুইচ ওন করতেই একটা নরম হাত এসে আকাশের হাত ধরে ফেলে।আকাশ জানে হাতের মালকিন টা কে।তবুও পাত্তা না দিয়ে কাবার্ড থেকে জামা নিয়ে ওয়াসরুমের দিকে এগুতে থাকে

নওশিন পিছন থেকে এসে জরায় ধরে।ড্রিম লাইট আর মোমবাতির আলোতে রুম টাকে অদ্ভুদ সুন্দর লাগছে।তার উপরে নওশিনের চুলের আর শরীরের অদ্ভুত সুগন্ধি যেনো আকাশ কে পাগল করে দিচ্ছে।আকাশ চোখ বন্ধ করে অনুভব করতে নিলেই সকালের কাহিনী মনে পরতেই নওশিনের হাত নিজের বুক থেকে সরায় দিয়ে চলে যেতে নিলেই

নওশিন আকাশের হাত ধরে গেয়ে উঠে।
,,,talab ha tu tu ha nasha
gulam ha dil a tera
khulka jara jilu tujha
aja meri saso ma a
marija ishq hu ma karda daba
hat rakhda tu dil pa jara
oooo hat rakhla tu dil pa jara
(নওশিন আকাশের হাত নিজের কোমরে রেখে আকাশের বুকে নিজের মাথা ঠেকায় দেয়।আকাশ হাত ছাড়ায়ে যেতে নিলে আকাশের সামনে যেয়ে আকাশের পায়ের উপর পা তুলে ওর গলা জড়ায় ধরে গালে কিস করে।আকাশ জোড় করে নওশিন কে ছেড়ে ওয়াসরুমে ঢুকে যায়।)

নওশিনঃখুব বেশি দোষ করে ফেলেছিলাম কি। হয়তো না হলে সাইকো টা এতো অভিমান করতো নাকি কিন্তু আমি তো এতো বুঝে কিছু করিনি কেনো করেছি সেটা তো আকাশ কে বললাম(খাটের উপরে বসে হাতে থাকা কালো চুরি গুলো খুলতে শুরু করে)

আজ আকাশের পছন্দের কালো লাল শাড়ি পরেছিলো। আকাশের পছন্দের খোলা চুল চোখে কাজল দিয়ে নিজেকে আকাশের মায়াবতী করে তুলেছিলো।কিন্তু লাভ হলো কি যার জন্য এতো সাজ সজ্জা সেই তার দিকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে।দীর্ঘশ্বাস ফেলে মোমবাতি গুলো নিভিয়ে লাইট ওন করে দেয়।

আকাশঃবেশি রুড হয়ে যাচ্ছি না তো ইশ মায়াবতীটা মনে হয় কষ্ট পেয়েছে। সমস্যা নাই মায়াবতীটার রাগ ভাংগাতে ভালোই লাগে।মিষ্টি রাগ(সাওয়ার ওফ করে টাওজার করে টাওয়াল টা গলায় ঝুলিয়ে বের হয়)

আকাশ রুমে এসে দেখে রুম একদম নরমাল হয়ে আছে। মোমবাতি কোন অংশ নেই। আকাশের বুঝতে বাকি রইলোনা বউ তার অভিমানের পাহাড় তুলে বসে আছে।নওশিন কে খুজতে বাহিরে যাওয়ার সময় আয়নায় চোখ পরে শাড়ির আচল দেখা যাচ্ছে।

আকাশ ব্যালকনিতে যেতেই দেখতে পায় নওশিনের শাড়ির আচল হাওয়ার সাথে সাথে দুলছে।মাঝে মধ্যে নওশিনের শরীর ও খানিকটা কেপে উঠছে বুঝাই যাচ্ছে কান্না করছে।

আকাশ নওশিনের শাড়ির আচল বেধ করে নওশিনের উমুক্ত পেটে নিজের হাত গলিয়ে দিতেই নওশিনের সারা শরীর কেপে উঠে সে আকাশ ছাড়িয়ে যেতে নিলেই আকাশ নওশিনের হাত ধরে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়। নিজের নাক দিয়ে নওশিনের গলায় স্লাইড করতে থাকে। নওশিন নিজেকে ছাড়াতে নিলে আকাশ নওশিন কে নিজের দিকে ফিরিয়ে নেয় কোমরে ধরে টান দিয়ে নিজের সাথে গভির ভাবে মিশিয়ে নেয়

নওশিন আকাশের থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে নিলে আকাশ গেয়ে উঠে

ooooou oooooo oooo
tujha mari rab na milaya
mana tujha apna banaya
ab na bicharna khudaya……(2)
mohabbat ruh ki ha
la jinda jaaaa
hat rakhda tu dil pa jara
oho hat rakhda tu dil pa jara

আকাশ নওশিন কে কোলে তুলে নেয়।নওশিন আকাশের গলা জরায় ধরে বুকে মাথা রাখে,,,,,,,,

চলবে!

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে