আজ আমার বিয়ে পার্ট ১
আশিকা জামান
– আপু তোকে এত সুন্দর লাগছে না। কিযে বলবো??
যাই বলবো কম হয়ে যাবে….
আচ্ছা আমার খালি এক্টাই ভয় হচ্ছে, দুলাভাই আজকে পুরা অজ্ঞান না হয়…
বলেই নওরিন হাসতে লাগলো…
আমার ওর কথা কিছুই কানে ঢুকছে নাহ…
পার্লারে কনে সাজাতে আসা বাকী মেয়েগুলোর মত আমার এত আনন্দ হচ্ছে না।
চোখের জলে কাজল বারবার লেপ্টে যাচ্ছে।
কেঊ বুঝতে পারছে না আমার হ্রদয়ে কি দহন চলছে।
আমার নিজের বোন অব্দি ভাবছে আমি শ্বশুরবাড়ি চলে যাব তাই কাদছি। পুরা অনুভুতিগুলোশুন্য হয়ে গেছে..
আমি কি করবো?
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/
কি করা উচিৎ??
ইভানকে বড় মনে পড়ছে..
তুমি কোথায় ইভান??
আজকে আমার কত খুশির দিন হওয়ার কথা ছিল।
কত স্বপ্ন দেখেছিলাম ইভানকে নিয়ে..
সব এইভাবে শেষ হয়ে যাবে তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি..
পুরোনো স্মৃতিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে…
আমি তখন সবে ইউনিভার্সিটিতে এডমিট হলাম।
হলে সিট পেলাম না।
লেডিস হোস্টেলে উঠলাম। রুমমেট তমা আপু একি ইউনিভার্সিটিতে পরে, মাস্টারস শেষ পর্বে।
ভালই দিন কাটছিল সবার সাথে হাসি আনন্দে….
ব্যাচেলর থাকলে আর যা হয় আরকি..
এই প্রথম বাবা-মাকে পরিবার ছেড়ে একা একা থাকা আমাকে অনেকটা বদলে দিয়েছিলো।
ছেলেদের আমি খুব একটা পাত্তা দিতাম না তাই প্রেম ভালবাসা ও গড়ে উঠে নাই।
আর আমাদের মফস্বলে এইরকম ওপেনলি প্রেম ভালবাসা কখনো দেখি নাই..
কিন্তু আমার হোস্টেলের প্রায় সব মেয়েই এংগেজড। সবাই অবসর টাইমে তাদের ফোন, ডেটিং এইগুলা নিয়েই বিজি থাকে।
আমি পুরা হাপিয়ে উঠেছিলাম এইগুলা দেখে।
তমা আপুর মুখে প্রায়শই তার ফ্রেন্ড ইভানের কথা শুনতাম।
প্রায়শই সে তার সাথে বাহরে যাওয়া আসা করতো।
তার যেকোন প্রয়োজনে ইভান তার পাশে থাকতো।
বিএফ দেশের বাহিরে থাকত তাই ইভানই একমাত্র ভরসা।
এই কয়েকদিনে তমা আপু আমার কলিজা হয়ে যায়।
আমি তাকে আমাদের বাসায় নিয়ে যাই। সবাই তাকে খুব প্রছন্দও করে ফেলে।
একদিন আমি ইউনিভার্সিটি থেকে ফিরছিলাম
..
সেইদিন রাস্তায় আমার তমা আপু সাথে দেখা হয় সাথে একটি সুন্দর, লম্বা করে কোঁকড়া চুলওয়ালা একটি ছেলেকে দেখি।
আমি তমা আপুর কাছে ঘেষতেই আপু আমাকে জড়িয়ে ধরে..
— আজকে ক্লাস ছিল??
কিছুটা বিস্মিত হয়ে জবাব দিলাম
— হুম। আচ্ছা আমি এখন আসি।
— আচ্ছা যা। আমার একটু লেট হবে।
ছেলেটা নির্বিকার ভাবে দড়িয়ে আছে।
আমি সামনে আগালাম।কেন যানি পিছনে তাকাতে ইচ্ছা হল…
মাথা ঘুরিয়ে পিছনে তাকাতেই দেখি..
সেও আমার দিকে পিছন ফিরে তাকিয়ে আছে…
অপূর্ব দুটি চোখ…
চোখাচোখি হয়ে গেল…
এইবার আর পারলাম না সামনে তাকিয়ে দ্রুত হোস্টেলে চলে আসলাম।
বাসায় এসেও খালি ওই চোখ দুটি মনে পড়ছে.
কোন কিছুতেই মন লাগাতে পারছি না।
অস্থির লাগছে…
তমা আপু কখন যে আসে??
স্বস্তি পাচ্ছি না।
বিকেলে আপু আসলো। এসেই বললো
— জানিস আজকে কি হইছিল তুই না থাকলে আমি পড়েই যেতাম। ভাগ্যিস তুই সামনে ছিল। তাই তোকে জড়িয়ে ধরছিলাম।
— ওহ তাই বলো, আচ্ছা তোমার সাথে কে ছিল গো??
— কে আবার ইভান…
আমাদের পাশে যে ছেলেদের হোস্টেল আছে ওখানে থাকে।
– ওহ বলে চুপ করে গেলাম।
এরপর থেকে প্রায়শই যখনি কোন কিছুর জন্য বাহিরে বের হতাম তখনি দেখা হত..
আর সে আমার দিকে কেমন করে যেন তাকাই থাকতো।
একদিন তমা আপু বললো আমাকে কিছু টাকা ধার দেতো আমি আজকে বাসায় যাব, কিছু কিনতে হবে। এখনতো টাকা তুলতে পারছি না বিকেলে তুলে দিয়ে দিবো।
আমি দিয়ে দিলাম।
ইউনিভারসিটি থেকে ফিরে দেখি আপু চলে গেছে..
ফোনটা বের করে দেখি আপু অনেগুলো কল দিয়েছিলো…
ব্যাক করতেই আপু বলল
সরিরে আমার অনেক ইমারজেন্সি ছিল তাই চলে গেছি।
তোর টাকা আমি ইভানের কাছে দিয়া গেছি, ও ফোন করলে বাসা থেকে বের হয়ে নিয়া আসিস।
ইভানের কথা বলাতে আমার ততক্ষনে ধুকপুকুনি শুরু হয়ে গেছে।
কিন্তু মুখে বললাম, ইভান ভাইয়াকে দেয়ার কি দরকার ছিলো। তুমি আসলেইতো নিতে পারতাম।
আপু বললো সমস্যা নাই, ভালো থাকিস।
সেদিন রাতে আর আমার ঘুম হলোনা এইসব হাবিজাবি ভেবে।
আচ্ছা আমি ইভানকে নিয়ে এত ভাবছি কেন??
চলবে।।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/