সুন্দরী মেয়ে হাত ধরে হাটার ফিলিংসটা অন্যরকম,
মেয়েটির সাথে হাঁটতে হাঁটতে জমিন থেকে উপরে উঠতে লাগলাম। আকাশে ভাসমান একটা রেস্তোরায় গেলাম, কোনো ওয়েটার নাই।
মেনু দেখে যা অর্ডার দিব তাই দেখি টেবিলে!
টেবিলটা দেখতে এমন যেন হাওয়ার উপর একটা পর্দা ঝুলছে।
খাওয়া শেষ করে মেয়েটিকে নিয়ে একটা জাহাজে ওঠলাম, মেয়েটি জাহাজের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো টাইটানিকের নায়িকার মত। আমি ও টাইটানিক নায়েকের মত দাড়ালাম। সব ঠিক ছিল কিন্তু জাহাজটা আকাশে উড়তেছে।
হঠাৎ আমার উপর পানি পড়ল বুঝলাম যে টাইটানিক টা ভেঙ্গে গেছে কিন্তু হাওয়ার উপর আবার পানি আসলো কোথা থেকে!!!
আবার মনে হলো পানির মধ্যে আছি, একটু পর তো মরে যেতে হবে!!!!
তখন কানের মধ্যে ব্যাথা অনুভব করলাম, মনে হয়ে মরতে শুধু করলাম। ব্যাথা একটু একটু করে বেড়েই যাচ্ছে, চোখ খুলেই দেখি ভাবি হাত আমার কানে আর ভাবির আরেক হাতে পানির মগ!!!
মনে মনে চিন্তা করতে লাগলাম আমি বেঁচে আছি, কত ভালো লাগছে আহ, বলে বুঝানো যাবে নাহ। তাহলে কি এতক্ষণে স্বপ্ন দেখছিলাম!!!
ভাবি- বাবু ঘুম থেকে উঠবা নাহ!!! নাকি এখানেই গোসল করিয়ে দেব!
আমি ভাবির গাল দুই হাত দিয়ে টেনে বললাম- সুইটহার্ট, তার আর দরকার নেই। আচ্ছা এতসকালে ঘুম ভাঙ্গলা কেন??
ভাবি- এখনো সকাল আছে, ৯ টা বাজে।
আমি- তুমি আর ভাইয়া শপিং এ যাবা আমাকে বলছ কেন?
ভাবি- আমি, তোমার ভাইয়া, তুমি আর মেঘা যাবে!
আমি- অবাক হয়ে মেঘা!!! ( মেঘা ভাবির কাজিন, ভাবির বোন নাহ থাকাতে ভাবি মেঘাকে নিজের বেন মনে করে, চেহারা মাশাল্লাহ, অনেক মিষ্টি, অনেক হিংসুক। ভাইয়ার বিয়েতে মেঘা অনেক ইম্প্রেশন করার চেষ্টা করছিলাম পাত্তা দেয় নাই, তারপর ওর এক ফ্রেন্ড কে পছন্দ হইছিলো ওরে বলাতে আমার দিকে রাগী ভাবে চেয়ে ভাবির কাছে বলে দিলো। ভাবির সামনে লজ্জায় আর দাঁড়াতে পরতাম নাহ। কয়েকদিন পর ভাবি বলল- অর্নব তোমার লজ্জা পাওয়ার দরকার নেই, আমার কষ্ট হচ্ছে তোমার গফ নেই দেখে। তাইলে তুমি আমাকে জান, সোনা, পাখি, বাবু বলতে পারো!!
আমি- ওকে, সুইটহার্ট!!
ভাবী- আমার গাল টেনে ওরে আমার বাবুটা।
তারপর থেকে আমি সুইটহার্ট বলি আর ভাবী আমাকে বাবু বলে।
ভাইয়ার বিয়ের পর থেকে সবসময় মেঘা থেকে দূরে দূরে থাকতাম, এই হিংসুক আর অহংকারী মেয়েকে দেখলেই আমার মেজাজ গরম হয়ে যেত)
ভাবীর পিছন থেকে কে জানি বেরিয়ে আসলো, দেখলাম মেঘা, অনেক দিন পর আমাদের বাসায় আসলো!মেঘাকে দেখেই আমি মাথা নিচু করে ফেল্লাম, এই কারনে নাহ যে আমার সাথে হওয়া ঘটনা গুলো। কারণ হলো শরম, লজ্জা, ভয়, তবে মনের মধ্যে রাগে কালো পাহাড় জমে আছে!
আমি ভাবী দিকে তাকিয়ে বললাম- তোমরা গেলে যাও, আমি পরব না। ভার্সিটিতে যেতে হবে, আজকে আমার ইম্পরট্যান্ট ক্লাস আছে, না গেলে সমস্যা হবে!
ভাবী- অর্ণব ফাজলামো রাখ, আজকে শুক্রবার!
আমি অবাক হয়ে তাকালাম, তাকাতেই ভাবী আমাকে কোনো কিছু না বলতে দিয়ে বলল ১৫ মিনিট রেডি হওয়া আর ১৫ মিনিট ব্রেকফাস্টের সময় দিলাম, আধ ঘন্টা পর নিচে যেন তোমাকে দেখতে পাই। নাকি তোমার খরব আছে!
বলেই দুই বোন রুম থেকে চলে গেল।
ভাবী যখন রেগে যায়, ভাইয়ার কি অবস্থা হয়। আমি ভাবীর রাগকে ভয় পাই।
তাড়াতাড়ি নিচে গিয়ে দাড়ালাম, ভাবী ফোন – আমি কি উপরে আসতে হবে নাকি!
আমি- আরে আমি তো নিচে পার্কিং এ গাড়ির সামনে!
ভাবী- বাহিরে আসো, রিকশা দিয়ে যাবো আর কিছু শুনতে চাইনা!
আমি-…. কথা বলার আগেই কল কেটে গেল!
বাহিরে গিয়ে দেখি ভাইয়া রিকশা ঠিক করছে, আমি ভাবীর কানের কাছে ফিসফিস করে বললাম- সুইটহার্ট তোমার সাথে অনেক দিন রিকশায় ঘুরা হয় না! আজকে তুমি আর আমি এক রিকশায় যাই ভাইয়া তার শালিকার সাথে যাক!
ভাবী- তোমার ভাইয়াকে শুধু এই দিন ফ্রি পাই, কোথায় তুমি আমাকে একটু বুজবা!
দেখি এক ভাইয়া আরেক রিকশায় মেঘা, আমি বললাম- তুমি তোমার বোনের সাথে আমি ভাইয়ার সাথে, ভাই- বোনের কি কম্বিনেশন হবে! ( হেঁসে)
ভাবী চোখ বড় করে তাকিয়ে ভাইয়ার সাথে রিকশায় উঠে গেল, আমি ভাবীকে রাগানোর জন্য – আমি আরেকটা রিকশা নিয়ে আসতেছি তোমরা যাও!
ভাবী রেগে -অর্নববববব!
আমি তাড়াতাড়ি মেঘার সাথে গিয়ে উঠে পড়লাম,
আমি জানি ভাবী এই রাগ আর থাকবে নাহ, কারণ ভাইয়া যে সাথে আছে, দুজন দুজনকে অনেক ভালো বাসে!
মেঘা ফোনে কার সাথে জানি কথা বলতেছে- জানু তুমি এত রেগে যাও কেন! তোমাকে দেখতে অনেক কুল লাগছে পুরাই ক্রাশ, তুমি এত কিউট কেন!
মন চায় তোমার দিকে সারাজীবন চেয়েই কাটিয়ে দেই…..
আমি এতক্ষণ পর বুজলাম, মেঘা আমাকে বুঝাতে চাচ্ছে, আমি বিরক্ত হয়ে কিছু বলতে যাব…….. নাহ ওর সাথে তো আমি কথা বলি নাহ।
আমি কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতেছি, রিকশা রিকশার গতিতে চলতেছে। একটু পর চোখ বন্ধ অবস্তায় ফিল করলাম চুল আসে আমার মুখে পড়তেছে, একটু একটু করে সরে শেষ জায়গায় গেলাম, কিছুক্ষণ পর আমার সাথে কারো নরম হাত, শরীল লেগে আছে। আহ কি ফিল, শরীলটা কেঁপে উটল, একটু পর বাস্তবতায় ফিরে আসলাম চোখ খুলে দেখি মেঘা আমার সাথে এমন ভাবে বসে আছে যেন, আর একটু হলে আমি রিকশা থেকে নিচে পরে যাবো।
আমি ও নিন্জা টেকনিক এপ্লাই করব, ফোনটা হাতে নিয়ে- হ্যালো মিস আপু, নিজেকে কন্ট্রোল করুন। কেমন চিপাকু মেয়ে আপনি লাজ লজ্জার মাথা কাটা, যতসব ফালতু মেয়ে…….
সামনে তাকিয়ে দেখি রিকশা শপিংমলের সামনে, এত দিলের জমিয়ে রাখা কথা গুলো বলতে পারলাম নাহ, রাস্তা এত ছোট কেন! তার পরও মনটা ফ্রেশ লাগছে কিছুটা হলেও হালকা হল।
ভাড়া দিয়ে মলের ঢুকে মেয়েদের ড্রেসে সাইতে যাচ্ছে, ভাবীকে বললাম – আমার কিছু কিনা কাটা আছে বলেই দৌড় দিলাম, নাহ হলে আবার মেয়েটাকে ধরিয়ে দিতো। কিছু কিনা কাটা করে সামনের দিকে আসতে একটা ডায়মন্ড রিং চয়েজ হল, বাসররাতে বৌকে দেয়া যাবে।
অনেকক্ষন নিচে ওয়েটিং করার পর তারা আসলো মেয়েদের শপিং মানে তো বোঝেনই, আমি একটু চালাকি করে মেঘার উপর রিভেঞ্জ নেয়ার জন্য, একটা মেয়ের সাথে দাড়িয়ে কথা বলতে তাকলাম।
মেয়েটির নাম নিহা, হঠাৎ নিহার চোখে কি জানি পড়ল, আমি সামনে দিকে তাকিয়ে একটা ডেভিলমার্কা হাসি দিয়ে কিস করার স্টাইলে চোখে ফু দিলাম, নিহা আমাকে জরিয়ে ধরে ধন্যবাদ বলে চলে গেল।
আমি তাড়াতাড়ি দুইটা রিকশা ভাড়া করে উঠে বসলাম, মেঘা চুপচাপ আমার পাশে এসে বসলো, ওর সাইডে সরে বসল আসার সময়ের কাজ গুলে কিছুি করলো নাহ।
বাসায় এসে খাবার খেয়ে ঘুম দিলাম, হঠাৎ কান্না আওয়াজ পেলাম সাথে হাতের উপর কয়েক ফুটা পানি। নেড়ে চেরে আস্তে করে চোখ খুলে দেখি কে জানি রুম থেকে বাহির হয়ে গেল।
উঠে দেখি বিকাল, ফ্রেশ হয়ে ছাদে যেতেই দেখি ভাইয়া ভাবী আর মেঘা বসে আছে, ভাবী আমাকে দেখেই হাসি দিয়ে বলল- আজ মলে খুব মজা করলা, তা মেয়েটাকে?
আমি- নিহা, সেই ফিগার, ভালোই লাগছিল সময়টা যদি শেষ না হতো। সামনে তাকিয়ে দেখি মেঘা মাথা নিচু করে নিঃশব্দে কান্না করছে, চোখ থেকে পানি অবিরত পড়তেছে!
আমি দৌড়ে নিচে চলে আসলাম, কারণ কি জানেন???
আসলে মেঘাকে প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে, ভালো লাগা থেকে কখন যেন ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে বুঝতেই পারি নাই, গল্পের প্রথম দিক দিয়ে হয়তো মনে করছেন আমি মেয়েদের থেকে দূরে থাকি কারণ টা ছিল আমি মেয়েদের ভয় পাই। এমনটা নয় আমি আগে থেকেই মেয়ে পটাতে এক্সপার্ট মেঘাকে ফিল করার পর থেকে আমার আর কোনো মেয়েকে দেখলে ফিল আসে নাহ। সুন্দর মেয়েদের দেখলে ভালো লাগে কিন্তু প্রেম করার মত ফিল আসে নাহ। মেঘাকে কান্না অবস্থায় দেখে আমার বুকে ঝড় বইতে শুরু করছিল, তাই রুমে চলে আসলাম। তা না হলে নিজেকে ঠিক রাখতে পারতাম নাহ!
সারা সন্ধ্যা রুমেই ছিলাম কারণ অভিমানটা পাহাড় হয়ে আছে। এটাই আমাকে বাধাদেয় মেঘার সামনে যেতে। রাতে ভাবী ডাক দিল খাবার খেতে, সবাই এক সাথে খেলাম। ভাইয়া – ভাবী কিছু কথা বলল আমাদের হাঁসানো জন্য কিন্তু দুইজন নিচের দিকে তাকিয়ে খেলাম। খাওয়া শেষে ভাইয়া আর ভাবী মিলে সব পরিষ্কার করে তাদের রুমে চলে গেল।
আমার আজকের ঘটনাগুলোর জন্য মেঘা অনেক কান্না করছে, তাই তার কাছে মাফ চাওয়া দরকার। মেঘা উঠে ওর রুমে চলে যাবে এমন সময় আমি বললাম- শুন! আজকে তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য দুঃখিত, পারলে ক্ষমা করে দিব। এটা বলে আমি চলে আসতে যাব এমন সময় ফিল করলাম আমার হাত কেউ ধরে আছে শক্ত করে, সামনে তাকাতেই দেখি মেঘা আমার হাত ধরে আমার কাছে এগিয়ে আসলো, তারপর যা করলো বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই এটার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম নাহ!!!
মেঘা এগিয়ে এসে দুই গালে দুটা চড় দিল, আমিতো অবাক তারপর ওর চোখের দিকে তাকাতেই দেখি চোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহমান! মেয়েদের চোখ পানি মনে হয় সাগরের মত শেষ ই হতে চায় নাহ।
তখন আমাকে অবাক করে দিয়ে মেঘা এগিয়ে এসে হঠাৎ করে আমার ঠোঁটের মধ্যে ওর ঠোঁট মিশিয়ে দিলো। এভাবে লিপকিসের মধ্যে কতক্ষণ ছিলাম মনে নেই, এমন মিষ্টি আর ভালো লাগা কখনো পাই নাই আমি। ভাবী এসে কাশি নাহ দিলে কখনও এই মোমেন্ট টা শেষ হতো নাহ মনে হয়।
ভাবীকে দেখে আমি আর মেঘা লজ্জায় মুখ নিচে করে রাখলাম! তখন ভাবী বলতে শুরু করল-
এত রোমান্স এখন নয়, বিয়ের পর!
তোমরা দুজন দুজনকে এতো ভালোবাসো আমি না জানলে কিভাবে যে তোমাদের অভিমান ভাঙত আল্লাহ ই ভালো জানে।
এখন দয়া করে যার যার রুমে যান, কালকে এসব নিয়ে কথা হবে!
আমি রুমে গিয়ে শান্তি মত একটা ঘুম দিলাম, অনেক দিন পর! সকালে মানুষের কিচিরমিচিরের জন্য ঘুম ভেঙে গেল! ফ্রেশ হয়ে রুমের বাইরে এসে দেখি কানাডা থেকে বাবা- মা ছোট বোন চলে এসেছে তাদেরকে দেখে জরিয়ে ধরে কান্না করে দিলাম, অনেক দিন পর এসেছে, পাশেই তাকিয়ে দেখি মেঘার পরিবার! সবাই এক সাথে কথা বলতে লাগল আর আমার মনে লাড্ডু ফুটতে লাগল!!!
আমি মেঘা খুঁজতে লাগলাম গিয়ে দেখি কিচেনে ভাবীর সাথে, আমি- সুইটহার্ট আমার নাস্তা!!!
ভাবী বলল- এতক্ষণে কিসের নাস্তা একটু পর তো দুপুরের খাবার খাবা! আমার আবার ক্ষিদা সহ্য হয় না, এটা জেনেও আমার সাথে মজা নিতেছে, আমিও দেখে নিব হুম!
ভাবী মেঘাকে ইশারা করতেই মেঘা আমার হতে কয়েক রকম পিঠা ধরিয়ে দিল, আমি মেঘার দিকে তাকিয়ে পিঠা খেতে লাগলাম, তখন আমার ছোটবোন অনু এসে বলল- ভাবীকে বাসররাতে মত ভরে দেখো আমি অনুর গাল টেনে রুমে চলে আসলাম, ওখানে থাকলে আামর ১২ টা বাজিয়ে দিত শয়তান মেয়ে!
দুপুরের খেয়ে সবাই রেস্ট নিল, বিকালে একসাথে আড্ডা দিলাম সবাই। সন্ধ্যায় ভাইয়া এসে বিয়ের পোশাক দিয়ে বলল তাড়াতাড়ি তৈরি হতে! রেডি হয়ে ডাইনিং রুমে গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে। মেঘাকে তো বৌ এর সাজে মিষ্টি লাগছে, মনে হয়ে ওরে নিয়ে স্বপ্নে হারিয়ে যাই! তখন অনু বলল- ভাইয়া মুখ বন্ধ কর মশা ডুকবে ( সবাই হাসতপ লাগল আমার অবস্থা দেখে) আমাকে দিয়ে মৌ এর পাশে বসানো হলো। বিয়ের পর্ব শেষ মেঘাকে আমার রুমে রাখা হলো, ভাবী বলল সময় হলেই ডুতে দিবে। ১০ টার দিকে আমাকে রুমে যাওয়ার অনুমতি দিল আমার পকেট খালি করে, ভাবী আর অনুর মন খুশি করতে হলো!
বাসর ঘরে ডুকে দরজা অফ করে দিলাম, তখন মেঘা এসে আমার পা ধরে সালাম করবে ওকে তুলে সেই দিনের আংটি এ্টা পরিয়ে দিলাম। তারপর দুজন একসাথে নামাজ পরে বারান্দায় গেলাম!
মেঘা- তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো আমি বুঝতে পারি নাই, প্রথম প্রথম তোমাকে অবহেলা করতাম! তারপর তোমাকে ভালোবাসতে শুরু করি! আপুকে সব ঘটনা খুলে বলতে আপু তোমাকে ফলো করতে থাকে, তোমার ফোনের গ্যালারী, ফেবু সব কিছু দেখে আপু কনফার্ম হয়ে আমাকে এখানে আসতে বলল!!! তারপর তো সাব দেখলেই।
আমি- আমার ফোনের গ্যালারী( অবাক হয়ে)!!!
আমি তো ভাবী ফোনের তোমার যত ছবি ছিল সব নিয়ে নিছিলাম! কিন্তু ভাবী তে জানে নাহ, লজ্জায় ভাবী সামনে যাবো কিভাবে!
মেঘা- ছেলে হয়ে এতো লজ্জা পাওয়ার কি আছে!
আমি- ঐ দিন মলের কাহিনি টা তোমারা যা দেখসো সত্য নয় আসলে….
মেঘা- নিহা আপুর চোখে কিছু পরছিল, তুমি হেল্প করস তাই তো!
আমি- (অবাক হয়ে) তুমি জানো কিভাবে?
মেঘা- নিহা আপুর আপু বান্ধবী!!! নাহলে তো তে
তোমাকে আস্তো রাখতাম নাহ, আর যদি কোনো মেয়ে সামনে ফস্টি নস্টি করো। তাহলে তোমার খবর করে ফেলবো!!!
আমি- তোমাকে পেয়ে গেছি, আমিতো তার চাঁদের দিকে ও তাকাবো নাহ, কষ্ট করে উপরে তাকিয়ে লাভ কি!! তোমাকে ছাড়া আমি নিজেকে কল্পনা করতে পারি নাহ, কখন আমাকে ছেড়ে যাবে নাহ ওয়াদা দাও।
মেঘা আমাকে জরিয়ে ধরে আমার বুকে মাথা রেখে বলল- এইখানে যেই শান্তি পাই, নিশ্চিন্ত থাকি!!!
আমি মেঘার কপালে একটা চুমু একে দিলাম, মেঘে বলল তুমি রোমান্টিক নাহ, বাসর রাতে কেউ কপালে চুমু দেয়!
আমার একটু ইগোতে লাগলে কি এত বড় কথা ওয়েট!!!
তারপর মেঘাকে কোলে করে রুমে নিয়ে এসে বিছানায় ফেলে, মেঘার মিষ্টি ঠোঁটে আমার ঠোঁট মিশিয়ে দিলাম, মেঘার দুই ঠোঁটের সব লিপস্টিক খেয়ে ফেললাম, তার আমার জিহ্বা মেঘার জিহ্বার সাথে আহ কি ফিল, এত আনন্দ লাগে কেরে আমার!!
আমার পাঞ্জাবি খুলে ফেললাম, মেঘার শাড়ি খুলে খাটের কাঁথার মধ্যে চলে গেলাম। ভালোবাসাকে পরিপূর্ণ করতে লাগলাম!
#অভিমান_ও_ভালোবাসা