অমানিশা পর্ব-১৫

0
438

ধারাবাহিক গল্প
অমানিশা
পর্ব : ১৫

দোয়া পড়ার দিন গোধূলিকে বাবার বাড়িতে নামিয়ে অফিসে চলে গেল সাব্বির। গোধূলি থাকতে বললেও অফিসের দোহাই দিয়ে চলে গেল। আর তাছাড়া ওর শাশুড়ি ফোন দিয়ে বলেওনি ওদের বাড়ির কাউকে। তাই সেইটাও বলল গোধূলিকে।

আসলে সাব্বির আজকে আর এ বাসায় নামতে চাচ্ছে না। অফিসে যাবে আজ। এতো শোকের পরিবেশ ভালো লাগে না ওর।

ঐ দিন অফিস করে আর বাড়িতে ফিরলো না সাব্বির । সোজা চলে গেল ভাড়া বাড়িতে। নওমিকে আগেই মেসেজ করে জানিয়ে দিলো।
গোধূলি বাবার বাড়িতে আছে। এখন বাসায় না গেলেও কেউ খোঁজ করবে না।

বাবা মারা যাওয়ায় গোধূলির মনটনও খারাপ । কেমন একটু ঝিমিয়ে গেছে। গতরাতে কাছে টেনেছিল কিন্তু সাড়া দেয়নি।‌সাব্বির তাই আজ এ বাসায় এসেছে। একটু রিল্যাক্স করা দরকার।
তাছাড়া নওমিও কয়েকবার মেসেজ দিয়েছে দেখা করতে। মেয়েটা বিছানায় বেশ এগ্রেসিভ। ওকে সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয় সাব্বিরকে। এই বয়সের একটা মেয়ের কাছে এতোটাও আশা করেনি ও। আর এটাই ভালো লাগে ওর। কেমন একটা নেশায় পড়ে গেছে নওমির।

সাব্বির রাত করেই ঢুকল বাড়িতে। নওমি আসবে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে। ওর মামা মামী খুব একটা মাথা ঘামায় না ওকে নিয়ে। আর তাছাড়া ওর মামীর হাই প্রেশার। ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমালে আর কিছু টের পায়না। আর মামাও আর রাতে ওর ঘরে উঁকি দেয় না। তাই রাতে আস্তে ধীরে দরজা লক করে বাইরে আসে নওমি।

গ্রাম থেকে এখানে আসার পর খুব একঘেয়ে লাগছিলো সবকিছু। বাইরে বেরুবার ওয়ে নাই। এখনো কোচিং এ ভর্তি হয়নি। এই বাসা আর ছাদ করে করে দিন কাটছিলো নওমির। গ্রামে সোহাগের সাথে অযথাই ঝামেলা হয়ে গেল। সোহাগ ওদের গ্রামের রানিং মেম্বারের ছেলে। বয়সে নওমির বছর চারেকের বড়। পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। একটা বাইকে করে সারাদিন টো টো করে বেড়ায়। নওমির স্কুলে যাবার পথে ওকে দেখে শিস বাজায়। একদিন ওকে থামিয়ে একটা চিরকুট দিলো। সেটাতে ভালোবাসার কথা লেখা। নওমিকে নদীর ধারে দেখা করতে বলেছে।

নওমি দেখা করল। সেই থেকে শুরু।
তবে আর নদীর পাড়ে না। একটা নির্জন শালবন আছে গ্রামের একপাশে। সেখানেই দেখা করত ওরা। একদিন কিভাবে যেন পাতা ঝাড় দিতে আসা কয়জন মহিলা দেখে ফেলল ওদের। ব্যস, বিচার ,শালিস। সব দোষ নওমিকে দিলো সোহাগ। কাপুরুষ একটা। তবে সম্পর্ক থাকার সময় সোহাগ সবসময় হাতখরচ দিয়েছে ওকে।

এই ঘটনার পর গ্রামে থাকাটা কঠিন হয়ে গেলো। বাবা মাও ভীষণ ক্ষেপে গেলেন ওর ওপর। শেষে এখানে মামার কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তবে ওর এখানে আসতে আপত্তি ছিলো না। ও একটু মুক্ত জীবন চাইছিলো। শহরে কেই বা কার খোঁজ রাখে। ভালো একটা জায়গায় ভর্তি হতে পারলেই কোনো একটা মেসে উঠে যাবে। তখন পাখির মতো উড়তে আর কোনো বাঁধাই থাকবে না।

কিন্তু এই বাসায় থাকার সময়টা ভীষণ বিরক্ত লাগছিল ওর। সাব্বির লোকটার সাথে পরিচয় হবার পর সময়টা এখন ভালো কাটছে। এমন বিবাহিত লোকের সাথে সম্পর্কে ঝামেলা কম। এদের কোনো এক্সপেকটেশন থাকে না। শুধু শরীর চায় এরা। বিনিময়ে বাড়তি কিছু পাওয়া গেছে। এর মাঝেই ওকে কয়েকটা ড্রেস গিফট করেছে সাব্বির। কোনো বাড়তি মেদ নেই এমন সম্পর্কে। নওমি খুব এনজয় করছে সময়টা।

সাব্বির ঘরে বসেই ইয়াবা খেলো আজ। গত কয়েক মাস থেকে নতুন এই নেশা হয়েছে ওর। আসবার সময় নিয়ে এসেছে। ওর এক বন্ধুর থ্রুতে দুইজন সাপ্লায়ার এর সাথে পরিচয় হয়েছে। কল করলেই সুবিধামতো জায়গায় দিয়ে যায়।

নওমি দরজায় টোকা দিতেই খুলে দিল সাব্বির। ঘরটা ধোঁয়া দিয়ে ভরে আছে। নওমি ঢুকতেই সাব্বির একহাতে ওর কোমর জড়িয়ে ধরে দরজা লাগাল। ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো। এতোসব ন্যাকামি ন ওমির পোষায়না। নওমি নিজেই টপসটা খুলে ওকে টেনে বিছানায় নিয়ে গেল।

দোয়া পড়ার পরদিন বাড়িতে লোকজন সবাই চলে গেছে। গোধূলি সাব্বিরকে ফোন করে বলল,অফিস শেষে এ বাড়িতে এসে থাকতে। সাব্বির আসল বিকেলে। মৃত্যুর দিন তেমন কথা হয়নি। আজ এসে টুক করে নাজমার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে ফেলল।

নাজমাকে বলল,

আম্মা চিন্তা করবেন না। সবাইকে তো একদিন যেতেই হবে। আমিতো আছি। এখন থেকে আপনাদের দেখেশুনে রাখার দায়িত্ব আমার। যেকোনো সমস্যায় আমি আছি আম্মা।

নাজমা কিছু বললেন না। তার স্বামী বলে গেছেন গোধূলিকে ফিরিয়ে আনতে। মেয়েকে মেনে নেয়া মানে জামাইকে মানতেই হবে। আর তাছাড়া এখন তাদের একজন পুরুষ অভিভাবক দরকার। তার ভাইয়েরা আছেন ঠিক। তবে সবারই নিজের নিজের সংসার আছে। কতদিন আর বোনের সংসারের সবকিছু দেখবে ওরা।

জামাই যদি ছেলের মতো সব সামলে নেয় তাহলে সেটাতে খারাপ কিছু নেই। এই ছেলেতো তার বড় জামাই হতে পারত। এখন ঘটনাক্রমে ছোট মেয়ের সাথে বিয়ে হয়েছে। এটা মেনে নেয়া ছাড়া তো কোনো উপায় নেই।

তবে গোধূলিকে পড়াটা শুরু করতে বলবেন। রাত্রিটাকেও খুব জলদি বিয়ে দেয়া দরকার। মানুষটা থাকলে এতসব চিন্তা তাকে করতে হতো না। তখন ভাবনা থাকলেও মনে একটা শক্তি ছিলো যে‌ যা সামলাতে হয় স্বামী সামলে নেবেন। এখন কিছুটা হলেও একটু দূর্বল হয়ে পড়েছেন উনি।

তরফদার সাহেবের চলে যাবার দু’মাস হয়ে গেছে। গোধূলি এখন প্রায়ই বাবার বাসায় এসে থাকে।‌ সাব্বির ওকে বুঝিয়েছে এখানে এসে না থাকলে রাত্রি একাই কতৃত্ব নিয়ে নেবে সবকিছুর।

গোধূলির শাশুড়ি সাবেরা কোনো আপত্তি করেননি। বরং খুশিই হয়েছেন। এই মেয়ে বাড়িতে না থাকলেই ভালো।‌ ছেলের মন থেকেও এই মেয়েটা উঠে গেলেই ভালো। প্রথম থেকেই গোধূলিকে ঘিরে একটা নেগেটিভ ভাবনা তার মনে গেঁথে গেছে। নিজের ছেলের দোষ যতই থাক সেটা মুখ্য না। ছেলের বৌ হতে হবে মনমতো।

গোধূলির সাথে সাথে সাব্বির মাঝে মাঝেই শশুর বাড়িতে গিয়ে থাকে। এক ছুটির দিনে আফসার উদ্দিন গ্রাম থেকে এলেন গোধূলিদের বাড়িতে। উনি তরফদার সাহেবের দূর সম্পর্কের চাচাতো ভাই। গ্রামের জমিজমা উনিই দেখেন। বছরে দুইবার ফসলের টাকা নিজে এসে দিয়ে যান। সেইসাথে পুকুরের মাছ, গাছের ডাব,ক্ষেতের সবজি নিয়ে আসেন সাথে করে।
আজকেও তিনি এসেছেন ফসলের টাকা দিতে। এইতো মাস ছয়েক আগেও তরফদার সাহেবের হাতে টাকা দিয়ে গেছেন । আজ আর মানুষটা নেই।

টানা বারান্দায় কয়েকটা চেয়ার পাতা আছে। সেখানেই বসতে দেয়া হয়েছে আফসারকে। দুপুরে এসে ভাত খেয়েছেন‌ এখানে। এখানে বসে ভাইয়ের কথা বলতে গিয়ে চোখ ভিজে গেল আফসার উদ্দিন এর।

ফসলের টাকাটা আগেই ভাবির হাতে দিয়েছেন। এখন পাঞ্জাবির পকেট থেকে একটা হিসাবের ছোট কাগজ নাজমাকে দিয়ে বললেন,

বাড়িতে যেই এতিমখানায় খাওয়াতে বলেছিলেন এখানে হিসাব আছে ভাবিসাব।ঐটা কেটে রেখে টাকা দিছি।

আচ্ছা ঠিক আছে।

সাব্বির পাশেই রুমে ছিলো। ওদের আলাপ শুনে বেরিয়ে এলো।

আম্মা হিসাবটা দেখি।

বলে নিজেই কাগজটা নিলো।

কিছুক্ষণ দেখে বলল,

এত জমি থেকে মাত্র এই টাকা আসে! অনেক কমতো।

আবাদের যে খরচ, পোষায় না বাবাজি।

আরে রাখেন। এসব সবাই বলে। এভাবে নামকাওয়াস্তে একটা হিসাব দেখিয়ে আর কতদিন চলবেন? এনারা বোঝে না বলে এভাবে ঠকাবেন!

কি বলেন এইসব! আমি সেই প্রথম থেকেই ভাইজানের জমিজমা দেখতেছি। কখনো উনিশ বিশ হয় নাই। আমি অমন মানুষ না। এরা জানে আমার সম্পর্কে।

এমনটা সবাই বলে। এসব বলেই তো সহজে ঠকানো যায়।

নাজমা এবার বললেন,

আহ বাবা,কাকে কি বলছ। থাক তুমি রাখো,আমি দেখে নেব। তুমি জামাই মানুষ।তোমাকে এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না।

এইটা কি বললেন মা। এখন বাবা নাই আপনাকে ঠিকঠাক সবকিছু দেখতে হবে। বুঝেশুনে চলতে হবে। যে যা হিসাব দিলো সেটাই ঠিক ভেবে নিবেন না। এতগুলো জমির টাকা। একটা হিসাব বুঝায় দিলেইতো হলো না।

আহ,কিসব বলছ। উনি আমাদের নিজেদের লোক। বাইরের কেউ না। না জেনে এভাবে কথা বলাটা ঠিক না।

কিন্তু মা।

বললাম তো হিসাব আমি দেখে নেব। তুমি ঘরে যাও।

সাব্বির রেগে চলে গেল। গোধূলির কাছে গিয়ে বলল,

আমি কি কেউ না। আমার কথা বাদ দিলাম, তোমার বাবা যা রেখে গেছেন তা তো তোমাদেরই। সেটা যেনতেন ভাবে নষ্ট করাটা কি তোমাদের জন্য ভালো হবে?

কি হয়েছে?

আরে ঐ যে আফসার না কি নাম, জমির টাকার ফেইক হিসাব দিতে এসেছে। তোমাদের জাস্ট ঠকাচ্ছে লোকটা। আমি বলতে গেলাম আর মা কথা শুনিয়ে দিলো।

গোধূলি বলল,

আমি দেখছি।

গোধূলি নাজমার কাছে গেল। আফসার তখন চলে গেছে। গোধূলি বলল,

মা তোমার জামাই কে কি বলছো?

কি বলেছি?

বাইরের লোকের সামনে তুমি অপমান করেছ ওকে।

আফছার অনেক পুরোনো মানুষ। ওকে তোমার বাবা বিশ্বাস করতেন। তোমার জামাই নতুন এসেই তাকে আজেবাজে কথা বলতেছে।

কি আজেবাজে বলছে। আব্বা নাই এখন সবাই চাইবে আমাদের ঠকাতে। ওতো ঠিক কথাই বলছে। একটা বাইরের লোক বেশি হলো তোমার কাছে!

আমি আজেবাজে কিছু বলিনি।

আসলে আমি ভালো থাকি এটাই তোমরা চাওনা। আর আমার জামাইকেতো শুরু থেকেই কেউ কোনো দাম দিচ্ছে না। বেচারা নিজের মনে করে তোমাদের কথা ভেবে দু’টো কথা বলে শুধু শুধু কথা শুনল।

গোধূলি কান্না শুরু করে দিলো।

নাজমা মেয়ের কথায় বিরক্ত হলেন,তবে কিছু বললেন না। তার মাথা ব্যথা করছে। ভাবলেন জামাই হয়তো ভালোর জন্যই বলেছেন। তবে এভাবে মুখের ওপর না বললেও পারত। এখন গোধূলির ব্যবহার অসহ্য লাগছে। কিন্তু কড়া করে কিছু বলতেও পারলেন না। তার মন আসলেও অনেকটা দূর্বল হয়ে পড়েছেন । কোনো ঝুট ঝামেলা ভালো লাগে না আর। উনি উঠে ঘরে চলে গেলেন।

বাসায় চাপাতা নাই। আরো কিছু টুকটাক জিনিস শেষের দিকে। স্কুল শেষে রাত্রি একটা সুপার শপে ঢুকল। শপটা স্কুলের ঠিক উল্টো দিকে।

চাপাতা কিনে দুইরকম বিস্কিট নিলো ও। ঠিক এই সময় একটু দূরে আয়ানকে দেখতে পেলো। একটা বেশ সুন্দরী মেয়ে সাথে। দুই জন হেসে হেসে কথা বলছে। নিশ্চয়ই বিয়ে টিয়ে করেছে। ভালো চাকরি পেয়েছে। ছেলেরা ভালো চাকরি পেলে বিয়ে করতে দেরি করেনা। হঠাৎ রাত্রির মনটা খারাপ হয়ে গেলো।

টিস্যু বক্স নিতে হবে। কিন্তু সেটা নিতে হলে আয়ানদের পাশ কেটে যেতে হবে। এই মুহূর্তে আয়ানের সামনে পড়তে ইচ্ছে করছে না ওর। ও উল্টো দিকে ঘুরে অন্যপাশে চলে যেতে চাইছিল কিন্তু পেছন থেকে আয়ান ডেকে উঠল।

আরে রাত্রি ম্যাম যে! কেমন আছেন আপনি?

রাত্রির দাঁড়াতে হলো। অবাক হবার ভান করে বলল,

এই তো ভালো আছি। আপনি এখানে!
হুম কেনাকাটা করতে এলাম। আপনার সাথে দেখা হয়ে যাবে ভাবিনি।

তা আপনার নতুন চাকরি কেমন চলছে?

হুম ভালো। ট্রেনিং চলছে এখনো। পোস্টিং হয়নি। চিটাগাং এ ট্রেনিং করছি।

ও আচ্ছা।

এমন সময় সুন্দর করে মেয়েটা আয়ানকে দূর থেকে বলল,

আমি একটু ওদিকটায় যাচ্ছি। কিছু কসমেটিকস দেখব।

আচ্ছা যাও।

রাত্রি জানতে চাইল,

উনি?

আয়ান রাত্রির চোখ দেখে মনের ভাবটা বুঝে নিল হয়তো। কিছু না বলেই হাসল ও।

বিশেষ কেউ?

তেমনটাই বলতে পারেন।

বাহ্! ঠিক আছে আমার একটু তাড়া আছে। আজ আসি।

পরে কি আর দেখা হবার সম্ভাবনা আছে?

জ্বি?

না মানে এমনভাবে ‘আজ আসি’ বললেন যেন কাল আবারও দেখা হবে।

হঠাৎ একটু রাগের কন্ঠে রাত্রি বলল,

আমার সাথে দেখা হবার কি কোনো প্রয়োজন আছে আপনার?

সাথে সাথেই নিজেকে সামলে নিলো ও।

সরি, ভালো থাকবেন।

রাত্রি দ্রুত উল্টো ঘুরে হাঁটতে লাগল। ওর চোখ ভিজে উঠেছে। অল্পতেই কান্না পায় যে কেনো। আর এখানে কান্না করার মতো কিই বা হয়েছে। নিজের ওপরই রাগ লাগছে ওর। সাব্বির তো ওর প্রেমিক না যে ওকে অন্য মেয়ের সাথে দেখে এমন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে হবে।

শপের একটা ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাগ থেকে টিস্যু বের করে চোখ মুছল ও। চোখ খুলেই দেখল আয়ান সামনে দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হাসছে।

কি হয়েছে ম্যাম? কাঁদছেন কেনো!
না মানে চোখে কি যেন পড়েছে।

অনেক পুরোনো এক্সকিউস এটা। আপনি আসলে আমার ঐ বিশেষ কেউ এর কথা শুনে কাঁদছেন।

আরে কিসব যে বলেন!

আর কত লুকাবেন নিজেকে? মাঝে মাঝে মানুষের চোখে মনের কথা ফুটে ওঠে।

রাত্রি আর নিজেকে আটকাতে পারলো না। ছোটদের মতো কাঁদতে শুরু করল। আশেপাশের কয়জন ভাবল,

কি আশ্চর্য! একটা মেয়ে ছোটদের মতো কাঁদছে আর একটা ছেলে তার দিকে টিস্যু বাড়িয়ে দিয়ে হেসেই যাচ্ছে মিটিমিটি করে।

(চলবে)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে