#অবুঝ_ছাত্রী_সিজন2
#লেখক_IR_Iman_Islam
#part_01
প্লিজ আমাকে ছেরে দিন,আপনারা আমাকে কই নিয়ে যাচ্ছেন।ঈমান আমাকে বাচাও,এরা আমাকে কই নিয়ে যাচ্ছে।আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না।আমাকে তোমার সাথে নিয়ে চলো,আমি এদের সাথে যাইতে চাই না।আমাকে বাচাও ঈমান,আমাকে বাচাও।
হঠাৎ মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গলো।কি স্বপ্ন দেখলাম। আমার পুরো শরীল ঘেমে একাকার হয়ে গেছে।আমি প্রতিদিন কেনো এই স্বপ্ন দেখি।রাফিজা মারা যাওয়া প্রায় দুই বছর হয়ে গেছে,প্রতিদিন কেনো সে আমার স্বপ্নে আসে কেনো।আমি এটা ভেবে ভেবে অস্তির হয়ে যাচ্ছি।পাশে দেখতেছি আমার মেয়ে আরামচে ঘুমাচ্ছে।কি সুন্দর না লাগতেছে আমার মেয়েটাকে ঘুমানো অবস্হায়।ঠিক তার মা রাফিজার মতো হয়েছে।রাফিজার কথা মনে পড়লে আমার মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকি কারন ওর মা যেমন ছিলো সেই রকমেই হয়েছে আমার মেয়েটা।ও আমার মেয়ের নাম তো আপনাদের বলায় হয় না খালি আমার মেয়ে,আমার মেয়ে করতেছি।আমার মেয়ের নাম জান্নাত আক্তার নদী।তাকে আদর করে আমি জান্নাত বলেই ডাকি। আমার মেয়ের বয়স পাঁচ বছর কথায় খুব এস্পাট।
তো রাফিজা মানে আমার স্ত্রী আমাদের ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেছে যেখান থেকে কেউ গেলে আর ফিরে আসতে পারে না।
এবার আমার পরিচয়টা দিয়ে দেই।
আমি ঈমান ইসলাম ইমরান।বাসা দিনাজপুর জেলা,ফুলবাড়ি থানায় থাকি।বাবা মার একমাত্র ছেলে আর আমার দুইটা আদরের বোন আছে।এতোটুকুই থাক আর জেনে কি করবেন।তো এবার গল্পে আসা যাক।
স্বপ্নটা দেখে আমার চোখের ঘুম আসতেছেই না।চেষ্টা করতেছি ঘুমানোর জন্য কিন্তু চোখে ঘুম আসতেছে না।শুধু বিছানায় এপাশ আর ওপাস করতেছি।দেখতে দেখতে রাত তিনটা বেজে গেলো এখনো ঘুম আসতেছে না চোখে।তারপর কখন যে ঘুমাই গেছি নিজেই জানি না।
বাবা ও বাবা উঠো না।
হঠাৎ ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো কারো ডাকে।চোখটা খুলে দেখি আমার রাজকন্যা ডাকতেছে।
বাবা ও বাবা।
হুম মা বলো।
তুমি খুব পচা।
কি বলো মা তোমার সব কাজ আমি করে দেও তাও আমি পচা।
করে দাও তো হয়েছে।আমি কতো আগে ঘুম থেকে উঠে তোমাকে ডাকতেছি কিন্তু তুমি উঠতেছো না তাই তুমি পচা।
ওরে বাবা আমার রাজকন্যা রাগ করেছে বুঝি।
না আমি রাগ করি নাই।গাল ফুলে বলতেছি
ওকে মা এই দেখো কান ধরেছি আর হবে না এমন।
ওকে যাও মাপ করে দিলাম।মা হয়ে ছেলেকে মাফ করে দিলাম।
তাই আমার মা তো অনেক কিছু শিখে গিয়েছে।
হুম বাবা আমি তো অনেক বড় হয়ে গেছি।
হয়েছে আর পাকনামো কথা বলতে হবে না।চলো ফ্রেস হতে যাই সাতটা বেজে গেছে।আটটা না তোমার স্কুল।
ওকে চলো বাবা।
তারপর আমি আর আমার মেয়ে মিলে ফ্রেস হয়ে বাহির হয়ে রূমে আসলাম।
চলো মা তোমাকে স্কুল ডেরেস্ট পড়ে দেই।
বাবা আমি পড়বো না এটা আমার ভালো লাগে না।
মা এটা না পড়লে স্কূলে সবাই পচা বলবে।
তাই তাহলে পড়ে দাও।
আমি আমার মেয়েকে কাপড় পড়ে দিলাম এবং আমিও রেডি হয়ে নিলাম কারন আমার আবার অফিসে যেতে হবে।ঘড়িতে দেখি 7:30 বেজে গেছে তাই তারাতারি জান্নাতকে নিয়ে নিচে আসলাম।
আমার সোনা দাদুভাই ঘুম থেকে উঠেছে তাহলে।
হুম দাদি।
তাহলে বসো দাদুভাই।
আমি আর জান্নাত খেতে বসলাম আর মা আমাদের খাবার বড়ে দিচ্ছে।
বাবা আর কতো দিন এভাবে থাকবি।
কেনো মা এভাবেই তো ভালো আছি।
বাবা তুই একটা বিয়ে কর তাহলে জান্নাত একটা মা পাবে আবার তুই ও একটা বউ পাবি।
আমি কতোবার বলবো বিয়ে করতে চাই না।
বিয়ে করবি না মানে।এই সংসার কে দেখবে আমি বুড়ি হয়ে গেছি ঠিক ভাবে কাজ করতে পারি না তাই সংসার দেখার মতো একটা মেয়েকে বিয়ে কর।রাফিজা মারা যাওয়া দুই বছর হচ্ছে আর তুই এখনো পড়ে আছিস।
রাফিজার কথা মনে করে দিয়ে আমার মনটায় খারাপ করে দিলো।মা আমি আর কিছু বলতে পারবো না।আমার অফিসের লেট হয়ে যাচ্ছে। জান্নাত তোমার খাওয়া হয়েছে।
হুম বাবা চলো।
ওকে বলো।আমি জান্নাত কে নিয়ে গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছি স্কুলে।আমি অফিসে যেই রাস্তা দিয়ে যাই সেই রাস্তায় স্কুলটা পড়ে।
মা তুমি স্কুলে গিয়ে একদম দুষ্টুমি করবে না ওকে।
ওকে বাবা।
এভাবে কথা বলতে বলতে জান্নাতের স্কুলে চলে এসেছি।চলো মা তোমার স্কুলে চলে এসেছি।
তাহলে আমি যাই পাপা।
কিন্ত আমার পাওনাটা না দিয়ে যাবে তুমি।
ও ভূলে গেছিলাম এবার তোমার গালটা এগিয়ে দাও এই নাও উমামামামা।
ওকে যাও মা।
বায় বাবা।জান্নাত চলে গেলো তার স্কুলে আর আমি অফিসে যাওয়ার জন্য গাড়ি এস্টাস করতেছি।আজকে অফিসে যাওয়ার ইচ্ছা করতেছে না রাফিজার কথা খুব মনে পড়তেছে।কতো দুষ্টুমি কতো ভালোবাসা না ছিলো আমাদের সংসারে কিন্ত হঠাৎ এক হাওয়া এসে ঘড় ভেঙ্গে দিয়ে গেলো।সুখ জিনিসটা আমার কপালে বেশি দিন থাকে না।অফিসে না গিয়ে মন ভালো করার জন্য সেই জায়গায় যাচ্ছি যেখানে বিয়ের পড়ে আমরা ঘুরতে যেতাম সেখানে যাচ্ছি আমি যেখানে রাফিজার হাতে হাত রেখে সুখ দুঃখের কথা বলেছি।সেটা হচ্ছে একটা বিল অনেক বড় একটা বিল।আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে তাই যেথে দেরি লাগলো না গাড়িতে করে।গাড়িটা পার্ক করে আমি বিলের ধারে গিয়ে বসলাম।পানিতে ঢিল মারতেছি আর আগের কথাগুলো ভাবতেছি।
আরে ঈমান তুই দোচ কেমন আছিস।
ভালো আরে রাছেল তুই এখানে কেনো হঠাৎ।
এই তো বেড়াতে আসলাম এখানে একটু।
ও তো বস এখানে।
ওকে দোচ।দিনপথ কেমন যাচ্ছে।
কোন মতে দোচ।
একটা কথা বলবো রাগ করবি না (রাছেল )
বল এখানে রাগ করার কি আছে,বল না।
শুনলাম রাফিজা ভাবি নাকি মারা গেছে।
হুম কিভাবে দোচ।
শুন না আজকে আমার মন খারাপ তাই অন্য একদিন না হয় বলবো।
না তুই এখনে বল ভাই।কবে আবার এভাবে দেখা হবে ঠিক নাই তুই সবসময় বিজি থাকিস।
শুনবি তাহলে আজকেই।
হুম বল
তাহলে শুন আজ থেকে পাঁচ বছর আগে,,,,,,?
#চলবে,,,,,,???