আবেগিমন দ্বিতীয় পর্ব

0
1763

#গল্পপোকা_ধারাবাহিক_গল্প_প্রতিযোগিতা_২০২০
আবেগিমন দ্বিতীয় পর্ব
লেখনী: তৃষা ঘোষ

বিথীকার দিদা মারা গেছেন আজ এক সপ্তাহ হয়ে গেছে। এই একটি সপ্তাহে তার জীবনে যে কি ঝড় বয়ে গেছে তা শুধু ঐ অসহায় মেয়েটি-ই জানে। এতকিছুর মাঝে বীথিকা কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তির ফর্ম ফিলাপ করেছে। পরীক্ষাও দিয়েছে। বিথীকা ছোট থেকেই পড়াশোনা করতে খুবই ভালো বাসে, গ্রামে থাকাকালীন ওখানকার স্কুলে প্রতিবছর সে প্রথম স্থান অধিকার করতো। এছাড়া ওকে স্কলারশিপ দেওয়া হতো। মাতৃ পিতৃ হারা অসহায় মেয়েটা নিজের ও তার অসুস্থ দিদার যাবতীয় খরচ চালাবার জন্য সকাল বিকেল টিউশনি পড়াতো। আর পড়াশোনা চলত স্কলারশিপের টাকাতে। কাজেই এমন মেধাবী ছাত্রীর ভালো কলেজে ভর্তি হতে কোনো অসুবিধে তো হতেই পারেনা। আজকে তার কলেজের প্রথম দিন। ইতিমধ্যেই বিথীকার সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে শ্রাবণী নামে এক মেয়ের সাথে। বিথীকা আর শ্রাবণী একই কলেজের ছাত্রী। গল্প সূত্রে তাদের মধ্যে পরিচয় হয়েছিল তা প্রায় বহুদিন ই হবে। এরপর একসাথে শেয়ারে ঘর ভাড়া নেওয়া, কলেজে ভর্তি হওয়া সবই তারা একসাথেই করেছে। শ্রাবণীর বাবা মা থাকেন মালদাতে। বিথীকার মতন সেও কলকাতায় এসেছে ডাক্তারি পড়ার জন্যে। শ্রাবণী সকাল থেকেই ব্যাস্ত তার বন্ধু বিথীকাকে সাজানো নিয়ে। বিথীকার অনিচ্ছা থাকা সত্বেও তাকে সাজতে হচ্ছে কারণ আজ তাদের কলেজে “নবীন বরণ” উৎসব পালন করা হবে। শ্রাবণী খুব যত্ন করে তার প্রিয় বন্ধু টিকে সাজিয়েছে। হলুদ রঙের শাড়ি, কাজল কালো চোখ, আর এক পিঠ খোলা মেঘও বরন কেশ সব মিলিয়ে বিথীকার দিক থেকে চোখ সরানো যাচ্ছে না।
হঠাৎ করেই বাইরে থেকে চিৎকার – চেচামেচি শোনা যাচ্ছে , মেয়েরা যেন শ্লোগান দিতে শুরু করেছে..আকাশ আকাশ…। শ্রাবণী হড় মরিয়ে উঠে পরলো বলল আরে বাবা শিগগিরি চল আকাশ দা চলে এসেছে..এখনই উৎসব শুরু হয়ে যাবে চল.. .চল..বলেই শ্রাবণী ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। বীথিকা ভাবতে বসলো কে এই ” আকাশ ” যার জন্য সবাই এত উৎসাহিত! পেছন দিক থেকে সিনিওর কিছু মেয়েরা এসে বিথীকাকে ডাকলো তাড়াতাড়ি চল সবাই তোকে ডাকছে, আকাশ দাও মঞ্চে উপস্থিত এক্ষনি বরণ করা শুরু হবে। বিথীকাও ঘর থেকে বেরিয়ে মঞ্চের সামনে এসে দাড়ালো। একে একে সকল নবীন ছাত্র ছাত্রী দের বরণ করা শুরু হলো। প্রথমে এক এক জনকে স্টেজে ডেকে কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে হাতে একটি করে গোলাপ ফুল ও একটি করে ডায়েরী দেয়া হচ্ছে। গোলাপ ফুল দেয়ার দায়িত্বে রয়েছেন তাদের ই কলেজের জেনারেল সেক্রেটারি আকাশ চ্যাটার্জি। আকাশ খুবই সুদর্শন। লম্বা,ফর্সা, চোখে একটা কালো ফ্রেমের চশমা। কলেজের সমস্ত মেয়েরাই আকাশের প্রতি দূর্বল সেটা লাইনে দাড়িয়েই বীথিকা লক্ষ্য করেছে। যাই হোক এবারে স্টেজে ডাক পড়লো বিথীকার। বিথীকা স্টেজে উঠলো প্রথমে সিনিওর দিদিরা তাকে বরণ করে নিলো এবং সবশেষে আকাশ তাকে একটি গোলাপ ফুল ও ডায়েরী দিতে গেল, কিন্তু বিথিকাকে দেখে আকাশ মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল… বিথীকা আকাশের থেকে ডায়েরী নিলেও গোলাপ ফুলটি না নিয়েই স্টেজ থেকে হুড়মুড় করে নেমে গেলো। আকাশ নীরবে দাঁড়িয়ে রইলো..! কে এই মেয়েটা!! যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা সেই গান “কৃষ্ণকলি, কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি”..।।
চলবে…….
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share