ধারাবাহিক গল্প
অমানিশা
পর্ব : ১২
পরের শুক্রবার কামরুলের মা বাবা এসে রাত্রিকে আংটি পরিয়ে দিলেন। কামরুল এক ফাঁকে বলল,
আংটি পছন্দ হয়েছে?
হ্যাঁ।
বাইরের এটা। দুবাই থেকে আনানো।
হুম।
বিয়ের ডেট ঠিক হলো আগামী মাসের ১৬ তারিখ। ঐ সময় একটা ছুটি আছে। সবার আত্মীয় স্বজন আসতে পারবে।
কেনাকাটা করতে একদিন বাইরে গেল রাত্রি,ওর ভাবী,কামরুলের ছোট বোন,কামরুল।
রাত্রি পছন্দ করে কিনবে বলে গেলেও কামরুল আর ওর বোন মিলেই সব পছন্দ করল। নিজের জন্য কামরুল সব দামি দামি জিনিস নিলো। কাপড়চোপড় সব নেয়া হলো কামরুলদের দোকান থেকে। কর্মচারীরা সবাই ভাবী ভাবী করতে লাগল। রাত্রির একটু অস্ত্বস্তি লাগল। তবে দেখল দোকান আসলেই অনেক বড়।
কেনাকাটার একফাঁকে কামরুল রাত্রিকে বলল,
ভাবিরা যাক,আমি তোমাকে পরে নামিয়ে দেই।
রাত্রি বলল,
কেনো!
একটু ঘুরতাম আর কি। দু’জন তো একা কথাই হলো না।
রাত্রি না করে দিল।
রাতে কামরুল মেসেজ দিলো।
রাত্রি কি করো?
এইতো আছি।
কি পরে আছো।
মানে!
না মানে ভিডিও কল দেই?
না এখন না।
তুমি শুধু না না করো। সকালে বললাম একটু দু’জন ঘুরে আসতাম।
ভাবির সাথে বের হয়েছি। এখন আপনার সাথে একা গেলে কেমন দেখায়।
কেমন আবার দেখাবে? বিয়ের আগে দুইজন দুইজনকে একটু দেখাশোনা দরকার না?
আমাদের তো দেখাশোনা হয়েই বিয়ে ঠিক হলো।
আরে এত কম বুঝো কেন,
আজকালকার মেয়েরা তো সব বোঝে। আমি কি ঐ দেখাশোনার কথা বলছি নাকি।
তো?
আমার বন্ধুরা সবাই বিয়ের আগে ক’ বার করে রুমডেট করছে জানো? এইটা খারাপ কিছু না।
আমার এসব পছন্দ না। এমন হলে বিয়ে ভেঙে দেন।
আচ্ছা বাদ দাও। তোমার জন্য আরও কয়টা শাড়ি নিছি। ছবি দিছি দেখো।
আচ্ছা দেখব।
ইয়ে মানে আরও কিছু কেনাকাটা বাকি আছে।
আর কি?
তোমার শাড়িগুলোর ব্লাউজ বানাতে হবে। মাপটা যদি বলতে। ভাবি চাইছিলো।
রাত্রির কান গরম হয়ে গেলো। ও বলল,
আমি ভাবিকে বলে দিব।
আমাকে বললে কি হবে। লজ্জা পাচ্ছো নাকি! আমি কি জানতে পারি না? কয়দিন পরতো আমাকেই সব দেখতে হবে।
আচ্ছা আমি রাখছি।
আরে শোনো,ভিডিও কলে আসো না একটু প্লিজ।
শুনুন আমি রাখছি। মা ডাকছে।
মাপটা তো বলো সোনামনি।
রাত্রি ফোন কেটে দিলো।
শাড়ির ছবিগুলো দেখতে ইচ্ছে করছে না। ফোন রাখতেই আরো একটা ছবি আসল।
একটা নুড ছবি। একটা ছেলের কোলে একটা নগ্ন মেয়ে বসে আছে। নিচে কামরুল লিখে পাঠাল,
এভাবে তোমাকে আদর করতে চাই।
রাত্রির কান্না পেলো। তার সাথে যাদের বিয়ের কথা হয় সবাই কি এমন উদ্ভট আর বাজে নাকি সব পুরুষই এমন!
জামশেদ সাহেব বাড়ি ফিরে দেখলেন গোধূলি বসার ঘরে বসে টিভি দেখছে। উনাকে দেখেই মাথায় ঘোমটা টেনে টুক করে পা ধরে সালাম করে বলল,
আব্বা কেমন আছেন , আপনার শরীর এখন কেমন?
তুমি কে? আর আমাকে আব্বা ডাকছ কেনো!
আমি আপনার ছেলের বৌ।
জামশেদ সাহেব বৌকে ডাকলেন,
সাবেরা,ও সাবেরা এদিকে আসো।
সাবেরা এসে গোধূলিকে ইশারায় ভেতরে যেতে বললেন। তারপর স্বামীকে সব কিছু বললেন।
জামশেদ ভীষণ রেগে গেলেন। কিন্তু গোধূলিকে কিছু বললেন না।
সাবেরাকে বললেন,
তোমার ছেলের কান্ড দেখেছ। ও আসলে বলে দেবে এই মেয়েকে নিয়ে যেন আমার বাসা থেকে চলে যায়। নিজেই যখন সবকিছু একা করছে তাহলে একাই চলুক। ওকেও আমাদের কোনো দরকার নেই।
গোধূলি সব শুনল। কিন্তু গায়ে মাখলো না। নিজের বাসার মতো ঘুরতে লাগল। নিজেই খাবার নিয়ে খেলো। বিকেলে চা বানিয়ে খেলো। রাতে সাবেরাকে বলল,
মা আপনার ছেলে কি ফোন দিয়েছে?
সাবেরা জবাব দিলেন না।
সাব্বির ফিরল চারদিন পর। বাসায় ঢুকেই দেখল মুখ থমথমে হয়ে আছে মায়ের। কিছু একটা হয়েছে।
সাব্বির কে দেখেই বললেন,
আসার সময় হলো? কোথায় ডুব মেরেছিলা?
কেনো কি হয়েছে?
ঘরে গিয়ে দেখ। যে ঝামেলা বাইরে বাধিঁয়েছো সেটা ঘরে হেঁটে এসেছে।
মানে কি! পরিস্কার করে বলো।
গোধূলি মেয়েটা বাসায় এসেছে। ওকে নাকি বিয়ে করেছিস?
সাব্বির বুঝল এখন মিথ্যা বললে পরিস্থিতি জটিল হবে।
হুম। বিয়ে করেছি। তো?
আজীবন কি তুই উলটা পালটা কাজ করেই যাবি।
কি উলটা কাজ করেছি। পছন্দ হয়েছে বিয়েইতো করেছি। অবৈধভাবে তো থাকছিনা।
সাবেরা চুপ করে গেলেন। এই ছেলে কোনোকালেই তার শাসন মানেনি।
কলেজে পড়ার সময় নীলা নামের এক মেয়ে মাঝে মাঝে বাসায় আসত।
সাব্বির বলত,ওরা নাকি রিডিং পার্টনার। একসাথে আলোচনা করে পড়ে। এতে নোট করতে ,বুঝতে সহজ হয়।
একদিন বিকেলে নীলা বাসায় আসল। সাব্বিরের রুমেই পড়ে ওরা। নীলা ছেলের রুমে গেল। সাবেরা নুডুলস করেছিলেন। ভাবলেন মেয়েটা যখন এসেছে রুমেই নাশতা দিয়ে আসেন। নাশতা নিয়ে ঢুকতে গিয়ে দেখলেন সাব্বির এর রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। ভেতরে হাসির শব্দ। সাবেরা নিজেই লজ্জা পেলেন। কি করবেন বুঝতে পারছেন না। বাসায় মা আছে তবুও তার ছেলে এমন কাজ করতে পারল ভেবে হতভম্ব হলেন তিনি। কলেজে ওঠার পর থেকেই সাব্বির একটু বেশি উগ্র হয়ে গেছে। বাসাতেই রুমের দরজা বন্ধ করে সিগারেট খায়। সেই ধোঁয়া পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। রাতে দেরিতে ফেরে। কিছু বললেও গা করে না। এই নিয়ে বাবা আর ছেলের মাঝে প্রায়ই ঝামেলা হয়।
নাশতার প্লেট হাতে দাঁড়িয়ে ভাবলেন কি করবেন। নাশতা কি ফিরিয়ে নেবেন? ভাবতে ভাবতেই তিনি দরজায় নক করলেন। ভেতর থেকে সাব্বির বলল,
কে?
সাবেরা বললেন,
দরজা খোল।
দাঁড়াও।
একটু পর সাব্বির বেরিয়ে এলো। মেয়েটা ওড়না ঠিক করছে। চুলগুলো এলোমেলো।
এত জোরে কেউ দরজা ধাক্কায়, ডাকাত পড়েছে নাকি?
সাবেরার ইচ্ছে হলো ছেলের গালে চড় বসিয়ে দেন। কিন্তু ছেলে বড় হয়েছে। এখন গায়ে হাত তোলাটা অশোভন দেখায়। তাছাড়া বাইরের একটা মেয়ে আছে।
দরজা বন্ধ করেছিস কেনো?
কাজ ছিল।
সাব্বির তোর কি মনে হচ্ছে না বেয়াদবি করছিস তুই।
কিছুই হয়নি। তুমি বাড়াবাড়ি করছ।আমি বড় হয়েছি। আমার একটা প্রাইভেসি আছে। তুমি কি চাও বাইরে গিয়ে তোমাদের নাম ডুবাই।
মায়ের হাত থেকে নাশতার ট্রে নিয়ে আবার দরজা বন্ধ করে দিলো সাব্বির।
সাব্বির এর আচরণে থমকে গেলেন সাবেরা। এই ছেলেকে কিছু বলা মানেই সিনক্রিয়েট করা,লোক হাসানো। স্বামী কেও বলার সাহস পাননি। এ নিয়ে বাপ ছেলেতে তুলকালাম না হয়ে যায়। তাই স্বামীকে এসব কিছুই তেমনভাবে জানতে দেননি।
নীলাকে একদিন বলেছিলেন যে সাব্বির ছেলেমানুষ, কিন্তু তুমিতো মেয়ে। তোমার তো লজ্জা থাকা উচিত। এভাবে মেলামেশা করলে তোমার ক্ষতিই হবে। ঐ মেয়ে হেসে বলেছে,
কিছু চিন্তা করবেন না আন্টি। আমরা ভালো বন্ধু। একসাথে শুধু পড়াশোনা করি। আমার বাবার বন্ধুর ছেলে অস্ট্রেলিয়া থাকে। ওর সাথেই আমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। আমার পড়াশোনা শেষ হলেই ওখানে চলে যাব। আপনার ছেলেকে আঁচলে বাঁধার আমার কোনো ইচ্ছা নেই। We are just having good times.
এমন আরও কত কাহিনী যে তার ছেলে করেছে। আর তিনি চুপচাপ সেসব হজম করে গেছেন। ভেবেছেন সময়ের সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে। আজ পর্যন্ত কিছুই ঠিক হয়নি।
এখনতো গোধূলি ওর বিয়ে করা বৌ। কিই বা বলবেন উনি। লোক হাসানো ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হবে না। তাই আর কথা বাড়ালেন না। তবে তিনি এই মেয়েকে মানতে নারাজ। যেই মেয়ে নিজের বোনের কথা ভাবেনি,সেই মেয়ে কখনো ভালো হতে পারে না।
সাব্বির ঘরে ঢুকে দেখল গোধূলি কাপড় গোছাচ্ছে।
মেজাজ একটু খারাপ হলো ওর। মেয়েটার সাহস একটু বেশি। তাকে না বলেই এখানে চলে এসেছে। তবে একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে। ওখানের বাসা ভাড়া, যাতায়াত এসবে হাঁপিয়ে উঠেছিল ও। এখন এখানে থাকুক। আর তেমন লুকোচুরি করতে হবে না। আর তাছাড়া ওখানে বাড়িওয়ালার ভাগ্নি নওমির সাথে এখন ঐ বাসায় গিয়ে দু একদিন ডেট করা যাবে। মাস শেষ হতে দেরি আছে এখনো। এডভান্সের টাকাটাও এখন বাড়ি ছাড়ার কথাটা জানিয়ে দিলে সমন্বয় করা যাবে।
তবুও রেগে গোধূলিকে বলল,
তুমি এখানে এসেছ কেনো?
গোধূলি কাছে এসে টাই খুলে দিতে লাগল।
আপনি একদিনের কথা বলে কোথায় ছিলেন? ফোনেও পাচ্ছিলাম না।
আমার ফোনটা নষ্ট হয়ে গেছিল। আর তোমার নাম্বার মুখস্থ ছিলো না তাই জানাতে পারিনি। কিন্তু তুমি হুট করে এ বাড়িতে উঠলে কেনো। কত কথা এখন শুনতে হবে আমাকে? দুটা দিন সহ্য হলো না?
কিছু হবে না। কে কি বলবে? এক দুইদিন পর মা বাবার রাগ কমে যাবে।
আমার অনুমতি ছাড়া এখানে এসে একদম ঠিক করোনি তুমি। এমন যেন আর না হয়।
আচ্ছা আর এমন হবে না। আপনাকে না বলে কিছু করবো না।
হুম,কথাটা মাথায় রেখো। আর ও বাসায় কিছু বলে এসেছ? এখানে যে আসবে এমন কিছু বলেছ কাউকে?
না।
আচ্ছা ঐ বাসাটা তাহলে ছেড়ে দেব।
গোধূলি মাথা নাড়ল। যাক,আপাতত এ বাড়িতে তো তার অধিকার এর জায়গাটা পাকা হলো। এখন আর কোনো ভয় নেই।
সন্ধ্যায় জামশেদ সাহেব এসে চিৎকার শুরু করলেন।
সাবেরা, তোমার ছেলেকে বলো এখুনি বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে। অপদার্থ একটা ছেলে। যা খুশি তাই করে বেড়াবে আর আমাদের সেসব মানতে হবে নাকি। মগের মুল্লুক পেয়েছে!
সাবেরা স্বামীকে শান্ত হতে বললেন।
সাব্বির রুম থেকে বেরিয়ে এসে বলল,
বাবা,আমিতো নিজে নিজে জন্ম নেইনি। আপনি জন্ম দিয়েছেন। তাই এ বাড়িতে আমার অধিকার আছে। আপনি বললেও আমি বের হবো না। পারলে পুলিশ ডেকে বের করুন। এভাবে শুধু শুধু চিৎকার করে নিজের প্রেশার বাড়ানো ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হবে না। তাই চুপ থাকুন।
দেখেছ,কত বড় বেয়াদব ছেলে। একে আমি ত্যাজ্য করব বলে দিলাম।
সাবেরা স্বামীকে অনেক অনুনয় করে শান্ত করালেন।
তিনি বুঝিয়ে বললেন,
ছেলেতো ছোট নেই। বড় হয়েছে, বিয়ে করেছে পছন্দ করে। কি করবেন বলেন। যুগটাই এমন। আপনি এটা নিয়ে চেঁচামেচি করবেন না আর।
রাতে খাবারের পর ঘরে এসে গোধূলি দেখল সাব্বির ল্যাপটপে কিছু একটা কাজ করছে। ও ভেবেছিল কয়দিন পর এসে গোধূলিকে কাছে পেতে অধীর হয়ে থাকবে। কিন্তু কেমন আলগা আলগা লাগছে ওনাকে।
গোধূলি আলমারি খুলে একটা নাইটি নিয়ে ওয়াশরুমে গেল। জামা ছেড়ে নাইটিটা পরে নিল। হালকা সাজগোজ করল। আজ সাব্বিরকে পাগল করবে ও। বেচারা রেগে গেছে ওর ওপর। তবে ওকে আয়ত্তে আনার মন্ত্র জেনে গেছে গোধূলি। বাইরে এসে গোধূলি দেখল সাব্বির শুয়ে পড়েছে।সাব্বিরের কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরল গোধূলি। সাব্বির ওকে সরিয়ে দিয়ে বলল,
খুব ঘুম পাচ্ছে আমার। বিরক্ত করোনাতো।
ছেলেকে শাসন করতে না পেরে মনে মনে গোধূলির ওপর রেগে থাকলেন সাবেরা। পরদিন গোধূলি সাব্বিরের সাথে নাশতার টেবিলে আসল। সাবেরা বললেন,
নতুন বৌ উঠেছে এতো বেলা করে,এতো নবাবী চাল হলে চলবে? তোমাকে কি আমি রান্না করে খাওয়াব? এ বাসায় সবাই চাকরি করে। একমাত্র তুমিই বাড়িতে থাকবে। সব কাজকর্ম তোমাকেই তো করতে হবে। বিয়ে করে আমার ছেলের সাথে যখন সংসারে এসেছ তখন সংসার সামলানোর সব ভার হাতে নাও।
গোধূলি সাব্বিরের দিকে তাকাল। ও চুপচাপ শুনছে।
গোধূলি বলল,
আমারতো সকালে ওঠার অভ্যাস নাই। সকালে উঠলে মাথা ব্যথা করে।
এতো বেলা করে ঘুমালে কাজ করবে কে?
কাজের লোকতো আছে মা। আমি সব কাজ ঠিকমত করতেও পারি না।
কিছুই পারো না অথচ বিয়ে করে বসে আছো। না আছে পড়াশোনা,না জানো কাজ। তোর বৌকে তাহলে শোকেসে তুলে রাখ।
সাব্বির এবার মুখ খুলল,
শোনো,কাল থেকে মায়ের সাথে সাথে কাজে সাহায্য করবে। সকাল সকাল এসব নিয়ে ঝামেলা ভালো লাগে না।
সাবেরা দু’দিন পর কাজের মেয়েকে বিদায় দিলেন। এই মেয়ে যখন শখ করে বৌ হয়ে এসেছে তখন মজা বুঝুক। বসে বসে এ বাড়িতে খেতে দেবেন না। বাইরে যাবার সময় নিজের ঘরে তালা দিয়ে গেলেন। হঠাৎ করে এই মেয়ের হাতে বাসা ছাড়তেও মন চাইছে না ওনার।
সাব্বির যত খারাপই হোক সংসারের এসব বিষয়ে নাক গলাবে না এটা উনি জানেন। তাই গোধূলি এসব নিয়ে ছেলের কানভারী করে সুবিধা করতে পারবে না।
(চলবে)